বিষয় ভিত্তিক হাদিস || যাকাত, ফিতরা ও সাদকা বিষয়ক ১০০টি হাদিস ||





ছোট ও বড় স্বাধীন ও ক্রীতদাস প্রত্যেকের সাদকা-ই-ফিতরা এক সা’


যাকাত ফিতরা ও সাদকা বিষয়ক হাদিসসমূহের এ পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ:

 ৭১   

সাদাকাতুল ফিতরা এক সা পরিমাণ কিসমিস 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪২০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫০৮

باب صَاعٍ مِنْ زَبِيبٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، سَمِعَ يَزِيدَ الْعَدَنِيَّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، قَالَ حَدَّثَنِي عِيَاضُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نُعْطِيهَا فِي زَمَانِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ، فَلَمَّا جَاءَ مُعَاوِيَةُ وَجَاءَتِ السَّمْرَاءُ قَالَ أُرَى مُدًّا مِنْ هَذَا يَعْدِلُ مُدَّيْنِ‏.‏

 ১৪২০  ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুনীর (রহঃ) ... আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এক সা’ খাদ্যদ্রব্য বা এক সা’ খেজুর বা এক সা’ যব বা এক সা’ কিসমিস দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতাম। মু‘আবিয়া (রাঃ) এর যুগে যখন গম আমদানী হল তখন তিনি বললেন, এক মুদ গম (পূর্বোক্তগুলোর) দু’ মুদ-এর সমপরিমাণ বলে আমার মনে হয়।

 ৭২ 

ঈদের সালাতের পূর্বেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪২১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫০৯

باب الصَّدَقَةِ قَبْلَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ‏.‏

 ১৪২১  আদম (রহঃ) ... (আবদুল্লাহ) ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ঈদের সালাত (নামায/নামাজ)-এর উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই সাদকাতুল ফিত্‌র আদায় করার নির্দেশ দেন।


 ৭৩ 

ঈদের সালাতের পূর্বেই ফিতরা আদায় করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪২২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫১০

باب الصَّدَقَةِ قَبْلَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نُخْرِجُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ‏.‏ وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ وَكَانَ طَعَامَنَا الشَّعِيرُ وَالزَّبِيبُ وَالأَقِطُ وَالتَّمْرُ‏.‏

 ১৪২২  মু’আয ইবনু ফাযালা ... আবূ সা’ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঈদের দিন এক সা’ পরিমাণ খাদ্য সাদকাতুল ফিত্‌র হিসাবে আদায় করতাম। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, আমাদের খাদ্যদ্রব্য ছিল যব, কিসমিস, পনির ও খেজুর।


 ৭৪   অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্কদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

সাদাকাতুল ফিতর আদায় ওয়াজিব 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৪২৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৫১২

আবু আমর (রহঃ) বলেন, উমর, আলী, ইবন উমর, জাবির, আয়শা (রাঃ) তাউস, আতা ও ইবন সীরীন (রহঃ) ইয়াতীমের মাল থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যুহরী (রহঃ) বলেন, পাগলের মাল থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা হবে।

باب صَدَقَةِ الْفِطْرِ عَلَى الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَدَقَةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ عَلَى الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ وَالْحُرِّ وَالْمَمْلُوكِ‏.‏

 ১৪২৪  মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক, আযাদ ও গোলাম প্রত্যেকের পক্ষ থেকে এক সা’ যব অথবা এক সা’ খেজুর সাদকাতুল ফিতর হিসাবে আদায় করা ফরয করে দিয়েছেন।

 ৭৫ 

চাচা বাপের সমমর্যাদা সস্পন্ন 

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

 ২১৪৯  জুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিন বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার (রাঃ) কে যাকাত আদায়ের জন্য প্রেরণ করেন। এরপর তাঁকে বলা হল ইবনু জামীল খালিদ ইবনু ওয়ালীদ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচা আব্বাস (রাঃ) যাকাত দিতে অস্বীকার করেছেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইবনু জামীল তো নিঃস্ব ছিল অতঃপর আল্লাহ তাকে বিত্তশালী করেছেন এখন সে তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। আর খালিদের কথা এই যে তোমরা তার প্রতি যুলূম করছ, কেননা সে তার লৌহ বর্ম ও যুদ্ধ সরঞ্জমাদি আল্লাহর পথে বিলিয়ে দিয়েছে। আর আব্বাস, তাঁর (উপর দাবীকৃত) যাকাত এবং তৎসঙ্গে অনুরূপ পরিমাণ আদায় করা আমার দায়িত্বে। এরপর তিনি বললেন, হে উমর! তুমি কি জান না, চাচা বাপের সমমর্যাদা সস্পন্ন।

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُمَرَ عَلَى الصَّدَقَةِ فَقِيلَ مَنَعَ ابْنُ جَمِيلٍ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَالْعَبَّاسُ عَمُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا يَنْقِمُ ابْنُ جَمِيلٍ إِلاَّ أَنَّهُ كَانَ فَقِيرًا فَأَغْنَاهُ اللَّهُ وَأَمَّا خَالِدٌ فَإِنَّكُمْ تَظْلِمُونَ خَالِدًا قَدِ احْتَبَسَ أَدْرَاعَهُ وَأَعْتَادَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَمَّا الْعَبَّاسُ فَهِيَ عَلَىَّ وَمِثْلُهَا مَعَهَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا عُمَرُ أَمَا شَعَرْتَ أَنَّ عَمَّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ ‏"‏ ‏.‏

 ৭৬ 

সাদকা-ই-ফিতরা এক সা’ 

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

 ২১৫০  আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কা’নাব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ, ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেকের উপর রমযানের সাদাকা-ই-ফিতর ধার্য করেছেন। প্রতিজন মুসলিম স্বাধীন পুরুষ ও মহিলার উপর এক সা' খেজুরে অথবা এক সা' যব নির্ধারিত করে দিয়েছেন।

اب زَكَاةِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَضَ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ عَلَى النَّاسِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى كُلِّ حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى مِنَ الْمُسْلِمِينَ ‏.‏

 ৭৭ 

ছোট ও বড় স্বাধীন ও ক্রীতদাস প্রত্যেকের সাদকা-ই-ফিতর এক সা’ 

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

 ২১৫৬  আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কানাব (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন আমরা ছোট ও বড় স্বাধীন ও ক্রীতদাস প্রত্যেকের পক্ষ হতে সাদাকাতুল ফিতর বাবদ এক সা' পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা' পনির অথবা এক সা' যব অথবা এক সা' খেজুর অথবা এক সা' কিশমিশ প্রদান করতাম। এভাবেই আমরা তা আদায় করতে থাকি।

পরে মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) হাজ্জ (হজ্জ) অথবা উমরার উদ্দেশ্যে যখন আমাদের নিকট আসলেন তখন তিনি মিম্বরে আরোহণ করে উপস্থিত লোকদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, আমার মতে সিরিয়ার দু’মুদ গম এক সা' খেজুরের সামান। লোকেরা তা গ্রহণ করে নিলেন।

আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি তো যত দিন জীবিত থাকব ঐভাবেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করব, যেভাবে আমি (পূর্বে) আদায় করতাম।

اب زَكَاةِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، - يَعْنِي ابْنَ قَيْسٍ - عَنْ عِيَاضِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنَّا نُخْرِجُ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ فَلَمْ نَزَلْ نُخْرِجُهُ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا فَكَلَّمَ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَكَانَ فِيمَا كَلَّمَ بِهِ النَّاسَ أَنْ قَالَ إِنِّي أُرَى أَنَّ مُدَّيْنِ مِنْ سَمْرَاءِ الشَّامِ تَعْدِلُ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ فَأَخَذَ النَّاسُ بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأَمَّا أَنَا فَلاَ أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَمَا كُنْتُ أُخْرِجُهُ أَبَدًا مَا عِشْتُ ‏.‏

 ৭৮ 

যাকাত অনাদায়কারীর অপরাধ 

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

 ২১৬২  সুওয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যদি এগুলোর হক (যাকাত) আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিনে তার জন্য আগুনের পাত তৈরি করা হবে। তারপর জাহান্নামের অগ্নিতে উত্তপ্ত করে তা দিয়ে তার পার্শ্বে ও ললাটে, পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে। এরপর যখন উত্তপ্ততা কমে যাবে তখন পূনরায় তা উত্তপ্ত করা হরে। এভাবে চলতে থাকবে, দিনভর যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর, যে পর্যন্ত না বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা হবে। অতঃপর দেখান হবে তার পথ হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।

বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উট সম্বন্ধে বিধান কি? তিনি বললেন, আর উটের হক হল, পানি পান করার দিন তা দোহন করা। উটের কোন মালিক যদি এর হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত প্রান্তরে অধঃমূখী করে শয়িত করা হবে। তারপর ঐ উট পূর্বের চাইতেও অধিক মোটাতাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এমন কি একটি বাচ্চাও বাদ পড়বেনা এবং স্বীয় খুর দ্বারা উটের মালিক যদি তার হক আদায় না করে তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে ও মুখে কাটতে থাকবে। মালিককে দলিত করে একটি উট চলে গেলে অপরটি আসবে। এমনি করে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।

অতঃপর লোকদের ফয়সালা হরে। পথ দেখানো হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! গরু ও ছাগলের হক কি? তিনি বললেন, গরু-ছাগলের কোন মালিক যদি তাদের হক আদায় না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে শোয়ানো হবে। অতঃপর গরু-ছাগল তাকে স্বীয় খুর দ্বারা দলিত এবং শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সেদিন সেগুলোর কোন একটিকেও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না এবং তাদের মধ্যে কোন গরু-ছাগল শিংবিহীন, উল্টো শিং এবং ভাংগা শিং বিশিষ্টও থাকবে না। এদের প্রথম দলটি যখন চলে যাবে তৎক্ষণাৎ অন্য দলটি এসে যাবে। এভাবে চলতে থাকবে চলতে থাকবে ঐ দিন, যে দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।

অবশেষে যখন লোকদের বিচার অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে তখন পথ প্রদর্শন করা হবে তাকে হয় তো জান্নাতের দিকে অথবা জাহান্নামের দিকে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! ঘোড়ার হক কি? উত্তরে তিনি বললেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য বোঝা হবে। আর কারো জন্য হবে আবরণ। আর কারো জন্য তা হবে পূণ্য। যার জন্য ঘোড়া বোঝা স্বরূপ হবে তা সে ব্যাক্তি যে তার ঘোড়াকে বেধে রেখেছে লোকদের দেখানো, গর্ব প্রকাশ এবং মুসলিমদের শত্রুতা পোষণের জন্য। এ ঘোড়াই হবে তার জন্য বোঝা স্বরূপ। যে ঘোড়া কারো জন্য আবরন স্বরূপ হবে, তা সে ব্যাক্তির ঘোড়া যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বেঁধে রেখেছে এবং এর পিঠ ও ঘাড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট আল্লাহর হকের কথাও সে ভুলে যায়নি। এ ঘোড়াই হরে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের জন্য পূণ্য স্বরূপ হবে তা ঐ ব্যাক্তির ঘোড়া, যে তার ঘোড়াকে আল্লাহর পথে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বাগান বা সবুজ তৃণভূমিতে বেঁধে রেখেছে। ঘোড়াটি ঐ চারণভূমি বাগান থেকে যে পরিমাপ ভক্ষণ করবে এর বিনিময়ে তাকে দেয়া হবে পুণ্য। অনরূপভাবে এর মল মূত্রের বিনিময়েও পরিমাণ তাকে পূণ্য দেয়া হবে। আর ঘোড়াটি যদি তার রশি ছিড়ে এক বা দুটি টিলা অতিক্রম করে; তবে তার প্রতিটি পদচিহ্ন ও গোবরের বিনিময়েও তাকে পুণ্য দেয়া হবে। যদি মালিক ঘোড়াটি নিয়ে কোন নদী-নালা অতিক্রম করে এবং মালিক ঘোড়াটিকে পানি পান করানোর ইচ্ছা না করা সত্ত্বেও যদি ঘোড়াটি কিছু পানি পান করে নেয়, তবে যে পরিমাণ পানি পান করেছে সে পরিমাণ নেকী তাকে দেয়া হবে।

অতঃপর জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! গাধা (সমন্ধে কোন বিধান আছে কি?) উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন গাধা সম্পর্কে আমার নিকট কোন আদেশ অবর্তীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক এই একটি আয়াত বিদ্যমান আছেঃفَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ "কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখবে। (সুরা যিলযালঃ ৭-৮)।

باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ ‏‏
وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ مَيْسَرَةَ الصَّنْعَانِيَّ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ أَبَا صَالِحٍ، ذَكْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِيَ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِينُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيدَتْ لَهُ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالإِبِلُ قَالَ ‏"‏ وَلاَ صَاحِبُ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا وَمِنْ حَقِّهَا حَلَبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ لاَ يَفْقِدُ مِنَهَا فَصِيلاً وَاحِدًا تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَعَضُّهُ بِأَفْوَاهِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْبَقَرُ وَالْغَنَمُ قَالَ ‏"‏ وَلاَ صَاحِبُ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئًا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ وَلاَ عَضْبَاءُ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْخَيْلُ قَالَ ‏"‏ الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْرًا وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي ظُهُورِهَا وَلاَ رِقَابِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فِي مَرْجٍ وَرَوْضَةٍ فَمَا أَكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ الْمَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَاتٌ وَكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَاتٌ وَلاَ تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ وَلاَ مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيَهَا إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْحُمُرُ قَالَ ‏"‏ مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ فِي الْحُمُرِ شَىْءٌ إِلاَّ هَذِهِ الآيَةُ الْفَاذَّةُ الْجَامِعَةُ ‏(‏ فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏

 ৭৯ 

যাকাত অনাদায়কারীর কঠিন শাস্তি 

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

 ২১৬৯  মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উট এবং গরু-ছাগলের কোন মালিক যদি এগুলোর যাকাত না দেয় তবে কিয়ামতের দিন তাকে এক প্রশস্ত সমতল ভূমিতে বসান হবে। এরপর খূর বিশিষ্ট প্রানী তাকে স্বীয় খুর দ্বারা দলিত করবে এবং শিংবিশিষ্ট পশু তাকে স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সেদিন এদের মধ্যে শিংবিহীন এবং শিং ভাঙ্গা কোন পশু থাকবে না। আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এদের হক কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উটকে উটনীর পাল নিতে দেয়া, এদের পাত্রসহ পানি উঠাবার জন্য কাউকে ধার দেয়া। দুগ্ধবর্তী উষ্ট্রী অন্যকে ধার দেয়া, পানি পান করবার স্থানে এদের দুগ্ধদোহন করা এবং আল্লাহর পথে এদের উপর লোকদেরকে আরোহণ করতে দেয়া।

যে বিত্তশালী ব্যাক্তি তার তার মালের যাকাত দেয় না, কিয়ামতের দিন তা তার জন্য মাথার চুলপড়া বিষধর সাপে রূপান্তরিত করা হবে। অতঃপর সে সাপ যাকাত অস্বীকারকারী ব্যাক্তি যেখানে যাবে সেখানেই তাকে ধাওয়া করবে। তখন সে সাপ থেকে পলায়ন করতে থাকবে। কিন্তু তাকে বলা হবে, এই তোমার সম্পদ যার ব্যাপারে তুমি কার্পণ্য করতে। অতঃপর যখন সে দেখবে এর থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই, তখন সে তার হাত এর মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিবে। সে সাপ তার হাত চিবাতে থাকবে, ষাড়ের চিবানোর মত।

باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ ‏‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ وَلاَ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ أُقْعِدَ لَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَطَؤُهُ ذَاتُ الظِّلْفِ بِظِلْفِهَا وَتَنْطِحُهُ ذَاتُ الْقَرْنِ بِقَرْنِهَا لَيْسَ فِيهَا يَوْمَئِذٍ جَمَّاءُ وَلاَ مَكْسُورَةُ الْقَرْنِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا حَقُّهَا قَالَ ‏"‏ إِطْرَاقُ فَحْلِهَا وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَمَنِيحَتُهَا وَحَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ مِنْ صَاحِبِ مَالٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاتَهُ إِلاَّ تَحَوَّلَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُ صَاحِبَهُ حَيْثُمَا ذَهَبَ وَهُوَ يَفِرُّ مِنْهُ وَيُقَالُ هَذَا مَالُكَ الَّذِي كُنْتَ تَبْخَلُ بِهِ فَإِذَا رَأَى أَنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهُ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي فِيهِ فَجَعَلَ يَقْضَمُهَا كَمَا يَقْضَمُ الْفَحْلُ ‏"‏ ‏.‏

 ৮০ 

দানে উৎসাহ প্রদান এবং দাতাকে বিনিময় প্রদানের সুসংবাদ 


সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
 ২১৮০  যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর ডান হাত পরিপূর্ণ। ইবনু নুমায়র (রহঃ) বলেন, এমন পরিপুর্ণ দিবারাত্রির অনবরত দানই তাতে কিছু কমায় না।

باب الْحَثِّ عَلَى النَّفَقَةِ وَتَبْشِيرِ الْمُنْفِقِ بِالْخَلَفِ ‏‏
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَا ابْنَ آدَمَ أَنْفِقْ أُنْفِقْ عَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏"‏ يَمِينُ اللَّهِ مَلأَى - وَقَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ مَلآنُ - سَحَّاءُ لاَ يَغِيضُهَا شَىْءٌ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ‏"‏ ‏.‏



********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url