আল্লাহর উপর ভরসা (পর্ব-২১) || কোন বাধাই সফলতাকে প্রতিরোধ করতে পারে না || সুখের মূল উপকরণ || যে কাজ করলে সুখ বয়ে আনে ||





সুখের জন্য সুখের মূল উপকরণগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে এবং ইসলামকে ভালভাবে বুঝতে হবে



কোন বাধাই সফলতাকে প্রতিরোধ করতে পারে না

মাহমুদ ইবনে মুহাম্মদ মাদানি নামক এক অন্ধ ব্যক্তির সাক্ষাকার আরবি দৈনিক পত্রিকা ‘উকাযে’ প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি অন্যদের চোখের সাহায্যে আরবি সাহিত্যের পুস্তকাবলি পাঠ করেছেন। অন্যেরা যখন তাকে ইতিহাসের বহু-পুস্তক ও শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কর্মের ব্যাখ্যা গ্রন্থসমূহ পড়ে শুনাত তখন সে তা মনোযোগ সহকারে শুনত। তিনি তার কোনো বন্ধুকে দিয়ে ভোররাত্রি তিনটা পর্যন্ত বই পড়িয়ে নিতেন। বর্তমানে তাকে সাহিত্য ও ইতিহাসের উৎস পুস্তক মনে করা হয়।

‘আশশারকুল আওসাত’ নামক পত্রিকার প্রবন্ধকার মুস্তফা আমীন লিখেছেন- “অত্যাচারী ও অন্যায়কারীদের সাথে মাত্র পাঁচ মিনিট ধৈর্য ধরুন। অল্প সময় পরেই চাবুক পড়ে যাবে। শিকল ভেঙে যাবে, বন্দী মুক্তি-পাবে এবং মেঘ অদৃশ্য হয়ে যাবে। তাহলে আপনার দায়িত্ব হলো শুধু ধৈর্য ধরা ও অপেক্ষা করা।”

একজন আরব কবি লিখেছেন-

ولرُبٌّ نازلةٍ يضيق بها الفتى * ذرعاً وعند الله منها المخرجُ

কতই না বিপদাপদে যুবকের মন ভেঙ্গে যায়! অথচ আল্লাহর নিকট তা থেকে পরিত্রাণের পথ আছে।

আমি একবার রিয়াদে মুফতি আলবানিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলাম। শাসক গোষ্ঠী কীভাবে তাকে কঠোর পরিশ্রম সহকারে বিশ বছর বন্দী করে রেখেছিল সে কথা তিনি আমাকে বলেছেন। জেল খানায় থাকাকালে তার দণ্ডাদেশ পালনকালে তিনি প্রায়ই অত্যাচার, অন্ধকার ও ক্ষুধার শিকার হতেন। ধরা পড়ার ভয়ে তিনি গোসল খানায় এক কোনায় গোপনে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতেন। এসব সত্ত্বেও তিনি আল্লাহর নিকট পুরস্কারের আশা করতেন ও ধৈর্য ধরতেন- অবশেষে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

“অতএব ভাব আল্লাহর নেয়ামত ও দান নিয়ে বিজয়ীবেশে ফিরে এসেছিল। (৩-সূরা আলে ইমরান আয়াত-১৭৪)

সাতাশ (২৭) বছর কারাবরণ সহ্যকারী এক সময়কার দক্ষিণ আফ্রিকার রাজা নেলসন মেন্ডেলার কথা ভেবে দেখুন। তিনি তার জাতির জন্য স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এবং তিনি জুলুম নির্যাতনের শিকল ভেঙে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ছিলেন অবিচল ও দৃঢ় এবং তাকে প্রায় এমন মনে হতো যে, তিনি মৃত্যুকে খুঁজছেন। ফলে তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন ও তার পার্থিব মৰ্যদা লাভ করেছেন। মহান আল্লাহ্ বলেছেন-

نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ

“(দুনিয়াতে) আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান পুরাপুরি দিব।” (১১-সূরা হুদ: আয়াত-১৫)

“যদি তোমরা কষ্ট ভোগ করতে থাক তবে তারাওতো তোমাদের মতো কষ্ট ভোগ করছে; অথচ তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যে জান্নাতের পুরস্কার আশা করতে পার তারা তো সে জান্নাতের পুরস্কার আশা করতে পারে না।” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-১০৪)

إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُ

“যদি তোমাদের কোনো আঘাত লেগে থাকে তবে তাদেরওতো অনুরূপ আঘাত লেগেছিল।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৪০)

ইসলামকে সঠিক ভাবে জানতে হবে

সেসব আত্মা খুবই হতভাগা যেগুলো ইসলাম সম্বন্ধে অজ্ঞ অথবা যেগুলো ইসলাম সম্বন্ধে জানে তবুও ইসলামের পথে পরিচালিত হয়নি। বর্তমানে মুসলমানদের প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী প্রচারিত এক জিগির (শ্লোগান) ও বিজ্ঞাপনের। কেননা, ইসলাম এমন এক মহা সংবাদ যা অতি অবশ্যই জনগণের নিকট পৌছাতে হবে। এই শ্লোগানের কথাগুলো স্পষ্ট। সংক্ষিপ্ত এবং আকর্ষণীয় হওয়া দরকার; কেননা, সমগ্র মানবজাতির সুখ এই সত্য ধর্মে নিহিত আছে।

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ

“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের তালাশ করে- তার থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-৮৫)

জার্মানির মিউনিখ শহরে একজন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক কয়েক বছর পূর্বে বসতি স্থাপন করেন। শহরের প্রবেশ পথে পৌছার সময়ে তিনি এক বিশাল বিজ্ঞাপন দেখতে পেলেন। এর উপর লিখা ছিল, “আপনারা চিনেন না।” পরবর্তীতে তিনি এ বিজ্ঞাপনের পাশে এটার মতোই বিশাল এক বিজ্ঞাপন টাঙিয়ে দিলেন। এর উপর তিনি লিখে দিয়েছিলেন, “আপনারা ইসলাম কি তা জানেন না। যদি আপনারা এর সম্বন্ধে জানতে চান তবে এই নাম্বারে আমাদেরকে ফোন করুন।” স্থানীয় জার্মানদের ফোনের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মাত্র একবছরে এই লোকের হাতে হাজার হাজার লোক-ইসলাম গ্রহণ করেছিল। তিনি একটি মসজিদ, একটি ইসলাম প্রচার কেন্দ্র ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

অধিকাংশ মানুষই বিভ্রান্ত এবং এই মহান ধর্ম ইসলাম তাদের একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে তারা যে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন-যাপন করছে তার স্থান যাতে এক শান্তিপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন অধিকার করতে পারে এ জন্য তাদের ইসলাম ধর্মের দরকার।

“যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায় আল্লাহ্ তাদেরকে এ দ্বারা শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং তাদেরকে স্বেচ্ছায় অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদেরকে সরল-সহজ সঠিক পথে পরিচালিত করেন।” (৫-সূরা মায়িদা: আয়াত-১৬)

বহুদূরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী একজন ইবাদত গুজার লোক- যার আগে কখনো অন্য লোকদের সাথে সাক্ষাৎ হয়নি- বলেছিল-

“আমি কখনো ভাবিনি যে পৃথিবীতে কোনো লোক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করেছে।”

وَقَلِيلٌ مِّنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ

“আমার বান্দাদের মধ্য থেকে খুব কম সংখ্যকই কৃতজ্ঞ।” (৩৪-সূরা আস সাবা: আয়াত-১৩)

“আর যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথে পরিচালিত করবে।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-১১৬)

“আঁর তুমি যদিও আকুল আকাঙ্ক্ষা কর তবুও অধিকাংশ মানুষই ঈমান আনবে না।” (১২-সূরা ইউসুফ আয়াত-১০৩)

একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে, সুদান যখন ব্রিটিশ রাজ্যের কলোনী ছিল তখন এক মরুবাসী বেদুঈন রাজধানী শহর খার্তুমে এসেছিল। সে যখন একজন ব্রিটিশ পুলিশকে শহরের কেন্দ্র দিয়ে হাটতে দেখল তখন সে একজন পথিককে জিজ্ঞাসা করল, “ঐ লোকটি কে? “তাকে বলা হলো যে, লোকটি একজন বিদেশি পুলিশ ও সে একজন কাফের। যাযাবর জিজ্ঞাসা করল কি বিষয়ে সে অবিশ্বাস করে?? আল্লাহতে অবিশ্বাস করে” এ ছিল উত্তর। দীর্ঘদিন মরুভূমিতে বাস করাতে এলোকের জন্মগত স্বভাব মন্দ ধারণা মুক্ত ছিল ও অক্ষত ছিল এবং একারণেই যখন সে অদ্ভুত কিছু শুনল তখন সে এতে বিক্ষিত হয়ে গেল ও অসুস্থ হয়ে পড়ল। সে বলল, “কেউকি আল্লাহকে অবিশ্বাস করে?” এরপর সে যা শুনেছিল তাতে চরম ঘৃণায় তার পেটে খামছি দিয়ে ধরে বমি করে দিল।

“তাহলে তাদের কি হলো যে তারা ঈমান আনে না।” (৮৪-সূরা আল ইনশিকাক: আয়াত-২০)

“আকাশ ও পৃথিবীর প্রভুর শপথ করে বলছি যে, এসব তেমনই সত্য যেমন সত্য একথা যে, ‘তোমরা কথা-বার্তা বল’, [অৰ্থাৎ তোমরা (অধিকাংশ লোক) যেমন বোবা নও বরং কথা-বার্তা বল- একথা যেমন সত্য, আমার একথাও তেমনই সত্য।]” ৫১-সূরা আয় যারিয়াত: আয়াত-২৩)

প্রত্যেকের উচিত তার প্রভুর সম্বন্ধে সুধারণা পোষণ করা ও তার করুণা ও দয়া তালাশ করা। একটি সহীহ হাদীসে আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আমাদের প্রভু হাসেন। একথা শুনে এক বেদুঈন বলেছিল, “আমরা এমন প্রভুহীন নই যিনি ভালোভাবে হাসেন (অর্থাৎ আমাদের এমন প্ৰভু আছেন যিনি ভালোভাবে হাসেন)”

“আর তারা হতাশ হয়ে যাবার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন।” (৪২-সূরা আশ শুরা: আয়াত-২৮)

“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।” (৭-সুরা আল আরাফ: আয়াত-৫৬)

“যেনে রাখ; নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-২১৪)

সফল লোকদের জীবনী পড়ে জানা যায় যে তাদের কতিপয় সাধারণ জিনিস ছিল হয়তো তা তাদের পরিবেশে, গুণে বা ঐ পরিস্থিতিতে যা তাদের সফলতাকে ঘিরে ছিল। সফল লোকদের জীবনী পাঠ করে আমি কতিপয় সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি- তা আমি নিম্নে পেশ করছি-

১. লোকের মূল্য তার সৎকর্মের উপর নির্ভর করে। একথা আলী (রাঃ) বলেছেন। এর অর্থ হলো যে, কারো জ্ঞান, চরিত্র, ইবাদত ও উদারতা মাহাত্ম্য হলো এমন গজকাঠি যা দ্বারা তার মূল্যায়ন করা হয়।

“মুশরিক (স্বাধীন) পুরুষ তোমাদের বিক্ষিত করলেও তার চেয়ে মু’মিন কৃতদাস ভালো।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২২১)

২. ইহকাল ও পরকালের জন্য কারো জীবন যাত্রার মান তার প্রত্যয়, প্রচেষ্টা ও উৎসর্গের উপর নির্ভর করে।

আর যদি তারা বের হওয়ার ইচ্ছা করত তবে অবশ্যই তারা এর জন্য কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করত।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-৪৬)

“এবং আল্লাহর পথে প্রকৃত জিহাদ কর।” (২২-সূৱা আল-হাজ্জ: আয়াত-৭৮)

৩. আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিটি লোকই তার নিজের ইতিহাস রচয়িতা। সে তার ভালো-মন্দ কর্মের মাধ্যমে তার জীবনেতিহাস লিখে।

“তাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল কীর্তিই আমি লিখে রাখি।” (৩৬-সূরা ইয়াসিন: আয়াত-১২)

৪. জীবন সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত চলে যায়। পাপ করে, দুশ্চিন্তা করে বা ঝগড়া করে একে আরো সংক্ষিপ্ত করবেন না।

“সে দিন তারা মনে করবে যেন তারা পৃথিবীতে এক সন্ধ্যা বা এক সকালের চেয়ে বেশি কাল ছিল না।” (৭৯-সূরা আন নাযিআত: আয়াত-৪৬)


যে কাজ করলে সুখ বয়ে আনে

১. আমলে সালেহ বা নেক আমল বা পুণ্যকর্ম বা সৎ কাজ বা ভলো কাজ :

“মু'মিন পুরুষ বা মহিলা যে কেহ আমলে সালেহ করে তাকে আমি পবিত্র তথা উত্তম জীবন যাপন করাব।” (১৬-সূরা আন নাহল: আয়াত-৯৭)

২. নেক বিবি বা ধাৰ্মিক স্ত্রী :

“হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে চোখ জুড়ানো স্ত্রী-পুত্র কন্যা দান করুন।” (২৫-সূরা আল ফুরকান : আয়াত-৭৪)

৩. একটি প্রশস্ত বাড়ি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “হে আল্লাহ! আমার বাড়িকে আমার জন্য প্রশস্ত করে দিন।”

৪. হালাল রুজী : আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ্ পবিত্র, পবিত্র জিনিস ছাড়া অন্য কিছু তিনি কবুল (গ্রহণ) করেন না।”

৫. উত্তম আচরণ ও মানুষের প্রতি দয়া-মমতা স্নেহ পরায়ণতা।

“এবং আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে সৌভাগ্যবান করেন।” (১৯-সূরা মারইয়াম: আয়াত-৩১)

৬. অভাবমুক্ত হওয়া এবং বেপরোয় খরচকারী না হওয়া।

“এবং তারা যারা অপচয়ও করে না এবং কার্পণ্যও করে না।” (২৫-সূরা আল ফুরকান: আয়াত-৬৭)

وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَّحْسُورًا

এবং (কৃপণের মতো) তোমার হাতকে তোমার ঘাড়ের নিকট গুটিয়ে রেখো না এবং (অপচয়কারীর মতো) তোমার হাতকে পুরাপুরি প্রশস্ত করে দিও না। (১৭-সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত-২৯)


সুখের মূল উপকরণ

১. কৃতজ্ঞ আত্মা এবং আল্লাহর জিকিরে সিক্ত জিহা।

একজন আরব কবি বলেছেন-

شكــــر وذكـــــــــر وصبر ٭ فيــــــها نعيم وأجــــــر

কৃতজ্ঞতা, জিকির ও ধৈর্যের মাঝেই রয়েছে নেয়ামত (সুখ-শান্তি) ও (পরকালীন) পুরস্কার।”

২. সুখের আরেকটি উপাদান হলো গোপনীয়তা রক্ষা করা, বিশেষ করে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা। আরবদের মাঝে এক বেদুঈনের এক প্রসিদ্ধ ঘটনা প্রচলিত আছে। বিশ দিনারের বদলে সে একটি বিষয় গোপন রাখার অঙ্গিকার করেছিল। প্রথমে সে চুক্তির প্রতি সৎ ছিল অর্থাৎ চুক্তি রক্ষা করেছিল; কিন্তু পরে হঠাৎ করে অধৈর্য হয়ে সে গিয়ে টাকাটা ফেরৎ দিয়ে দিল- সে গোপনীয়তা রক্ষা করার বোঝা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছিল (বিধায় এ কাজ করেছিল)। এমনটি হওয়ার কারণ এই যে, গোপনীয়তা রক্ষা করতে দৃঢ়তা, ধৈর্য ও ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন।

“হে আমার বৎস! তোমার ভাইদের নিকট তোমার স্বপ্ন বর্ণনা করিও না।” (১২-সূরা ইউসুফ: আয়াত-৫)

মানুষের বহুবিধ দুর্বল বৈশিষ্ট্যের মাঝে একটি দুর্বলতা এই যে, সে তার নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারাদি অন্যের কাছে ব্যক্ত করার সদা এক বেগ অনুভব করে। ঐতিহাসিক বিবরণীতে দুর্বলতা খুবই পুরাতন। মন গোপন বিষয় ও গল্প প্রচার করতে ভালোবাসে । যে ব্যক্তি তার গোপন বিষয় প্রচার করবে সে অতি অবশ্যই অনুতপ্ত, দুঃখিত ও দুর্দশাগ্রস্ত হবে।

“সে যেন সতর্ক থাকে এবং কাউকে তোমাদের সম্বন্ধে জানতে না দেয়।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত-১৯)


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 




********************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url