বিষয় ভিত্তিক হাদিস || যাকাত, ফিতরা ও সাদকা বিষয়ক ১০০টি হাদিস ||




যাচনা না করার কারণে লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে, এরূপ লোকদেরকে যাকাত, ফিতরা ও সাদকা প্রদান করতে হবে


যাকাত ফিতরা ও সাদকা বিষয়ক হাদিসের এ পর্বের আলোচ্য বিষয়:
 ৫১   মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে যাচনা করেনা। (২:২৭৩) আর ধনী হওয়ার পরিমাণ কত? নবী (সাঃ) এর বাণী এবং এতটুকু পরিমাণ সম্পদ তার কাছে নেই, যা তাকে অভাবমুক্ত করতে পারবে। (আল্লাহ বলেন) তা প্রাপ্য অভাবগ্রস্হ লোকদের, যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘোরাফেরা করতে পারে না, (তারা) যাচনা না করার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত বলে ধারণা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (২:২৭৩)

প্রকৃত মিসকীন কে 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৯০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৭৬

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا} وَكَمِ الْغِنَى وَقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلاَ يَجِدُ غِنًى يُغْنِيهِ». {لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُحْصِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ} إِلَى قَوْلِهِ: {فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ}
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ الأُكْلَةُ وَالأُكْلَتَانِ، وَلَكِنِ الْمِسْكِينُ الَّذِي لَيْسَ لَهُ غِنًى وَيَسْتَحْيِي أَوْ لاَ يَسْأَلُ النَّاسَ إِلْحَافًا ‏"‏‏.‏

 ১৩৯০  হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যাক্তি প্রকৃত মিসকীন নয়, যাকে এক দু’লোকমা ফিরিয়ে দেয় (যথেষ্ট হয়) বরং সে-ই প্রকৃত মিসকীন যার কোন সম্পদ নেই, অথচ সে (চাইতে) লজ্জাবোধ করে অথবা লোকদেরকে আঁকড়ে ধরে সাওয়াল করে না।

 ৫২   মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে যাচনা করেনা। (২:২৭৩) আর ধনী হওয়ার পরিমাণ কত? নবী (সাঃ) এর বাণী এবং এতটুকু পরিমাণ সম্পদ তার কাছে নেই, যা তাকে অভাবমুক্ত করতে পারবে। (আল্লাহ বলেন) তা প্রাপ্য অভাবগ্রস্হ লোকদের, যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘোরাফেরা করতে পারে না, (তারা) যাচনা না করার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত বলে ধারণা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (২:২৭৩)

যাচনা না করার কারণে লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৯২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৭৮

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا} وَكَمِ الْغِنَى وَقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلاَ يَجِدُ غِنًى يُغْنِيهِ». {لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُحْصِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ} إِلَى قَوْلِهِ: {فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ غُرَيْرٍ الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَهْطًا وَأَنَا جَالِسٌ فِيهِمْ قَالَ فَتَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ رَجُلاً لَمْ يُعْطِهِ، وَهُوَ أَعْجَبُهُمْ إِلَىَّ، فَقُمْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُرَاهُ مُؤْمِنًا‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَوْ مُسْلِمًا ‏"‏ قَالَ فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ فِيهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُرَاهُ مُؤْمِنًا‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَوْ مُسْلِمًا ‏"‏‏.‏ قَالَ فَسَكَتُّ قَلِيلاً ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَعْلَمُ فِيهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ عَنْ فُلاَنٍ وَاللَّهِ إِنِّي لأُرَاهُ مُؤْمِنًا‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَوْ مُسْلِمًا ـ يَعْنِي فَقَالَ ـ إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ وَغَيْرُهُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْهُ، خَشْيَةَ أَنْ يُكَبَّ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِهِ ‏"‏‏.‏ وَعَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ هَذَا فَقَالَ فِي حَدِيثِهِ فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ فَجَمَعَ بَيْنَ عُنُقِي وَكَتِفِي ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَقْبِلْ أَىْ سَعْدُ إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ‏(‏فَكُبْكِبُوا‏)‏ قُلِبُوا ‏(‏مُكِبًّا‏)‏ أَكَبَّ الرَّجُلُ إِذَا كَانَ فِعْلُهُ غَيْرَ وَاقِعٍ عَلَى أَحَدٍ، فَإِذَا وَقَعَ الْفِعْلُ قُلْتَ كَبَّهُ اللَّهُ لِوَجْهِهِ، وَكَبَبْتُهُ أَنَا‏.‏

 ১৩৯২  মুহাম্মদ ইবনু গুরাইর যুহরী (রহঃ) ... সা‘দ ইবনু আবূ ওক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে কিছু দান করলেন। আমি তাদের মধ্যে বসা ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্য থেকে এক ব্যাক্তিকে কিছুই দিলেন না। অথচ সে ছিল আমার বিবেচনায় তাদের মধ্যে সব চাইতে উত্তম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে চুপে চুপে বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? আমিতো তাকে অবশ্যই মু’মিন বলে মনে করা। তিনি বললেনঃ বরং মুসলিম (বল)। সা’দ (রাঃ) বলেন, এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম।

আবার তার সম্পর্কে আমার ধারনা প্রবল হয়ে উঠল আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলে মনে করি। তিনি বললেনঃ বরং মুসলিম। এবারও কিছুক্ষণ নীরব রইলাম। আবার তার সম্পর্কে আমার ধারনা প্রবল হয়ে উঠল আমি বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলে মনে করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অথবা মুসলিম! এভাবে তিনবার বললেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি একজনকে দিয়ে থাকি অথচ অন্য ব্যাক্তি আমার কাছে অধিক প্রিয় এই আশংকায় যে, তাকে উপুড করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

অপর সনদে ইসমা‘ঈল ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে এভাবে বলতে শুনেছি, তিনি হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধে হাত রাখলেন, এরপর বললেন, হে সা‘দ অগ্রসর হও। আমিতো এক ব্যাক্তিকে দিয়ে থাকি…।

আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, فَكُبْكِبُوا‏ অর্থ উল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে।مُكِبًّا‏ আরবী বাগধারা অনুসারে أَكَبَّ الرَّجُلُ থেকে গৃহীত হয়েছে অর্থাৎ কর্তার কর্ম যখন কারো প্রতি না বর্তায় তখনই এরূপ বলা হয়ে থাকে। আর যদি কর্ম কারোর উপর বর্তায়, তখন বলা হয় كَبَّهُ اللَّهُ لِوَجْهِهِ ওكَبَبْتُهُ أَنَا‏ আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, সালিহ ইবনু ফায়সাল (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে বয়সে বড় ছিলেন আর তিনি ইবনু ‘উমর (রাঃ)-এর সাক্ষাত পেয়েছেন।

 ৫৩   বৃষ্টির পানি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমির উৎপাদিত ফসলের উপর ‘উশর। উমর ইব্ন ‘আবদুল ‘আযীয (র) মধুর ওপর (উশর) ওয়াজিব মনে করেননি।

বৃষ্টির পানি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর ‘উশর 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৮৩

باب الْعُشْرِ فِيمَا يُسْقَى مِنْ مَاءِ السَّمَاءِ وَبِالْمَاءِ الْجَارِي وَلَمْ يَرَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الْعَسَلِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالْعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هَذَا تَفْسِيرُ الأَوَّلِ لأَنَّهُ لَمْ يُوَقِّتْ فِي الأَوَّلِ ـ يَعْنِي حَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ ـ وَفِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ الْعُشْرُ وَبَيَّنَ فِي هَذَا وَوَقَّتَ، وَالزِّيَادَةُ مَقْبُولَةٌ، وَالْمُفَسَّرُ يَقْضِي عَلَى الْمُبْهَمِ إِذَا رَوَاهُ أَهْلُ الثَّبَتِ، كَمَا رَوَى الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُصَلِّ فِي الْكَعْبَةِ‏.‏ وَقَالَ بِلاَلٌ قَدْ صَلَّى‏.‏ فَأُخِذَ بِقَوْلِ بِلاَلٍ وَتُرِكَ قَوْلُ الْفَضْلِ‏.‏

 ১৩৯৬  সা‘ঈদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বৃষ্টি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা সেচ ছাড়া উর্বরতার ফলে উৎপন্ন ফসলের উপর ‘উশর ওয়াজিব নয়। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর অর্ধ ‘উশর। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি প্রথম হাদীসের ব্যাখ্যাস্বরূপ। কেননা প্রথম হাদীস অর্থাৎ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে ‘উশর বা অর্ধ ‘উশর এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্টরূপে বর্ণিত হয়নি। আর এই হাদীসে তার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে।

রাবী নির্ভযোগ্য হলে তাঁর বর্ণনায় অন্য সূত্রের বর্ণনা অপেক্ষায় বর্ধিত অংশ থাকলে গ্রহণযোগ্য হয় এবং এ ধরনের বিস্তারিত বর্ণনা অস্পষ্ট বর্ণনার ফয়সালাকারী হয়। যেমন, উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ফাযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবাগৃহে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন নি। বিলাল (রাঃ) বলেন, সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। এক্ষেত্রে বিলাল (রাঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়েছে আর ফাযল (রাঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়নি।

 ৫৪   এমন ফল বা খেজুর গাছ, অথবা (ফসল) সহ জমি, কিংবা শুধু (জমির) ফসল বিক্রয় করা, যেগুলোর উপর যাকাত বা ‘উশর ফরয হয়েছে, আর ঐ যাকাত বা ‘উশর অন্য ফল বা ফসল দ্বারা আদায় করা বা এমন ফল বিক্রয় করা যেগুলোর উপর সাদকা ফরয হয়নি। নবী (ﷺ)-এর উক্তিঃ ব্যবহারযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত ফল বিক্রয় করবে না, কাজেই ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পর কাকেও বিক্রি করতে নিষেধ করেন নি এবং কার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে আর কার উপর ওয়াজিব হবে না, তা নির্দিষ্ট করেন নি।

ব্যবহারযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত ফল বিক্রয় করা যাবে না 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৯৯
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৮৬

باب مَنْ بَاعَ ثِمَارَهُ أَوْ نَخْلَهُ أَوْ أَرْضَهُ أَوْ زَرْعَهُ، وَقَدْ وَجَبَ فِيهِ الْعُشْرُ أَوِ الصَّدَقَةُ فَأَدَّى الزَّكَاةَ مِنْ غَيْرِهِ أَوْ بَاعَ ثِمَارَهُ وَلَمْ تَجِبْ فِيهِ الصَّدَقَةُ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَبِيعُوا الثَّمَرَةَ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا». فَلَمْ يَحْظُرِ الْبَيْعَ بَعْدَ الصَّلاَحِ عَلَى أَحَدٍ وَلَمْ يَخُصَّ مَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ الزَّكَاةُ مِمَّنْ لَمْ تَجِبْ

حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهَا‏.‏ وَكَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْ صَلاَحِهَا قَالَ حَتَّى تَذْهَبَ عَاهَتُهُ‏.‏

 ১৩৯৯  হাজ্জাজ (রহঃ) ... ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর ব্যবহারযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। যখন তাঁকে ব্যবহারযোগ্যতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হল, তখন তিনি বললেনঃ ফল নষ্ট হওয়া থেকে নিরাপদ হওয়া।

 ৫৫  
নিজের সদাকাকৃত বস্তু কেনা যায় কি? অন্যের সদাকাকৃত বস্তু ক্রয় করতে দোষ নেই। কেননা নবী (ﷺ) বিশেষভাবে সাদাকা প্রদানকারীকে তা ক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, অন্যকে নিষেধ করেন নি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪০২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৮৯

নিজের সাদকা করা বস্তু ক্রয় করে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না 


باب هَلْ يَشْتَرِي صَدَقَتَهُ وَلاَ بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ صَدَقَتَهُ غَيْرُهُ لأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا نَهَى الْمُتَصَدِّقَ خَاصَّةً عَنِ الشِّرَاءِ وَلَمْ يَنْهَ غَيْرَهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ تَصَدَّقَ بِفَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَوَجَدَهُ يُبَاعُ، فَأَرَادَ أَنْ يَشْتَرِيَهُ، ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْمَرَهُ فَقَالَ ‏ "‏ لاَ تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ ‏"‏ فَبِذَلِكَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ لاَ يَتْرُكُ أَنْ يَبْتَاعَ شَيْئًا تَصَدَّقَ بِهِ إِلاَّ جَعَلَهُ صَدَقَةً‏.‏

 ১৪০২  ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করতেন যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আল্লাহর রাস্তায় তাঁর একটি ঘোড়া সাদকা করেছিলেন। পরে তা বিক্রয় করা হচ্ছে জেনে তিনি নিজেই তা ক্রয় করার ইচ্ছায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁর মত জানতে চাইলেন। তিনি বললেনঃ তোমার সাদকা ফিরিয়ে নিবে না। সে নির্দেশের কারণে ইবনু উমর (রাঃ) এর অভ্যাস ছিল নিজের দেওয়া সাদাকার বস্তু কিনে ফেললে সেটি সা’দকা না করে ছাড়তেন না।

 ৫৬   
সাদকার প্রকৃতি পরিবর্তন হলে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪০৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৯৪

باب إِذَا تَحَوَّلَتِ الصَّدَقَةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ ‏"‏‏.‏ فَقَالَتْ لاَ‏.‏ إِلاَّ شَىْءٌ بَعَثَتْ بِهِ إِلَيْنَا نُسَيْبَةُ مِنَ الشَّاةِ الَّتِي بَعَثْتَ بِهَا مِنَ الصَّدَقَةِ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّهَا قَدْ بَلَغَتْ مَحِلَّهَا ‏"‏‏.‏

 ১৪০৭  ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ... উম্মে ‘আতিয়্যা আনসারীয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আয়িশা (রাঃ) এর নিকট গিয়ে বললেনঃ তোমাদের কাছে (খাওয়ার) কিছু আছে কি? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ না, তবে আপনি সাদকা স্বরূপ নুসায়বাকে বকরীর যে গোশত পাঠিয়েছিলেন, সে তার কিছু পাঠিয়ে দিয়েছিল (তা ছাড়া কিছ নেই)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাদকা তার যথাস্থানে পৌঁছেছে।

 ৫৭   ধনীদের থেকে সাদকা গ্রহন করা এবং যে কোন স্থানের অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরন করা

সাদকা গ্রহন করে তা অভাবগ্রস্থদের মধ্যে বিতরন করা 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪০৯
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৯৬

باب أَخْذِ الصَّدَقَةِ مِنَ الأَغْنِيَاءِ وَتُرَدَّ فِي الْفُقَرَاءِ حَيْثُ كَانُوا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ ‏ "‏ إِنَّكَ سَتَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ، فَإِذَا جِئْتَهُمْ فَادْعُهُمْ إِلَى أَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ، فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ، وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ، فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ‏"‏‏.‏
 ১৪০৯  মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) কে ইয়ামানের (শাসক নিয়োগ করে) পাঠানোর সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেনঃ তুমি আহলে কিতাবের কাছে যাচ্ছ। কাজেই তাদের কাছে যখন পৌঁছবে তখন তাদেরকে এ কথার দিকে দাওয়াত দিবে তারা যেন সাক্ষ্য দিয়ে বলে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করেছেন। যদি তারা এ কথাও মেনে নেয় তবে তাদের বলবে যে, আল্লাহ তাদের উপর সাদ্‌কা (যাকাত) ফরয করেছেন- যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহন করা হবে এবং অভাবগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। তোমার এ কথা যদি তারা মেনে নেয়, তবে (কেবল) তাদের উত্তম মাল গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে এবং মযলূমের বদদু’আকে ভয় করবে। কেননা, তার (বদদু’আ) এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না।

 ৫৮   রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। ইমাম মালেক ও ইবন ইদরীস (রহঃ) (ইমাম শাফি'য়ী) বলেন, জাহিলী যুগের ভূগর্ভে প্রেথিত সম্পদই রিকায। তার অল্প ও অধিক পরিমানে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব হবে। আর মা'দীন রিকায নয়। নবী (সাঃ) বলেছেনঃ মা'দীনে (খননের ঘটনায়) নিসাব নেই, রিকাযের এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) মা'দীন এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ গ্রহন করতেন। হাসান (রহঃ) বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অধিকৃত ভূমির রিকাযে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব এবং সন্ধিকৃত ভূমির রিকাযের যাকাত ওয়াজিব। শত্রুর ভূমিতে লুকতা পাওয়া গেলে লোকদের মধ্যে তা ঘোষণা করবে। বস্তুটি শত্রুর হলে তাতে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। জনৈক ব্যক্তি [ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)] বলেন, মা'দিন রিকাযই, (তার প্রকারবিশেষ মাত্র) জাহেলী যুগের প্রেথিত সম্পদের ন্যায়। তার যুক্তি হলঃ أَرْكَزَ الْمَعْدِنُ তখন বলা হয়, যখন খনি থেকে কিছু উত্তোলন করা হয়। তাকে বলা যায়, কাউকে কিছু দান করলে এবং এতে সে এ দিয়ে প্রচুর লাভবান হলে অথবা কারো প্রচুর ফল উৎপাদিত হলে বলা হয় أَرْكَزْتَ এরপর তিনি নিজেই স্ব-বিরোধী কথা বলেন। তিনি বলেন, মা'দিন থেকে উত্তোলিত সম্পদ গোপন রাখায় ও এক পঞ্চমাংশ না দেওয়ায় কোন দোষ নেই।

গুপ্তধন বা রিকাযের উপর যাকাত 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪১১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৯৮ - ১৪৯৯

باب فِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ وَقَالَ مَالِكٌ وَابْنُ إِدْرِيسَ الرِّكَازُ دِفْنُ الْجَاهِلِيَّةِ، فِي قَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ الْخُمُسُ. وَلَيْسَ الْمَعْدِنُ بِرِكَازٍ، وَقَدْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَعْدِنِ: «جُبَارٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ». وَأَخَذَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْمَعَادِنِ مِنْ كُلِّ مِائَتَيْنِ خَمْسَةً. وَقَالَ الْحَسَنُ مَا كَانَ مِنْ رِكَازٍ فِي أَرْضِ الْحَرْبِ فَفِيهِ الْخُمُسُ، وَمَا كَانَ مِنْ أَرْضِ السِّلْمِ فَفِيهِ الزَّكَاةُ، وَإِنْ وَجَدْتَ اللُّقَطَةَ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ فَعَرِّفْهَا، وَإِنْ كَانَتْ مِنَ الْعَدُوِّ فَفِيهَا الْخُمُسُ. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ الْمَعْدِنُ رِكَازٌ مِثْلُ دِفْنِ الْجَاهِلِيَّةِ لأَنَّهُ يُقَالُ أَرْكَزَ الْمَعْدِنُ. إِذَا خَرَجَ مِنْهُ شَيْءٌ. قِيلَ لَهُ قَدْ يُقَالُ لِمَنْ وُهِبَ لَهُ شَيْءٌ، أَوْ رَبِحَ رِبْحًا كَثِيرًا، أَوْ كَثُرَ ثَمَرُهُ أَرْكَزْتَ. ثُمَّ نَاقَضَ وَقَالَ لاَ بَأْسَ أَنْ يَكْتُمَهُ فَلاَ يُؤَدِّيَ الْخُمُسَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْعَجْمَاءُ جُبَارٌ، وَالْبِئْرُ جُبَارٌ، وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ، وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ ‏"‏‏.‏

 ১৪১১  ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত, কূপ (খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক) দায়মুক্ত, খনি (খননে কেউ মারা গেলে মালিক) দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব।

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا لَيْسَ الْعَنْبَرُ بِرِكَازٍ هُوَ شَيْءٌ دَسَرَهُ الْبَحْرُ
وَقَالَ الْحَسَنُ فِي الْعَنْبَرِ وَاللُّؤْلُؤِ الْخُمُسُ، فَإِنَّمَا جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرِّكَازِ الْخُمُسَ، لَيْسَ فِي الَّذِي يُصَابُ فِي الْمَاءِ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَّ رَجُلاً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلَ بَعْضَ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِأَنْ يُسْلِفَهُ أَلْفَ دِينَارٍ، فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، فَخَرَجَ فِي الْبَحْرِ، فَلَمْ يَجِدْ مَرْكَبًا، فَأَخَذَ خَشَبَةً فَنَقَرَهَا فَأَدْخَلَ فِيهَا أَلْفَ دِينَارٍ، فَرَمَى بِهَا فِي الْبَحْرِ، فَخَرَجَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ أَسْلَفَهُ، فَإِذَا بِالْخَشَبَةِ فَأَخَذَهَا لأَهْلِهِ حَطَبًا ـ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ـ فَلَمَّا نَشَرَهَا وَجَدَ الْمَالَ ‏"‏‏.‏

সাগর থেকে সংগৃহীত সম্পদ। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আম্বর রিকায নয়। বরং তা এমন বস্তু সাগর যা তীরে নিক্ষেপ করে। হাসান (রহঃ) বলে, আম্বর ও মতীর ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশ ওয়াজিব। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রিকাযের ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশ ধার্য করেছেন। আর যা পানিতে পাওয়া যায় তা রিকয নয়। লায়স (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, বণী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি ওপর ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার (কর্জ) চাইলে, সে তাকে তা দিল। সে সাগরপথে যাত্রা করল কিন্তু কোন নৌযান পেল না। তখন একটি কাঠের টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করে এক হাজার দীনার তাতে ভরে তা সাগরে নিক্ষেপ করল। ঋণদাতা সাগর তীরে পৌঁছে একটি কাঠ (ভেসে আসতে) দেখে তার পরিবারের জন্য লাকড়ি হিসেবে নিয়ে আসল। তারপর রাবী পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। (সবশেষে রয়েছে) কাঠ চেরাই করার পর সে তার প্রাপ্য মাল পেয়ে গেল।

 ৫৯   মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং যে সব কর্মচারী যাকাত উসুল করে (৯ঃ ৬০) এবং যাকাত উসুলকারীর ইমামের নিকট হিসাব প্রদান।

যাকাত উসুল করে হিসাব প্রদান করা 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪১২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫০০

 ১৪১২  ইউসুফ ইবনু মূসা (রহঃ) ... আবূ হুমাইদ সা’য়িদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আস্‌দ গোত্রের ইবনু লুত্‌বিয়া নামক জনৈক ব্যাক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ সুলাইম গোত্রের যাকাত উসূল করার কাজে নিয়োগ করেন। তিনি ফিরে আসলে তার নিকট থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিসাব নিলেন।

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا} وَمُحَاسَبَةِ الْمُصَدِّقِينَ مَعَ الإِمَامِ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ اسْتَعْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنَ الأَسْدِ عَلَى صَدَقَاتِ بَنِي سُلَيْمٍ يُدْعَى ابْنَ اللُّتْبِيَّةِ، فَلَمَّا جَاءَ حَاسَبَهُ‏.‏

 ৬০   সাদাকাতুল ফিতর ফরয। আবুল 'আলীয়া' 'আতা' ও ইবন সীরীন (রহঃ) এর অভিমত হলো সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরয।

ফিতরা আদায় করা ফরজ 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪১৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫০৩

باب فَرْضِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ وَرَأَى أَبُو الْعَالِيَةِ وَعَطَاءٌ وَابْنُ سِيرِينَ صَدَقَةَ الْفِطْرِ فَرِيضَةً
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ‏.‏

১৪১৫। ইয়াহইয়া ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সাকান (রহঃ) ... ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ্‌কাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে (নামাযে) বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।



**********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url