বিষয় ভিত্তিক আয়াত || নামাজ বিষয়ক ১০০টি হাদিস || নামাজের আদব ও ফজিলত ||




নামাজ ও নামাজির আদব

আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

৫১    নামাজে থুথু ফেলতে বাধ্য হলে করণীয়


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪০৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪১৭

باب إِذَا بَدَرَهُ الْبُزَاقُ فَلْيَأْخُذْ بِطَرَفِ ثَوْبِهِ
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ فَحَكَّهَا بِيَدِهِ، وَرُئِيَ مِنْهُ كَرَاهِيَةٌ ـ أَوْ رُئِيَ كَرَاهِيَتُهُ لِذَلِكَ وَشِدَّتُهُ عَلَيْهِ ـ وَقَالَ ‏"‏ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ فَإِنَّمَا يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ رَبُّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قِبْلَتِهِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ فِي قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَزَقَ فِيهِ، وَرَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، قَالَ ‏"‏ أَوْ يَفْعَلُ هَكَذَا ‏"‏‏.‏

৪০৬  মালিক ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) কফ দেখে তা নিজ হাতে মুছে ফেললেন আর তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল বা সে কারণে তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল এবং এর প্রতি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। তিনি বললেন যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন তার রবের সঙ্গে চুপে চুপে কথা বলে। অথবা (বলেছেন) তখন তার রব কিবলা ও তার মাঝখানে থাকেন। কাজেই সে যেন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে, বরং (প্রয়োজনে) বাঁ দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে। তারপর তিনি চাঁদরের কোণ ধরে তাতে থুথু ফেলে এক অংশের উপর অপর অংশ ভাঁজ করে দিলেন এবং বললেনঃ অথবা এরূপ করবে।

৫২    কবরস্থানে সালাত আদায় করা মাকরূহ


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪২০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪৩২

باب كَرَاهِيَةِ الصَّلاَةِ فِي الْمَقَابِرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلاَتِكُمْ، وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا ‏"‏‏.

৪২০  মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের ঘরেও কিছু সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং ঘরকে তোমরা কবরে পরিণত করবে না।

৫৩    মসজিদে আওয়াজ উঁচু করা


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৫৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪৭০

باب رَفْعِ الصَّوْتِ فِي الْمَسَاجِدِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ كُنْتُ قَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَحَصَبَنِي رَجُلٌ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ اذْهَبْ فَأْتِنِي بِهَذَيْنِ‏.‏ فَجِئْتُهُ بِهِمَا‏.‏ قَالَ مَنْ أَنْتُمَا ـ أَوْ مِنْ أَيْنَ أَنْتُمَا قَالاَ مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ‏.‏ قَالَ لَوْ كُنْتُمَا مِنْ أَهْلِ الْبَلَدِ لأَوْجَعْتُكُمَا، تَرْفَعَانِ أَصْوَاتَكُمَا فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

৪৫৬  আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মসজিদে নববীতে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমার দিকে একটা কাঁকর নিক্ষেপ করলো। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)। তিনি বললেনঃ যাও, এ দু’জনকে আমার কাছে নিয়ে এস। আমি তাদের নিয়ে তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কারা? অথবা তিনি বললেনঃ তোমরা কোন স্থানের লোক? তারা বললোঃ আমরা তায়েফের অধিবাসী। তিনি বললেনঃ তোমরা যদি মদিনার লোক হতে, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা দু’জনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলছো!

৫৪    রাতের নামাজ বা তাহাজ্জুত নামাজ


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৫৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪৭২

باب الْحِلَقِ وَالْجُلُوسِ فِي الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا تَرَى فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ قَالَ ‏ "‏ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيَ الصُّبْحَ صَلَّى وَاحِدَةً، فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى ‏"‏‏.‏ وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ وِتْرًا، فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِهِ‏.‏

৪৫৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বরে ছিলেন; আপনি রাতের সালাত (নামায/নামাজ) কিভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বললেনঃ দু-দু’রাকা’আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা হয় তখন সে আরো এক রাকা’আত আদায় করে নিবে। আর এইটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিতর করে দেবে।

[নাফি (রহঃ) বলেন] ইবনু উমর (রাঃ) বলতেনঃ তোমরা বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসাবে আদায় কর। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নির্দেশ দিয়েছেন।

৫৫    নামাজের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করা


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৮৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫০৯

باب يَرُدُّ الْمُصَلِّي مَنْ مَرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَحَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ يُصَلِّي إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَدَفَعَ أَبُو سَعِيدٍ فِي صَدْرِهِ، فَنَظَرَ الشَّابُّ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلاَّ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَعَادَ لِيَجْتَازَ فَدَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ أَشَدَّ مِنَ الأُولَى، فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ خَلْفَهُ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ مَا لَكَ وَلاِبْنِ أَخِيكَ يَا أَبَا سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَىْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْهُ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ، فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ‏"‏‏.‏

৪৮৫  আবূ মা’মার (রহঃ) ও আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) .... আবূ সালেহ সম্মান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখেছি। তিনি জুম্মার দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসাবে কোন কিছু সামনে রেখে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন। আবূ মু’আইত গোত্রের এক যুবক তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখলো যে তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। এজন্য সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবার আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) প্রথম বারের চাইতে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের কাছে গিয়ে আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-ও মারওয়ানের কাছে গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেনঃ হে আবূ সা’ঈদ! তোমার এই ভাতিজার কি ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরা রেখে সালাত আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যাক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে মুকাবিলা করে, কারণ সে শয়তান।

وَرَدَّ ابْنُ عُمَرَ فِي التَّشَهُّدِ وَفِي الْكَعْبَةِ وَقَالَ إِنْ أَبَى إِلاَّ أَنْ تُقَاتِلَهُ فَقَاتِلْهُ

ইবনে উমর (রাঃ) তাশাহহুদে বসা অবস্থায় এবং কা’বাকেও (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসল্লী তার সাথে লড়বে।

৫৬    নামাজীর সম্মুখ দিয়ে গমন কারীর গুনাহ


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৮৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫১০

باب إِثْمِ الْمَارِّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي فَقَالَ أَبُو جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَىِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِي أَقَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً‏.‏

৪৮৬  আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ..... বুসর ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, যায়েদ ইবনু খালিদ (রাঃ) তাঁকে আবূ জুহায়ম (রাঃ) এর কাছে পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কি শুনেছেন। তখন আবূ জুহায়ম (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি মুসল্লীর সামনে অতিক্রমকারী জানতো এটা তার কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চাইতে চল্লিশ দিন/মাস/বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো। আবূন-নাযর (রহঃ) বলেনঃ আমার জানানেই তিনি কি চল্লিশ দিন বা চল্লিশ মাস বা চল্লিশ বছর বলেছেন।

৫৭    ঋতুবতী মহিলা রয়েছে এমন বিছানা সামনে রেখে সালাত আদায়


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৯৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫১৮

باب إِذَا صَلَّى إِلَى فِرَاشٍ فِيهِ حَائِضٌ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، سُلَيْمَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، تَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ نَائِمَةٌ، فَإِذَا سَجَدَ أَصَابَنِي ثَوْبُهُ، وَأَنَا حَائِضٌ‏.‏ وَزَادَ مُسَدَّدٌ عَنْ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، وَأَنَا حَائِضٌ‏.‏

৪৯৪  আবূ নু’মান (রহঃ) ..... মায়মুনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন তাঁর কাপড় আমার গায়ের উপর পড়তো। সে সময় আমি হায়েয অবস্থায় ছিলাম।

৫৮    সালাতের সময় ও তার ফযীলত


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৯৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫২১ - ৫২২

باب مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ وَفَضْلِهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا وَهْوَ بِالْعِرَاقِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ بِهَذَا أُمِرْتُ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ لِعُرْوَةَ اعْلَمْ مَا تُحَدِّثُ أَوَإِنَّ جِبْرِيلَ هُوَ أَقَامَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقْتَ الصَّلاَةِ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ، وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ‏.

৪৯৭  আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ..... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) একদিন কোন এক সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ে বিলম্ব করলেন। তখন উরওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ) তাঁর কাছে গেলেন এবং তাঁর কাছে বর্ণনা করলেন যে, ইরাকে অবস্থানকালে মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) একদিন এক সালাত আদায়ে বিলম্ব করেছিলেন। ফলে আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ) তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, হে মুগীরা! একি? তুমি কি অবগত নও যে, জিবরীল (আঃ) অবতরণ করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাত আদায় করলেন। আবার তিনি সালাত আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাত আদায় করলেন। পুনরায় তিনি সালাত আদায় করলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাত আদায় করলেন। আবার তিনি সালাত আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাত আদায় করলেন। পুনরায় তিনি সালাত আদায় করলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাত আদায় করলেন। তারপর জিবরীল (আঃ) বললেন, এরই জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।*

উমর ইবনু আবদুল আযীয) (রহঃ) উরওয়া (রহঃ)-কে বললেন, “তুমি যা রিওয়ায়াত করছ তা একটু ভেবে দেখ। জিবরীলই কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাত এর ওয়াক্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন?” উরওয়া (রহঃ) বললেন, বাশীর ইবনু আবূ মাসউদ (রহঃ) তার পিতা থেকে এরূপই বর্ণনা করতেন। উরওয়া (রহঃ) বলেনঃ অবশ্য আয়িশা (রাঃ) আমার কাছে বর্ননা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন মুহূর্তে আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন যে, সূর্যেরশ্মি তখনও তাঁর হুজরার মধ্যে বিরাজমান থাকত। তবে তা উপরের দিকে উঠে যাওয়ার আগেই।

* অর্থাৎ যে সময়ে সালাত আদায় করা হয়েছে, ঠিক সে সময়ে সে সালাত আদায় করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।

وَقَوْلِهِ: (إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا) وَقَّتَهُ عَلَيْهِمْ

আল্লাহ্‌ তা'আলার বাণীঃ নিশ্চয়ই সালাত মু'মিনদের উপর নির্ধারত ফরয।

আয়াতে ব্যাবহৃত (مَوْقُوتًا) মাওকুতান শব্দটি (مُؤَقَّتاً) মুয়াক্কাতান এর অর্থে ব্যবহৃত অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ফরয — যা আল্লাহ্‌ তায়ালা তাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন।

৫৯    রাসুল (সা:) এর ৪টি আদেশ ও ৪টি নিষেধ


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৯৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫২৩

بَابُ: {مُنِيبِينَ إِلَيْهِ وَاتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَلاَ تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ}
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبَّادٌ ـ هُوَ ابْنُ عَبَّادٍ ـ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّا مِنْ هَذَا الْحَىِّ مِنْ رَبِيعَةَ، وَلَسْنَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ، فَمُرْنَا بِشَىْءٍ نَأْخُذْهُ عَنْكَ، وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ، وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيمَانِ بِاللَّهِ ـ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامُ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ، وَأَنْ تُؤَدُّوا إِلَىَّ خُمُسَ مَا غَنِمْتُمْ، وَأَنْهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُقَيَّرِ وَالنَّقِيرِ ‏"‏‏.‏

৪৯৮  কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) .... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আবদুল কায়স গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে বলল, আপনার ও আমাদের মাঝে সে ‘রাবীআ’ গোত্র থাকায় শাহ্‌রে হারাম (নিষিদ্ধ মাসসমূহ) ছাড়া অন্য কোন সময় আমরা আপনার নিকট আসতে পারি না। কাজেই আপনি আমাদের এমন কিছু নির্দেশ দিন যা আমরা নিজেরাও গ্রহণ করব এবং যারা পিছনে রয়ে গেছে তাদের প্রতিও আহবান জানাব।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের চারটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি, আর চারটি বিষয় থেকে তোমাদের নিষেধ করছি। নির্দেশিত বিষয়ের মাঝে একটি হল ‘ঈমান বিল্লাহ্’ (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা)। তারপর তিনি তাদেরকে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন যে, ‘ঈমান বিল্লাহ্‌’ অর্থ হল, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, এক আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল, সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা, য়াকাত দেওয়া, আর গনীমতের মালের এক-পঞ্চমাংশ দান করা।

আর তোমাদের নিষেধ করছি কদুর পাত্র, সবুজ রঙের মাটির পাত্র, বিশেষ ধরনের তৈলাক্ত পাত্র ও গাছের গুড়ি খোদাই করে তৈরী পাত্র ব্যবহার করতে।

৬০    নামাজ হল গুনাহর কাফফারা


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৫০০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫২৫

باب الصَّلاَةُ كَفَّارَةٌ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، قَالَ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ قُلْتُ أَنَا، كَمَا قَالَهُ‏.‏ قَالَ إِنَّكَ عَلَيْهِ ـ أَوْ عَلَيْهَا ـ لَجَرِيءٌ‏.‏ قُلْتُ ‏ "‏ فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّوْمُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ وَالنَّهْىُ ‏"‏‏.‏ قَالَ لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ، وَلَكِنِ الْفِتْنَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ‏.‏ قَالَ لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا بَأْسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا‏.‏ قَالَ أَيُكْسَرُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ يُكْسَرُ‏.‏ قَالَ إِذًا لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا‏.‏ قُلْنَا أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ الْبَابَ قَالَ نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ الْغَدِ اللَّيْلَةَ، إِنِّي حَدَّثْتُهُ بِحَدِيثٍ لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ‏.‏ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ، فَأَمَرْنَا مَسْرُوقًا فَسَأَلَهُ فَقَالَ الْبَابُ عُمَرُ‏.‏

৫০০  মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা উমর (রাঃ) এর কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ফিতনা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে স্মরণ রেখেছ? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, যেমনি তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনই আমি মনে রেখেছি। উমর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী স্মরণ রাখার ব্যপারে তুমি খুব দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছ। আমি বললাম, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন) মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফেতনায় পতিত হয় -সালাত (নামায/নামাজ), সিয়াম, সাদাকা, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়।

উমর (রাঃ) বললেন, তা আমার উদ্দেশ্যে নয়। বরং আমি সেই ফিতনার কথা বলছি, যা সমুদ্র তরঙের ন্যায় ভয়াল হবে। হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে ব্যাপারে আপনার ভয়ের কোন কারন নেই। কেননা, আপনার ও সে ফিতনার মাঝখানে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, সে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, না খুলে দেওয়া হবে? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তো আর কোন দিন তা বন্ধ করা যাবে না।

[হুযাইফা (রাঃ) এর ছাত্র শাকীক (রহঃ) বললেন], আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, উমর (রাঃ)-কি সে দরজাটি সম্পর্কে জানতেন? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, দিনের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত, তেমনি নিশ্চিতভাবে তিনি জানতেন। কেননা আমি তার কাছে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করেছি, যা মোটেও ভুল নয়। (দারজাটি কী) এ বিষয়ে হুযাইফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতে আমরা ভয় পাছিলাম। তাই, আমরা মাসরূক (রহঃ)-কে বললাম এবং তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, দরজাটি উমর (রাঃ) নিজেই।



*******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url