আল্লাহর উপর ভরসা || (পর্ব-৩৩) || তাহাজ্জুদ সালাত পড়ুন || সত্যিকার ভালবাসা ||







দুনিয়ায় ভ্রমণ করুন

নানা জায়গায় ভ্রমণ করা ও বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করা মনে সুখ বয়ে আনে। সেই সাথে মনের সুখের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করতে শিখুন। মহান আল্লাহ বলেছেন-

قُلِ انظُرُوا مَاذَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

“(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, “আসমানসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তোমরা তা দেখ।” (১৯-সূরা ইউনুসঃ আয়াত-১০১)

قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا

(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, “তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর ও দেখ।”

যে ব্যক্তি ইবনে বতুতার ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়বে সে আল্লাহর সৃষ্টি রহস্য জেনে বিস্ময়াভিভূত হয়ে যাবে যদিও উক্ত পুস্তকে কিছু বাড়াবাড়ি আছে। ভ্রমণ ও সৃষ্টির খোলা পুস্তক পাঠের মাধ্যমে ঈমানদারগণ রাজনৈতিক শিক্ষা লাভ করতে পারে। মহান আল্লাহ্‌ বলেন-

فَسِيحُوا فِي الْأَرْضِ

“অতএব তোমরা স্বাধীনভাবে পৃথিবীতে ভ্রমণ কর।” (৯-সূরা তাওবাঃ আয়াত-২)

حَتَّىٰ إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ

“এমনকি যখন তিনি সূর্যাস্তগমনের স্থানে পৌছে গেলেন।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত ৮৬)

لَا أَبْرَحُ حَتَّىٰ أَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ أَوْ أَمْضِيَ حُقُبًا

“যতক্ষণ পর্যন্ত না দু’সাগরের সঙ্গমস্থলে আমি পৌছব ততক্ষণ আমি (ভ্ৰমণ) ছাড়ব না অথবা (উদ্দিষ্ট স্থানে না পৌছতে পারলে) আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।” (১৮-সূরা আল কাহাফঃ আয়াত-৬০)

তাহাজ্জুদ সালাত পড়ুন

[অর্থাৎ, শেষ রাতে নফল (অতিরিক্ত বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত) সালাত আদায় করুন। এই সালাত ইহজাগতিক ও পরজাগতিক কল্যাণের জন্য খুবই উপকারী। আল্লাহর উপর ভরসা এবং তাহাজ্জুদ সালাত আপনাকে পৌঁছে দিবে সাফল্যের শীর্ষে  ইন শা আল্লাহ]

শেষ রাত্রে (যখন কোন মানুষ আপনাকে দেখে না) সালাতে দাঁড়ানো আপনার অন্তরে প্রশান্তি (এনে) দিবে। সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “যে ব্যক্তি শেষ রাত্রে জেগে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করল, তারপর অযু করে সালাত পড়ল সে চটপটে ও খুশিচিত্ত (পবিত্র চিত্ত) হয়ে গেল।”

انُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ

“তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত।” (৫১-সূরা যারিয়াতঃ আয়াত-১৭)

وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ

“এবং রাতের কিছু অংশে এর (কুরআন তিলাওয়াতের) মাধ্যমে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করুন, যা আপনার জন্য নফল (অতিরিক্ত)।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৭৯)

আবু দাউদ শরীফে একটি সহীহ হাদীসে ইঙ্গিত আছে যে, শেষরাতে তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ের মাধ্যম শরীরের আসুস্থতা দূর হয়ে যায়।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

ا تكن مثل فلان كان يقوم الليل فترك قيام الليل

“অমুক লোকের মতো হয়ো না যে নাকি রাতে দাড়িয়ে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ত কিন্তু পরে তা ছেড়ে দিয়েছে।”

নিচের অংশটুকু আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে-

نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يَقُوْمُ مِنَ اللَّيْلِ

“আব্দুল্লাহ খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু যদি সে রাতে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ত তবে কতইনা ভালো হত!”

(উপরোক্ত হাদীস দুটি আরবী পুস্তকে একত্রে একটি হাদীস হিসেবে বর্ণিত আছে ও তার শুরুতে আছে-অর্থাৎ, يَا عَبدَ اللهِ হে আব্দুল্লাহ! ..

ধ্বংসশীল বস্তুর জন্য দুঃখ করবেন না; আল্লাহ ছাড়া এ বিশ্বজগতের সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।

كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ

“তার সত্তা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।” (২৮-সূরা কাছাছঃ আয়াত ৮৮)

كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ - وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

“এর উপর (অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে) যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল। এবং তোমার মহা প্রতাপশালী ও মহাসম্মানিত প্রভুর সত্তাই শুধু চিরকাল টিকে থাকবেন।” (৫-সূরা আর রহমানঃ আয়াত-২৬-২৭)

জান্নাতই আপনার পুরস্কার

একজন আরব কবি বলেন-

نفسي التي تملك الاشياء ذاهبة ٭ فكيف ابكي على شيء اذا ذهب

ভাবার্থঃ “আমার যে আত্মা সম্পদের মালিক সে নিজেই চলে যাবে, তাহলে যখন কোন কিছু (আমাকে ছেড়ে) চলে যায়, তখন কেন আমি কাঁদব?” দুনিয়ার কোন সম্পদের জন্য কান্না করা কোন মুমীনের কর্ম নয়। মুমীন কাঁদবে আল্লাহর ভয়ে, মুমীন কাঁদবে আল্লাহর জন্য। আর মুমীন সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করবে।
 
সারা দুনিয়া, এর সব সোনা-রূপা, মান-মর্যাদা, দালান-কোঠা ও ঘর-বাড়ি এক ফোটা চোখের পানির সমানও নয়। তিরমিযী শরীফে একটি হাদীস বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلَّا ذِكْرُ اللَّهِ وَمَا وَالَاهُ وَعَالِماً أَوْ مُتَعَلِّماً

ভাবাৰ্থঃ “আল্লাহর জিকির ও তার সমর্থক বন্ধু (অন্যান্য নেক আমল), আলেম ও তালেবে এলেম [জ্ঞানী (শিক্ষক) ও শিক্ষার্থী] ছাড়া (গোটা) দুনিয়া ও এতে যা কিছু আছে সবই অভিশপ্ত।”

একজন আরব দেশী কবি বলেছেনঃ (আরবী পুস্তকে আছে, “লবীদ বলেন”)

ومَا المالُ والأهْلُونَ إلاَّ وَديعَة ٌ ٭ وَلابُدَّ يَوْماً أنْ تُرَدَّ الوَدائِعُ

ভাবাৰ্থঃ “সম্পদ ও পরিবার-পরিজন শুধুমাত্র ঋণস্বরূপ, আর একদিন অবশ্যই সকল আমানত (ঋণ) ফিরিয়ে নেয়া হবে।”

মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে পৃথিবীর সকল সম্পদও একে পিছিয়ে দিতে পারে না। মহান আল্লাহ বলেন-

وَمَا هَٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ

“আর এ পার্থিব জীবনতো শুধুমাত্র খেল-তামাশা।” (২৯-সূরা আনকাবূতঃ আয়াত-৬৪)

হাসান বসরী (রহঃ) বলেছেনঃ “জান্নাত ছাড়া অন্য কোন পুরস্কার আশা করো না। বিশেষ করে এ কারণে যে, মুমিনের আত্মার মূল্য খুবই বেশি (এতই বেশি যে, জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা এর মূল্যায়ন হয় না।”-অনুবাদক)

তবুও কিছু লোক তাদের আত্মাকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রি করে দেয়। নিঃস্ব (দেউলিয়া) হওয়া, বাড়ি-গাড়ি ধ্বংস হওয়া নিয়ে যারা বিলাপ করে অথচ তাদের ঈমানের কমতি নিয়ে তাদের পাপের জন্য দুঃখ করে না। তারা শীঘ্রই তাদের জীবনের হাস্যকর দৃষ্টিভঙ্গিকে বুঝতে পারবে। আর সে বুঝ হবে দুঃখে ভরা এবং যে যতটা ভ্রমে পতিত ছিল তার দুঃখ তত বেশি হবে। এ বিষয়টি খুবই (গভীর) গুরুত্বপূর্ণ কেননা এটি একটি মূল্যবান, নৈতিকতাপূর্ন ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়-

إِنَّ هَٰؤُلَاءِ يُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَاءَهُمْ يَوْمًا ثَقِيلًا

“নিশ্চয় এসব (কাফির) লোকেরা এ পার্থিব জীবনকে ভালোবাসে এবং একটি গুরুভার, কঠিন কেয়ামতের ও বিচারের দিনকে উপেক্ষা করে।” (৭৬-সূরা দাহর বা ইনসানঃ আয়াত-২৭)

সত্যিকার ভালবাসা

প্রকৃত সুখ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে। আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করা যার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য বা ব্ৰত সেই সর্বাপেক্ষা সফল, উন্নত ও সমৃদ্ধ ব্যক্তি। আপনি আল্লাহকে কতটুকু ভালবাসেন সেটাও নির্ভর করে আপনি আল্লাহর উপর ভরসা কতটুকু করেন, তার উপর। নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ এ

ভালোবাসার কথা বলেন-يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ “তিনি (আল্লাহ) তাদেরকে ভালোবাসেন এবং ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসে এবং ভালোবাসবে।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-৫৪)

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ

“(হে মুহাম্মদ!) আপনি মানবজাতিকে বলে দিন, “যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৩১)

সকলকে জানিয়ে দেয়ার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-এর এমন একটি গুণের কথা সকলের মাঝে ঘোষণা করে দেন যা তার মাথার মুকুট হয়ে আছে; আর তা হলোঃ [নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) সম্বন্ধে বলেন]-

رجُل يُحبُّ الله ورسولهُ ويُحبُّهٗ الله ورسوله

ভাবাৰ্থঃ [আলী (রাঃ)] এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসেন এবং তাকেও আল্লাহ ও তার রাসূল ভালোবাসেন।”

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী কুরআনের সূরা ইখলাসকে ভালোবাসতেন। (সূরার প্রথম আয়াতটি হলো) قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

“(হে মুহাম্মদ!) আপনি (মানুষদেরকে) বলে দিন, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।” (১১২-সূরা ইখলাসঃ আয়াত-১)

তিনি [ঐ সাহাবী (রাঃ)] সালাতের প্রতি রাকাতে এ সূরা তেলাওয়াত করতেন এবং তিনি তার আত্মাকে শান্তি দেয়ার জন্য অন্য সময়েও তিনি সর্বদা এ সূরা পাঠ করতেন। এ কারণে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন

حبك إياها أدخلك الجنة

“এ সূরার প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”

আমি একজন মুসলিম পণ্ডিত ব্যক্তির (আলেমের) জীবনীতে নিম্নোক্ত পঙক্তিগুলো পেয়েছি

إذا كان حُبُّ الهائِمين من الورى

بليلى وسلمى يسلُبُ اللُّبَّ والعقْلا

فماذا عسى أن يفعل الهائِمُ الذي

سَرَى قلبُه شوقاً على العالمِ الأعلى

“লায়লা ও সালমার প্রতি (সৃষ্টি) জগতের দিশেহারা প্রেমিকদের ভালোবাসা যখন নাকি জ্ঞান-বুদ্ধিকে লোপ করে দেয়, তখন যে দিশেহারা প্রেমিকের আত্মা প্রেমের টানে ঊর্ধ্ব জগতে বিচরণ করে সে কি করতে পারে বলে করা যায়?”

وَقَالَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَىٰ نَحْنُ أَبْنَاءُ اللَّهِ وَأَحِبَّاؤُهُ قُلْ فَلِمَ يُعَذِّبُكُم بِذُنُوبِكُم

“এবং ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা বলে, ‘আমরা আল্লাহর সন্তান ও তার প্রিয়জন’। (হে মুহাম্মদ!) আপনি (তাদেরকে) বলুন। “তাহলে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে শাস্তি দিবেন কেন?” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-১৮)

লায়লীর প্রেমে মজনু শেষ হয়ে গেছে, ধন-সম্পদের মোহে কারূন ধ্বংস হয়ে গেছে, মর্যাদা ও ক্ষমতার মোহে ফেরাউন ধ্বংস হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে, হামজা (রাঃ), জাফর (রাঃ) ও হানযালাহ (রাঃ) আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রেমে শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ভালোবাসাকারী দল ও দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসাকারী দল -এ দু'দলের মাঝে কতইনা বিস্তর ফারাক!


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 



*********************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url