আমার প্রাণের নবীর (সা:) সমালোচনা সইব না || প্রতিবাদে গর্জে উঠো বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ||




বিয়ে নয়, প্রাণের নবী (সা:) ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি হিংসাই ওদের গাত্রদাহের আসল কারণ



আমাদের প্রাণের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) ছয় বছর বয়সের মা আয়েশা (রা:)কে বিয়ে করেন প্রায় ১৪৪৬ বছর আগে। মা আয়েশা (রা:) এর বয়স যখন ৯ বছর, তখন তিনি সাবালিকা হন এবং দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। তখন আরবের মানুষদের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৪০-৬০ বছরের মধ্যে। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই তখনকার মেয়েদের বিয়ে হত অল্প বয়সে। আর মেয়েরা সাধারণত ৯ বছর বয়সে বা তার পর থেকেই সাবালিকা হয়। শুধু আরব নয়, আমাদের উপমহাদেশেও মাত্র কয়েক দশক আগেও পাঁচ/ছয় বছর বয়সেই অধিকাংশ মেয়ের বিয়ে হত। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন বিয়ে করেন তখন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার বয়স ছিল মাত্র ৩ বা ৪ বছর। অতপর তার বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন তিনি দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। ইতিহাসে এরকম নজীর হাজার হাজার। আসলে বিয়ে কোন ফ্যাক্ট নয়, আমাদের প্রাণের নবীর (সা:) প্রতি বিদ্ধেষ এবং মুসলিম উম্মাহর প্রতি ওদের হিংসাই হচ্ছে এসব নোংরা সমালোচনার আসল কারণ।

ওরা খোদাদ্রুহী, ওরা ইহকাল ও পরকালে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে। আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবিবের মর্যাদা রক্ষার জন্য তিনি নিজেই যথেষ্ট। কিন্তু তাই বলে প্রিয় রাসুলের (সা:) উম্মত হিসাবে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। আমরা আমাদের প্রাণের নবীর (সা:) শানে জান দিতেও প্রস্তুত, ইন শা আল্লাহ। প্রতিবাদে গর্জে উঠো বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ।


ইতিহাসে বাল্য বিবাহ

১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ৮ বছর। 

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর।

৩.বঙ্কিমচন্দ্র বিয়ে করেছিলেন ১১ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর ৷

৪.দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৪ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রী সারদা দেবীর বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর।

৫.শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে
তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১০ বছর।

৬.রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর।

৭.জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৯ বছর বয়সে,তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর।

৮.সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন ১৭ বছর বয়সে তখন তাঁর স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর।

৯.লিনা মেদিনা ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে সন্তানের জন্ম দেয়ায় বিশ্বরেকর্ড করা সর্বকনিষ্টা মা উল্লেখ করে তার বন্ধনা করা হয়।

১০.দ্বিতীয় কিং রিচার্ড ত্রিশ বছর বয়সে ফরাসি রাজকুমারী ৭ বছর বয়সী ইসাবেলাকে বিয়ে করেন।

১১. পর্তুগালে রাজা ডেনিস বারো বছর বয়সী সেন্ট এলিজাবেথকে বিবাহ করেছিলেন। 

১২. নরওয়ের ষষ্ঠ রাজা হাকোন দশ বছরের রাণী মার্গারেটকে বিবাহ করেছিলেন।

১৩. এসেক্সের কাউন্ট আগ্নেসের বিয়ের পাকা কথা হয় মাত্র তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়সে তার বিবাহ হয় পঞ্চাশ বছর বয়সী সঙ্গির সাথে।

১৪. রোমানোস ইতালির রাজকন্যা চার বছর বয়সী বার্থা ইউডোকিয়াকে বিবাহ করেন।

ইতিহাসের পাতায় এরকম অসংখ্য নজির আছে।এগুলো আমাদের ইতিহাসের অংশ। এসব আমাদের ভুলে যাওয়া সমীচিন নয়।

একসময় সতীদাহ প্রথা ছিল। জীবন্ত নারীকে সহমরণে তার মৃত স্বামীর সঙ্গে চিতায় আত্মহুতি দিতে হতো। কিন্তু সতীদাহ বা সহমরণই হিন্দু ধর্মের বৈশিষ্ট্য বলার অর্থ হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। হিন্দু শাস্ত্রের ধূয়া তুলে হিন্দুর প্রতি ঘৃণা ও সহিংসতা একালে কেউ প্রদর্শন করে না। কারণ,সমাজ,আইন,সংস্কৃতি ও ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চেতনা উপলব্ধি ও বিচার ক্ষমতা অনেক বিকশিত হয়েছে। আগের মতো নাই। ইতিহাস ও সমাজ স্থির কিছু নয়,বদলায়। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু দেশ ও কাল বিবেচনায় না নিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দোষী করলে সেটা কাণ্ডজ্ঞানের অভাব হবে। তাই না ?

তাহলে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে এত বিতর্ক কেন হবে ?

বঙ্গবন্ধু ১৩ বছর বয়সে তিন বছর বয়সি রেণুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর বঙ্গবন্ধুর ২২ বছর বয়সে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার ১২ বছর বয়সে ফুলশয্যা হয়।

আয়শা রাযিঃ ৯ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাথে সংসার শুরু করায় মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন ?

আসলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো তার অতুলনীয় উত্তম চরিত্র মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহনের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়।

নূপুর শর্মারা যা-ই বলুক না কেন ?
স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা তার হাবীবের চরিত্রের
শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন।

اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ

কিয়ামত পর্যন্ত এই চরিত্র মাধুরী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে থাকবে। দলে দলে মানুষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হবেই, হবে, ইনশা-আল্লাহ।

তোমাকে ভালোবাসি হে নবী আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তোমার জন্য আমার জান কোরবান হে রাসুল‌।




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url