যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা থেকে সাবধান, পর্ব - ০৭




যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা


  • দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের সতীন,
  • দুনিয়া হচ্ছে যাদুকর,
  • যে আযান দিবে সেই ইকামত দিবে,
  • দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ,
  • মানুষ এক যামানায় বাঘ হবে,
  • চল্লিশ দিনকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা।
- এরকম কথাকে অনেকেই সহীহ হাদিস বলে চালিয়ে দেন। আসলে এগুলোর কোনটিই সহীহ হাদিস নয়। কোনটি একেবারেই বানোয়াট, কোনটি মিথ্যা আবার কোনটি সহীহ হাদিসের অনুকরণে ভুল হাদিস- এসব হাদিসই যঈফ বা জাল হাদিস। যে কথা রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেননি, সেকথাকে রাসুলের (সা:) কথা বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জালিয়াতি এবং অতি জঘন্য গুনাহের কাজ। আসুন যঈফ বা জাল হাদিসগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই এবং এসব হাদিসের ব্যবহার থেকে নিজেরা বিরত থাকি এবং অন্যদেরকে বিরত রাখি। আমাদের এই আর্টিকেলগুলো আপনাদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। আশা করি দ্বীনের স্বার্থে এগুলো শেয়ার করবেন।


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৩ 

দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের সতীন


দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের সতীন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এর কোন ভিত্তি নেই

যেমনটি “আল- কাশফ” সহ অন্যান্য গ্রন্থে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে ঈসা (আঃ)-এর বাণী হিসাবেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

الدنيا ضرة الآخرة ".
لا أصل له

عن النبي صلى الله عليه وسلم، كما في " الكشف " وغيره، وإنما يروى من كلام عيسى عليه السلام نحوه


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৪ 

দুনিয়া হচ্ছে যাদুকর


দুনিয়া থেকে তোমরা বেঁচে চল, কারন তা হচ্ছে হারুত ও মারূতের চেয়েও অধিক যাদুকর।

হাদীসটি মুনকার এর কোন ভিত্তি নেই

“তীখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/১৭৭) ইরাকী বলেনঃ হাদীসটি ইবনু আবিদ দুনিয়া ও বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে আবুদ-দারদা আর-রাহাবীর বর্ণনা সূত্রে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বাইহাকী বলেন, তাদের কেউ বলেছেনঃ আবুদ দারদা কোন একজন সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন। যাহাবী বলেনঃ আবুদ-দারদা কে তা জানা যায় না। আরো বলেনঃ এটি মুনকার, এর কোন ভিত্তি নেই।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে (৬/৩৭৫) তা সমর্থন করেছেন।

যিনি ধারণা করবেন যে, আবুদ-দারদা সাহাবী তিনি ভুল করবেন। সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” ও “দুররুল মানসূর” গ্রন্থে (১/১০০) এমনটিই বুঝিয়েছেন বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেছেনঃ আবুদ-দারদা হতে। এ ক্ষেত্রে মানবীও তার অনুসরণ করেছেন। মোটকথা হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে এ আবুদ-দারদাই, তিনি মাজহুল [অপরিচিত], তিনি সাহাবী নন।

احذروا الدنيا فإنها أسحر من هاروت وماروت
منكر لا أصل له

قال العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 177) : رواه ابن أبي الدنيا والبيهقي في " الشعب " من طريقه من رواية أبي الدرداء الرهاوي مرسلا، وقال البيهقي: أن بعضهم قال: عن أبي الدرداء عن رجل من الصحابة قال الذهبي: لا يدرى من أبو الدرداء، قال وهذا منكر لا أصل له
قلت: وقد أقره الحافظ ابن حجر في " لسان الميزان " (6 / 375)
ومن ظن أن أبا الدرداء هذا هو الصحابي فقد أخطأ، وعليه جرى فيما يظهر السيوطي في " الجامع " وفي " الدر المنثور " (1 / 100) حيث قال: عن أبي الدرداء فأطلقه ولم يقيده، وتبعه في ذلك المناوي حيث لم يتعبه بشيء في " الفيض " وإنما قال: ولم يرمز له بشيء، وهو ضعيف لأن فيه هشام بن عمار
الأصل كمال وهو تحريف
قال الذهبي: قال أبو حاتم: صدوق وقد تغير، وكان كلما لقن يتلقن
وقال أبو داود: حدث بأرجح من أربع مئة حديث لا أصل لها
وهذا الإعلال فيه نظر، فإن للحديث طريقين عن أبي الدرداء كما يستفاد من " اللسان "، فالعلة الحقيقية هي جهالة أبي الدرداء هذا ورواه ابن عساكر (2 /333 / 2) من قول أرطاة بن المنذر فالظاهر أنه من الإسرائيليات
تنبيه: كنت قد خرجت الحديث مسلما بما قاله الحافظ معزو الابن أبى الدنيا والبيهقي ثم طبع الكتابان والحمد لله، ووقفت على إسناده وقول البيهقى عقبه
إن فيه علة أخرى، وإنه ليس له طريق أخرى خلافا لقول الحافظ، فرأيت أنه لابد لى من بيان ذلك، فأقول
1 - أما العلة فتتبين بعد سوق السند، فقال ابن أبى الدنيا فى " ذم الدنيا
(54/132) - ومن طريقه البيهقى فى " شعب الإيمان " (7/339/10504) -: حدثنى أبو حاتم الرازى: حدثنا هشام بن عمار: حدثنا صدقة - يعنى: ابن خالد - عن عتبة بن أبى حكيم: حدثنا أبو الدرداء الرهاوى..... وقال البيهقى: وقال غيره عن هشام بإسناده عن رجل من أصحاب النبى صلى الله عليه وسلم
قلت: فالعلة عتبة هذا، فقد قال الحافظ: " صدوق يخطئ كثيرا
2 - وأما الطريق فقد قال الذهبى فى " الميزان ": " أبو الدرداء الرهاوى عن رجل له صحبة بحديث: " اتقوا الدنيا.... " لا يدرى من ذا، والخبر منكر لا أصل له
فقال الحافظ عقبه: " أخرجه البيهقى فى " الشعب " من روايته عن أبى الدرداء به، وأخرجه أيضا من طريق أخرى عن أبى الدرداء مرسلا، وهو عند ابن أبى الدنيا فى " ذم الدنيا " من هذا الوجه "
قلت: إذا تأملت الإسناد المذكور من رواية ابن أبى الدنيا والبيهقى علمت أنها ليست طريقا أخرى، وإنما هى الأولى عن أبى الدرداء الرهاوى مرسلا، فهو من أوهام الحافظ رحمه الله، ويؤكد ذلك قول البيهقى المتقدم: " وقال غيره: عن هشام..... " إلخ، ومن الواضح أنه يعنى بضمير (غيره) أبا حاتم الرازى، فهذه طريق أخرى مع كونها معلقة، ولكنها عن هشام وليست عن أبى الدرداء كما وهم الحافظ، فالطريق عنه فى الحقيقة واحدة، غاية ما فى الأمر أن أبا حاتم الحافظ رواه عن هشام بإسناده الضعيف عنه مرسلا، ورواه غيره - وهو مجهول - عنه عن أبى الدرداء عن الصحابى، والمرسل هو الصحيح على ضعفه، فهذا ما لزم بيانه. اهـ


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৫ 

যে আযান দিবে সেই ইকামত দিবে


যে আযান দিবে সেই যেন ইকামত দেয়

এ শব্দে হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।

বর্ণিত হয়েছে এ ভাষায় من أذن فهو يقيم “যে আযান দিবে সেইকামাত দিবে” এ ভাষাতেও হাদীসটি দুর্বল। (১/২৬৫,২৬৬) ও ইবনু আসাকির (৯/৪৬৬,৪৬৭) আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ আল-ইফরীকী সূত্রে ...বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি এ আল-ইফরীকীর কারণে দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বল ছিলেন। ইমাম তিরমিযীও তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেনঃ

إنما نعرفه من حديث الإفريقى، وهو ضعيف عند أهل الحديث

এ হাদীসটিকে ইফরীকী সূত্রেই চিনি, তিনি গণের নিকট দুর্বল।

হাদীসটিকে বাগাবীও “শারহুস সুন্নাহ" গ্রন্থে (২/৩০২) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম নাবাবীও “আল-মাজমূ” গ্রন্থে (৩/১২১) তেমনটিই বলেছেন। বাইহাকী “সুনানুল কুবরা” গ্রন্থে (১/৪০০) দুর্বল বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। হাদীসটি অন্য সূত্রেও ইবনু উমার (রাঃ) হতে আবদু ইবনে হামীদ “আল-মুনতাখাব মিন মুসনাদিহি” গ্রন্থে (২/৮৮), আবু উমাইয়্যাহ্ “আত-তারসূসী মুসনাদু ইবনে উমর” গ্রন্থে (১/২০২), ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (১/৩২৪), বাইহাকী, তাবারানী (৩/২৭/২) ও উকায়লী “আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃঃ ১৫০) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ সূত্রেও হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে বাইহাকীও দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেনঃ সাঈদ ইবনু রাশেদ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি দুর্বল।

হাফিয ইবনু হাজারও “আত-তালখীস” (৩/১০) গ্রন্থে অনুরূপ কথা বলেছেন। তিনি বলেনঃ আবু হাতিম আর-রায়ী ও ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে এ হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আবী হাতিম “ইলালুল হাদীস” গ্রন্থে (নং ৩২৬) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ হাদীসটি মুনকার, সাঈদ হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। আরেকবার বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।

ইবনু আবী হাতিম হাদীসটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে (১/২৯৫) বর্ণনা করেছেন। যার সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনুল ফযল ইবনে আতিয়া রয়েছেন। তিনি মিথ্যার দোষে দোষী। ইবনু আদী বলেনঃ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ তার অধিকাংশ হাদীসের মুতাবা'য়াত করেননি।

من أذن فليقم
لا أصل له بهذا اللفظ

وإنما روى بلفظ: " من أذن فهو يقيم " رواه أبو داود والترمذي وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 265 - 266) وابن عساكر (9 / 466 - 467) وغيرهم من طريق عبد الرحمن بن زياد الإفريقى عن زياد بن نعيم الحضرمي عن زياد بن حارث الصدائي مرفوعا
وهذا سند ضعيف من أجل الإفريقى هذا، قال الحافظ في " التقريب ": ضعيف في حفظه، وضعفه الترمذي فقال عقب الحديث: إنما نعرفه من حديث الإفريقى، وهو ضعيف عند أهل الحديث
وضعف الحديث أيضا البغوي في " شرح السنة " (2 / 302) وارتضاه الإمام النووي " المجموع " (3 / 121) وأشار لتضعيفه البيهقي في " سننه الكبرى " (1 / 400)
وأما قول ابن عساكر: هذا حديث حسن فلعله يعني حسن المعنى
وقد ذهب إلى توثيق الإفريقى المذكور بعض الفضلاء المعاصرين وبناء عليه ذهب إلى أن حديثه هذا صحيح! وذلك ذهول منه عن قاعدة الجرح مقدم على التعديل إذا تبين سبب الجرح، وهو بين هنا وهو سوء الحفظ، وقد أنكر عليه هذا الحديث وغيره سفيان الثوري
وروى الحديث عن ابن عمر ولكنه ضعيف أيضا، رواه عبد بن حميد في " المنتخب من مسنده " (88 / 2) وأبو أمية الطرسوسي في " مسند ابن عمر " (202 / 1) وابن حبان في الضعفاء (1 / 324) والبيهقي والطبراني (3 / 27 / 2) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 150)
وضعفه البيهقي أيضا فقال: تفرد به سعيد بن راشد وهو ضعيف وكذا قال الحافظ ابن حجر في " التلخيص " (3 / 10) قال: وضعف حديثه هذا أبو حاتم الرازي وابن حبان في الضعفاء
وعنه رواه شيخ الإسلام ابن تيمية في " أربعون حديثا " (ص 24)
قلت: ونص كلام أبي حاتم كما في " علل الحديث " لابنه قال (رقم 326)
وقال أبي: هذا حديث منكر، وسعيد ضعيف الحديث، وقال مرة: متروك الحديث
وقد بسطت الكلام على ضعف هذا الحديث في كتابي " ضعيف سنن أبي داود " (رقم 83)
وأما قول العقيلي عقب حديث ابن عمر: وقد روي هذا المتن بغير هذا الإسناد من وجه صالح، فإن أراد طريق الإفريقى فهو غير مسلم لما عرفت من ضعفه، والعقيلي نفسه أورده في " الضعفاء " (232) ، وإن أراد طريقا ثالثا فلم أعرفه
ورواه ابن عدي (295 / 1) من حديث ابن عباس، وفيه محمد بن الفضل بن عطية وهو متهم بالكذب كما تقدم وقال ابن عدي: عامة حديثه لا يتابعه الثقات عليه
ومن آثار هذا الحديث السيئة أنه سبب لإثارة النزاع بين المصلين كما وقع ذلك غيرما مرة، وذلك حين يتأخر المؤذن عن دخول المسجد لعذر، ويريد بعض الحاضرين أن يقيم الصلاة، فما يكون من أحدهم إلا أن يعترض عليه محتجا بهذا الحديث، ولم يدر المسكين أنه حديث ضعيف لا يجوز نسبته إليه صلى الله عليه وسلم فضلا عن أن يمنع به الناس من المبادرة إلى طاعة الله تعالى، ألا وهي إقامة الصلاة


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৬ 

দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ


দেশকে ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ (দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ)।

হাদীসটি জাল

যেমনিভাবে সাগানী (পৃঃ ৭) ও অন্যরা বলেছেন। এটির অর্থও সহীহ নয়। কারণ এ ভালবাসা নিজকে এবং সম্পদকে ভালবাসার মতই প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই মূলগত ভাবে বিদ্যমান। শারীয়াতের দৃষ্টিকোণ থেকে এ ভালবাসার প্রশংসা করা যায় না। এটি ঈমানের জন্য অপরিহার্যও নয়। আপনারা কী দেখছেন না যে, এ ভালবাসায় মু'মিন এবং কাফিরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

حب الوطن من الإيمان
موضوع

كما قال الصغاني (ص 7) وغيره
ومعناه غير مستقيم إذ إن حب الوطن كحب النفس والمال ونحوه، كل ذلك غريزي في الإنسان لا يمدح بحبه ولا هو من لوازم الإيمان، ألا ترى أن الناس كلهم مشتركون في هذا الحب لا فرق في ذلك بين مؤمنهم وكافرهم؟


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৭ 

মানুষ এক যামানায় বাঘ হবে


মানুষের মাঝে এমন এক যামানা আসবে যখন তাঁরা বাঘের ন্যায় হবে। অতঃপর যে ব্যাক্তি বাঘ না হতে পারবে তাঁকে বাঘগুলো খেয়ে ফেলবে।

হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল

ইবনুল জাওযী তার “আল-মাওযু"আত” গ্রন্থে (৩/৮০) দারাকুতনীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন। এ সনদে যিয়াদ ইবনু আবী যিয়াদ আল-জাসসাস নামক এক বর্ণনাকারী আছেন।

দারাকুতনী বলেনঃ যিয়াদ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি মাতরূক [অগ্রহণযোগ্য]।

সুয়ূতী তার “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/১৫২) বলেনঃ “আল-মীযান” গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, যিয়াদ দুর্বল হওয়ার বিষয়ে সকলে একমত পোষণ করেছেন। ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, কখনও কখনও ক্রটি করতেন। তাবারানীও হাদীসটি “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তাবারানীর বর্ণনায় হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে (৭/২৮৭, ৮/৮৯) উল্লেখ করে হাদীসটি সম্পর্কে বলেছেনঃ এর সনদের মধ্যে এমন সব ব্যক্তি রয়েছেন যাদে কে চিনি না।

يأتي على الناس زمان هم فيه ذئاب، فمن لم يكن ذئبا أكلته الذئاب
ضعيف جدا

أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 80) من طريق الدارقطني بسنده إلى زياد بن أبي زياد الجصاص، حدثنا أنس بن مالك مرفوعا وقال: قال الدارقطني: تفرد به زياد وهو متروك، وقال السيوطي في " اللآليء " (2 /156) : قلت: قال في " الميزان ": هو مجمع على تضعيفه وذكره ابن حبان في " الثقات " وقال: ربما يهم، والحديث أخرجه الطبراني في " الأوسط
قلت: وبرواية الطبراني أورده الهيثمي في " المجمع " (7 / 287، 8 / 89) وأعله بقوله: وفيه من لم أعرفهم


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৩৮ 

চল্লিশ দিনকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা


যে ব্যাক্তি চল্লিশ দিনকে নিছক আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করবে, তাঁর ভাষায় বিচক্ষণতার ঝর্ণাধারা উদ্ভাসিত হবে।

হাদীসটি দুর্বল

হাদীসটি আবু নু’য়াইম “আল-হিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৫/১৮৯) মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল সুত্রে আবূ খালেদ ইয়াযীদ ওয়াসেতী হতে, তিনি হাজ্জাজ হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এছাড়া হুসাইন আল-মারওয়ায়ী “জাওয়ায়েদুয যুহুদ” গ্রন্থে (১/২০৪), ইবনু আবী শাইবাহ “আল-মুসান্নাফ" গ্রন্থে (১৩/২৩১) ও হান্নাদ “আল-যুহুদ” গ্রন্থে (৬৭৮ নং) উল্লেখ করেছেন। ইবনুল জাওযী হাদীসটি তার “মাওযূ"আত” গ্রন্থে (৩/১৪৪) আবু নয়াইম সূত্রে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। ইয়াযীদ ইবনু আবী ইয়াযীদ আব্দুর রহমান ওয়াসেতী অধিক পরিমাণে ভুল করতেন, হাজ্জাজ ক্রটি যুক্ত ব্যক্তি, মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল অপরিচিত এবং আবু আইউব (রাঃ) হতে মাকহুলের শ্রবণ সাব্যস্ত হয়নি।

সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/১৭৬) তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে শুধুমাত্র দুর্বল বলেই ক্ষান্ত হয়েছেন। মাকহুল হতে মুরসাল হিসাবে তার অন্য একটি সূত্র রয়েছে, যাতে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইল ও ইয়াযীদ নেই।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদে বর্ণিত হাজ্জাজ হচ্ছেন ইবনু আরতাত-তিনি মুদাল্লিস, আন আন শব্দে বর্ণনা করেছেন। তা সত্ত্বেও মুরসাল। হাদীসটিকে সাগানী “আহাদীসুল মাওযু আত” গ্রন্থে (পৃ ৭) উল্লেখ করেছেন।

এ হাদীসটির অন্য একটি সনদ পেয়েছি, সেটি কাযাঈ বর্ণনা করেছেন। তাতেও সেওয়ার ইবনু মুস'য়াব নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। তার সম্পর্কে নাসাঈ সহ প্রমুখ মহাদিসগণ বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। সুতরাং হাদীসটি দুর্বল।

من أخلص لله أربعين يوما ظهرت ينابيع الحكمة على لسانه
ضعيف

أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (5 / 189) من طريق محمد بن إسماعيل: حدثنا أبو خالد يزيد الواسطي أنبأنا الحجاج عن مكحول عن أبي أيوب الأنصاري مرفوعا به، وقال أبو نعيم: كذا رواه يزيد الواسطي متصلا، ورواه أبو معاوية عن الحجاج فأرسله
قلت: ثم ساقه من طريق هناد بن السري حدثنا أبو معاوية عن حجاج عن مكحول مرسلا
وكذلك رواه الحسين المروزي في " زوائد الزهد " (204 / 1 من " الكواكب " /575) وابن أبي شيبة في " المصنف " (13 / 231) وهناد في " الزهد " (رقم 678) من طريقه عن حجاج به
فالحديث إذا عن حجاج عن مكحول مرسل، ووصله لا يصح، وقد أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 144) من طريق أبي نعيم الموصول ثم قال: لا يصح، يزيد بن أبي يزيد عبد الرحمن الواسطي كثير الخطأ، وحجاج مجروح، ومحمد بن إسماعيل مجهول، ولا يصح سماع مكحول لأبي أيوب
وتعقبه السيوطي في " اللآليء المصنوعة " (2 / 176) بقوله: قلت: اقتصر العراقي في " تخريج الإحياء " على تضعيف الحديث، وله طريق عن مكحول مرسل ليس فيه محمد بن إسماعيل ولا يزيد
قلت: ثم ذكره من طريق أبي نعيم وغيره عن حجاج عن مكحول مرسلا، وسكت عليه وهو ضعيف لأن حجاجا وهو ابن أرطاة مدلس وقد عنعنه، ثم هو مرسل، والحديث أورده الصغاني في " الأحاديث الموضوعة " (ص 7)
ثم وجدت له طريقا آخر، رواه القضاعي (30 / 1) عن عامر بن سيار قال: أنبأنا سوار بن مصعب عن ثابت عن مقسم عن ابن عباس مرفوعا وقال: كأنه يريد بذلك من يحضر العشاء الآخرة والفجر في جماعة، ومن حضرها أربعين يوما يدرك التكبيرة الأولى كتب له براءتان
لكن سوار هذا متروك كما قال النسائي وغيره




যঈফ ও জাল হাদিসের সবগুলো পৃষ্ঠা পড়ুন-
                                    ১০    ১১    ১২    ১৩    ১৪    ১৫    ১৬    ১৭    ১৮    ১৯    ২০    ২১    ২২    ২৩    ২৪    ২৫    ২৬    ২৭    ২৮    ২৯    ৩০    ৩১    ৩২    ৩৩    ৩৪    ৩৫    ৩৬    ৩৭    ৩৮


*************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url