আশুরা এর তাৎপর্য ও ফযীলত || ঐতিহাসিক কারবালার ঘটনা || আশুরার মূল শিক্ষা ||






আশুরার তাৎপর্য ও কারবালার রক্তাক্ত ঘটনা


আশুরা ও কারবালার ঘটনার আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

আশুরা কি? এ বছর পবিত্র আশুরা কবে?


আজ ৩১শে জুলাই ২০২২ তথা ১লা মহরম। আরবী/হিজরি সনের প্রথম মাসের প্রথম দিন। ইসলামি ক্যালেন্ডার হিসেবে হিজরি সনের প্রথম মাসের প্রথম দিন বা হিজরি নবর্বষ বলে থাকি। হিজরি সনের প্রথম মাস মহরম আল্লাহ তায়ালার নিকট সম্মানিত চার মাসের এক মাস।  ১০ই মহরম পবিত্র আশুরা। ৯ই আগষ্ট ২০২২ তারিখে মুসলিম বিশ্বে এবছর পবিত্র আশুরা পালিত হবে। মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ আরবি ‘আশারা’ থেকে এর উৎকলণ। যার অর্থ হচ্ছে দশ। তাই এ মাসের দশ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলে অবহিত করা হয়।

কল্প কাহিনী, মিথ্যা বানোয়াট ও জাল হাদিসের আশুরা

আদিকাল থেকেই যুগে যুগে আশুরার এই দিবসে বহু স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা আমরা পবিত্র কোরআনে ও হাদিস শরীফ থেকে জানতে পাই। হাদিসে এসেছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেদিন আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জান্নাত-জাহান্নাম, লাওহে মাহফুজ ও যাবতীয়  সৃষ্টিজীবের আত্মা সৃজন করেছেন সে দিনটি ছিল ১০ই মহারম তথা পবিত্র আশুরা দিবস। আবার এ দিনেরই কোনো এক জুমাবারে হযরত ইসরাফিল (আঃ) এর ফুঁৎকারে নেমে আসবে মহা প্রলয়। পবিত্র কোরআনের ভাষায় যাকে বলা হয় কেয়ামত। এ দিনের বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট কল্প কাহিনীরও শেষ নেই। হাদিস গ্রন্থগুলোতেও এই দিনের ফজিলত ও তাৎপর্যের উপর রয়েছে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট ও জাল হাদিস। 

মহরম ও আশুরা নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও জালিয়াতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন-

আশুরা এর তাৎপর্য ও ফযীলত

সহীহ হাদীসে এ মাসকে  ‘আল্লাহর মাস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং এ মাসের নফল সিয়াম সর্বোত্তম নফল সিয়াম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সহীহ মুসলিমে সংকলিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

أفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ  

‘‘রামাদানের পরে সর্বোত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মহরম মাস।’’

এ মাসের ১০ তারিখ ‘আশুরা’র দিনে সিয়াম পালনের বিশেষ ফযীলত রয়েছে। আশুরার সিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

يُكَفِّرُ السَّنَةَ الْمَاضِيَةَ  

‘‘এ দিনের সিয়াম গত এক বছরের পাপ মার্জনা করে।’’

এ দিনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে সিয়াম পালন করতেন, তাঁর উম্মাতকে সিয়াম পালনে উৎসাহ দিয়েছেন এবং ১০ তারিখের সাথে সাথে ৯ বা ১১ তারিখেও সিয়াম পালন করতে উৎসাহ দিয়েছেন।

হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন; আমি নবী সা. কে আশুরার দিন এবং রামাযান মাস ব্যতীত কোন ফযীলতপূর্ণ দিনের রোযার খুব গুরুত্ব দিতে দেখিনি। অর্থাৎ নফল রোযার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ গুরুত্ব তিনি আশুরার রোযার ক্ষেত্রে দিতেন অন্য কোন রোযার ক্ষেত্রে এ পরিমাণ দিতেন না। (বুখারী, মুসলিম)

হযরত আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেন; আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি যে, আশুরার দিনে রোযা রাখলে পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (মুসলিম, ইবনে মাজাহ)

১০ই মহরমের শোকাবহ ঐতিহাসিক কারবালার ঘটনা

বর্তমানে মুসলমানদের কাছে এই দিনটি হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) শাহাদাৎ বর্ষিকী হিসেবে বেশি স্মরণীয়।  প্রায় এক হাজার ৩৩২ বছর আগে ৬১ হিজরির ১০ই মহররম ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রাঃ)। ইসলামের ঐতিহাসিক বিবরণী থেকে জানা যায়, খোলাফায়ে রাশেদীনের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) এর নির্মম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ) ও সিরিয়ার প্রাদেশিক  শাসনকর্তা হযরত মুয়াবিয়ার (রাঃ) এর মধ্যে যে সিফফিনের যুদ্ধ হয় এরই পরিপ্রেক্ষিতে খারেজিদের পাঠানো গুপ্তঘাতক আবদুর রহমান বিন মুলজিমের হাতে হযরত আলী (রাঃ) শাহাদৎবরণ করেন।  এরপর হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) খলিফা পদে আসীন হন। হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) খলিফা হওয়ার কিছু দিন পর  হযরত মুগীর (রাঃ) এর পরামর্শে হযরত আলী (রাঃ) এর বড় ছেলে  হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) এর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর পরিবর্তে তার নিজ পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফা হিসেবে ঘোষণা করেন মুয়াবিয়া। ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াজিদ খলিফা পদে আসীন হলে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাকে খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন। তিনি হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর রাজতান্ত্রিক উত্তরাধিকার মনোনয়নকে প্রত্যাখ্যান করেন।

সাধারণ মানুষ ইমাম হুসাইন (রাঃ)-কে খলিফা হিসেবে  চেয়েছিলেন। ইসলামী শরীয়ায় বংশানুক্রমিক শাসন হারাম তাই ইয়াজিদের কাছে বাইয়্যাত (আনুগত্য স্বীকার) নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হুসাইন (রাঃ) । ইতোমধ্যে ইরাকের কুফার অধিবাসীরাও ইয়াজিদকে খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের জন্য হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর কাছে প্রায় ৫০০টি চিঠি পাঠান। ইয়াজিদের শাসনের প্রতিবাদে ইমাম হুসাইন (রাঃ) মদীনা ছেড়ে মক্কায় চলে যান। পরে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে হিজরত করেন।

কুফাবাসীর কথায় আস্থা রেখে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণে সম্মত হন হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) । তিনি এ লক্ষ্যে কুফার প্রকৃত অবস্থা অবগত হওয়ার জন্য তার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে কুফায় পাঠান। মুসলিম কুফায় পৌঁছানের আগেই কুফাবাসী ও  হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর  অস্ত্রধারণের বিষয়টি ইয়াজিদ জেনে যান। ফলে তিনি কুফার শাসন-কর্তাকে বহিষ্কার করে আবদুল্লাহ বিন জিয়াদকে শাসক নিযুক্ত করেন। জিয়াদ দায়িত্ব গ্রহণ করেই কুফাবাসীকে অর্থের বিনিময়ে এবং প্রাণের ভয় দেখিয়ে ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করেন। এছাড়া কুফাবাসীর চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যও এর জন্য কম দায়ী ছিল না।

হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ফলে হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) যখন কুফাবাসীদের সাহায্য করার জন্য ইরাক সীমান্তে হাজির হন তখন তিনি ইয়াজিদ প্রেরিত সৈন্য ছাড়া কোনও কুফাবাসীর অস্তিত্ব খুঁজে পেলেন না। এমতাবস্থায় তিনি প্রতিশ্রুত সাহায্য প্রাপ্তির আশায় ফোরাত নদীর তীরে কারবালায় শিবির স্থাপন করে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত কুফাবাসীদের ছায়াও খুঁজে না পেয়ে তিনি ইয়াজিদের বাহিনীর নিকট তিনটি প্রস্তাব করেনঃ

১। তাকে মদিনায় ফেরত যেতে দেওয়া হোক।
২। তুর্কি সীমান্তের দুর্গে প্রেরণ করা হোক, যেন তিনি জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
অথবা 
৩। তাকে নিরাপদে ইয়াজিদের সাক্ষাৎ লাভের সুযোগ করে দেওয়া হোক। 

কিন্তু ইয়াজিদ বাহিনী তার কোনও অনুরোধই রাখলো না। ইয়াজিদের সৈন্যদের অবরোধে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর শিবিরে খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নারী-শিশু সবাই পানির জন্য কাতর হয়ে পড়েন। কিন্তু ইমাম হুসাইন (রাঃ) আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। অবশেষে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম ইয়াজিদের বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ইমাম হুসাইন (রাঃ)।

কারবালার প্রান্তরে শাহাদাৎ বরণ

কারবালার প্রান্তরে মাত্র ৩০ জন অশ্বারোহী, ৪০ জন পদাতিক এবং ১৭ জন নারী-শিশু নিয়ে তিনি ইয়াজিদ বাহিনীর মোকাবিলায় অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন। যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ৭২ জন সহযোদ্ধাসহ তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। সীমার ইবনে জিলজুশান নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইন (রাঃ)-কে হত্যা করেন।

ইয়াজিদ বাহিনীর নিষ্ঠুরতা আজও গোটা বিশ্ববাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর সাথে আসা শিশু বাচ্চাগুলো যখন তৃষ্ণায় কাতর হয়ে ছিলো এবং ফোরাত নদীর পানি পান করার জন্য ছটফট করছিলো তারা ঐ ফুলের মত মাসুম বাচ্চা গুলোকেও একফোটা পানি পান করতে দেয় নি। তাছাড়াও তারা হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর দেহ থেকে মাথা ছিন্ন করে কুফায় দুর্গে নিয়ে যায়।  উবায়দুল্লাহ ওই ছিন্ন মস্তককে বেত্রাঘাত করে উল্লাস প্রকাশ করেন। ওই নিষ্ঠুরতা দেখে একজন কুফাবাসী ‘হায়!’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। সেদিন থেকে শিয়া বা আলী (রাঃ) এর সমর্থকরা ‘হায় হুসেন’ বলে আশুরার দিন মাতম করেন বলে প্রচলিত আছে।

আশুরার মূল শিক্ষা

যদিও আশুরার মূল শিক্ষা হচ্ছে ধৈর্য্য ও ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া। হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে বিরত থাকা সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করায় আত্মনিয়োগ করাই আশুরার মূল শিক্ষা

শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরণা যোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা যোগায়।

এই পবিত্র দিনকে নিয়ে আমরা অনেকে অনেক কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের বর্জন করে চলা উচিত যেমনঃ

হযরত হুসাইন (রাঃ) এর কথা স্মরণ করে কারবালার কথা স্মরণ করে যা কিছু করা হচ্ছে, যেমনঃ মাতম করা হচ্ছে, বুক চাপড়ানো হচ্ছে, হায় হুসাইন হায় হুসাইন, ইয়া আলী! বলে আবেগ জাহির করা হচ্ছে, শোক মিছিল করা হচ্ছে, তাযিয়া বের করা হচ্ছে, এগুলো মানুষের সৃষ্টি করা কুসংস্কার। কুরআন ও হাদীসে এর কোন ভিত্তি নেই। বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায় অনুসারীরাের সাথে বেশি লিপ্ত আর তাদের দেখাদেখি  অন্যান্য  সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর মধ্যেও এগুলো চালু হয়েছে।.........................


আশুরা নিয়ে ইমাম শাফেয়ীর (র.)'র শোকের কবিতা


"আমার বেদনার প্রতিক্রিয়ায় হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে গেল এবং আমার নিদ্রা হরণ করে নিল, এরপর নিদ্রা যে কতদূর?.... কে আমার বাণীকে হুসাইনের কাছে পৌঁছে দেবে?... আলে মুহাম্মাদের (মুহাম্মাদের বংশধরদের) জন্য দুনিয়া প্রকম্পিত হবে, যেহেতু অচিরেই তাঁদের (বেদনার) কারণে পাহাড়গুলো বিগলিত হবে... মুহাম্মাদের বংশধরদের জন্য ভালবাসা যদি গুনাহ হয়ে থাকে তবে এ হচ্ছে সেই গোনাহ যা থেকে আমি কখনও তওবাহ করব না। কিয়ামতের দিন তারাই আমার শাফায়াতকারী যেদিন আমার গোনাহর পরিমাণ হবে অনেক বেশি; সেদিন তাঁরাই হবেন আমার সাহায্যকারী।"

আশুরা নিয়ে খাজা মুইনউদ্দিন চিশতি (র.)'র কবিতা


হুসাইন (আ.) (মুহাম্মদী) ধর্মের কর্ণধার বাদশাহ তুল্য, ধর্ম বলতে হুসাইনকেই বোঝায়, তিনি হলেন ধর্মের আশ্রয়। শির উতসর্গ করলেন কিন্তু বাইআত হলেন না ইয়াজিদের হাতে। তাই বাস্তবিকই বলা যায়, হুসাইন লা-ইলাহা ভিত্তিমূল। হে নবী-দুলাল, তোমার মস্তকেই নবির মুকুট শোভা পায়, হে সম্রাট, তোমার তরবারি নবীর (সা.) ন্যায়-বিচারের প্রতীক। .. যে কাজ কোনো নবীরা করার সুযোগ পায়নি, খোদার কসম, হুসাইন তুমি সে কাজ করেছ। (দিওয়ানই খাজা মুইনউদ্দিন চিশতি)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এগুলো থেকে হেফাযত করুন এবং আশুরার ফযীলত অর্জন করার তাওফীক দান করুন। আমীন। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হয়ে থাকে।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url