বিষয় ভিত্তিক হাদিস || নামাজ বিষয়ক ১০০টি হাদিস || নামাজের পোষাক, কিবলামূখী হওয়া ও রুকু সিজদাহ করা ||





নামাজের পোষাক, রুকু সিজদা ও কিবলামূখী প্রসঙ্গে ১০টি সহী হাদিস


নামাজ আদায়ের সময় পোষাক পরা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৪৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৫১


باب وُجُوبِ الصَّلاَةِ فِي الثِّيَابِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أُمِرْنَا أَنْ نُخْرِجَ، الْحُيَّضَ يَوْمَ الْعِيدَيْنِ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ، فَيَشْهَدْنَ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَدَعْوَتَهُمْ، وَيَعْتَزِلُ الْحُيَّضُ عَنْ مُصَلاَّهُنَّ‏.‏ قَالَتِ امْرَأَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِحْدَانَا لَيْسَ لَهَا جِلْبَابٌ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا ‏"‏‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ عَطِيَّةَ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا‏.‏

৩৪৪। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ..... উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে ঋতুবতী এবং পর্দানশীন মহিলাদের বের করে আনার নির্দেশ দিলেন, যাতে তাঁরা মুসলিমদের জামা’আত ও দু’আয় শরীক হতে পারে। অবশ্য ঋতুবতী মহিলারা সালাত (নামায/নামাজ)-এর স্থান থেকে দূরে থাকবে। এক মহিলা বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কারো কারো ওড়না নেই। তিনি বললেনঃ তাঁর সাথীর উচিত তাঁকে নিজের ওড়না থেকে পরিয়ে দেওয়া।

আবদুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) সুত্রে উম্মে ‘আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি।

নামাজে কাঁধে তহবন্দ বাঁধা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৪৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৫২

باب عَقْدِ الإِزَارِ عَلَى الْقَفَا فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ صَلَّى جَابِرٌ فِي إِزَارٍ قَدْ عَقَدَهُ مِنْ قِبَلِ قَفَاهُ، وَثِيَابُهُ مَوْضُوعَةٌ عَلَى الْمِشْجَبِ قَالَ لَهُ قَائِلٌ تُصَلِّي فِي إِزَارٍ وَاحِدٍ فَقَالَ إِنَّمَا صَنَعْتُ ذَلِكَ لِيَرَانِي أَحْمَقُ مِثْلُكَ، وَأَيُّنَا كَانَ لَهُ ثَوْبَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم

৩৪৫। আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ..... মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা জাবির (রাঃ) কাঁধে তহবন্দ বেঁধে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। আর তাঁর কাপড় (জামা) আলনায় রক্ষিত ছিল। তখন তাঁকে এক ব্যাক্তি বললঃ আপনি যে এক তহবন্দ পরে সালাত আদায় করলেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ তোমার মত আহাম্মকদের দেখানোর জন্য আমি এরূপ করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আমাদের মধ্যে কারই বা দু’টো কাপড় ছিল?

এক কাপড় গায়ে জড়িয়ে নামাজ আদায় করা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৪৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৫৪

باب الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ مُلْتَحِفًا بِهِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ‏.‏

৩৪৭। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) .... উমর ইবনু আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক কাপড় পরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন, আর তাঁর উভয় প্রান্ত বিপরীত দিকে রাখলেন।


এক পোষাকে নামাজ আদায় করলে উভয় কাঁধের উপর পোষাক রাখা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৫২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৫৯

باب إِذَا صَلَّى فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَلْيَجْعَلْ عَلَى عَاتِقَيْهِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُصَلِّي أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ، لَيْسَ عَلَى عَاتِقَيْهِ شَىْءٌ ‏"‏‏.‏

৩৫২। আবূ ‘আসিম (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ এক কাপড়ে পরে এমনভাবে যেন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় না করে যে, তার উভয় কাঁধে এর কোন অংশ নেই।


ছোট পোষাকে নামাজ আদায়

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৫৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৬১

باب إِذَا كَانَ الثَّوْبُ ضَيِّقًا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلاَةِ، فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَقَالَ خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، فَجِئْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ أَمْرِي، فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي وَعَلَىَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ، فَاشْتَمَلْتُ بِهِ وَصَلَّيْتُ إِلَى جَانِبِهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏"‏ مَا السُّرَى يَا جَابِرُ ‏"‏‏.‏ فَأَخْبَرْتُهُ بِحَاجَتِي، فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ ‏"‏ مَا هَذَا الاِشْتِمَالُ الَّذِي رَأَيْتُ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ كَانَ ثَوْبٌ‏.‏ يَعْنِي ضَاقَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنْ كَانَ وَاسِعًا فَالْتَحِفْ بِهِ، وَإِنْ كَانَ ضَيِّقًا فَاتَّزِرْ بِهِ ‏"‏‏.‏

৩৫৪। ইয়াহইয়া ইবনু সালিহ (রহঃ)...... সা’ঈদ ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে এক কাপড়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন সফরে বের হয়েছিলাম। এক রাতে আমি কোন প্রয়োজনে তাঁর কাছে গেলাম। দেখলাম, তিনি সালাত (নামায/নামাজ) রত আছেন। তখন আমার শরীরে মাত্র একখানা কাপড় ছিল। আমি কাপড় দিয়ে শরীর জড়িয়ে নিলাম আর তাঁর পার্শ্বে সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়ালাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে জিজ্ঞাসা করলেনঃ জাবির! রাতের বেলা আসার কারণ কি? তখন আমি তাঁকে আমার প্রয়োজনের কথা জানালাম। আমার কাজ শেষ হলে তিনি বললেনঃ এ কিরূপ জড়ানো অবস্থায় তোমকে দেখলাম? আমি বললামঃ কাপড় একটই ছিল (তাই এভাবে করেছি)। তিনি বললেনঃ কাপড় যদি বড় হয়, তাহলে শরীরে জড়িয়ে পরবে। আর যদি ছোট হয়, তাহলে তহবন্দরূপে ব্যাবহার করবে।

শামী জুব্বা পরে নামাজ আদায় করা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৫৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৬৩

باب الصَّلاَةِ فِي الْجُبَّةِ الشَّأْمِيَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَقَالَ ‏ "‏ يَا مُغِيرَةُ، خُذِ الإِدَاوَةَ ‏"‏‏.‏ فَأَخَذْتُهَا فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَوَارَى عَنِّي فَقَضَى حَاجَتَهُ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأْمِيَّةٌ، فَذَهَبَ لِيُخْرِجَ يَدَهُ مِنْ كُمِّهَا فَضَاقَتْ، فَأَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ أَسْفَلِهَا، فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ صَلَّى‏.‏

৩৫৬। ইয়াহইয়া (রহঃ) .... মুগীর ইবনু শু’বা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে মুগীরা! লোটাটি লও। আমি তা নিলাম। তিনি আমার দৃষ্টির বাইরে গিয়ে প্রয়োজন সমাধা করলেন। তখন তাঁর দেহে ছিল শামী জুব্বা। তিনি জুব্বার আস্তিন থেকে হাত বের করতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন সংকীর্ণ হওয়ায় তিনি নিচের দিক দিয়ে হাত বের করলেন। আমি পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সালাতের উযূর ন্যায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। আর তাঁর উভয় মোজার উপর মাসেহ করলেন ও পরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন।


নামাজে বা নামাজের বাইরে বিবস্ত্র হওয়া

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৫৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৬৪

باب كَرَاهِيَةِ التَّعَرِّي فِي الصَّلاَةِ وَغَيْرِهَا
حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ الْحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَا ابْنَ أَخِي، لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَ عَلَى مَنْكِبَيْكَ دُونَ الْحِجَارَةِ‏.‏ قَالَ فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ، فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْيَانًا

৩৫৭। মাতার ইবনু ফযল (রহঃ) ... জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নবুওয়াতের পূর্বে) কুরাইশদের সাথে কাবার (মেরামতের) জন্য পাথর তুলে দিচ্ছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গী। তাঁর চাচা ‘আব্বাস (রাঃ) তাঁকে বললেন; ভাতিজা! তুমি লুঙ্গী খুলে কাঁধে পাথরের নীচে রাখলে ভাল হত। জাবির (রাঃ) বলেনঃ তিনি লুঙ্গী খুলে কাঁধে রাখলেন এবং তৎক্ষণাত বেহুশ হয়ে পড়লেন। এরপর তাঁকে আর কখনও বিবস্ত্র অবস্থাই দেখা যায়নি।

লজ্জাস্থান ঢাকা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৬০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৬৭

باب مَا يَسْتُرُ مِنَ الْعَوْرَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، لَيْسَ عَلَى فَرْجِهِ مِنْهُ شَىْءٌ‏.‏

৩৬০। কুতায়বা (রহঃ) .... আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশতিমালে সাম্মা* এবং কাপড়ে ইহতিবা* করতে নিষেধ করেছেন যাতে তাঁর লজ্জাস্থানে কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।

*সাম্মাঃ একই কাপড়ে সমস্ত শরীর এমনভাবে জড়ানো যাতে হাত-পা নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা হয়।
*ইহতিবাঃ পা ও হাঁটু দাড় করিয়ে বাহু বা কাপড় দিয়ে তা এমন ভাবে বেষ্টন করে নিতম্বের উপর বসা যাতে লজ্জাস্থান খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে।

রুকু সিজদা পূর্ণভাবে না করা

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৮২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৮৯

باب إِذَا لَمْ يُتِمَّ السُّجُودَ
أَخْبَرَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا مَهْدِيٌّ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رَأَى رَجُلاً لاَ يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلاَ سُجُودَهُ، فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ مَا صَلَّيْتَ ـ قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ـ لَوْ مُتَّ مُتَّ عَلَى غَيْرِ سُنَّةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم‏.

৩৮২। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ..... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি তাঁর রুকু-সিজদা পুরোপুরি আদায় করছিল না। সে যখন সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলো তখন তাকে হুযায়ফা (রাঃ) বললেনঃ তোমার সালাত (নামায/নামাজ) ঠিক হয়নি। রাবী বলেনঃ আমার মনে হয় তিনি (হুযায়ফা) এ কথাও বলেছেন, (এ অবস্থায়) তোমার মৃত্যু হলে তা মুহাম্মদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরীকা অনুযায়ী হবে না।


যেখানেই হোক নামাজে কিবলামুখী হওয়া

বুখারী শরীফের হাদিস নাম্বার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৯২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪০১

باب التَّوَجُّهِ نَحْوَ الْقِبْلَةِ حَيْثُ كَانَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ ـ فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ ‏"‏ وَمَا ذَاكَ ‏"‏‏.‏ قَالُوا صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَتَحَرَّى الصَّوَابَ، فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ ثُمَّ يُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ‏"‏‏.

৩৯২। উসমান (রহঃ) .... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। রাবী ইবরাহীম (রহঃ) বলেনঃ আমার জানা নেই, তিনি বেশী করেছেন বা কম করেছেন। সালাম ফিরানোর পর তাঁকে বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাতের মধ্যে নতুন কিছু হয়েছে কি? তিনি বললেনঃ তা কী? তাঁরা বললেনঃ আপনি তো এরূপ এরূপ সালাত আদায় করলেন। তিনি তখন তাঁর দু’পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হলেন। আর দু’টি সিজদা আদায় করলেন। এরপর সালাম ফিরালেন। পরে তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ যদি সালাত সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তবে অবশ্যই তোমাদের তা জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই। আমি কোন সময় ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। তোমাদের কেউ সালাত সম্বন্ধে সন্দেহে পতিত হলে সে যেন নিঃসন্দেহ হওয়ার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী সালাত পূর্ণ করে। তারপর সে সালাম ফিরিয়ে দু'টি সিজদা আদায় করে।



***********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url