শিক্ষনীয় - ৬ || পবিত্র কুরআনে বর্ণিত বৃদ্ধ বয়সে জাকারিয়া (আ:)-এর সন্তান লাভের বিস্ময়কর কাহিনী





বৃদ্ধ বয়সে জাকারিয়া (আ:)-এর সন্তান লাভ

(আল্লাহ পাকের ক্ষমতা ও কুদরতের মহা নিদর্শন) 

হযরত জাকারিয়া (আ:) এর সন্তান লাভের পূর্বাপর ঘটনা


পবিত্র কুরআনের সুরা মারিয়াম-এর ২-১৫ নং আয়াতে আল্লাহ পাক হযরত জাকারিয়া (আ:) এর সন্তান লাভের পূর্বাপর ঘটনাকে এভাবে তুলে ধরেছেন।

এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর দাস জাকারিয়া (আঃ)-এর প্রতি। যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেছিল নিভৃতে।

“সে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধ্যক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে; হে আমার প্রতিপালক! আপনাকে আহ্বান করে আমি কখনো ব্যর্থকাম হই নাই। আমি আশংকা করি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের (দ্বীনকে ধ্বংস করে দিবে) আমার স্ত্রী বন্ধ্যা, সুতরাং আপনি আপনার নিকট হতে আমাকে দান করুন উত্তরাধিকারী। যে আমার উত্তরাধিকারিত্ব করবে এবং উত্তরাধিকারিত্ব পাবে ইয়াকুবের (আঃ) বংশের, এবং হে আমার প্রতিপালক! তাকে করুন সন্তোষভাজন।”

“তিনি (আল্লাহ্) বললেন, হে যাকারিয়া (আঃ)! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া (আঃ)। এই নামে আমি পূর্বে কারো নামকরণ করি নাই। সে বললো, হে আমার প্রতিপালক! কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি! আল্লাহ বললেন, এই রূপই হবে। এটা আমার জন্য সহজ সাধ্য; আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না। যাকারিয়া (আঃ) বললো, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি নিদর্শন দিন! তিনি বললেন, তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি (সুস্থাবস্থায় থাকা সত্বেও) কারো সাথে ক্রমাগত তিন দিন বাক্যালাপ করবে না। অতঃপর সে কক্ষ হতে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট আসলো ও ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বললো।”

“আমি বললাম, হে ইয়াহইয়া (আঃ)! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করো; আমি তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম জ্ঞান। এবং আমার নিকট হতে হৃদয়ের কোমলতা ও পবিত্রতা; সে ছিল মুত্তাকী। পিতা-মাতার অনুগত এবং সে উদ্ধত (স্বেচ্ছাচারী) ও অবাধ্য ছিল না। তার প্রতি ছিল শান্তি যে দিন সে জন্ম লাভ করে, ও শান্তি থাকবে যেদিন তার মৃত্যু হবে ও যেদিন সে জীবিত অবস্থায় পুনরুজ্জীবিত হবে।”


আল্লাহ পাকের অতি প্রিয় নবী হযরত জাকারিয়া (আ:)

পৃথিবীতে যেসব মহামানব মানবজাতির কল্যাণের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন তন্মধ্যে শহীদ নবী হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর আদর্শ আমাদের জন্য বড় আকর্ষণীয় ও উপদেশপূর্ণ। তাঁর জীবন থেকে ঈমান-ইসলাম, আমল-আকিদা, হায়াত-মউতসহ বহু কিছু আমরা শিখতে পারি। আল্লাহপাক তাঁর নাম পবিত্র কুরআনের চারটি সূরায় মোট সাতবার উল্লেখ করেছেন। সূরা মরিয়ম ও আল ইমরানে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। তাঁর পিতার নাম ছিল বরখিয়া, তিনি ছিলেন হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর পরবর্তী ইসরাইলী নবী ও হযরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আঃ)-এর উত্তর পুরুষ। হযরত ঈসা (আঃ)-এর জননী মহীয়সী মরিয়মের আপন খালু, হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)-এর পিতা। হযরত জাকারিয়া (আঃ) পূর্ণভূমি বায়তুল মোকাদ্দেসের অধিবাসী ছিলেন। ‘জাকারিয়া’ অর্থ আল্লাহর স্মরণীয় ব্যক্তি, যাকে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন স্মরণ করেন।


হযরত জাকারিয়া (আ:) এর পেশা

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) তাঁর পেশা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘হযরত জাকারিয়া ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি’ পৃথিবীতে হালাল কোনো পেশাই তুচ্ছ নয়। কর্মের পরীক্ষার জন্যই মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, ‘দুর্বল মুমিন থেকে শক্তিশালী কর্মঠ মুমিন আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।’ তবে উভয়ের মধ্যে কল্যাণ নিহিত আছে। তিনি ছিলেন হযরত দাউদ ও ইদরিস (আঃ)-এর মতো মেহনতি মানুষ, নিজ হস্তে পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন। মহান প্রভু তাকে সৎকর্মপরায়ণ যুগশ্রেষ্ঠ মহামানুষের মর্যাদা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘জাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলিয়াস (আঃ) সকলেই ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ এবং ইসমাঈল, ইয়াসা, ইউনুস ও লুত সবাইকে আমি তাদের সময়ে বিশ্ববাসীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।’ (সূরা আনহাম : ৮৫, ৮৬)

 

হযরত জাকারিয়া (আ:) ছিলেন হযরত

মরিয়াম (আ:) এর তত্ত্বাবধায়ক

পিতৃহারা শ্রেষ্ঠমানবী হযরত মরিয়ম বিনতে ইমরানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কে নেবে, এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিস্বরূপ প্রতিদ্বন্দ্বীদের জর্ডান নদীতে কলম নিক্ষেপ করতে বলা হয় এবং যার কলম পানিতে ডুববে না সেই মরিয়মের লালন-পালনের দায়িত্ব পাবে। সবার কলম পানিতে ডুবে গেলেও জাকারিয়া (আঃ)-এর কলম পানিতে ডুবলো না এবং তিনিই মরিয়মের লালন-পালনের সৌভাগ্য লাভ করলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা নিজ নিজ কলমগুলো পানিতে ফেললো যে, তাদের থেকে কোন ব্যক্তি মরিয়মের দায়িত্ব নেবে।’ (সূরা আল ইমরান : ৪৪)।

অতঃপর তাঁর প্রভু তাঁকে উত্তমরূপে গ্রহণ করে নিলেন, তাকে সযত্নে লালন-পালন করলেন এবং তাঁকে জাকারিয়া (আঃ)-এর তত্ত্বাবধান প্রদান করলেন।

 

মরিয়ামের কক্ষে আল্লাহর দেওয়া রিজিক দেখে জাকারিয়া (আ:) আশান্বিত হলেন

যখনই জাকারিয়া (আঃ) মরিয়মের কক্ষে প্রবেশ করতেন নতুন জাতের খাদ্যসামগ্রী তাঁর কাছে দেখে বলতেন, হে মরিয়ম, তুমি এসব কোথা থেকে পেলে? মরিয়ম প্রত্যুত্তরে বলতেন, আল্লাহর কাছ থেকে পেয়েছি।’ (সূরা আল ইমরান: ৩৭) । হযরত মরিয়ম (আঃ)-এর কারামত হিসেবে আল্লাহর পক্ষ থেকে শীতের ফল গ্রীষ্মে, গ্রীষ্মের ফল মওসুম ছাড়াই তাঁর কাছে আসতো। হযরত জাকারিয়া (আঃ) শুভ্র বেশি বৃদ্ধ ছিলেন, তাঁর স্ত্রী ইলিসাবাত নিঃসন্তান বৃদ্ধা বন্ধ্যা। মরিয়ম (আঃ)-এর কাছে অসময়ে ফল দেখে আশান্বিত হলেন এবং উপদেশ গ্রহণ করলেন, অসময়েও সন্তান হতে পারে।

 

জাকারিয়া (আ:) সন্তানের জন্য মোনাজাত করলেন

তাই ৭৭ বছর বয়সে বিনয়ের সাথে দোয়া করলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘সেখানেই জাকারিয়া (আঃ) তার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। বললেন, ‘হে আমার প্রভু! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে একটা পুতপবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া শ্রবণকারী।’ (সূরা আল ইমরান : ৩৮)। ‘যখন তিনি তাঁর প্রভুর কাছে নির্জনে প্রার্থনা করলেন, হে আমার প্রভু! বার্ধক্যের কারণে আমার অস্থি দুর্বল হয়ে গেছে, মস্তক শুভ্রদীপ্ত হয়েছে, আপনাকে ডেকে প্রভু আমি কখনো নিরাশ হয়নি। আর অবশ্যই আমার পর স্বগোত্রকে আমি ভয় করছি, এ অবস্থায় যে আমার স্ত্রী বন্ধ্যা, তাই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে দায়িত্ববান সন্তান দান করুন। সে আমার নবুয়তের উত্তরাধিকারী হবে, আর উত্তরাধিকারী হবে ইয়াকুব বংশের এবং তাকে প্রভু সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বানিয়ে দিও’ (সূরা মরিয়ম : ৩-৬)। তিনি আরো দোয়া করলেন, ‘হে আমার প্রভু! আমাকে একাকী রাখবেন না। অথচ আপনি সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী।’ (সূরা আম্বিয়া : ৮৯)। আল্লাহ তায়ালা তাঁর দোয়া কবুল করলেন।

 

পুত্র সন্তানের সুসংবাদ নিয়ে জাকারিয়া (আ:) এর কাছে জিব্রাইল (আ:) এর আগমণ

জাকারিয়া (আ:) বায়তুল মোকাদ্দাসের মেহরাবে নামাযরত হলেন। এরই মধ্যে আল্লাহ পাকের আদেশে হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে তাঁকে বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে ইয়াহইয়া নামক পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছেন। যিনি হবেন সৎকর্মপরায়ণ, নারী সংযমী ও আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নকারী। তিনি বললেন, হে প্রভু, আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে, কীভাবে আমার সন্তান হবে, আমার স্ত্রী বন্ধ্যা, তিনি বললেন, ‘এমনিই হবে। আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন, করে ফেলেন।’ (সূরা আল ইমরান : ৩৯-৪০)।

‘হে জাকারিয়া, আমি আপনাকে ইয়াহইয়া নামক এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। এর আগে এই নামে কাউকে সৃষ্টি করিনি, জাকারিয়া (আঃ) বললেন, প্রভু! কীভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে, কেনো না আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। তিনি উত্তর দিলেন, সেভাবেই হবে (যেভাবে সকলকে সৃষ্টি করেছি) আপনার প্রভু বলেছেন, এ কাজ আমার পক্ষে অতি সহজ। এর আগে আপনাকে সৃষ্টি করেছি, তখন আপনি কিছুই ছিলেন না।’ (সূরা মরিয়ম : ৭-৯)।

‘তার স্ত্রীকে প্রজননযোগ্য করে দিলাম। নিশ্চয়ই তারা সৎকর্মে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন এবং আমাকে ডাকতেন সন্তর্পণে, আন্তরিকভাবে, তারা ছিলেন আমার বিনয়াবনত বান্দা। (সূরা আম্বিয়া : ৯০)

তিনি বললেন, আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়েছে, তা বুঝতে আমাকে একটা নিদর্শন দিন। এরশাদ হলো এই যে, তিন দিন পর্যন্ত কারও সাথে সরাসরি কথা বলবেন না, তবে ইশারায় বলতে পারবেন আর আপনার রবকে বেশি বেশি স্মরণ করুন ও সকাল-সন্ধ্যা তাসবিহ পড়ুন। (সূরা আল ইমরান : ৪১)।

অতঃপর তিনি মেহরাব থেকে বেরিয়ে ইশারার মাধ্যমে লোকজনকে ওহির বিধান জানিয়ে দিলেন। এক পর্যায়ে হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) জন্মগ্রহণ করলেন। কালক্রমে বড় হলেন ও নবুওয়াত প্রাপ্ত হলেন।

 

ইহুদিরা নবী জাকারিয়া (আ:) কে দ্বিখন্ডিত করে হত্যা করে

পিতা-পুত্র একত্রে আল্লাহর পথে দাওয়াত ও তাবলীগ শুরু করলেন। তারা প্রচার করতে লাগলেন, ‘আপন বোন, ভগ্নি, খালা-ফুফুদের বিবাহ করা নিষেধ। কিন্তু সে যুগের অত্যাচারী বাদশা এ নিষেধ অগ্রাহ্য করলো। বাদশার প্রেয়সী তার কাছে অনুরোধ করলো, ‘আমি ইয়াহইয়ার রক্ত চাই।’ ফলে ইয়াহইয়াকে হত্যা করা হলো। আল্লাহর গজব এলো হত্যাকারীদের ওপর, হত্যাকারীরা ধ্বংস হলো। তারা বলল জাকারিয়ার প্রভু আমাদের ধ্বংস করে দিলো, অতএব তাকে পাকড়াও করে আনো। একথা জানার পর তিনি পালাতে গেলেন। 

একটা গাছ তাঁকে আশ্রয় দিলো

গাছের কান্ড ফাঁক হয়ে হয়ে গেলো। তিনি গাছের ভেতরে আশ্রয় নিলেন। তারা ইবলিসের সহায়তায় করাত দিয়ে গাছটি দ্বিখন্ডিত করে ফেললো। গাছের সাথে তিনিও দ্বিখন্ডিত হয়ে গেলেন। ওহি নাজিল হলো, ‘আপনি চুপচাপ না থাকলে এ জনপদবাসীকেও কওমে লুতের মতো উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে ফেলবো।’ (উহ্ শব্দ করলে নবুয়তের খাতা থেকে আপনার নাম বাদ দেয়া হবে।’ তাই তিনি নীরব রইলেন।) প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, জেরুসালেমের মসজিদ বায়তুল মোকাদ্দাসের পাশেই পিতা-পুত্র সমাহিত আছেন। হযরত জাকারিয়া (আঃ)কে ইহুদিরা হত্যা করেছিল কিনা এ নিয়ে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করলেও বেশির ভাগ তাফসীরকারকগণ মনে করেন, ইহুদিরাই জাকারিয়া (আঃ)কে হত্যা করেছিল। তাছাড়া তারা যে অসংখ্য নবী-রাসূল (আঃ)কে হত্যা করেছিল তার অকাট্য প্রমাণ আছে। ইহুদিরা নিজেদের খুব ভালো মানুষ হিসেবে দাবি করলেও তার জবাবে আল্লাহ পাক বলেন, ‘যদি তোমরা মুমিনই হবে, তাহলে এর আগে আল্লাহর নবীদের কেন হত্যা করেছিলে?’ (সূরা বাকারা : ৯১



★★সমাপ্ত★★

সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কাজকর্ম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে দয়াকরে Home Page এ ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url