আল্লাহর উপর ভরসা || (পর্ব-৩৪) || শরীয়ত কঠিন নয় || দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় || প্রেমে পড়ার কিছু কারণ ||


শরীয়ত কঠিন নয়, আল্লাহর উপর ভরসা করুন দুশ্চিন্তা থাকবে না


শরীয়ত কঠিন নয়

শরীয়ত বা ইসলামী জীবনের বিধানের দু'টি গুণ হলো, তা সহজ ও সুবিধাজনক যা মু’মিন ব্যক্তিকে শান্তি দেয়। শরীয়ত কঠিন নয়। আল্লাহ আমাদের উপর খুবই মেহেরবান, তাই তিনি তার বান্দাদের জন্য শরীয়তকে কঠিন করে সৃষ্টি করেননি।

مَا أَنزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَىٰ

“(হে মুহাম্মদ!) আমি আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আপনার উপর কুরআন অবতীর্ণ করিনি।”

وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ

“আর আমি সহজ পথকে (ইসলামকে) আপনার জন্য (আরো) সহজ করে দিব।” (৮৭-সূরা আল আ’লাঃ আয়াত-৮)

لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا

“আল্লাহ কোন ব্যক্তির ওপর তার সাধ্যাতীত বোঝা চাপান না।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত ২৮৬)

وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ

“আর তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন কঠোরতা আরোপ করে দেননি।” (২২-সূরা মু'মিনূনঃ আয়াত-৭৮) “এবং তিনি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের থেকে তাদের বোঝা ও তাদের উপর যে শৃঙ্খল ছিল তা দূর করবেন।” (৭-সূরা আল আ'রাফঃ আয়াত-১৫৭)

فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا - إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

অতএব নিশ্চয় কঠোরতার পরে স্বস্তি আছে। নিশ্চয় কঠোরতার পরে স্বস্তি আছে।” (৯৪-সূরা ইনশিরাহঃ আয়াত- ৫-৬)
অর্থাৎ, একটি কঠোরতার সাথে দু'টি স্বস্তি আছে; সুতরাং একটি কঠোরতা দুটি স্বস্তিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। [কঠোরতা শব্দটি (ال) যোগে আছে আর স্বস্তি শব্দটি (ال) ছাড়া (يسرى) আছে, সুতরাং আরবী ব্যাকরণ অনুসারে (ال) যোগে কোন একটি শব্দ বহুবার লেখা হলেও নির্দিষ্ট একটিই বুঝায় আর (ال) ছাড়া শব্দ একাধিকবার উল্লেখ হলে প্রতিবার একটি একটি করে বুঝায়; এভাবে (ال) ছাড়া দু’বার উল্লেখিত হওয়াতে দু'টি স্বস্তি (يسرى) বুঝা যায়; পক্ষান্তরে (ال) সহ দু’বার উল্লেখিত হওয়া সত্ত্বেও দু’টি কঠোরতা (العسر) বুঝা যায় না। -অনুবাদক]

“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা ভুল করি, তবে আপনি আমাদেরকে (শাস্তি দেয়ার জন্য) পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের প্রভু! আমাদের পূর্ববতীদের উপর যেরূপ বোঝা চাপিয়েছিলেন আমাদের উপর সেরূপ বোঝা চাপাবেন না।”
হে আমাদের প্রভু! আর আমাদের উপর এমন বোঝা চাপাবেন না যা বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আর আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর আমাদেরকে দয়া করুন। আপনিই আমাদের মাওলা (অভিভাবক), অতএব কাফের সম্প্রদায়ের উপর আপনি আমাদেরকে বিজয়ী করুন।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২৮৬)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

رفع عن أمتي الخطأ والنسيان وما استكرهوا عليه

“ভুল, বিস্মরণ ও জোর-জবরদস্তির কারণে কৃত পাপ আমার উম্মত থেকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।”

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ وَلَنْ يُشَادَّ الدِّينَ أَحَدٌ إِلاَّ غَلَبَهُ

“নিশ্চয় এ দ্বীন সহজ, যখন কেউ এ দ্বীনকে অতি কঠিন করে তখন সে নিজেই ব্যর্থ হয় (অর্থাৎ সে এ দ্বীনকে অতি কঠিন বানাতে পারেনা)।”

শান্তির মূলকথা

ডা. হাস্‌সন শামসী পাশা ১৯৯৪ সনের কোন এক সংখ্যায় আহলান-সাহলান নামক পত্রিকায় “দুশ্চিন্তা দূর করার বিশটি উপায়” নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। নিম্নে তার সারমর্ম দেয়া হলো-

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়

১. আপনার জীবনকাল (অর্থাৎ আয়ু কত বছর তা) নির্ধারিত করা আছে, কেননা সব কিছুই তকদীর (পূর্ব নির্ধারিত বিধান) অনুসারেই ঘটে। অতএব সে বিষয়ে (হায়াত নিয়ে) দুশ্চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই।

২. আমাদের প্রত্যেকে কতটা পরিমাণ রিযিক গ্রহণ করব তা সিদ্ধান্ত একমাত্র আল্লাহর নিকটেই। অন্য কেউই সে রিযিকের মালিক নয় বা আপনার থেকে তা ছিনিয়ে নেয়ার ক্ষমতা অন্য কারো নেই। তাই রিজিকের জন্য দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।

৩. অতীত তার সকল দুঃখ-কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সমগ্র মানবজাতিও যদি একযোগে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, তবুও তা ফিরে আসতে পারে না । সুতরাং দুশ্চিন্তা করে কোন লাভ নাই।

৪. ভবিষ্যৎ অদৃশ্য জগতের অন্তর্ভুক্ত এবং এখনও তা আসেনি। আপনার অনুমতি বা অনুভূতির প্রতি কোনরূপ শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করেই এটি এর বিষয়াদি নিয়ে আসে। অতএব এটা সত্যি সত্যি আগমন করার আগেই দুশ্চিন্তার মাধ্যমে এটাকে ডেকে আনবেন না।

৫. অন্যের উপকার করলে নিজের মনে শান্তি পাওয়া যায়। একটি ভালো কাজ বা কল্যাণমূলক কাজ দাতাকে গ্রহীতার তুলনায় অনেক বেশি দয়া (রহমত), পুরস্কার ও শান্তি ইত্যাদি বহুবিধ উপকার করে।

৬. মুমিনের একটি মহৎ গুণ হল যে, সে মিথ্যা সমালোচনার ধার ধারে না, কেউ সমালোচনা থেকে বাঁচতে পারে না। এমনকি সমগ্র বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, নিখুঁত মহান আল্লাহও না। (মানুষ আল্লাহ তায়ালাকেও গালি দেয়, সুতরাং আপনি কেন মনে করেন যে, আপনাকে কেউ গালি দিবে না, কেউ আপনার সমালোচনা করবে না। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানব নবীদেরকেও প্রত্যেক জাতি মিথ্যা বলেছে, তাদেরকে কষ্ট দিয়েছে; এমনভাবে সকল মহামানবরাও একই অবস্থার শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে এ পুস্তকে পূর্বে বেশ খানিকটা আলোচনা করা হয়েছে। -অনুবাদক)

মানুষের রূপের প্রেমে মুগ্ধ হওয়া থেকে সাবধান

রূপের প্রেমে পড়া থেকে সাবধান! এ ধরনের প্রেম দুশ্চিন্তা ও চির দুর্দশায় ভরা। এটা একজন মুসলমানের জন্য আশীৰ্বাদ যে, গানে যে সব প্রচণ্ড ভালোবাসার খবর, অযাচিত ও অবাঞ্ছিত ভালোবাসার খবর অথবা কারো প্রেম বিচ্ছেদের কাহিনী পাওয়া যায় তা থেকে সে দূরে থাকে।
“তবে কি আপনি তাকে দেখেননি যে নিজের প্রবৃত্তিকে নিজের উপাস্য প্ৰভু (ইলাহ) হিসেবে গ্রহণ করেছে আর (তাই) আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার শ্রুতিশক্তির ওপর ও তার হৃদয়ের ওপর মোহর এটে দিয়েছেন এবং তার দৃষ্টির উপর আবরণ রেখে দিয়েছেন।” (৪৫-সূরা জাছিয়াহঃ আয়াত-২৩)

নিজেকে তিরস্কার করে এক আরব কবি লিখেছেন-
أنَا الذي جلَبَ المَنيّةَ طَرْفَهُ ٭ فَمَنِ المُطالِبُ والقَتيْلُ القَاتِلُ

“আমিইতো মৃত্যুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, সুতরাং নিহত ব্যক্তি নিজেই যখন নিজের হত্যাকারী তখন কে দোষী?”

অবশেষে সে (কবি) বুঝতে পারছে যে, সে আবেগতাড়িত প্রেমে পড়েছে এবং এর থেকে বের হতে পারছে না। আর তার দুঃখ-দুর্দশার জন্য সে নিজেই দোষী। তাই সে যে চির দুঃখ কষ্ট ভোগ করেছে তার জন্য সে নিজেকেই দোষারোপ করছে।

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ

“আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তোমার মনে কুমন্ত্রণা আসে তবে তুমি আল্লাহ নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।”

إِنَّ الَّذِينَ اتَّقَوْا إِذَا مَسَّهُمْ طَائِفٌ مِّنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوا فَإِذَا هُم مُّبْصِرُونَ

“মুত্তাকীদের (খোদাভীরুরদের) মনে যখন শয়তানের পক্ষ থেকে কুমন্ত্রণা আসে তখন নিশ্চয় তারা আল্লাহকে স্মরণ করে আর তখনই তারা (সঠিক পথ) দেখতে পায়।”
ইবনুল কায়্যিম তার “রোগ ও চিকিৎসা”(الداء والدواء) কিতাবে এ বিষয়ের উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা করেছেন। যেসব কারণে মানুষ মরিয়া হয়ে অদম্য প্রেমে পড়ে তিনি তার কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। নিচে সে সবের কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

প্রেমে পড়ার কিছু কারণ

১. এমন এক শূন্য হৃদয় যাতে আল্লাহর ভালোবাসা নেই, তার জিকির নেই ও তার ভয় নেই।

২. যথেচ্ছা দৃষ্টিপাত করা। চক্ষু হলো অনুসন্ধানী, যা অন্তরে দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনতে পারে। মহান আল্লাহ বলেন-

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ

“মু’মিনদেরকে বলে দিন যে তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে আনত রাখে।" (২৪-সূরা নূর : আয়াত-৩০)

দৃষ্টি হলো শয়তানের একটি তীর। একজন আরব কবি বলেছেন-

وانت متى أرسلت طرفك رائدا ٭ الى كل عين اتعبتك المناظر
رأيت الذي لا كله أنت قادر ٭ عليه ولا عن بعضه أنت صابر

“যখন তুমি তোমার দৃষ্টিকে অনুসন্ধানকারীর মতো সকলের চোখের দিকে যথেচ্ছ তাকাতে দিবে, তখন তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে যাবে। তখন তুমি এমন অনেক কিছু দেখবে যার পুরোটা তুমি আয়ত্ত করতে সক্ষম নও এবং যার আংশিক আয়ত্ত করার ধৈর্যও তোমার নেই।

৩. ইবাদতে অবহেলা করা। বিশেষ করে জিকির, দোয়া ও সালাতে।

إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ

“নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত রাখে।” (২৯-সূরা আনকাবূতঃ আয়াত-৪৫)

এখানে অশ্লীল (الْفَحْشَاءِ) কাজ বলতে সকল প্রকার অধৈৰ্ব যৌন ক্রিয়া ও নির্লজ্জ ও বেহায়া ক্রিয়াকলাপকে বুঝায় এবং নিষিদ্ধ, অপছন্দনীয় ও মন্দ (وَالْمُنكَرِ) কাজ বলতে কুফুরী, শেরেকী ও সকল প্রকার মন্দ কাজকে বুঝায়।

প্রচণ্ড ও অদম্য প্রেমের কিছু ঔষুধ

“আমি তার থেকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলতা দূরে রাখার জন্য এরূপ নিদর্শন দেখিয়েছিলাম।” (১২-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-২৪)

১. অধিকতর একনিষ্ঠ হয়ে আপনার ইবাদতকে উন্নত করার জন্য কঠোর সাধনা করুন।

২. وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ... وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
“আর যে সব নর-নারীরা নিজেদের যৌনাঙ্গকে (অবৈধ যৌনক্রিয়া থেকে) হেফাজত রাখে।” (২৪-সূরা নূরঃ আয়াত- ৩০-৩১)

আপনার দৃষ্টিকে নত (বা নিচের দিকে) রাখুন।

وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
"আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে (অবৈধ যৌন ক্রিয়া থেকে) হেফাজত রাখে।”

৩. আপনার প্রেমাস্পদ থেকে দূরে কোথাও চলে যান।

৪. আমলে সালেহ, নেক আমল, পুণ্যকর্ম, সৎকাজ বা ভালোকাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
“নিশ্চয় তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করত, আমাকে আশা ও ভয়ের সাথে ডাকত এবং তারা আমার তরে বিনীত ছিল।” (২১-সূরা আম্বিয়াঃ আয়াত-৯০)

৫. বৈধ আমোদ-আহ্লাদ করুন। অর্থাৎ শরীয়তসম্মত আনন্দ-স্ফূর্তি করুন।

فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ

“তাহলে তোমাদের পছন্দনীয় নারীকে বিবাহ কর।” (৪-সূরা নিসাঃ আয়াত-৩)

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا

“এবং তার নিদর্শনাবলির একটি এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন যাতে করে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-২১)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ البَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ

“হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে।”

ভ্রাতৃত্বের অধিকার

আপনার মুসলিম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎকালে তার প্রিয় নামে তাকে ডাকুন এবং হাসিমুখে তাকে সালাম দিন।

تبسمك في وجه أخيك صدقة

“আপনার ভাইয়ের সামনে আপনার হাসিমুখ সদকাতুল্য।”
আপনার সাথে কথা বলতে তাকে উৎসাহ দিন অর্থাৎ তার সম্বন্ধে ও তার জীবন সম্বন্ধে কথা বলতে তাকে সুযোগ দিন। তাকে তার অবস্থা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করুন, তবে শুধুমাত্র সেসব বিষয় সম্বন্ধেই জিজ্ঞাসা করুন যেগুলো তাকে অপ্রস্তুত ও অপ্রভিত করবে না।

من لم يهتم بأمر المسلمين فليس منهم

“যে ব্যক্তি মুসলমানদের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করেন না বা খোঁজ-খবর নেয় না সে তাদের দলভুক্ত নয়। (মুসলমান নয়)

وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ

“মু’মিন নর-নারীরা একে অপরের বন্ধু, সাহায্যকারী, রক্ষাকারী ও অভিভাবক৷”
তাকে তিরস্কার বা গালি দিবেন না বা অতীত ভুলের খোটা দিবেন না এবং তাকে নিয়ে তামাসা করে তাকে কষ্ট দিবেন না।

لا تمار أخاك ولا تمازحه ولا تعده موعدا فتخلفه

“আপনার ভাইয়ের সাথে তর্ক করবেন না, তাকে নিয়ে তামাসা করবেন না এবং তাকে ওয়াদা দিয়ে তা ভঙ্গ করবেন না।”


“আল্লাহর উপর ভরসা” শিরোনামের আকর্ষনীয় এই টপিকসের সকল পর্ব এখান থেকে পড়ুন-
১ম পর্ব    ২য় পর্ব    ৩য় পর্ব    ৪র্থ পর্ব    ৫ম পর্ব    ৬ষ্ট পর্ব    ৭ম পর্ব    ৮ম পর্ব    ৯ম পর্ব    ১০ম পর্ব    ১১-তম পর্ব    ১২-তম পর্ব    ১৩-তম পর্ব    ১৪-তম পর্ব    ১৫-তম পর্ব    ১৬-তম পর্ব    ১৭-তম পর্ব    ১৮-তম পর্ব    ১৯-তম পর্ব    ২০-তম পর্ব    ২১-তম পর্ব    ২২-তম পর্ব    ২৩-তম পর্ব    ২৪-তম পর্ব    ২৫-তম পর্ব    ২৬-তম পর্ব    ২৭-তম পর্ব    ২৮-তম পর্ব    ২৯-তম পর্ব    ৩০-তম পর্ব    ৩১-তম পর্ব    ৩২-তম পর্ব    ৩৩-তম পর্ব    ৩৪-তম পর্ব    ৩৫-তম পর্ব    ৩৬-তম পর্ব    ৩৭-তম পর্ব    ৩৮-তম পর্ব 




****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url