যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষিদ্ধ (১৭) || কাফির ও মুশরিকদের পূজ্য ব্যক্তিদেরকে গালি দেয়া || দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিংবা খানা খাওয়া ||






কাফির-মুশরিকরা যে ব্যক্তিকে বা যে বস্তুকে পূজা করে তাকে গালি দেওয়া যাবে না


এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

কিছু রোদ ও কিছু ছায়ায় বসা

কিছু রোদ ও কিছু ছায়ায় বসা
’আমর বিন্ আস্ওয়াদ্ ’আনসী (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈক সাহাবী বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْلِسَ بَيْنَ الضِّحِّ وَالظِّلِّ ، وَقَالَ : مَجْلِسُ الشَّيْطَانِ

‘‘রাসূল (সা.) রোদ ও ছায়ায় তথা শরীরের কিছু অংশ রোদে আর বাকি অংশ ছায়ায় এমনভাবে বসতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি আরো বলেছেনঃ এটি হচ্ছে শয়তানের বসা’’।[1]
[1] (আহমাদ্, হাদীস ১৫৪৫৯)

পায়ের উপর পা উঠিয়ে চিত হয়ে শোয়া

এক পায়ের উপর আরেক পা উঠিয়ে চিত হয়ে শোয়া
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا اسْتَلْقَى أَحَدُكُمْ عَلَى ظَهْرِهِ ؛ فَلاَ يَضَعْ إِحْدَى رَجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى

‘‘তোমাদের কেউ কখনো চিত হয়ে শয়ন করলে সে যেন তার একটি পা অন্য পায়ের উপর না উঠায়। কারণ, এতে করে তার সতরখানা খুলে যাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে’’।[1]
[1] (তিরমিযী, হাদীস ২৭৬৬)

কাফির ও মুশরিকদের পূজ্য ব্যক্তিদেরকে গালি দেয়া

কাফির ও মুশরিকদের পূজ্য ব্যক্তিদেরকে গালি দেয়া, চাই সে দেবতা হোক কিংবা নামধারী পীর-বুযুর্গ
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:

وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ

‘‘কাফির ও মুশরিকরা এক আল্লাহ্ ছাড়া যাদেরকে ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না তা হলে তারা বিদ্বেষ ও মূর্খতাবশত মহান আল্লাহ্ তা’আলাকেই গালি দিবে’’। (আন্’আম : ১০৮)

যদিও কাফির ও মুশরিকদের দেব-দেবীদেরকে গালি দেয়া জায়িয কিন্তু যখন তা মহান আল্লাহ্ তা’আলাকে গালি দেয়ায় পরোক্ষভাবে উৎসাহ জোগায় তাই তা আর প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে জায়িয থাকছে না।

দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিংবা খানা খাওয়া

বিনা প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পানি পান করা কিংবা খানা খাওয়া
আনাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِيْ رِوَايَةٍ : زَجَرَ عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا ، قَالَ قَتَادَةُ : فَقُلْنَا : فَالْأَكْلُ ؟ فَقَالَ : ذَاكَ أَشَرُّ أَوْ أَخْبَثُ

‘‘রাসূল (সা.) দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ধমক দিয়েছেন। হযরত ক্বাতাদাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন: তা হলে দাঁড়িয়ে খানা খাওয়া কেমন ? তিনি বললেন: তা হচ্ছে আরো নিকৃষ্ট এবং আরো নোংরা কাজ’’।[1]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) একদা জনৈক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখে বললেন: তুমি পানিগুলো বমি করে ফেলে দাও। সে বললো: কেন ? তিনি বললেনঃ তুমি কি চাও তোমার সাথে কোন বিড়াল পানি পান করুক ?! সে বললো: না। তখন তিনি বললেন:

فَإِنَّهُ قَدْ شَرِبَ مَعَكَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنْهُ ؛ الشَّيْطَانُ

‘‘আরে তোমার সাথে তো ইতিপূর্বে বিড়াল থেকেও আরো এক নিকৃষ্ট প্রাণী পান পান করেছে। আর সে হচ্ছে শয়তান’’।[2]

আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

لَوْ يَعْلَمُ الَّذِيْ يَشْرَبُ وَهُوَ قَائِمٌ مَا فِيْ بَطْنِهِ ؛ لاَسْتَقَاءَ

‘‘দাঁড়িয়ে পানি পানকারী যদি জানতো সে তার পেটে কি ঢুকিয়েছে তা হলে সে বমি করে তা ফেলে দিতো’’।[3]
[1] (মুসলিম, হাদীস ২০২৪)
[2] (আহমাদ্, হাদীস ৭৯৯০ বাযযার, হাদীস ২৮৯৬)
[3] (আব্দুর রাযযাক, হাদীস ১৯৫৮৮, ১৯৫৮৯ আহমাদ্, হাদীস ৭৭৯৫, ৭৭৯৬)

ইমাম সাহেবের মুক্বতাদীদের তুলনায় উঁচু জায়গায় দাঁড়ানো

কোন নামাযের ইমামতি করতে গিয়ে ইমাম সাহেবের মুক্বতাদীদের তুলনায় আরো উঁচু জায়গায় দাঁড়ানো
’হুযাইফাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا أَمَّ الرَّجُلُ الْقَوْمَ ؛ فَلاَ يَقُمْ فِيْ مَكَانٍ أَرْفَعَ مِنْ مَكَانِهِمْ

‘‘কেউ কারোর নামাযের ইমামতি করতে গেলে সে যেন তাদের চাইতে আরো উঁচু জায়গায় না দাঁড়ায়’’।[1]
[1] (আবু দাউদ, হাদীস ৫৯৮)

ক্ষত শুকানোর পূর্বেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা

কেউ কাউকে আঘাত করলে ক্ষত শুকানোর পূর্বেই উহার ক্ষতিপূরণ দাবি করা
’আমর বিন্ শু’আইব তাঁর পিতা থেকে তাঁর পিতা তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি একটি শিং দিয়ে তাঁর হাঁটুতে আঘাত করলে তিনি রাসূল (সা.) এর নিকট গিয়ে বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল (সা.)! আপনি তার থেকে আমার ক্বিসাস (আঘাতের পরিবর্তে আঘাত) নিন। রাসূল (সা.) বললেন: তুমি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করো। কিছু দিন পর তিনি আবারো রাসূল (সা.) এর নিকট গিয়ে বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল (সা.)! আপনি তার থেকে আমার ক্বিসাস নিন। তখন রাসূল (সা.) উক্ত ব্যক্তি থেকে তাঁর জন্য ক্বিসাস নিলেন। ইতিমধ্যে আরো কিছু দিন অতিবাহিত হলে তিনি আবারো রাসূল (সা.) এর নিকট গিয়ে বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল (সা.)! আমি তো এখন খোঁড়া হয়ে গিয়েছি। তখন রাসূল (সা.) বললেন:

قَدْ نَهَيْتُكَ فَعَصَيْتَنِيْ ، فَأَبْعَدَكَ اللهُ وَبَطَلَ عَرَجُكَ ، ثُمَّ نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْتَصَّ مِنْ جُرْحٍ حَتَّى يَبْرَأَ صَاحِبُهُ

‘‘আমি তো তোমাকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তুমি তা শুনোনি। আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে নিজ কৃপা থেকে দূরে রাখুন! তোমার খোঁড়ামির আর কোন ক্ষতিপূরণ নেই। অতঃপর রাসূল (সা.) কারোর আঘাতের ক্বিসাস নিতে করেছেন যতক্ষণ না আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে যায়’’।[1]
[1] (আহমাদ্, হাদীস ৭০৩৪ বায়হাক্বী, হাদীস ১৫৮৯৪ আব্দুর রাযযাক, হাদীস ১৭৯৯১ দারাক্বুত্বনী, হাদীস ২৪)

কোন পশুকে তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো

কোন পশুকে কারোর তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো
হিশাম বিন্ যায়েদ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি আমার দাদা আনাস্ (রা.) এর সাথে ’হাকাম বিন্ আইয়ূবের বাড়িতে গেলে তিনি দেখলেন, কিছু ছেলেপিলে একটি মুরগীকে বেঁধে রেখে সবাই তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করছে তখন তিনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُصْبَرَ الْبَهَائِمُ

‘‘রাসূল (সা.) কোন গৃহপালিত পশুকে আটকে রেখে তাকে লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন’’।[1]

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:

لَا تَتَّخِذُوا شَيْئًا فِيهِ الرُّوحُ غَرَضًا

‘‘তোমরা কোন প্রাণীকে তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানিও না’’।[2]
[1] (বুখারী, হাদীস ৫৫১৩ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৬ আবু দাউদ, হাদীস ২৮১৬)
[2] (বুখারী, হাদীস ৫৫১৫ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৭)

তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো পশুর গোস্ত খাওয়া

তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো কোন পশুর গোস্ত খাওয়া
আবুদ্দারদা’ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ الْـمُجَثَّمَةِ ، وَهِيَ الَّتِيْ تُصْبَرُ بِالنَّبْلِ

‘‘রাসূল (সা.) তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যবস্ত্ত বানানো কোন পশুর গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন’’।[1]
[1] (তিরমিযী, হাদীস ১৪৭৩)

আগুনে পোড়ানো কোন লোহা দিয়ে শরীরের দাগ দেয়া

চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আগুনে পোড়ানো কোন লোহা দিয়ে শরীরের যে কোন জায়গায় দাগ দেয়া
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

الشِّفَاءُ فِيْ ثَلاَثَةٍ : شَرْبَةِ عَسَلٍ ، وَشَرْطَةِ مِحْجَمٍ ، وَكَيَّةِ نَارٍ وَأَنْهَى أُمَّتِيْ عَنِ الْكَيِّ

‘‘তিন জিনিসে চিকিৎসা রয়েছে: মধু পানে, শিঙা লাগানোয় তথা শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করায় এবং আগুনে পোড়ানো লোহা দিয়ে শরীরের কোন জায়গায় দাগ দেয়ায়। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুনে পোড়ানো লোহা দিয়ে শরীরের কোন জায়গায় দাগ দিতে নিষেধ করছি’’।[1]

’ইমরান বিন্ ’হুস্বাইন (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْكَيِّ فَاكْتَوَيْنَا ، فَمَا أَفْلَحْنَا وَلاَ أَنْجَحْنَا

‘‘নবী (সা.) আগুনে পোড়ানো লোহা দিয়ে শরীরের কোন জায়গায় দাগ দিতে নিষেধ করেছেন। এরপরও আমরা আগুনে পোড়ানো লোহা দিয়ে শরীরে দাগ দিয়েছি। তবে আমরা এতে কোন সফলতা পাইনি। কখনো সফলকাম হইনি’’।[2]
[1] (বুখারী, হাদীস ৫৬৮০, ৫৬৮১)
[2] (আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৬৫)

যুদ্ধ ক্ষেত্রে কাফির মহিলা এবং বাচ্চাদেরকে হত্যা করা

যুদ্ধ ক্ষেত্রে কাফির মহিলা কিংবা বাচ্চাদেরকে হত্যা করা
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

وُجِدَتْ اِمْرَأَةٌ مَقْتُوْلَةٌ فِيْ بَعْضِ مَغَازِيْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَهَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ

‘‘রাসূল (সা.) এর সাথে কোন এক যুদ্ধে জনৈকা কাফির মহিলাকে হত্যাকৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে রাসূল (সা.) তখন থেকে কোন কাফির মহিলা কিংবা বাচ্চাকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন’’।[1]

[1] (বুখারী, হাদীস ৩০১৪, ৩০১৫ মুসলিম, হাদীস ১৭৪৪)


একজন মুসলিম হিসেবে যে কাজগুলো আপনার জন্য নিষেধ- এর সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুনঃ
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১তম পর্ব    ১২তম পর্ব    ১৩তম পর্ব    ১৪তম পর্ব    ১৫তম পর্ব  ১৬তম পর্ব    ১৭তম পর্ব    ১৮তম পর্ব    ১৯তম পর্ব    ২০ম পর্ব    ২১তম পর্ব    ২২তম পর্ব    ২৩তম পর্ব    ২৪তম পর্ব    ২৫তম পর্ব    ২৬তম পর্ব    ২৭তম পর্ব     ২৮তম পর্ব    ২৯তম পর্ব    ৩০ম পর্ব    ৩১তম পর্ব    ৩২তম পর্ব    ৩৩তম পর্ব    ৩৪ম পর্ব




********************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url