বিষয় ভিত্তিক হাদিস || নামাজ বিষয়ক ১০০টি সহীহ হাদিস ||



রাত জেগে নামাজ আদায় করার ফযীলত 


নামাজ বিষয়ক সহীহ হাদিসগুলোর আলোচ্য বিষয়:

 ৬১ 

সাহরীর পর ফজরের নামাজ পর্যন্ত জাগ্রত থাকা

বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১০৬৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৩৪

باب مَنْ تَسَحَّرَ فَلَمْ يَنَمْ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ تَسَحَّرَا، فَلَمَّا فَرَغَا مِنْ سَحُورِهِمَا قَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ فَصَلَّى‏.‏ قُلْنَا لأَنَسٍ كَمْ كَانَ بَيْنَ فَرَاغِهِمَا مِنْ سَحُورِهِمَا وَدُخُولِهِمَا فِي الصَّلاَةِ قَالَ كَقَدْرِ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً‏.‏

 ১০৬৮  ইয়াকুব ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) সাহ্‌রী খেলেন। যখন তারা দু’জন সাহ্‌রী সমাপ্ত করলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। (কাতাদা (রহঃ) বলেন) আমরা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁদের সাহ্‌রী সমাপ্ত করা ও (ফজরের) সালাত শুরু করার মধ্যে কি পরিমাণ সময় ছিল? তিনি বললেন, কেউ পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারে এ পরিমাণ সময়।

 ৬২ 

তাহজ্জুদের নামাজ দীর্ঘায়িত করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১০৬৯
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৩৫

باب طُولِ الْقِيَامِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً، فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سَوْءٍ‏.‏ قُلْنَا وَمَا هَمَمْتَ قَالَ هَمَمْتَ أَنْ أَقْعُدَ وَأَذَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

 ১০৬৯  সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, আমি একটি মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম। (আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন) আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি ইচ্ছা করেছিলেন? তিনি বললেন, ইচ্ছা করেছিলাম, বসে পড়ি এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইকতিদা ছেড়ে দেই।

 ৬৩ 

রাত জেগে নামাজ আদায় করার ফযীলত 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১০৮৯
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৫৬ - ১১৫৮

باب فَضْلِ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَأَنَّ بِيَدِي قِطْعَةَ إِسْتَبْرَقٍ، فَكَأَنِّي لاَ أُرِيدُ مَكَانًا مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ طَارَتْ إِلَيْهِ، وَرَأَيْتُ كَأَنَّ اثْنَيْنِ أَتَيَانِي أَرَادَا أَنْ يَذْهَبَا بِي إِلَى النَّارِ فَتَلَقَّاهُمَا مَلَكٌ فَقَالَ لَمْ تُرَعْ خَلِّيَا عَنْهُ‏.‏ فَقَصَّتْ حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى رُؤْيَاىَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ‏"‏‏.‏ فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ‏.‏ وَكَانُوا لاَ يَزَالُونَ يَقُصُّونَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الرُّؤْيَا أَنَّهَا فِي اللَّيْلَةِ السَّابِعَةِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَتْ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏"‏‏.‏

 ১০৮৯  আবূ নু’মান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি (এক রাতে) স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার হাতে একখন্ড মোটা রেশমী কাপড় রয়েছে এবং যেন আমি জান্নাতের যে কোন স্থানে যেতে ইচ্ছা করছি। কাপড় (আমাকে) সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপর একটি স্বপ্নে আমি দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমার কাছে এসে আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তখন অন্য একজন ফিরিশতা তাঁদের সামনে এসে বললেন, তোমরা কোন ভয় নেই। (আর ঐ দু’জনকে বললেন) তাকে ছেড়ে দাও। (উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ্ (রাঃ) কত ভাল লো্ক! যদি সে রাতের বেলা সালাত (নামায/নামাজ) (তাহাজ্জুদ) আদায় করত।

এরপর থেকে আবদুল্লাহ্ (রাঃ) রাতের এক অংশে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। সাহবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্ন বর্ণনা দিলেন। লাইলাতুল কদর রামাযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যাক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন তা (রামাযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।

 ৬৪ 

নফল নামাজ দু’রাকা’আত করে আদায় করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১০৯৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৬২

بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا الاِسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لِيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ ـ قَالَ ـ وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ ‏"‏‏.‏

 ১০৯৩  কুতাইবা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তাখারাহ্[১] শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরা আমাদের শিখাতেন তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরয নয় এমন দু’ রাকা’আত (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ

“ইয়া আল্লাহ্! আমি আপনার ইল্‌মের ওয়াসীলায় আপনার কাছে (উদ্দীষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই এবং আপনার কুদরতের ওয়াসীলায় আপনার কাছে শক্তি চাই আর আপনার কাছে চাই আপনার মহান অনুগ্রহ। কেননা, আপনই (সব কিছুতে) ক্ষমতা রাখেন, আমি কোন ক্ষমতা রাখি না; আপনই (সব বিষয়ে) অবগত আর আমি অবগত নই;) আপনই গায়েব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। ইয়া আল্লাহ্! আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিণাম বিচারে, অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশা ও শেষ পরিণতি হিসাবে যদি এ কাজটি আমার জন্য কল্যাণকর বলে জানেন তা হলে আমার জন্য তার ব্যবস্থা করে দিন। আর তা আমার জন্য সহজ করে দিন। তারপর আমার জন্য তাতে বরকত দান করুন আর যদি এ কাজটি আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিনাম অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশু ও শেষ পরিণতি হিসাবে আমার জন্য ক্ষতি হয় বলে জানেন; তা হলে আপনি তা আমার থেকে সরিয়ে নিন এবং আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন আর আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারিত রাখুন; তা যেখানেই হোক। এরপর সে বিষয়ে আমাকে রাজী থাকার তৌফিক দিন। তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الأَمْر তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।

সালাত ও দু'আর মাধ্যমে উদ্দিষ্ট বিষয়ের কল্যাণ চাওয়া

وَيُذْكَرُ ذَلِكَ عَنْ عَمَّارٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَعِكْرِمَةَ وَالزُّهْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ مَا أَدْرَكْتُ فُقَهَاءَ أَرْضِنَا إِلاَّ يُسَلِّمُونَ فِي كُلِّ اثْنَتَيْنِ مِنَ النَّهَارِ

মুহাম্মদ (ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, বিষয়টি আম্মার, আবূ যার্র, আনাস, জাবির ইবন যায়িদ (রাঃ) এবং ইকরিমা ও যুহরী (রহঃ) থেকেও উল্লেখিত হয়েছে। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আনসারী (রহঃ) বলেছেন, আমাদের শহরের (মদীনার) ফকীহগণকে দিনের সালাতে প্রতি দু’রাকা’আত শেষে সালাম করতে দেখেছি।

 ৬৫ 

ফরয নামাজের পর নফল নামাজ 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১০৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৭২ - ১১৭৩

باب التَّطَوُّعِ بَعْدَ الْمَكْتُوبَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ الظُّهْرِ، وَسَجْدَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَسَجْدَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَسَجْدَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَسَجْدَتَيْنِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ، فَأَمَّا الْمَغْرِبُ وَالْعِشَاءُ فَفِي بَيْتِهِ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ بَعْدَ الْعِشَاءِ فِي أَهْلِهِ‏.‏ تَابَعَهُ كَثِيرُ بْنُ فَرْقَدٍ وَأَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ‏.‏ وَحَدَّثَتْنِي أُخْتِي، حَفْصَةُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي سَجْدَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ بَعْدَ مَا يَطْلُعُ الْفَجْرُ، وَكَانَتْ سَاعَةً لاَ أَدْخُلُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا‏.‏ تَابَعَهُ كَثِيرُ بْنُ فَرْقَدٍ وَأَيُّوبُ عَنْ نَافِعٍ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ بَعْدَ الْعِشَاءِ فِي أَهْلِهِ‏.‏

 ১১০৩  মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণে আমি যুহরের আগে দু’ রাকা’আত, যুহরের পর দু’ রাকা’আত, মাগরিবের পর দু’ রাকা’আত, ইশার পর দু’ রাকা’আত এবং জুমু'আর পর দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। তবে মাগরিবের ও ইশার পরের সালাত তিনি তাঁর ঘরে আদায় করতেন। ইবনু উমর (রাঃ) আরও বলেন, আমার বোন (উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাঃ) আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর হওয়ার পর সংক্ষিপ্ত দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। [ইবনু উমর (রাঃ) বলেন,] এটি ছিল এমন একটি সময়, যখন আমরা কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাজির হতাম না। (তাই সে সময়ের আমল সম্পর্কে উম্মুহাতুল মু’মিনীন অধিক জানতেন)।

কাসীর ইবনু ফরকাদ ও আইয়ূব (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় উবাইদুল্লাহ্‌ (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। ইবনু আবূয্‌ যিনাদ (রহঃ) বলেছেন, মূসা ইবনু উক্‌বা (রহঃ) নাফি’ (রহঃ) থেকে ইশার পরে তাঁর পরিজনের মধ্যে কথাটি বর্ণনা করেন।

 ৬৬ 

চাশ্‌ত-এর নামাজ আদায় বিষয়ে রাসুলুল্লাহর (সা:) ওসিয়্যাত 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১০৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৭৮

باب صَلاَةِ الضُّحَى فِي الْحَضَرِ قَالَهُ عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْجُرَيْرِيُّ ـ هُوَ ابْنُ فَرُّوخَ ـ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي بِثَلاَثٍ لاَ أَدَعُهُنَّ حَتَّى أَمُوتَ صَوْمِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَصَلاَةِ الضُّحَى، وَنَوْمٍ عَلَى وِتْرٍ‏.‏

 ১১০৮  মুসলিম ইবনু ইব্‌রাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খলীল ও বন্ধু [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যাত (বিশেষ আদেশ) করেছেন, আমৃত্যু তা আমি পরিত্যাগ করব না। (কাজ তিনটি হল) ১. প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম (পালন করা), ২. সালাতুয-যোহা (চাশ্‌ত এর সালাত আদায় করা) এবং ৩. বিত্‌র (সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে ঘুমান।

 ৬৭  

নামাজে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১২৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৯৯

باب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا وَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلاً ‏"‏‏.‏

 ১১২৫  ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবদুল্লাহ‌ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। পরে যখন আমরা নাজাশীর নিকট থেকে ফিরে এলাম, তখন তাঁকে (সালাতরত অবস্থায়) সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিলেন না এবং পরে ইরশাদ করলেনঃ সালাতে অনেক ব্যস্ততা ও নিমগ্নতা রয়েছে।

 ৬৮   

 মা তার নামাজরত সন্তানকে ডাকলে 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১৩৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১২০৬

باب إِذَا دَعَتِ الأُمُّ وَلَدَهَا فِي الصَّلاَةِ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نَادَتِ امْرَأَةٌ ابْنَهَا، وَهْوَ فِي صَوْمَعَةٍ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتْ يَا جُرَيْجُ‏.‏ قَالَ اللَّهُمَّ أُمِّي وَصَلاَتِي‏.‏ قَالَتِ اللَّهُمَّ لاَ يَمُوتُ جُرَيْجٌ حَتَّى يَنْظُرَ فِي وَجْهِ الْمَيَامِيسِ‏.‏ وَكَانَتْ تَأْوِي إِلَى صَوْمَعَتِهِ رَاعِيَةٌ تَرْعَى الْغَنَمَ فَوَلَدَتْ فَقِيلَ لَهَا مِمَّنْ هَذَا الْوَلَدُ قَالَتْ مِنْ جُرَيْجٍ نَزَلَ مِنْ صَوْمَعَتِهِ‏.‏ قَالَ جُرَيْجٌ أَيْنَ هَذِهِ الَّتِي تَزْعُمُ أَنَّ وَلَدَهَا لِي قَالَ يَا بَابُوسُ مَنْ أَبُوكَ قَالَ رَاعِي الْغَنَمِ ‏"‏‏.‏

 ১১৩৩  লাইস (রহঃ) বলেন, জা'ফর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গীর্জায় ছিল। বলল, হে জুরাইজ! ছেলে মনে মনে বলল, ইয়া আল্লাহ! (এক দিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অপর দিকে) আমার সালাত (নামায/নামাজ)! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলল, ইয়া আল্লাহ! আমার মা ও আমার সালাত! মা আবার ডাকলেন, হে জুরাইজ! ছেলে বলল, ইয়া আল্লাহ! আমার মা ও আমার সালাত! মা (বিরক্ত হয়ে) বললেন, ইয়া আল্লাহ! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরাইজের মৃত্যু না হয়।

এক রাখালিনী যে বকরি চরাতো, সে জুরাইজের গীর্জায় আসা যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল এ সন্তান কার ঔরষজাত? সে জবাব দিল, জুরাইজের ঔরষের। জুরাইজ তার গীর্জা থেকে নেমে এসে জিজ্ঞাসা করলো, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলল যে, তাঁর সন্তান আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে, নিজে নির্দোষ প্রমানের উদ্দেশ্যে শিশুটিকে লক্ষ্য করে) জুরাইজ বলেন, হে বাবূস! তোমার পিতা কে? সে বলল, বক্‌রীর অমুক রাখাল।

 ৬৯  

নামাজে থাকাবস্থায় থু থু ফেলা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১৪০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১২১৩

باب مَا يَجُوزُ مِنَ الْبُصَاقِ وَالنَّفْخِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ، فَتَغَيَّظَ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ قِبَلَ أَحَدِكُمْ، فَإِذَا كَانَ فِي صَلاَتِهِ، فَلاَ يَبْزُقَنَّ ـ أَوْ قَالَ ـ لاَ يَتَنَخَّمَنَّ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ نَزَلَ فَحَتَّهَا بِيَدِهِ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ إِذَا بَزَقَ أَحَدُكُمْ فَلْيَبْزُقْ عَلَى يَسَارِهِ‏.‏

 ১১৪০  সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের কিব্‌লার দিকে নাকের শ্লেষ্মা দেখতে পেয়ে মসজিদের লোকদের উপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের প্রত্যেকের সামনে রয়েছেন, কাজেই তোমাদের কেউ সালাতে থাকাকালে থুথু ফেলবে না বা রাবী বলেছেন, নাক ঝাড়বে না। একথা বলার পর তিনি (মিম্বর থেকে) নেমে এসে নিজের হাতে ঘষে ঘষে তা পরিষ্কার করলেন। এবং ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যখন থু থু ফেলে তখন সে যেন তার বা দিকে ফেলে।

 ৭০  

নামাজ পাঁচ রাকা'আত আদায় করলে 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১১৫৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১২২৬

باب إِذَا صَلَّى خَمْسًا
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا فَقِيلَ لَهُ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ ‏ "‏ وَمَا ذَاكَ ‏"‏‏.‏ قَالَ صَلَّيْتَ خَمْسًا‏.‏ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ‏.‏

 ১১৫৩  আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহ্‌রের সালাত (নামায/নামাজ) পাঁচ রাকা'আত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, সালাত কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেন, এ প্রশ্ন কেন? (প্রশ্নকারী) বললেন, আপনি তো পাঁচ রাকা'আত সালাত আদায় করেছেন। অতএব তিনি সালাম ফিরানোর পর দু'টি সিজ্‌দা করলেন।

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ فَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهَ أَنَقَصَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏ "‏ أَحَقٌّ مَا يَقُولُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا نَعَمْ‏.‏ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ‏.‏ قَالَ سَعْدٌ وَرَأَيْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ صَلَّى مِنَ الْمَغْرِبِ رَكْعَتَيْنِ فَسَلَّمَ وَتَكَلَّمَ ثُمَّ صَلَّى مَا بَقِيَ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَقَالَ هَكَذَا فَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

 ১১৫৪  আদম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সালাত কি কম হয়ে গেল? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে যা বলছে তা কি ঠিক? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি আরও দু রাকা'আত সালাত আদায় করলেন। পরে দু'টি সিজ্‌দা করলেন।

সা'দ (রাঃ) বলেন, আমি উরাওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি মাগরিবের দু' রাকা'আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং কথা বললেন। পরে অবশিষ্ট সালাত আদায় করে দু'টি সিজ্‌দা করলেন। এবং বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।


********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url