যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা থেকে সাবধান, পর্ব - ১১





যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা

  • নারী জাতি না থাকলে সত্যই সত্য আল্লাহর ইবাদত করা হত
  • উম্মতের মতাভেদ রহমত স্বরূপ
  • সাহাবীগণ নক্ষত্রের ন্যায় 
  • সাহাবীগণের মতভেদ রহমত স্বরূপ
  • হে মুহাম্মদ! তোমার সাথীগণ আমার নিকট আসমানের নক্ষত্রতুল্য

- এরকম কথাকে অনেকেই সহীহ হাদিস বলে চালিয়ে দেন। আসলে এগুলোর কোনটিই সহীহ হাদিস নয়। কোনটি একেবারেই বানোয়াট, কোনটি মিথ্যা আবার কোনটি সহীহ হাদিসের অনুকরণে ভুল হাদিস- এসব হাদিসই যঈফ বা জাল হাদিস। যে কথা রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেননি, সেকথাকে রাসুলের (সা:) কথা বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জালিয়াতি এবং অতি জঘন্য গুনাহের কাজ। আসুন যঈফ বা জাল হাদিসগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই এবং এসব হাদিসের ব্যবহার থেকে নিজেরা বিরত থাকি এবং অন্যদেরকে বিরত রাখি। আমাদের এই আর্টিকেলগুলো আপনাদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। আশা করি দ্বীনের স্বার্থে এগুলো শেয়ার করবেন।


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৬ 

নারী জাতি না থাকলে সত্যই সত্য আল্লাহর ইবাদত করা হত


৫৬। যদি নারী জাতি না থাকত, তাহলে সত্যই সত্য আল্লাহর ইবাদত করা হত।
হাদীসটি জাল
এটি দু'টি সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ
প্রথম সূত্রটিতে বর্ণনাকারী আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-আমী রয়েছেন। তিনি তার পিতা যায়েদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী হাদীসটি (কাফ ১/৩১২) উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীসটি মুনকার। এ সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীসটিকে চিনি না। নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণ আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-আমীর কোন হাদিসকে সমর্থন করেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ تركوه মুহাদ্দিসগণ তাকে গ্রহণ করেননি।

ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি একজন মিথ্যুক, খবীস। আবূ হাতিম বলেনঃ তার হাদীস ছেড়ে দেয়া উচিৎ। তিনি মুনকারুল হাদিস। তিনি তার পিতাকে দোষী করতেন। তার থেকে তিনি মহা বিপদ বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার পিতা যায়েদ দুর্বল। ইবনুল জাওযী হাদীসটি তার “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে (২/২৫৫) ইবনু আদীর সূত্রে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এর কোন ভিত্তি নেই। আব্দুর রহীম ও তার পিতা উভয়েই মাতরূক।

সুয়ূতী ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৫৯) বলেছেনঃ এটির শাহেদ রয়েছে, কিন্তু তার এ সমালোচনা যথার্থ নয়। কারণ এর শাহেদ হিসাবে যে হাদীসটি উপস্থাপন করা হচ্ছে সেটি আলোচ্য হাদীসটির চেয়ে উত্তম নয়। হাদীসটি নিম্নরূপঃ

لولا النساء دخل الرجال الجنة

"নারীরা যদি না থাকত, তাহলে পুরুষরা জান্নাতে প্রবেশ করত।"

কারণ এটির সনদে বিশর ইবনু হুসাইন নামক একজন বর্ণনাকারী আছেন। তিনি মাতরূক, মিথ্যা বলতেন।

মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে হাদীসটির ভাষা এভাবে এসেছে, لولا النساء لعبد الله حق عبادته যদি নারী জাতি না থাকত তাহলে যথাযথ আল্লাহর ইবাদাত করা হতো। সুয়ূতী বিশর সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুধুমাত্র বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। এ জন্য তার সমালোচনা করে ইবনু ইরাক “তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/২০৪) বলেছেনঃبل كذاب وضاع فلا يصلح حديثه شاهدا বরং তিনি মিথ্যুক, জালকারী, তার হাদীস অন্য হাদীসের সমর্থনে শাহেদ হবার যোগ্য নয়।’

এ বিশর সম্পর্কে ২৮ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে।
لولا النساء لعبد الله حقا حقا
موضوع

وله طريقان
الأول: عن محمد بن عمران الهمذاني، أنبأنا عيسى بن زياد الدورقي - صاحب ابن عيينة - قال: حدثنا عبد الرحيم بن زيد العمي عن أبيه عن سعيد بن المسيب عن عمر بن الخطاب مرفوعا، أخرجه ابن عدي (ق 312 / 1) وقال: هذا حديث منكر، ولا أعرفه إلا من هذا الوجه، وعبد الرحيم بن زيد العمي أحاديثه كلها لا يتابعه الثقات عليه
قلت: وقال البخاري: تركوه، وقال أبو حاتم: يترك حديثه، منكر الحديث، كان يفسد أباه يحدث عنه بالطامات، وقال ابن معين: كذاب خبيث
قلت: وأبوه زيد ضعيف كما تقدم (51)
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 255) من طريق ابن عدي ثم قال: لا أصل له، عبد الرحيم وأبوه متروكان، ومحمد بن عمران منكر الحديث
قلت: الظاهر أن ابن الجوزي توهم أن محمد بن عمران هذا هو الأخنسي الذي قال فيه البخاري في " تاريخه الكبير " (1 / 1 / 202) : كان ببغداد، يتكلمون فيه، منكر الحديث عن أبي بكر بن عياش، وليس صاحب هذا الحديث هو الأخنسي، بل هو الهمذاني كما صرح ابن عدي في روايته، وهو ثقة وله ترجمة جيدة في " تاريخ بغداد " (3 / 133 - 134) ، فعلة الحديث ممن فوقه
وأما السيوطي فخفي عليه هذا، فإنه إنما تعقب ابن الجوزي بقوله في " اللآليء " (1 / 159) : قلت: له شاهد! ومع ذلك فهذا تعقب لا طائل تحته، لأن الشاهد المشار إليه ليس خيرا من المشهو د له
هو الطريق الآخر: عن بشر بن الحسين عن الزبير بن عدي عن أنس مرفوعا بلفظ
لولا النساء دخل الرجال الجنة
رواه أبو الفضل عيسى بن موسى الهاشمي في " نسخة الزبير بن عدي " (1 / 55 / 2) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 30) والثقفي في الثقفيات
قلت: وبشر هذا متروك يكذب كما تقدم (28) ، ومن طريقه رواه الديلمي في " مسند الفردوس " بلفظ: " لولا النساء لعبد الله حق عبادته " كما في فيض القدير
وقد اقتصر السيوطي في ترجمة بشر هذا على قوله عقب الحديث: متروك، فتعقبه ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2 / 204) : بل كذاب وضاع فلا يصلح حديثه شاهدا
ومما سبق تعلم أن السيوطي لم يحسن صنعا بإيراده هذه الأحاديث الثلاثة في " الجامع الصغير " خلافا لشرطه الذي ذكرته أكثر من مرة

لولا النساء لعبد الله حقا حقا موضوع - وله طريقان الأول: عن محمد بن عمران الهمذاني، أنبأنا عيسى بن زياد الدورقي - صاحب ابن عيينة - قال: حدثنا عبد الرحيم بن زيد العمي عن أبيه عن سعيد بن المسيب عن عمر بن الخطاب مرفوعا، أخرجه ابن عدي (ق 312 / 1) وقال: هذا حديث منكر، ولا أعرفه إلا من هذا الوجه، وعبد الرحيم بن زيد العمي أحاديثه كلها لا يتابعه الثقات عليه قلت: وقال البخاري: تركوه، وقال أبو حاتم: يترك حديثه، منكر الحديث، كان يفسد أباه يحدث عنه بالطامات، وقال ابن معين: كذاب خبيث قلت: وأبوه زيد ضعيف كما تقدم (51) والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 255) من طريق ابن عدي ثم قال: لا أصل له، عبد الرحيم وأبوه متروكان، ومحمد بن عمران منكر الحديث قلت: الظاهر أن ابن الجوزي توهم أن محمد بن عمران هذا هو الأخنسي الذي قال فيه البخاري في " تاريخه الكبير " (1 / 1 / 202) : كان ببغداد، يتكلمون فيه، منكر الحديث عن أبي بكر بن عياش، وليس صاحب هذا الحديث هو الأخنسي، بل هو الهمذاني كما صرح ابن عدي في روايته، وهو ثقة وله ترجمة جيدة في " تاريخ بغداد " (3 / 133 - 134) ، فعلة الحديث ممن فوقه وأما السيوطي فخفي عليه هذا، فإنه إنما تعقب ابن الجوزي بقوله في " اللآليء " (1 / 159) : قلت: له شاهد! ومع ذلك فهذا تعقب لا طائل تحته، لأن الشاهد المشار إليه ليس خيرا من المشهو د له هو الطريق الآخر: عن بشر بن الحسين عن الزبير بن عدي عن أنس مرفوعا بلفظ لولا النساء دخل الرجال الجنة رواه أبو الفضل عيسى بن موسى الهاشمي في " نسخة الزبير بن عدي " (1 / 55 / 2) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 30) والثقفي في الثقفيات قلت: وبشر هذا متروك يكذب كما تقدم (28) ، ومن طريقه رواه الديلمي في " مسند الفردوس " بلفظ: " لولا النساء لعبد الله حق عبادته " كما في فيض القدير وقد اقتصر السيوطي في ترجمة بشر هذا على قوله عقب الحديث: متروك، فتعقبه ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2 / 204) : بل كذاب وضاع فلا يصلح حديثه شاهدا ومما سبق تعلم أن السيوطي لم يحسن صنعا بإيراده هذه الأحاديث الثلاثة في " الجامع الصغير " خلافا لشرطه الذي ذكرته أكثر من مرة
 

 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৭ 

উম্মতের মতাভেদ রহমত স্বরূপ


৫৭। আমার উম্মাতের মতাভেদ রহমত স্বরূপ।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই
মুহাদ্দিসগণ হাদীসটির সনদ বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষে সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ সম্ভবত কোন হুফফায-এর গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু তা আমাদের নিকট পৌছেনি! আমার নিকট এটি অসম্ভবমূলক কথা, কারণ এ কথা এটাই সাব্যস্ত করে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু হাদীস উম্মাতের মধ্য হতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কোন মুসলিম ব্যক্তির এরূপ বিশ্বাস রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়।

মানবী সুবকীর উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ এ হাদিসটি মুহাদ্দিসগণের নিকট পরিচিত নয়। এটির কোন সহিহ, দুর্বল এমনকি জাল সনদ সম্পর্কেও অবহিত হতে পারিনি।

শাইখ জাকারিয়া আল-আনসারী “তাফসীরে বায়যাবী" গ্রন্থের টীকাতে (কাফ ২/৯২) মানবীর কথাটি সমর্থন করেছেন। এছাড়া এ হাদীসের অর্থও বিচক্ষণ আলেমগণের নিকট অপছন্দনীয়। ইবনু হাযম “আল-ইহকাম ফি উসূলিল আহকাম” গ্রন্থে (৫/৬৪) এটি কোন হাদীস নয় এ ইঙ্গিত দেয়ার পর বলেনঃ এটি অত্যন্ত নিকৃষ্ট কথা। কারণ যদি মতভেদ রহমত স্বরূপ হত, তাহলে মতৈক্য অপছন্দনীয় হত। এটি এমন একটি কথা যা কোন মুসলিম ব্যক্তি বলেন না।

তিনি অন্য এক স্থানে বলেনঃباطل مكذوب এটি বাতিল, মিথ্যারোপ।

এ বানোয়াট হাদীসের কুপ্রভাবে বহু মুসলিম চার মাযহাবের কঠিন মতভেদগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন। কখনো কিতাবুল্লাহ ও সহীহ হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তন করার চেষ্টা করেন না। অথচ সে দিকে তাদের ইমামগণ প্রত্যাবর্তন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বরং তাদের নিকট এ চার মাযহাব যেন একাধিক শরীয়াতের ন্যায়। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃولوكان من عند غير الله لوجدوا فيه اختلافا كثيرا অর্থঃ “যদি (এ কুরআন) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে আসত, তাহলে তারা তাতে বহু মতভেদ পেত।” [সূরা নিসা ৮২]

আয়াতটি স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে যে, মতভেদ আল্লাহ তা'আলার নিকট হতে নয়। অতএব কীভাবে এ মতভেদকে অনুসরণীয় শারীয়াত বানিয়ে নেয়া সঠিক হয়? আর কীভাবেই তা নাযিলকৃত রহমত হতে পারে?

মোটকথা শারীয়াতের মধ্যে মতভেদ নিন্দনীয়। ওয়াজিব হচ্ছে যতদূর সম্ভব তা থেকে মুক্ত হওয়া। কারণ এটি হচ্ছে উম্মাতের দুর্বলতার কারণসমূহের একটি। যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা'আলা বলেছনঃولا تنازعوا فتفشلوا وتذهب ريحكم অর্থঃ “এবং তোমরা আপোসে বিবাদ করো না, কারণ তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে আর তোমাদের শক্তি বিনষ্ট হয়ে যাবে" (আনফালঃ ৪৬)।

অতএব মতভেদে সন্তুষ্ট থাকা এবং রহমত হিসাবে তার নামকরণ করা সম্পূর্ণ আয়াত বিরোধী কথা, যার অর্থ খুবই স্পষ্ট। অপরপক্ষে মতভেদের সমর্থনে সনদ বিহীন (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে যার কোন ভিত্তি নেই) এ জাল হাদীস ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই।

এখানে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, সাহাবীগণ মতভেদ করেছেন, অথচ তারা লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম। তাদেরকে কি উল্লেখিত এ নিন্দা সম্পৃক্ত করে না।

ইবনু হাযম তার উত্তরে বলেনঃ কক্ষনও নয়। তাদেরকে এ নিন্দা সম্পৃক্ত করবে না। কারণ তাদের প্রত্যেকেই আল্লাহর পথ এবং হকের পক্ষকে গ্রহণ করার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। তাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি ভুল করেছেন তিনি তাতেও সওয়াবের অধিকারী এবং একটি সওয়াব পাবেন। সুন্দর নিয়্যাত এবং উত্তম ইচ্ছা থাকার কারণে। তাদের উপর হতে তাদের ভুলের গুনাহ উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। কারণ তারা তা করেননি আর সত্যকে জানার গবেষণার ক্ষেত্রে তারা অলসতাও করেননি। ফলে তাদের মধ্যে যিনি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি দুটি সওয়াবের অধিকারী। এমন ধারা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির সমাধান লুকায়িত, যা আমাদের নিকট এখনও পৌঁছেনি।

উল্লেখিত নিন্দা ও ভীতি ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য যে আল্লাহর রজ্জ্বর সম্পর্ককে (কুরআনকে) এবং নবীর হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করে, তার নিকট স্পষ্টভাবে দলীল পৌছা ও প্রতীয়মান হওয়ার পরেও। বরং কুরআন ও সুন্নাহকে পরিত্যাগ করার মানসে অন্য ব্যক্তির সাথে সে সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইচ্ছাকৃতভাবে মতভেদের অন্ধ অনুসরণ করে, গোড়ামী ও অজ্ঞতার দিকে আহবানকারী হিসাবে। সে এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে, তার দাবীর সমর্থনে কুরআন ও হাদীসের যে কথাটি মিলে সেটি গ্রহণ করে আর যেটি তার বিপরীতে যায় সেটি পরিত্যাগ করে। এরাই হচ্ছে নিন্দনীয় মতভেদকারী।
اختلاف أمتي رحمة
لا أصل له

ولقد جهد المحدثون في أن يقفوا له على سند فلم يوفقوا، حتى قال السيوطي في " الجامع الصغير ": ولعله خرج في بعض كتب الحفاظ التي لم تصل إلينا
وهذا بعيد عندي، إذ يلزم منه أنه ضاع على الأمة بعض أحاديثه صلى الله عليه وسلم، وهذا مما لا يليق بمسلم اعتقاده
ونقل المناوي عن السبكي أنه قال: وليس بمعروف عند المحدثين، ولم أقف له على سند صحيح ولا ضعيف ولا موضوع
وأقره الشيخ زكريا الأنصاري في تعليقه على " تفسير البيضاوي " (ق 92 / 2)
ثم إن معنى هذا الحديث مستنكر عند المحققين من العلماء، فقال العلامة ابن حزم في " الإحكام في أصول الأحكام " (5 / 64) بعد أن أشار إلى أنه ليس بحديث
وهذا من أفسد قول يكون، لأنه لوكان الاختلاف رحمة لكان الاتفاق سخطا، وهذا ما لا يقوله مسلم، لأنه ليس إلا اتفاق أو اختلاف، وليس إلا رحمة أوسخط
وقال في مكان آخر: باطل مكذوب، كما سيأتي في كلامه المذكور عند الحديث (61)
وإن من آثار هذا الحديث السيئة أن كثيرا من المسلمين يقرون بسببه الاختلاف الشديد الواقع بين المذاهب الأربعة، ولا يحاولون أبدا الرجوع بها إلى الكتاب والسنة الصحيحة، كما أمرهم بذلك أئمتهم رضي الله عنهم، بل إن أولئك ليرون مذاهب هؤلاء الأئمة رضي الله عنهم إنما هي كشرائع متعددة! يقولون هذا مع علمهم بما بينها من اختلاف وتعارض لا يمكن التوفيق بينها إلا برد بعضها المخالف
للدليل، وقبول البعض الآخر الموافق له، وهذا ما لا يفعلون! وبذلك فقد نسبوا إلى الشريعة التناقض! وهو وحده دليل على أنه ليس من الله عز وجل لو كانوا يتأملون قوله تعالى في حق القرآن: (ولوكان من عند غير الله لوجدوا
فيه اختلافا كثيرا) فالآية صريحة في أن الاختلاف ليس من الله، فكيف يصح إذن جعله شريعة متبعة، ورحمة منزلة؟
وبسبب هذا الحديث ونحوه ظل أكثر المسلمين بعد الأئمة الأربعة إلى اليوم مختلفين في كثير من المسائل الاعتقادية والعملية، ولو أنهم كانوا يرون أن الخلاف شر كما قال ابن مسعود وغيره رضي الله عنهم ودلت على ذمه الآيات
القرآنية والأحاديث النبوية الكثيرة، لسعوا إلى الاتفاق، ولأمكنهم ذلك في أكثر هذه المسائل بما نصب الله تعالى عليها من الأدلة التي يعرف بها الصواب من الخطأ، والحق من الباطل، ثم عذر بعضهم بعضا فيما قد يختلفون فيه، ولكن لماذا هذا السعي وهم يرون أن الاختلاف رحمة، وأن المذاهب على اختلافها كشرائع متعددة! وإن شئت أن ترى أثر هذا الاختلاف والإصرار عليه، فانظر إلى كثير من المساجد، تجد فيها أربعة محاريب يصلى فيها أربعة من الأئمة
ولكل منهم جماعة ينتظرون الصلاة مع إمامهم كأنهم أصحاب أديان مختلفة! وكيف لا وعالمهم يقول: إن مذاهبهم كشرائع متعددة! يفعلون ذلك وهم يعلمون قوله صلى الله عليه وسلم: " إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة " رواه مسلم وغيره، ولكنهم يستجيزون مخالفة هذا الحديث وغيره محافظة منهم على المذهب كأن المذهب معظم عندهم ومحفوظ أكثر من أحاديثه عليه الصلاة والسلام! وجملة
القول أن الاختلاف مذموم في الشريعة، فالواجب محاولة التخلص منه ما أمكن، لأنه من أسباب ضعف الأمة كما قال تعالى: (ولا تنازعوا فتفشلوا وتذهب ريحكم) ، أما الرضا به وتسميته رحمة فخلاف الآيات الكريمة المصرحة بذمه، ولا مستند له إلا هذا الحديث الذي لا أصل له عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
وهنا قد يرد سؤال وهو: إن الصحابة قد اختلفوا وهم أفاضل الناس، أفيلحقهم الذم المذكور؟
وقد أجاب عنه ابن حزم رحمه الله تعالى فقال (5 / 67 - 68) : كلا ما يلحق أولئك شيء من هذا، لأن كل امرئ منهم تحرى سبيل الله، ووجهته الحق، فالمخطئ منهم مأجور أجرا واحدا لنيته الجميلة في إرادة الخير، وقد رفع عنهم الإثم في خطئهم لأنهم لم يتعمدوه ولا قصدوه ولا استهانوا بطلبهم، والمصيب منهم مأجور أجرين، وهكذا كل مسلم إلى يوم القيامة فيما خفي عليه من الدين ولم يبلغه، وإنما الذم المذكور والوعيد المنصوص، لمن ترك التعلق بحبل الله تعالى وهو القرآن، وكلام النبي صلى الله عليه وسلم بعد بلوغ النص إليه وقيام الحجة به عليه، وتعلق بفلان وفلان، مقلدا عامدا للاختلاف، داعيا إلى عصبية وحمية الجاهلية، قاصدا للفرقة، متحريا في دعواه برد القرآن
والسنة إليها، فإن وافقها النص أخذ به، وإن خالفها تعلق بجاهليته، وترك القرآن وكلام النبي صلى الله عليه وسلم، فهؤلاء هم المختلفون المذمومون
وطبقة أخرى وهم قوم بلغت بهم رقة الدين وقلة التقوى إلى طلب ما وافق أهواءهم في قول كل قائل، فهم يأخذون ما كان رخصة في قول كل عالم، مقلدين له غير طالبين ما أو جبه النص عن الله وعن رسوله صلى الله عليه وسلم
ويشير في آخر كلامه إلى " التلفيق " المعروف عند الفقهاء، وهو أخذ قول العالم بدون دليل، وإنما اتباعا للهو ى أو الرخص، وقد اختلفوا في جوازه، والحق تحريمه لوجوه لا مجال الآن لبيانها، وتجويزه مستوحى من هذا الحديث
وعليه استند من قال: " من قلد عالما لقي الله سالما "! وكل هذا من آثار الأحاديث الضعيفة، فكن في حذر منها إن كنت ترجوالنجاة (يوم لا ينفع مال ولا بنون إلا من أتى الله بقلب سليم)

اختلاف أمتي رحمة لا أصل له - ولقد جهد المحدثون في أن يقفوا له على سند فلم يوفقوا، حتى قال السيوطي في " الجامع الصغير ": ولعله خرج في بعض كتب الحفاظ التي لم تصل إلينا وهذا بعيد عندي، إذ يلزم منه أنه ضاع على الأمة بعض أحاديثه صلى الله عليه وسلم، وهذا مما لا يليق بمسلم اعتقاده ونقل المناوي عن السبكي أنه قال: وليس بمعروف عند المحدثين، ولم أقف له على سند صحيح ولا ضعيف ولا موضوع وأقره الشيخ زكريا الأنصاري في تعليقه على " تفسير البيضاوي " (ق 92 / 2) ثم إن معنى هذا الحديث مستنكر عند المحققين من العلماء، فقال العلامة ابن حزم في " الإحكام في أصول الأحكام " (5 / 64) بعد أن أشار إلى أنه ليس بحديث وهذا من أفسد قول يكون، لأنه لوكان الاختلاف رحمة لكان الاتفاق سخطا، وهذا ما لا يقوله مسلم، لأنه ليس إلا اتفاق أو اختلاف، وليس إلا رحمة أوسخط وقال في مكان آخر: باطل مكذوب، كما سيأتي في كلامه المذكور عند الحديث (61) وإن من آثار هذا الحديث السيئة أن كثيرا من المسلمين يقرون بسببه الاختلاف الشديد الواقع بين المذاهب الأربعة، ولا يحاولون أبدا الرجوع بها إلى الكتاب والسنة الصحيحة، كما أمرهم بذلك أئمتهم رضي الله عنهم، بل إن أولئك ليرون مذاهب هؤلاء الأئمة رضي الله عنهم إنما هي كشرائع متعددة! يقولون هذا مع علمهم بما بينها من اختلاف وتعارض لا يمكن التوفيق بينها إلا برد بعضها المخالف للدليل، وقبول البعض الآخر الموافق له، وهذا ما لا يفعلون! وبذلك فقد نسبوا إلى الشريعة التناقض! وهو وحده دليل على أنه ليس من الله عز وجل لو كانوا يتأملون قوله تعالى في حق القرآن: (ولوكان من عند غير الله لوجدوا فيه اختلافا كثيرا) فالآية صريحة في أن الاختلاف ليس من الله، فكيف يصح إذن جعله شريعة متبعة، ورحمة منزلة؟ وبسبب هذا الحديث ونحوه ظل أكثر المسلمين بعد الأئمة الأربعة إلى اليوم مختلفين في كثير من المسائل الاعتقادية والعملية، ولو أنهم كانوا يرون أن الخلاف شر كما قال ابن مسعود وغيره رضي الله عنهم ودلت على ذمه الآيات القرآنية والأحاديث النبوية الكثيرة، لسعوا إلى الاتفاق، ولأمكنهم ذلك في أكثر هذه المسائل بما نصب الله تعالى عليها من الأدلة التي يعرف بها الصواب من الخطأ، والحق من الباطل، ثم عذر بعضهم بعضا فيما قد يختلفون فيه، ولكن لماذا هذا السعي وهم يرون أن الاختلاف رحمة، وأن المذاهب على اختلافها كشرائع متعددة! وإن شئت أن ترى أثر هذا الاختلاف والإصرار عليه، فانظر إلى كثير من المساجد، تجد فيها أربعة محاريب يصلى فيها أربعة من الأئمة ولكل منهم جماعة ينتظرون الصلاة مع إمامهم كأنهم أصحاب أديان مختلفة! وكيف لا وعالمهم يقول: إن مذاهبهم كشرائع متعددة! يفعلون ذلك وهم يعلمون قوله صلى الله عليه وسلم: " إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة " رواه مسلم وغيره، ولكنهم يستجيزون مخالفة هذا الحديث وغيره محافظة منهم على المذهب كأن المذهب معظم عندهم ومحفوظ أكثر من أحاديثه عليه الصلاة والسلام! وجملة القول أن الاختلاف مذموم في الشريعة، فالواجب محاولة التخلص منه ما أمكن، لأنه من أسباب ضعف الأمة كما قال تعالى: (ولا تنازعوا فتفشلوا وتذهب ريحكم) ، أما الرضا به وتسميته رحمة فخلاف الآيات الكريمة المصرحة بذمه، ولا مستند له إلا هذا الحديث الذي لا أصل له عن رسول الله صلى الله عليه وسلم وهنا قد يرد سؤال وهو: إن الصحابة قد اختلفوا وهم أفاضل الناس، أفيلحقهم الذم المذكور؟ وقد أجاب عنه ابن حزم رحمه الله تعالى فقال (5 / 67 - 68) : كلا ما يلحق أولئك شيء من هذا، لأن كل امرئ منهم تحرى سبيل الله، ووجهته الحق، فالمخطئ منهم مأجور أجرا واحدا لنيته الجميلة في إرادة الخير، وقد رفع عنهم الإثم في خطئهم لأنهم لم يتعمدوه ولا قصدوه ولا استهانوا بطلبهم، والمصيب منهم مأجور أجرين، وهكذا كل مسلم إلى يوم القيامة فيما خفي عليه من الدين ولم يبلغه، وإنما الذم المذكور والوعيد المنصوص، لمن ترك التعلق بحبل الله تعالى وهو القرآن، وكلام النبي صلى الله عليه وسلم بعد بلوغ النص إليه وقيام الحجة به عليه، وتعلق بفلان وفلان، مقلدا عامدا للاختلاف، داعيا إلى عصبية وحمية الجاهلية، قاصدا للفرقة، متحريا في دعواه برد القرآن والسنة إليها، فإن وافقها النص أخذ به، وإن خالفها تعلق بجاهليته، وترك القرآن وكلام النبي صلى الله عليه وسلم، فهؤلاء هم المختلفون المذمومون وطبقة أخرى وهم قوم بلغت بهم رقة الدين وقلة التقوى إلى طلب ما وافق أهواءهم في قول كل قائل، فهم يأخذون ما كان رخصة في قول كل عالم، مقلدين له غير طالبين ما أو جبه النص عن الله وعن رسوله صلى الله عليه وسلم ويشير في آخر كلامه إلى " التلفيق " المعروف عند الفقهاء، وهو أخذ قول العالم بدون دليل، وإنما اتباعا للهو ى أو الرخص، وقد اختلفوا في جوازه، والحق تحريمه لوجوه لا مجال الآن لبيانها، وتجويزه مستوحى من هذا الحديث وعليه استند من قال: " من قلد عالما لقي الله سالما "! وكل هذا من آثار الأحاديث الضعيفة، فكن في حذر منها إن كنت ترجوالنجاة (يوم لا ينفع مال ولا بنون إلا من أتى الله بقلب سليم)


  যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৮ 

সাহাবীগণ নক্ষত্রের ন্যায় 


৫৮। আমার সাহাবীগণ নক্ষত্রের ন্যায়, তোমরা তাদের যে কোন একজনের অনুসরণ করলে সঠিক পথপ্রাপ্ত হবে।
হাদীসটি জাল
হাদীসটি ইবনু আদিল বার “জামেউল ইলম” (২/৯১) ও ইবনু হাযম “আল-ইহকাম” (৬/৮২) গ্রন্থে সালাম ইবনু সুলাইম সূত্রে হারিস ইবনু গোসাইন হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি আবূ সুফিইয়ান হতে ... বর্ণনা করেছেন।

ইবনু আদিল বার বলেনঃ

هذا إسناد لا تقوم به حجة لأن الحارث بن غصين مجهول

“এ সনদটি দ্বারা দলীল সাব্যস্ত হয় না, কারণ এ সনদের বর্ণনাকারী হারিস ইবনু গোসাইন মাজহুল।

ইবনু হাযম বলেনঃ এ বর্ণনাটি নিম্ন পর্যায়ের। তাতে আবূ সুফিইয়ান রয়েছেন, তিনি দুর্বল আর হারিস ইবনু গোসাইন হচ্ছেন মাজহুল। আর সালাম ইবনু সুলাইম কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে সেগুলোর একটি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সালাম ইবনু সুলাইমকে বলা হয় ইবনু সুলায়মান আত-তাবীল, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকলে একমত। এমনকি তার সম্পর্কে ইবনু খাররাশ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ روى أحاديث موضوعة তিনি কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন।

হারিস মাজহুল হলেও আবূ সুফিইয়ান দুর্বল নয় যেমনভাবে ইবনু হাযম বলেছেন। তিনি বরং সত্যবাদী যেরূপ ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়, যেমনভাবে ইবনু কুদামার “আল-মুনতাখাব” গ্রন্থে (১০/১৯৯/২) এসেছে।

তবে হাদীসটি জাল হওয়ার জন্য সালামই যথেষ্ট।

أصحابي كالنجوم، بأيهم اقتديتم اهتديتم
موضوع

رواه ابن عبد البر في " جامع العلم " (2 / 91) وابن حزم في " الإحكام " (6 / 82) من طريق سلام بن سليم قال: حدثنا الحارث بن غصين عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر مرفوعا به، وقال ابن عبد البر: هذا إسناد لا تقوم به حجة لأن الحارث بن غصين مجهول
وقال ابن حزم: هذه رواية ساقطة، أبو سفيان ضعيف، والحارث بن غصين هذا هو أبو وهب الثقفي، وسلام بن سليمان يروي الأحاديث الموضوعة وهذا منها بلا شك
قلت: الحمل في هذا الحديث على سلام بن سليم - ويقال: ابن سليمان وهو الطويل - أولى فإنه مجمع على ضعفه، بل قال ابن خراش: كذاب، وقال ابن حبان
روى أحاديث موضوعة
وأما أبو سفيان فليس ضعيفا كما قال ابن حزم، بل هو صدوق كما قال الحافظ في " التقريب "، وأخرج له مسلم في صحيحه
والحارث بن غصين مجهول كما قال ابن حزم، وكذا قال ابن عبد البر وإن ذكره ابن حبان في " الثقات، ولهذا قال أحمد: لا يصح هذا الحديث كما في " المنتخب " لابن قدامة (10 / 199 / 2)
وأما قول الشعراني في " الميزان " (1 / 28) : وهذا الحديث وإن كان فيه مقال عند المحدثين، فهو صحيح عند أهل الكشف، فباطل وهراء لا يتلفت إليه
ذلك لأن تصحيح الأحاديث من طريق الكشف بدعة صوفية مقيتة، والاعتماد عليها يؤدي إلى تصحيح أحاديث باطلة لا أصل لها، كهذا الحديث لأن الكشف أحسن أحواله - إن صح - أن يكون كالرأي، وهو يخطيء ويصيب، وهذا إن لم يداخله الهوى، نسأل الله السلامة منه، ومن كل ما لا يرضيه
وروي الحديث عن أبي هريرة بلفظ: " مثل أصحابي " وسيأتي برقم (438)
وروي نحوه عن ابن عباس وعمر بن الخطاب وابنه عبد الله

أصحابي كالنجوم، بأيهم اقتديتم اهتديتم موضوع - رواه ابن عبد البر في " جامع العلم " (2 / 91) وابن حزم في " الإحكام " (6 / 82) من طريق سلام بن سليم قال: حدثنا الحارث بن غصين عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر مرفوعا به، وقال ابن عبد البر: هذا إسناد لا تقوم به حجة لأن الحارث بن غصين مجهول وقال ابن حزم: هذه رواية ساقطة، أبو سفيان ضعيف، والحارث بن غصين هذا هو أبو وهب الثقفي، وسلام بن سليمان يروي الأحاديث الموضوعة وهذا منها بلا شك قلت: الحمل في هذا الحديث على سلام بن سليم - ويقال: ابن سليمان وهو الطويل - أولى فإنه مجمع على ضعفه، بل قال ابن خراش: كذاب، وقال ابن حبان روى أحاديث موضوعة وأما أبو سفيان فليس ضعيفا كما قال ابن حزم، بل هو صدوق كما قال الحافظ في " التقريب "، وأخرج له مسلم في صحيحه والحارث بن غصين مجهول كما قال ابن حزم، وكذا قال ابن عبد البر وإن ذكره ابن حبان في " الثقات، ولهذا قال أحمد: لا يصح هذا الحديث كما في " المنتخب " لابن قدامة (10 / 199 / 2) وأما قول الشعراني في " الميزان " (1 / 28) : وهذا الحديث وإن كان فيه مقال عند المحدثين، فهو صحيح عند أهل الكشف، فباطل وهراء لا يتلفت إليه ذلك لأن تصحيح الأحاديث من طريق الكشف بدعة صوفية مقيتة، والاعتماد عليها يؤدي إلى تصحيح أحاديث باطلة لا أصل لها، كهذا الحديث لأن الكشف أحسن أحواله - إن صح - أن يكون كالرأي، وهو يخطيء ويصيب، وهذا إن لم يداخله الهوى، نسأل الله السلامة منه، ومن كل ما لا يرضيه وروي الحديث عن أبي هريرة بلفظ: " مثل أصحابي " وسيأتي برقم (438) وروي نحوه عن ابن عباس وعمر بن الخطاب وابنه عبد الله


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৫৯ 

সাহাবীগণের মতভেদ রহমত স্বরূপ


৫৯। যখনই তোমরা কিতাবুল্লাহ হতে কিছু প্রাপ্ত হবে তখনই তার উপর আমল করবে। তা ছেড়ে দিতে তোমাদের কারো ওজর চলবে না। যদি কিতাবুল্লাতে (সমাধান) না থাকে। তাহলে আমার নিকট হতে (সমাধান হিসাবে) প্রাপ্ত অতীত সুন্নাহকে গ্রহণ করতে হবে। যদি আমার পক্ষ হতে অতীত কোন সুন্নাতে সমাধান না মিলে, তাহলে আমার সাহাবীগণ আসমানের নক্ষত্রের ন্যায়। অতএব তোমরা যে কোন জনের কথা গ্রহণ করলেই হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। আমার সাহাবীগণের মতভেদ তোমাদের জন্য রহমত স্বরূপ।
হাদীসটি জাল
হাদীসটি খাতীব বাগদাদী “কিফায়াহ ফী ইলমির রিওয়াহ" গ্রন্থে (পৃঃ ৪৮) এবং আবুল আব্বাস আল-আসাম তার “হাদীস” গ্রন্থে (নং ১৪২) বর্ণনা করেছেন। এছাড়া তার থেকে বাইহাকী “আল-মাদখাল” গ্রন্থে (নং ১৫২), দাইলামী (৪/৭৫) ও ইবনু আসাকির (৭/৩১৫/২) সুলায়মান ইবনু আবী কারমা সূত্রে যুওয়াইবির হতে, আর তিনি যহহাক হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি অত্যন্ত দুর্বল।

ইবনু আবী হাতিম তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (২/১/১৩৮) সুলায়মান ইবনু আবী কারমা সম্পর্কে বলেছেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। যুওয়াইবির ইবনু সাঈদ আল-আযদী মাতরুক, যেমনভাবে দারাকুতনী, নাসাঈ ও অন্য মুহাদ্দিসগণ বলেছেন। ইবনুল মাদীনী তাকে নিতান্তই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

আর যহহাক; তিনি হচ্ছেন ইবনু মাজাহিম আল-হিলালী। ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটেনি। বাস্তব কথা হচ্ছে এই যে, হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে যুওয়াইবির-এর কারণে খুবই দুর্বল। যেমনভাবে সাখাবী “আল-মাকাসিদুল হাসানা” গ্রন্থে বলেছেন। কিন্তু অর্থের দিক দিয়ে এটি বানোয়াট।

সুয়ূতী বলেন যে, হাদীসটির মধ্যে কিছু ফায়েদাহ রয়েছে। কথা হচ্ছে যেটি হাদীস হিসাবে সাব্যস্তই হচ্ছে না সেটিতে ফায়েদা খুঁজার যৌক্তিকতা কোথায়?
مهما أوتيتم من كتاب الله فالعمل به، لا عذر لأحدكم في تركه، فإن لم يكن في كتاب الله، فسنة مني ماضية، فإن لم يكن سنة مني ماضية، فما قال أصحابي، إن أصحابي بمنزلة النجوم في السماء، فأيها أخذتم به اهتديتم، واختلاف أصحابي لكم رحمة
موضوع

أخرجه الخطيب في " الكفاية في علم الرواية " (ص 48) ومن قبله أبو العباس الأصم في الثاني من حديثه رقم 142 من نسختي، وعنه البيهقي في " المدخل " رقم (152) ، والديلمي (4 / 75) ، وابن عساكر (7 / 315 / 2) من طريق سليمان ابن أبي كريمة عن جويبر عن الضحاك عن ابن عباس مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا: سليمان بن أبي كريمة قال ابن أبي حاتم (2 / 1 /138) عن أبيه: ضعيف الحديث
وجويبر هو ابن سعيد الأزدي، متروك، كما قال الدارقطني والنسائي وغيرهما، وضعفه ابن المديني جدا
والضحاك هو ابن مزاحم الهلالي لم يلق ابن عباس، وقال البيهقي عقبه: هذا حديث متنه مشهور، وأسانيده ضعيفة، لم يثبت في هذا إسناد
والحديث أورد منه الجملة الأخيرة الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (1 /25) وأورده السيوطي بتمامه في أول رسالته " جزيل المواهب في اختلاف المذاهب " من رواية البيهقي في " المدخل " ثم قال العراقي: وإسناده ضعيف
والتحقيق أنه ضعيف جدا لما ذكرنا من حال جويبر، وكذلك قال السخاوي في " المقاصد " ولكنه موضوع من حيث معناه لما تقدم ويأتي
فإذا عرفت هذا فمن الغريب قول السيوطي في الرسالة المشار إليها: في هذا الحديث فوائد، منها إخباره صلى الله عليه وسلم باختلاف المذاهب بعده في الفروع، وذلك من معجزاته، لأنه من الإخبار بالمغيبات، ورضاه بذلك وتقريره عليه حيث جعله رحمة، والتخيير للمكلف في الأخذ بأيها شاء ... فيقال له: أثبت العشر ثم انقش، وما ذكره من التخيير باطل لا يمكن لمسلم أن يلتزم القول والعمل به على إطلاقه لأنه يؤدي إلى التحلل من التكاليف الشرعية كما لا يخفى
وانظر الكلام على الحديث الآتي (63)
ومما سبق، تعلم أن تصحيح الشيخ مهدي حسن الشاهجهانبوري لهذا الحديث في كتابه " السيف المجلى على المحلى " (ص 3) وقوله: إنه حديث مشهور ليس بصحيح بل هو مخالف لأقوال أهل العلم بهذا الفن كما رأيت، وله مثله كثير فانظر الحديث (87)

مهما أوتيتم من كتاب الله فالعمل به، لا عذر لأحدكم في تركه، فإن لم يكن في كتاب الله، فسنة مني ماضية، فإن لم يكن سنة مني ماضية، فما قال أصحابي، إن أصحابي بمنزلة النجوم في السماء، فأيها أخذتم به اهتديتم، واختلاف أصحابي لكم رحمة موضوع - أخرجه الخطيب في " الكفاية في علم الرواية " (ص 48) ومن قبله أبو العباس الأصم في الثاني من حديثه رقم 142 من نسختي، وعنه البيهقي في " المدخل " رقم (152) ، والديلمي (4 / 75) ، وابن عساكر (7 / 315 / 2) من طريق سليمان ابن أبي كريمة عن جويبر عن الضحاك عن ابن عباس مرفوعا قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا: سليمان بن أبي كريمة قال ابن أبي حاتم (2 / 1 /138) عن أبيه: ضعيف الحديث وجويبر هو ابن سعيد الأزدي، متروك، كما قال الدارقطني والنسائي وغيرهما، وضعفه ابن المديني جدا والضحاك هو ابن مزاحم الهلالي لم يلق ابن عباس، وقال البيهقي عقبه: هذا حديث متنه مشهور، وأسانيده ضعيفة، لم يثبت في هذا إسناد والحديث أورد منه الجملة الأخيرة الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (1 /25) وأورده السيوطي بتمامه في أول رسالته " جزيل المواهب في اختلاف المذاهب " من رواية البيهقي في " المدخل " ثم قال العراقي: وإسناده ضعيف والتحقيق أنه ضعيف جدا لما ذكرنا من حال جويبر، وكذلك قال السخاوي في " المقاصد " ولكنه موضوع من حيث معناه لما تقدم ويأتي فإذا عرفت هذا فمن الغريب قول السيوطي في الرسالة المشار إليها: في هذا الحديث فوائد، منها إخباره صلى الله عليه وسلم باختلاف المذاهب بعده في الفروع، وذلك من معجزاته، لأنه من الإخبار بالمغيبات، ورضاه بذلك وتقريره عليه حيث جعله رحمة، والتخيير للمكلف في الأخذ بأيها شاء ... فيقال له: أثبت العشر ثم انقش، وما ذكره من التخيير باطل لا يمكن لمسلم أن يلتزم القول والعمل به على إطلاقه لأنه يؤدي إلى التحلل من التكاليف الشرعية كما لا يخفى وانظر الكلام على الحديث الآتي (63) ومما سبق، تعلم أن تصحيح الشيخ مهدي حسن الشاهجهانبوري لهذا الحديث في كتابه " السيف المجلى على المحلى " (ص 3) وقوله: إنه حديث مشهور ليس بصحيح بل هو مخالف لأقوال أهل العلم بهذا الفن كما رأيت، وله مثله كثير فانظر الحديث (87)


 যঈফ ও জাল হাদিস নং     ৬০ 

হে মুহাম্মদ! তোমার সাথীগণ আমার নিকট আসমানের নক্ষত্রতুল্য


৬০। তোমার মৃত্যুর পরে যে বিষয়ে আমার সাথিগণ মতভেদ করেছে, সে বিষয়ে আমি আমার প্রভুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তাই তিনি আমাকে অহী মারফত জানিয়েছেন, হে মুহাম্মদ! তোমার সাথীগণ আমার নিকট আসমানের নক্ষত্রতুল্য। যাঁদের কতকজন অন্যজনের চেয়ে অতি উত্তম। অতএব যে ব্যাক্তি তাদের মতভেদকৃত বস্তু থেকে কিছু গ্রহণ করেছে সে আমার নিকট সঠিক পথের উপরেই রয়েছে।
হাদীসটি জাল
হাদীসটি ইবনু বাত্তা “আল-ইবানাহ" গ্রন্থে ( ৪/১১/২) এবং আল-খাতীবও বর্ণনা করেছেন। এছাড়া নিযামুল মুলক “আল-“আমলী” গ্রন্থে (১৩/২), দাইলামী তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (২/১৯০), যিয়া "আল-মুনতাকা" গ্রন্থে (২/১১৬) ও ইবনু আসাকির (৬/৩০৩/১) নু’য়াইম ইবনু হাম্মাদ সূত্রে আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-'আমী হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এটির সনদটি বানোয়াট। কারণ নু’য়াইম ইবনু হাম্মাদ দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি বহু ভুল করতেন। আর আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-'আমী; মিথ্যুক। তার সম্পর্কে ৫৬ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে।

“জামেউস সাগীর” গ্রন্থের ভাষ্যকার মানবী বলেনঃ ইবনুল জাওযী “আল-ইলাল” গ্রন্থে বলেছেনঃ এ হাদীসটি সহীহ নয়। কারণ নু’য়াইম দোষণীয় ব্যক্তি আর আব্দুর রহীম সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ এ হাদীসটি বাতিল।

سألت ربي فيما اختلف فيه أصحابي من بعدي، فأوحى الله إلي يا محمد إن أصحابك عندي بمنزلة النجوم في السماء، بعضها أضوأ من بعض، فمن أخذ بشيء مما هم عليه من اختلافهم فهو عندي على هدى
موضوع

رواه ابن بطة في " الإبانة " (4 / 11 / 2) والخطيب أيضا ونظام الملك في " الأمالي " (13 / 2) ، والديلمي في " مسنده " (2 / 190) ، والضياء في " المنتقى عن مسموعاته بمرو" (116 / 2) وكذا ابن عساكر (6 / 303 / 1) من طريق نعيم بن حماد حدثنا عبد الرحيم بن زيد العمي عن أبيه عن سعيد بن المسيب عن عمر بن الخطاب مرفوعا
وهذا سند موضوع، نعيم بن حماد ضعيف، قال الحافظ: يخطئ كثيرا، وعبد الرحيم بن زيد العمي كذاب كما تقدم (53) فهو آفته وأبوه خير منه
والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " برواية السجزي في " الإبانة " وابن عساكر عن عمر، وقال شارحه المناوي: قال ابن الجوزي في " العلل ": هذا لا يصح نعيم مجروح، وعبد الرحيم قال ابن معين: كذاب، وفي الميزان
هذا الحديث باطل، ثم قال المناوي: ظاهر صنيع المصنف أن ابن عساكر أخرجه ساكتا عليه والأمر بخلافه فإنه تعقبه بقوله: قال ابن سعد: زيد العمي أبو الحواري كان ضعيفا في الحديث، وقال ابن عدي: عامة ما يرويه ومن يروي عنه ضعفاء، ورواه عن عمر أيضا البيهقي، قال الذهبي: وإسناده واه
قلت: وروى ابن عبد البر عن البزار أنه قال في هذا الحديث: وهذا الكلام لا يصح عن النبي صلى الله عليه وسلم، رواه عبد الرحيم بن زيد العمي عن أبيه عن سعيد بن المسيب عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم، وربما رواه عبد الرحيم عن أبيه عن ابن عمر، كذا في الموضعين: ابن عمر، والظاهر أن لفظة (ابن) مقحمة من الناسخ في الموضع الأول وإنما أتى ضعف هذا الحديث من قبل عبد الرحيم بن زيد، لأن أهل العلم قد سكتوا عن الرواية لحديثه، والكلام أيضا منكر عن النبي صلى الله عليه وسلم، وقد روي عن النبي صلى الله عليه وسلم بإسناد صحيح: " عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين من بعدي، عضوا عليها بالنواجذ "، وهذا الكلام يعارض حديث عبد الرحيم لوثبت، فكيف ولم يثبت؟
والنبي صلى الله عليه وسلم لا يبيح الاختلاف بعده من أصحابه
ثم روى عن المزني رحمه الله أنه قال: إن صح هذا الخبر فمعناه: فيما نقلوا عنه وشهدوا به عليه، فكلهم ثقة مؤتمن على ما جاء به، لا يجوز عندي غير هذا، وأما ما قالوا فيه برأيهم فلوكان عند أنفسهم كذلك ما خطأ بعضهم بعضا، ولا أنكر بعضهم على بعض، ولا رجع منهم أحد إلى قول صاحبه فتدبر
قلت: الظاهر من ألفاظ الحديث خلاف المعنى الذي حمله عليه المزني رحمه الله، بل المراد ما قالوه برأيهم، وعليه يكون معنى الحديث دليلا آخر على أن الحديث موضوع ليس من كلامه صلى الله عليه وسلم، إذ كيف يسوغ لنا أن نتصور أن النبي صلى الله عليه وسلم يجيز لنا أن نقتدي بكل رجل من الصحابة مع أن فيهم العالم والمتوسط في العلم ومن هو دون ذلك! وكان فيهم مثلا من يرى أن البرد لا يفطر الصائم بأكله! كما سيأتي ذكره بعد حديث



যঈফ ও জাল হাদিসের সবগুলো পৃষ্ঠা পড়ুন-
                                    ১০    ১১    ১২    ১৩    ১৪    ১৫    ১৬    ১৭    ১৮    ১৯    ২০    ২১    ২২    ২৩    ২৪    ২৫    ২৬    ২৭    ২৮    ২৯    ৩০    ৩১    ৩২    ৩৩    ৩৪    ৩৫    ৩৬    ৩৭    ৩৮




*************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url