আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন (পর্ব-১৪) || রিযিকের জন্য দুশ্চিন্তা নয় || নির্জনতা ও নির্জন বাসের উপকারিতা ||
রিযিকের জন্য দুশ্চিন্তা করবেনা কারণ রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ স্বয়ং নিয়েছেন
এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
রিযিকের জন্য দুশ্চিন্তা নয়
যিনি রিযিক যোগান তিনি অবশ্যই আল্লাহ। তিনি নিজের উপর এটা বাধ্যতামূলক করে নিয়েছেন যে, তিনি তার বান্দাদের জন্য যে রিজিক লিখে রেখেছেন তা তিনি তাদের নিকট পৌছে দিবেন।
“এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযিক ও যা কিছু তোমাদেরকে ওয়াদা করা হয়েছে তাও।” (৫১-সূরা আয যারিয়াত: আয়াত-২২)
সৃষ্টির রিযিক আল্লাহই যদি যোগিয়ে থাকেন তবে কেন মানুষকে তোষামোদ করা? তবে কেন অন্যের থেকে নিজের রিযিক পাওয়ার আশায় তার সামনে নিজেকে নীচু করতে হবে?
وَمَا مِن دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا
“এবং পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে সবার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহরই।” (১১-সূরা হুদ: আয়াত-৬)
“আল্লাহ মানুষের জন্য যে দয়ার ভাণ্ডার খুলে দেন তা কেউ রদ বা বন্ধ করতে পারবে না, আর যা তিনি (পাঠানো) বন্ধ করে দেন তারপর কেউ তা পাঠাতে পারবে না।” (৩৫-সূরা ফাতির: আয়াত-২)
দুশ্চিন্তা করবেন না : দুর্বিপাক সহ্য করাকে সহজ করার উপায় আছে। নিম্নে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-
১. মহান আল্লাহর কাছ থেকেই পুরস্কার ও প্রতিদান আশা করা : “শুধুমাত্র ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার বেহিসাবে (অধিক পরিমাণে) দেয়া হবে।” (৩৯-সূরা আয যুমার: আয়াত-১০)
২. যারা দুর্দশাগ্রস্ত এবং একটু শান্ত্বনা পাবার আশায় আছে তাদেরকে দেখতে যাওয়া। এ হিসেবে আপনি অন্যান্য অনেকের চেয়ে অনেক ভালো আছেন।
একজন কবি বলেছেন-
“আমার চারিদিকে বহু বিলাপকারীরা যদি না থাকত যারা তাদের ভাইদের জন্য কান্না করে, তবে আমার নিজের জীবনটাই আমি নিজে ছিনিয়ে নিতাম।”
অতএব, আপনার চারদিকে যারা আছে তাদর দিকে লক্ষ্য করুন। এমন একজনও পাবেন না যাকে দুঃখ-অভাব-অনটন বা দুর্দশায় পেয়ে বসেনি।
অন্যদের তুলনায় আপনার পরীক্ষা সহজই
আপনি যদি একথা জেনে থাকেন যে, আপনার পরীক্ষা আপনার ধর্মীয় বিষয়ে নহে, বরং আপনার পার্থিব ব্যাপারে তবে সন্তুষ্ট থাকুন। যা ইতোমধ্যে ঘটে গেছে তা রদ করার জন্য কোন ছল-চাতুরীই কাজে লাগান যেতে পারে না। একজন কবি বলেছেন-
فاترك الحيلة في تحويلها ٭ إنما الحيلة في ترك الحيل
“পরিস্থিতি বদলানোর জন্য কোন কৌশলই অবলম্বন করো না, কেননা, সব কৌশল ত্যাগ করাই হলো আসল কৌশল।” একথা বুঝার চেষ্টা করুন যে, আপনার জন্য কি ভালো আর কি ভালো না তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব আল্লাহরই-
وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ
এমনও হতে পারে যে, তোমাদের যা কল্যাণকর তাই তোমরা অপছন্দ করছ।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-২১৬)
অন্যদের ব্যক্তিত্বের অনুকরণ করবেন না
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ
“প্রত্যেক জাতির জন্যই একটি দিক আছে যেদিকে সে মুখ করে। অতএব, তোমরা নেক কাজে প্রতিযোগিতা কর।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-১৪৮)
“এবং তিনিই তোমাদেরকে (একের পর এক আগমনকারী, একের স্থলে অন্যকে স্থাপন করে) পৃথিবীতে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন এবং তোমাদের কাউকে মর্যাদায় অন্যের উপরে স্থান দিয়েছেন।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-১৬৫)
قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَّشْرَبَهُمْ
প্রতিটি (দল) লোকই তাদের পানির ঘাট চিনে নিয়েছিল।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-৬০)
“প্রতিটি লোকেরই তার নিজস্ব মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও পছন্দ-অপছন্দ আছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্রের একটি দিক ছিল তার পরিচালনা করার যোগ্যতা; তিনি সাহাবীদেরকে প্রত্যেকের মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে কাজে লাগাতেন। আলী (রাঃ) সৎ ও বিজ্ঞ ছিলেন; তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ)-কে ইলমের জন্য, উবাই (রাঃ)-কে কুরআনের জন্য, যায়িদ (রাঃ)-কে ফরায়েযের জন্য, খালিদ (রাঃ)-কে জিহাদের জন্য, হাসসান (রাঃ)-কে কবিতার জন্য এবং কায়েস ইবনে সাবিত (রাঃ)-কে জনসমক্ষে বক্তৃতা দেয়ার জন্য কাজে লাগিয়ে ছিলেন।
যে কোন কারণেই হোক, অন্যের ব্যক্তিত্বে নিজেকে বিলীন করে দেয়া আত্ম হত্যার শামিল। অন্যের প্রাকৃতিক স্বভাবকে অনুকরণ করা নিজেকে মৃত্যুর আঘাত হানার শামিল। আল্লাহর যে সমস্ত নিদর্শনাবলিতে সকলের বিক্ষিত হওয়া উচিত তার মধ্যে মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্টাবলি অন্যতম যেমন তাদের মেধা, তারা যে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে তা এবং তাদের বিভিন্ন রং। উদাহরণস্বরূপ, আবু বকর (রাঃ) তার ভদ্রতা ও উদারতার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিম জাতির অনেক উপকার করেছেন। অপর পক্ষে, ওমর (রাঃ) তার দৃঢ় আচরণ, কঠোর আত্মসংযম ও অনাড়ম্বতার দ্বারা ইসলাম ও এর অনুসারীদেরকে সাহায্য করেছেন। তাই আপনার সহজাত প্রতিভা ও অক্ষমতাতে সন্তুষ্ট থাকুন। সেগুলোকে উন্নত করুন। সেগুলোকে প্রসারিত করুন এবং সেগুলো হতে উপকৃত হোন।
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا
“আল্লাহ কারো উপর তার সাধ্যাতীত বোঝা চাপান না।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-২৮৬)
নির্জনতা ও নির্জন বাসের উপকারিতা
সঠিকভাবে বুঝে কাজে লাগাতে পারলে নিঃসঙ্গতা খুবই উপকারী। ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ বলেন-
“ইবাদত, সালাত, দোয়া, জিকির, কুরআন তেলাওয়াত এবং নিজেকে এবং নিজের আমলের মূল্যায়ন করার জন্য ইবাদতগুজার বান্দার মাঝে মাঝে নিঃসঙ্গ হওয়া বা নির্জনবাস করা উচিত। প্রার্থনা করতে, গুনাহ মাফ চাইতে, পাপ কাজ হতে দূরে থাকতে ও ইত্যাদি নেক আমল করতেও একাকীত্ব বান্দাকে সাহায্য করে।”
ইমাম ইবনুল জাওজী তার বিখ্যাত কিতাব ‘সাইদুল খাতির’-এর তিনটি অধ্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “আমি এমন কিছু দেখিনি বা এমন কোন কিছুর কথা শুনিনি যা নির্জনতার সমান শান্তি, সম্মান ও মর্যাদা এনে দিতে পারে। এটা বান্দাকে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে, এটা তার সম্মান রক্ষা করে, এবং এটা সময় বাঁচায়। নির্জনতা আপনাকে হিংসুকদের থেকে দূরে রাখবে এবং যারা আপনার বিপদে খুশি হয় তাদের থেকেও আপনাকে দূরে রাখবে। এটা আখেরাতের স্মরণকে বৰ্দ্ধিত করে এবং এটা বান্দাকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের কথা ভাবায়। নির্জনবাসের সময় বান্দার চিন্তা যা উপকারী এবং যাতে হেকমত বা প্রজ্ঞা আছে তাতে ঘুরে বেড়াতে পারে।”
নির্জনতার পুরো উপকারিতা একমাত্র আল্লাহই জানেন; কেননা, নির্জন বাসে বান্দার মন উন্নত হয়, দৃষ্টিভঙ্গি পরিপক্ক হয়, আত্মা শান্তি পায় এবং বান্দা নিজেকে ইবাদতের আদর্শ পরিবেশে দেখতে পায়। মাঝে মাঝে একাকী থেকে বান্দা নিজেকে ফেতনা-ফাসাদ থেকে, যে লোক প্রশংসার যোগ্য নয় তার তোষামোদ করা থেকে এবং হিংসুকের চোখ বা নজর থেকে দূরে রাখতে পারে। এভাবে সে অহংকারীদের ঔদ্ধত্য ও বোকাদের পাপ কাজসমূহ থেকে দূরে থাকতে পারে। নিঃসঙ্গতায় ভুল-ভ্রান্তি, কাজ-কারবার এবং কথা-বার্তা সব কিছুই একটি পর্দার আড়ালে নিঃসঙ্গ হয়ে থাকে।
নিঃসঙ্গ সময় যাপনকালে ধ্যান-ধারণা ও মতবাদের সাগরের গভীরে ডুব দেয়া যায়। এমন সময়ে মন তার মতামত গ্রহণের মতো মুক্ত ও স্বাধীন থাকে। অন্যদের সাহচর্য হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মা পরমানন্দ লাভ করতে এবং উদ্দীপক চিন্তা-ভাবনা তালাশ করতে মুক্তি পায়। একাকী থাকাকালে মানুষ কোন কিছুই দেখানোর জন্য বা জাঁক দেখানোর জন্য অথবা বড়াই করার জন্য করে না; কেননা, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তাকে দেখে না এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তার কথা শুনতে পায় না।
প্রতিভাবান, বড় মাথা ওয়ালা (অর্থাৎ মেধাবী) অথবা মানব জাতির প্রতিভার মহান স্বাক্ষর আছে এমন প্রতিটি ব্যক্তিই নির্জনতার কূপের (পানি) দ্বারা তার মহত্বের বীজকে সিক্ত করেছিল। তারপর সে বীজ থেকে চারা গাছ, অবশেষে সে চারা বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
কাযী জুরযানি (রহঃ) বলেছেন-
“গৃহ ও পুস্তকের সঙ্গী হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি জীবনের স্বাদ গ্রহণ করতে পারিনি। জ্ঞানের চেয়ে বেশি সম্মানজনক আর কিছুই নেই, তাই আমি অন্য কিছুতে সঙ্গী খুঁজি না, আসলে জনগণের সাথে মাখামাখি করলেই মানহানি ঘটে। অতএব তাদেরকে ত্যাগ কর এবং মহৎভাবে ও মর্যাদান্বিতভাবে জীবন যাপন কর।”
আরেকজন বলেন-
“আমি নিঃসঙ্গতার মাঝে সঙ্গী খুঁজে পেয়েছি এবং পরম আগ্রহের সাথে আমার গৃহেই অবস্থান করেছি। তাই আমার সুখ স্থায়ী হয় এবং আমার সুখ বৃদ্ধি পায়। আমি মানবসঙ্গ ত্যাগ করেছি এবং আমি ভ্ৰক্ষেপ করিনি যে, সেনাবাহিনী আগে বেড়ে গেল না-কি বাদশাহ আমাদেরকে পরিদর্শন করতে এসেছেন।”
আহমদ ইবনে খলীল হাম্বলী বলেছেন-
“যে দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর আশা থেকে মর্যাদা ও শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করে, সে যেন মানুষ থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং অল্পে তুষ্ট থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে ক্ষতিকর জীবন-জাপন করবে ততক্ষণ পর্যন্ত, প্রতারকদের মাঝে থেকে প্রতারিত হয়ে, আত্মম্ভরী বা অহংকারীদেরকে তোষামোদ করে, হিংসুকের হিংসার আগুন সহ্য করে, এবং কৃপণ ও বদমেজাজীদেরকে সহ্য করে কীভাবে সে জীবনে আনন্দ পেতে পারে? মানুষ, তাদের নানান পথ ও তাদের বোকামির সাথে পরিচিত হওয়া ধ্বংসের শামিল!”
ইবনে ফারিস বলেছেন-
“তারা জিজ্ঞেস করেছিল, আমি কেমন আছি সে কথা, আর আমি বলেছিলাম, ভালো আছি, তোমাদেরকে ধন্যবাদ; একটি অভাব পূর্ণ হয়েছে আরেকটি অবহেলিত হয়ে আছে, যাতনা যখন এমনই তখন আমার আত্মা সংকুচিত হয়ে যায়, আমি বলি একদিন হয়ত কোন সাহায্য আসবে। আমার সঙ্গী হলো আমার বিড়াল এবং আমার আত্মার সঙ্গী হলো আমার কিতাবাদি। আর আমার ভালোবাসার বস্তু হলো আমার যামিনী-দীপ (বা রাতের বাতি)।”
সংকটে বিচলিত হবেন না
অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট ইত্যাদি আপনার আত্মাকে শক্তিশালী বা আপনার মনকে শক্ত করবে, এতে আপনার পাপ মাফ হবে এবং এটা আপনার অহংকার ও ঔদ্ধত্যকে দমন করতে সাহায্য করবে। আপনার স্মরণ হতে পারে যে, সঙ্কটের সময় আপনি বাজে কথা বাদ দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করেছেন। যখন আপনি দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছিলেন, অন্যেরা তখন আপনার দিকে ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং আপনি ধাৰ্মিকদের দোয়ার বরকতে ধন্য হয়েছেন। এমন সময়ে আপনি স্বেচ্ছায় এবং বিনীতভাবে নিজেকে তার ইচ্ছা ও আদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
দুঃখ-কষ্ট সতর্কতা বয়ে আনে এবং সঙ্কট কেবলি ব্যক্তিকে শয়তানের পথ অনুসরণ করার বিরুদ্ধে পূর্ব সতর্কতা যোগায়। যার উপর বিপদ এসেছে অথচ ধৈর্যের সাথে সাহসিকতা প্রদর্শন করতে পারে; তার অবস্থা তার মতো নয়- যে না-কি পার্থিব আমোদে মত্ত আছে, বরং তার অবস্থা তাকে তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সহায়তা করে। তিনি নিরপেক্ষভাবে এ দুনিয়াকে বিচার করে দেখতে সক্ষম এবং এভাবে তিনি জানতে পারেন যে, এটা এমন কিছু নয় যার দিকে ঝুঁকে পড়তে হবে বা যার লোভ করতে হবে। মাঝে মাঝে সঙ্কটের মোকাবেলায় প্রজ্ঞা ও কল্যাণ লাভ করা যায়। যদিও আমরা তা না বুঝতে পারি বা যদি তা আমাদের বুঝে নাও আসতে পারে তবুও তা নিশ্চিতভাবেই আছে এবং সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের তা জানা আছে।
খারাপ পরিস্থিতির জন্য বিষন্ন হবেনা না
বিষন্ন হবেন না, কারণ, বিষন্নতা আপনার ইচ্ছা শক্তিকে দুর্বল করে দিবে এবং আপনার ইবাদতের মানও কমিয়ে দিবে। বিষন্নতার অতিরিক্ত আরো কিছু ক্ষতি হলো যে এটা মানুষকে প্রায়ই নিরাশাবাদী করে তোলে এবং অন্যের ছিদ্রান্বেষী করে তোলে। এমনকি তা আল্লাহর দোষ ধরতেও বাধ্য করে, নাউযুবিল্লাহ!
বিষন্ন হবেন না, কারণ, বিষণ্ণতা, দুঃখ-বেদনা, উদ্বিগ্নতা ও মানসিক সমস্যার মূল এবং যাতনার উৎস। দুঃখিত হবেন না, কেননা, আপনার নিকটে তো কুরআন, দোয়া, জিকির ও সালাত আছে। আপনি অন্যকে দান করে, সৎকাজ করে এবং উৎপাদনশীল হয়ে আপনার দুশ্চিন্তার বোঝা হালকা করতে পারেন।
বিষন্ন হবেন না এবং অলসতার ও অকৰ্মন্যতার পথ গ্রহণ করে বিষগ্নতার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না; বরং প্রার্থনা করুন, আপনার প্রভুর মহিমা ঘোষণা করুন বা তার তসবীহ পাঠ করুন, পড়া লেখা করুন, কাজ করুন, আত্মীয়-স্বজনদের দেখতে যান এবং নীরবে নির্জনে ধ্যান করুন।
“সাহায্যের জন্য আমাকে মিনতিপূর্ণভাবে আহবান কর, তাহলেই আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।” (৪০-সূরা আল মু’মিন: আয়াত-৬০)
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
“তোমরা তোমাদের প্রভুকে বিনীতভাবে ও গোপনে ডাক। তিনি সীমালঙ্ঘণকারীদের ভালোবাসেন না।” (৭-সূরা আল আ'রাফ: আয়াত-৫৫)
“অতএব, তোমরা আল্লাহর ইবাদতে একনিষ্ট হয়ে তাকে ডাক; যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। (৪০-সূরা আল মু’মিন: আয়াত-১৪)
قُلِ ادْعُوا اللَّهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمَٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ
“বলুন, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে ডাক অথবা “আর রহমান তথা পরম করুণাময়” নামে ডাক (তাতে কিছু যায় আসে না) কেননা, সকল সুন্দর নামসমূহইতো তার।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত-১১০)
“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব ৪র্থ পর্ব ৫ম পর্ব ৬ষ্ট পর্ব ৭ম পর্ব ৮ম পর্ব ৯ম পর্ব ১০ম পর্ব ১১-তম পর্ব ১২-তম পর্ব ১৩-তম পর্ব ১৪-তম পর্ব ১৫-তম পর্ব ১৬-তম পর্ব ১৭-তম পর্ব ১৮-তম পর্ব ১৯-তম পর্ব ২০-তম পর্ব ২১-তম পর্ব ২২-তম পর্ব ২৩-তম পর্ব ২৪-তম পর্ব ২৫-তম পর্ব ২৬-তম পর্ব ২৭-তম পর্ব ২৮-তম পর্ব ২৯-তম পর্ব ৩০-তম পর্ব ৩১-তম পর্ব ৩২-তম পর্ব ৩৩-তম পর্ব ৩৪-তম পর্ব ৩৫-তম পর্ব ৩৬-তম পর্ব ৩৭-তম পর্ব ৩৮-তম পর্ব
****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url