হযরত আল-ইয়াসা (আঃ) এর জীবনী
পবিত্র কুরআনে এই নবী হযরত আল ইয়াসা (আ:) সম্পর্কেঃ
পবিত্র কুরআনে এই নবী সম্পর্কে সূরা আন‘আম ৮৬ ও সূরা ছোয়াদ ৪৮ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে অন্য নবীগণের নামের সাথে। সূরা আন‘আম ৮৩ হ’তে ৮৬ আয়াত পর্যন্ত ইলিয়াস ও আল-ইয়াসা‘ সহ ১৭ জন নবীর নামের শেষদিকে বলা হয়েছে-
ﻭَﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴْﻞَ ﻭَﺍﻟْﻴَﺴَﻊَ ﻭَﻳُﻮﻧُﺲَ ﻭَﻟُﻮْﻃﺎً ﻭَﻛُﻼًّ ﻓﻀَّﻠْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ
‘ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘, ইউনুস, লূত্ব তাদের প্রত্যেককেই আমরা বিশ্বের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি’ (আন‘আম ৬/৮৬)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ ﻭَﺍﻟْﻴَﺴَﻊَ ﻭَﺫَﺍ ﺍﻟْﻜِﻔْﻞِ ﻭَﻛُﻞٌّ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﺄَﺧْﻴَﺎﺭِ
আর তুমি বর্ণনা কর ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘ ও যুল-কিফলের কথা। তারা সকলেই ছিল শ্রেষ্ঠগণের অন্তর্ভুক্ত’
(ছোয়াদ ৩৮/৪৮)। উক্ত বর্ণনায় বুঝা যায় যে, আল-ইয়াসা‘ (আঃ) নিঃসন্দেহে একজন উঁচুদরের নবী ছিলেন।
হযরত আল-ইয়াসা (আঃ) এর বংশ পরিচয়:
তিনি ইফরাঈম বিন ইউসুফ বিন ইয়াকূব-এর বংশধর ছিলেন। তিনি ইলিয়াস (আঃ)-এর চাচাতো ভাই এবং তাঁর নায়েব বা প্রতিনিধি ছিলেন। হযরত ইলিয়াস (আঃ) সুলায়মান (আঃ) পরবর্তী পথভ্রষ্ট বনু ইস্রাঈলগণের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর পরে আল-ইয়াসা‘ নবী হন এবং তিনি ইলিয়াস (আঃ)-এর শরী‘আত অনুযায়ী[1] ফিলিস্তীন অঞ্চলে জনগণকে পরিচালিত করেন ও তাওহীদের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। বাইবেলে তাঁর বিস্তারিত অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে তাঁর নাম ‘ইলিশা ইবনে সাকিত’ বলে উল্লেখিত হয়েছে।[2]
সূত্র :
[1]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/৪ পৃঃ।
[2]. তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআন পৃঃ ১১৭০।
**************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url