রাহে আমল-১২ || হজ্জ একটি ফরয এবাদত || জেহাদের পর হজ্জ সর্বোত্তম এবাদত ||





হজ্জ একটি ফরয এবাদত

 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَأَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) এক ভাষণে বলেছেন, হে মানবমণ্ডলী আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্জ আদায় কর। (মুনতাকা )

হজ্জ মানুষকে নিষ্পাপ করে

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَنَّى هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُتْ وَلَمْ يَفْسُقُ، رَجَعَ كَمَا
ولدته أمه

রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই ঘরের কাছে উপস্থিত হয়ে যাবতীয় অশ্লীলতা ও লজ্জাহীনতার কথা ও কাজ থেকে বিরত রইল এবং আল্লাহর নাফরমানী থেকে দূরে থাকলো, সে তার মায়ের পেট থেকে জন্ম গ্রহণের সময়ের মত (নিষ্পাপ) হয়ে বাড়ী ফিরে যাবে।

জেহাদের পর হজ্জ সর্বোত্তম এবাদত

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ إِيْمَانُ بِاللهِ وَبِرَسُولِهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ ثُمَّ حَج مَبْرُورٌ - (منتقى)

আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসূল (সা)-এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন কাজটি সর্বোত্তম ? তিনি জবাব দিলেন : আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। আবার প্রশ্ন করা হলো এরপর কোন্ কাজ সর্বোত্তম ? তিনি বললেন : আল্লাহর দ্বীনের জন্য সর্বাত্মক সংগ্রাম তথা জেহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোন্ কাজ উৎকৃষ্টতম ? তিনি বললেন : এমন হজ্জ্ব যার অভ্যন্তরে আল্লাহর কোন রকম নাফরমানী করা হয়নি। (মুনতাকা )

হজ্জ ফরয হলে তা দ্রুত আদায় করা উচিত

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَرَادَ الْحَيَّ فَلْيَتَعَجَّلْ فَإِنَّهُ قَدْ يَمْرَضُ الْمَرِيضُ وَتَضِلُّ
الرَّاحِلَةُ وَتَعْرِضُ الْحَاجَة (ابن ماجة، ابن عباس)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি হজ্জ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তার দ্রুত হজ্জ সম্পন্ন করা কর্তব্য। কেননা সে রোগাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে । তার উট হারিয়ে যেতে পারে। (অর্থাৎ যানবাহন তথা সফরের উপায় উপকরণ হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। পথ বিপদ সংকুল হয়ে যেতে পারে এবং সফরের প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ হয়ে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে) এবং এমন কোন কাজের প্রয়োজন পড়তে পারে যা হজ্জ করতে যাওয়াকে অসম্ভব করে তুলবে। সুতরাং তোমরা দ্রুত হজ্জা সম্পন্ন কর। (কে জানে কখন কোন্ বিপদ মুসিবত এসে পড়ে এবং হজ্জ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাও।) (ইবনে মাজা, ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত)

সামর্থবান লোকদের হজ্জ না করার কঠোর পরিণতি

عَنِ الْحَسَنِ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبْعَثَ رِجَالًا إِلى هَذِهِ الْأَنْصَارِ فَيَنْظُرُوا كُلَّ مَنْ
كَانَ لَهُ جِدَةٌ وَلَمْ يَحْجٌ فَيَضْرِبُوا عَلَيْهِمُ الْجِزْيَةَ، مَا هُمْ
بِمُسْلِمِينَ مَا هُمْ بِمُسْلِمِينَ (المنتقى)

হাসান (রা) বর্ণনা করেন যে, হযরত ওমর (রা) বলতেন : আমি এই সব শহরে (মুসলমানদের দখলীকৃত এলাকায়) কিছু লোক পাঠাতে চাই, যারা তদন্ত করে দেখবে কারা হজ্জ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্জ করেনি, অতঃপর তাদের ওপর জিযিয়া আরোপ করতে চাই। (অমুসলিম নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা বাবদ আদায়যোগ্য করকে জিযিয়া বলা হয়।) কেননা তারা মুসলমান নয়। (মুসলমান হলে তারা অনেক আগেই হজ্জ করতো। মুসলমান অর্থ হলো আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী। তারা যদি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী হতো তাহলে বিনা ওযরে হজ্জের মত মহান এবাদতে শৈথিল্য দেখাতো না। )

হজ্জের সফর শুরুর সাথে সাথেই হজ্জ শুরু

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ خَرَجَ حَاجًا أَوْ مُعْتَمِرًا أَوْ غَازِياً ثُمَّ مَاتَ فِي طَرِيقِ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ الْغَازِي وَالْحَاحِ وَالْمُعْتَمِر. (مشكوة، أبو هريرة رض)

রাসূল (সা) বলেছেন যে ব্যক্তি হজ্জ্ব ওমরা বা জেহাদ করার লক্ষ্য নিয়ে নিজ গৃহ থেকে বের হয়, অতঃপর পথে তার মৃত্যু হয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে অবিকল সেই সওয়াব ও পুরস্কার দেবেন। যা হাজী, গাযী ও ওমরা আদায়কারীদের প্রাপ্য। (মেশকাত, আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url