সূরা আন নাসরের তেলাওয়াত || সূরা আন নাসরের শানে নুযূল || সূরা আন নাসরের উচ্চারণ ও অনুবাদ ||
সূরা নাসর তেলাওয়াত মিশরী আল ফাসী
১১০ সূরাঃ আন-নাসর An-Nasr) سورة النصر আয়াতঃ 3 মাদানী
সুরা আন-নাসরের শানে নুযূল
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, যখন এ সূরা নাযিল হলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লেন। এবং বললেন, “মক্কা বিজয়ের পর আর কোন হিজরত নেই।” [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/২৫৭] এ সূরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে। এক বর্ণনায় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা উবায়দুল্লাহ ইবনে উতবাকে প্রশ্ন করে বলেন, কোন পূর্ণাঙ্গ সূরা সবশেষে নাযিল হয়েছে? উবায়দুল্লাহ বলেন, আমি বললাম: ‘ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ’। তিনি বললেন, সত্য বলেছ। [মুসলিম: ৩০২৪] ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সূরা আন-নাসর বিদায় হজে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর (الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ) [সূরা আল-মায়িদাহ: ৩] আয়াত অবতীর্ণ হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাত্র আশি দিন জীবিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনের যখন মাত্র পঞ্চাশ দিন বাকি ছিল, তখন কালালাহ সংক্রান্ত [সূরা আন-নিসা: ১৭৬] আয়াত অবতীর্ণ হয়। অতঃপর পয়ত্রিশ দিন বাকী থাকার সময় (لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ) আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকি থাকার সময় (وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ) [সূরা আল-বাকারাহ: ২৮১] আয়াত অবতীর্ণ হয়।
সুরা আন নাসরের উচ্চারণ ও অনুবাদ
১১০:১ اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ
যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে, আল-বায়ান
When the victory of Allah has come and the conquest, Sahih International
১১০:২ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ
আর তুমি লোকদেরকে দলে দলে আল্লাহর দীনে দাখিল হতে দেখবে, আল-বায়ান
And you see the people entering into the religion of Allah in multitudes, Sahih International
১১০:৩ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ کَانَ تَوَّابًا
তখন তুমি তোমার রবের সপ্রশংস তাসবীহ পাঠ কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী। আল-বায়ান
Then exalt [Him] with praise of your Lord and ask forgiveness of Him. Indeed, He is ever Accepting of repentance. Sahih International
************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url