শিরক ও আল্লাহর একত্ববাদ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
২৫:২ - ۣالَّذِیۡ لَهٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ لَمۡ یَتَّخِذۡ وَلَدًا وَّ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ شَرِیۡکٌ فِی الۡمُلۡکِ وَ خَلَقَ کُلَّ شَیۡءٍ فَقَدَّرَهٗ تَقۡدِیۡرًا
২৫:৩ - وَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اٰلِهَۃً لَّا یَخۡلُقُوۡنَ شَیۡئًا وَّ هُمۡ یُخۡلَقُوۡنَ وَ لَا یَمۡلِکُوۡنَ لِاَنۡفُسِهِمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا وَّ لَا یَمۡلِکُوۡنَ مَوۡتًا وَّ لَا حَیٰوۃً وَّ لَا نُشُوۡرًا
সূরা ফুরকান, আয়াতঃ ২
সূরা ফুরকান, আয়াতঃ২ ও ৩ এর অর্থ
যার অধিকারে রয়েছে আসমান ও যমীনের মালিকানা; আর তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তা নিপুণভাবে নিরূপণ করেছেন।
আর তারা আল্লাহ ছাড়া অনেক ইলাহ গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে; তারা নিজদের কোন কল্যাণ ও অকল্যাণ করার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থান করতেও সক্ষম হয় না।
আল-বায়ান
যিনি যমীন ও আসমানের রাজত্বের মালিক, তিনি কোন সন্তান গ্রহণ
করেননি, রাজত্বে তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর
সেগুলোকে যথাযথ করেছেন পরিমিত অনুপাতে।
আর তারা তাঁকে বাদ দিয়ে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে অন্য কিছুকে যারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং তারা নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে। তারা ক্ষমতা রাখে না নিজেদের ক্ষতি বা উপকার করার আর ক্ষমতা রাখে না মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থানের উপর।
তাইসিরুল
He to whom belongs the dominion of the heavens and the earth
and who has not taken a son and has not had a partner in dominion and
has created each thing and determined it with [precise] determination.
But they have taken besides Him gods which create nothing, while they are created, and possess not for themselves any harm or benefit and possess not [power to cause] death or life or resurrection.
Sahih International
সূরা ফুরকান, আয়াতঃ২ ও ৩ এর তাফসীর
(২) আকাশমন্ডলী ও
পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই।[1] তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি;[2] সার্বভৌম
ক্ষমতায় তাঁর কোন অংশী নেই।[3] তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং
প্রত্যেককে যথোচিত আকৃতি দান করেছেন।[4]
[1] এটি তাঁর প্রথম গুণ। অর্থাৎ সৃষ্টি জগতে একমাত্র আধিপত্য তাঁর, অন্য কারো নয়।
[2] এখানে খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদীদের এবং আরবের সেই লোকদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে, যারা ফিরিশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত।
[3] এখানে মূর্তিপূজক মুশরিক ও (ভাল-মন্দ, আলো-অন্ধকারের স্রষ্টাস্বরূপ) দুই আল্লাহতে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে।
[4] প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা একমাত্র তিনিই এবং তিনি নিজ জ্ঞান ও
ইচ্ছানুসারে নিজের সৃষ্টিকে প্রত্যেক সেই জিনিস দান করেছেন যা তার অবস্থার
সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অথবা প্রত্যেকের জীবিকা ও মৃত্যু আগে থেকেই নির্ধারিত
করে রেখেছেন।
(৩) তবুও কি তারা তাঁর
পরিবর্তে উপাস্যরূপে অপরকে গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা
নিজেরাই সৃষ্ট এবং ওরা নিজেদের ইষ্টানিষ্টেরও মালিক নয় এবং জীবন, মৃত্যু ও
পুনরুত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। [1]
[1] কিন্তু অনাচারীরা এমন গুণের অধিকারী প্রতিপালককে বাদ
দিয়ে এমন কিছুকে প্রতিপালক বানিয়ে নিয়েছে, যারা নিজেদের ব্যাপারেও কোন
এখতিয়ার ও ক্ষমতার অধিকারী নয়। তাহলে তারা অপরের জন্য কিছু করার এখতিয়ার ও
ক্ষমতা কোথায় পাবে? এরপর নবুঅত অস্বীকারকারীদের কিছু সন্দেহ নিরসন করা
হচ্ছে।
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url