মা’আরেফুল কোরআন-১৭ || সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৩৪ || বাকারাহ ৩৪ আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৩৪


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَكَةِ اسْجُدُ وَالأَدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ ، أَبِى وَاسْتَكْبَرَة وَكَانَ مِنَ الْكَفِرِينَ

সূরা আল-বাকারাহ ৩৪নং  আয়াতের অর্থ

(৩৪) এবং যখন আমি হযরত আদম (আ)-কে সিজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখন ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করল। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

সূরা আল-বাকারাহ ৩৪নং  আয়াতের তফসীরের সার-সংক্ষেপ

এবং আমি যখন সমস্ত ফেরেশতাকে (এবং জিন জাতিকে) নির্দেশ করলাম, যেমন হযরত ইবনে আব্বাস (র)-এর কোন কোন রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে। মোটকথা, এদের সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হলোঃ আদম (আ)-এর সামনে সিজদায় পতিত হও। তখন ইবলীস ব্যতীত
সবাই সিজদায় পতিত হলো। আর সে নির্দেশ পালন করল না এবং অহংকারে গর্বিত হয়ে গেল। (ফলে) সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ল।

সূরা আল-বাকারাহ ৩৪নং  আয়াতের আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়

পূর্ববর্তী ঘটনানুসারে ফেরেশতাদের চাইতে হযরত আদম (আ) অধিক মর্যাদার অধিকারী বলে প্রমাণিত হয়ে গেছে। বিভিন্ন দলীলাদির দ্বারা একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে, খেলাফতের যোগ্যতা লাভের জন্য যেসব জ্ঞানের প্রয়োজন, তা সবই আদম (আ)-এর রয়েছে। তবে এর কোন কোন জ্ঞান ফেরেশতাদেরও রয়েছে। কিন্তু জিন জাতি সেসব জ্ঞানের অত্যন্ত নগণ্য অংশই লাভ করেছে। এ সম্পর্কে উপরে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। যেহেতু হযরত আদম (আ)-এর মাঝে ফেরেশতা ও জিন উভয় সম্প্রদায়ের যাবতীয় জ্ঞানের সমাহার ঘটেছে, সুতরাং উভয় সম্প্রদায়ের উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চ পদমর্যাদা একেবারে সুস্পষ্ট। এখন আল্লাহ্ পাক এ বিষয়টি কার্যকরভাবে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করলেন যে, ফেরেশতা ও জিনদের দ্বারা হযরত আদম (আ)-এর প্রতি এমন বিশেষ ধরনের সম্মান প্রদর্শন করানো হোক, যদ্বারা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনি তাদের উভয়ের চাইতে উত্তম ও পূর্ণতর। এজন্য যে সম্মান প্রদর্শনমূলক কাজের প্রস্তাব করা হয়েছে, তারই বর্ণনা প্রসংগে আল্লাহ্ পাক বলেন, আমি ফেরেশতাদেরকে হুকুম করলাম: তোমরা আদমকে সিজদা কর। সমস্ত ফেরেশতা সিজদায় পতিত হলো, কিন্তু ইবলীস সিজদা করতে অস্বীকার করল এবং অহংকারে স্ফীত হয়ে উঠল।

সিজদার নির্দেশ কি জিনদের প্রতিও ছিল

এ আয়াতে বাহ্যত যে কথা বর্ণনা করা হয়েছে তা এই যে, আদম (আ)-কে সিজদা করার হুকুম ফেরেশতাদেরকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে যখন একথা বলা হলো যে, ইবলীস ব্যতীত সব ফেরেশতাই সিজদা করলেন, তখন তাতে প্রমাণিত হলো যে, সিজদার নির্দেশ সকল বিবেকসম্পন্ন সৃষ্টির প্রতিই ছিল। ফেরেশতা ও জিন জাতি সবাই এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নির্দেশ প্রদান করতে গিয়ে শুধু ফেরেশতাদের উল্লেখ এজন্য করা হলো যে, তারাই ছিল সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ। যখন তাদেরকে হযরত আদম (আ)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হলো, তাতে জিন জাতি অতি উত্তমরূপে এ নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত বলে জানা গেল ।

সম্মান প্রদর্শনার্থ সিজদা করা পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য বৈধ থাকলেও ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে

আয়াতে হযরত আদম (আ)-কে সিজদা করতে ফেরেশতাদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূরা ইউসুফে হযরত ইউসুফ (আ)-এর পিতামাতা ও ভাইরা মিসর পৌঁছার পর হযরত ইউসুফকে সিজদা করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। এটা সুস্পষ্ট যে, সিজদা ইবাদতের উদ্দেশ্যে হতে পারে না। কেননা আল্লাহ্ ব্যতীত অপরের উপাসনা শিরক ও কুফরী। কোন কালে কোন শরীয়তে এরূপ কাজের বৈধতার কোন সম্ভাবনাই থাকতে পারে না। সুতরাং এর অর্থ এছাড়া অন্য কোন কিছুই হতে পারে না, প্রাচীনকালের সিজদা আমাদের কালের সালাম, মুসাফাহা, মুআনাকা, হাতে চুমো খাওয়া এবং সম্মান প্রদর্শনার্থ দাঁড়িয়ে যাওয়ার সমার্থক ও সমতুল্য ছিল। ইমাম জাসাস আহকামুল কোরআন গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, পূর্ববর্তী নবীগণের শরীয়তে বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থ সিজদা করা বৈধ ছিল। শরীয়তে মুহাম্মদীতে তা রহিত হয়ে গেছে। বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পদ্ধতি হিসাবে এখন শুধু সালাম ও মুসাফাহার অনুমতি রয়েছে। রুকূ-সিজদা ও নামাযের মত করে হাত বেঁধে দাঁড়ানোকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

এর বিশ্লেষণ এই যে, শিরক্, কুফর ও আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা কোন শরীয়তেই বৈধ ছিল না। কিন্তু কিছু কাজ এমনও রয়েছে যা মূলত শিরক বা কুফর নয়। কিন্তু মানুষের অজ্ঞানতা ও অসাবধানতার দরুন সে সমস্ত কার্য শিরক ও কুফরের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব কার্য পূর্ববর্তী নবীগণের শরীয়তে আদৌ নিষিদ্ধ ছিল না, বরং সেগুলোকে শিকরূপে প্রতিপন্ন করা থেকে মানুষকে বিরত রাখা হতো মাত্র। যেমন, প্রাণীদের ছবি আঁকা ও ব্যবহার করা মূলত কুফর বা শিরক নয়। এজন্য পূর্ববর্তী শরীয়তে তা বৈধ ছিল। যেমন, হযরত সুলায়মান (আ)-এর কাহিনী বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- يَعْمَلُونَ لَهُۥ مَا يَشَآءُ مِن مَّحَٰرِيبَ وَتَمَٰثِيلَ (এবং জিনেরা তার জন্য বড় বড় মিহরাব তৈরি করত এবং ছবি অংকন করত।)

অনুরূপভাবে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সিজদা করা পূর্ববর্তী শরীয়তসমূহে বৈধ ছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে মানুষের অজ্ঞানতার ফলে এ সব বিষয়ই শির্ক ও পৌত্তলিকতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পথেই নবীগণের দীন ও শরীয়তে বিকৃতি ও মূলচ্যুতি ঘটেছে। পরবর্তী নবী ও শরীয়ত এসে তা একেবারে বিলুপ্ত করে দিয়েছে। শরীয়তে মুহাম্মদী যেহেতু অবিনশ্বর ও চিরন্তন শরীয়ত—রাসূলে করীম (সা)-এর মাধ্যমে যেহেতু নবুয়ত ও রিসালতের পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং তাঁর শরীয়তই যেহেতু সর্বশেষ শরীয়ত, সেহেতু একে বিকৃতি ও মূলচ্যুতি থেকে বাঁচাবার জন্য এমন প্রতিটি ছিদ্রপথই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে শির্ক ও পৌত্তলিকতা প্রবেশ করতে না পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সেসব বিষয়ই এ শরীয়তে হারাম করে দেওয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কোন যুগে শির্ক ও প্রতিমা পূজার উৎস বা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল । ছবি ও চিত্রাঙ্কন এবং তার ব্যবহারও এজন্যই হারাম করা হয়েছে। সম্মান প্রদর্শনমূলক সিজদা একই কারণে হারাম হয়েছে। আর এমন সব সময়ে নামায পড়াও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যেসব সময়ে মুশরিক ও কাফিরগণ নিজেদের তথাকথিত উপাস্যদের পূজা ও উপাসনা করত। কারণ এ বাহ্যিক সাদৃশ্য পরিণামে যেন শিরকের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় ।

সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে, হুযুর (সা) মানবদেরকে নির্দেশ দেন, তারা যেন নিজেদের গোলামকে 'আব্দ' অর্থাৎ দাস বলে না ডাকে এবং গোলামদের প্রতি নির্দেশ দেন, যেন তারা মনিবদেরকে 'রব' বা প্রভু বলে না ডাকে। অথচ শাব্দিক অর্থে 'আবদ' অর্থ গোলাম এবং 'রব' অর্থ লালন-পালনকারী। এ ধরনের শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ না হওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু নিছক এ কারণে যে, এসব শব্দ শিরকের ধারণা সৃষ্টি করতে পারে এবং পরবর্তীকালে এসব শব্দের কারণেই মনিবদেরকে পূজা করার পথ খুলে যেতে পারে; কাজেই এসব শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সারকথা আদম (আ)-এর প্রতি ফেরেশতা ও জিনদের সিজদা এবং ইউসুফ (আ)-এর প্রতি তাঁর পিতা-মাতা ও ভাইদের সিজদা—যার বর্ণনা কোরআন পাকে রয়েছে, সম্মান প্রদর্শনমূলক সিজদা ছিল—যা তাদের শরীয়তে সালাম, মুসাফাহা এবং হাতে চুমো খাওয়ার পর্যায়ভুক্ত ও বৈধ ছিল। শরীয়তে মুহাম্মদীকে পরিপূর্ণভাবে শির্কমুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে এ শরীয়তে আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অপর কাউকে সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সিজদা বা রুকূ করাকেও অবৈধ ও হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

কতক উলামা বলেছেন, ইবাদতের মূল যে নামায তাতে চার রকমের কাজ রয়েছে। যথা—দাঁড়ানো, বসা, রুকু ও সিজদা করা। তন্মধ্যে প্রথম দু'টি মানুষ অভ্যাসগতভাবে নিজস্ব প্রয়োজনেও করে এবং নামাযের মধ্যে ইবাদত হিসাবেও করে। কিন্তু রুকূ-সিজদা এমন কাজ যা মানুষ কখনো অভ্যাসগতভাবে করে না, বরং তা শুধু ইবাদতের জন্যই নির্দিষ্ট। এ জন্য এ দু'টোকে শরীয়তে মুহাম্মদীতে ইবাদতের পর্যায়ভুক্ত করে আল্লাহ্ পার্ক ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে তা করা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, সিজদায়ে তাজিমী বা সম্মানসূচক সিজদার বৈধতার প্রমাণ তো কোরআন পাকের উল্লিখিত আয়াতসমূহে পাওয়া যায়, কিন্তু তা রহিত হওয়ার দলীল কি ?
উত্তর এই যে, রাসূলে করীম (সা)-এর অনেক 'মোতাওয়াতের' ও মশহুর হাদীস দ্বারা সিজদায়ে তা'জিমী হারাম বলে প্রমাণিত হয়েছে। হুযূর (সা) এরশাদ করেছেন, যদি আমি আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অন্য কারো প্রতি সিজদায়ে তাজিমী করা জায়েয মনে করতাম, তবে স্বামীকে সিজদা করার জন্য স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম। কিন্তু এই শরীয়তে সিজদায়ে তা'জিমী সম্পূর্ণ হারাম বলে কাউকে সিজদা করা কারো পক্ষে জায়েয নয় ।

এই হাদীস বিশজন সাহাবীর রেওয়ায়েত থেকে প্রমাণিত। প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “তাদরীবুর রাবী”-তে বর্ণনা করা হয়েছে, যে রেওয়ায়েত দশজন সাহাবী নকল করে থাকেন, সেটি হাদীসে মোতাওয়াতেরার পর্যায়ভূক্ত হয়ে যায় যা (হাদীসে মোতাওয়াতের) কোরআন পাকের ন্যায়ই অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য।

মাস'আলাঃ ইবলীসের কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়া কোন কর্মগত নাফরমানীর কারণে ছিল না। কেননা, কোন ফরয কার্যগতভাবে পরিত্যাগ করা শরীয়তের বিধানানুযায়ী পাপ হলেও কুফরী নয়। ইবলীসের কাফির হয়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল আল্লাহ্ পাকের হুকুমের বিরোধিতা ও মোকাবিলা করা। অর্থাৎ তিনি (আল্লাহ্) যার প্রতি সিজদা করতে আমাকে হুকুম করেছেন, সে আমার সিজদা লাভের যোগ্যই নয়, এমন হঠকারিতা নিঃসন্দেহে কুফরী।

মাসআলাঃ এ কথা প্রণিধানযোগ্য যে, ইবলীস তার অসাধারণ প্রজ্ঞা ও জ্ঞান-গরিমার দৌলতে ফেরেশতাদের শিরোমণি ও উস্তাদ বলে আখ্যায়িত হয়েছিল। তার দ্বারা এ ধরনের দৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ কিভাবে সম্ভব হলো ? কোন কোন উলামা বলেছেন যে, তার গর্ব অহংকারের দরুন আল্লাহ্ পাক নিজ প্রদত্ত প্রজ্ঞা ও জ্ঞানবুদ্ধির মহাসম্পদ প্রত্যাহার করে নেন। ফলে সে এ ধরনের অজ্ঞানতা ও নির্বুদ্ধিতাজনিত কাজ করে বসে। কেউ কেউ বলেছেন যে, ইবলীস খ্যাতির মোহ ও আত্মস্তরিতার কারণে সত্যোপলব্ধি থাকা সত্ত্বেও এই দুর্ভোগ ও অভিশাপে জড়িয়ে পড়েছিল। তফসীরে রুহুল মা'আনী-তে এ প্রসঙ্গে একটি কবিতা উদ্ধৃত করা হয়েছে, যার সারসংক্ষেপ এই যে, “কোন কোন সময় কোন পাপের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ্ পাকের সাহায্য-সহানুভূতি মানুষের সাথে ছেড়ে দেয়। তখন তার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ ও প্রত্যেকটি কাজ তাকে গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতার দিকে ঠেলে দেয়।”

উক্ত তফসীর দ্বারা একথাও প্রমাণ করা হয়েছে যে, মানুষের সে ঈমানই নির্ভরযোগ্য ও ফলদায়ক, যা শেষ জীবন ও পরকালের প্রথম ঘাঁটি (কবর) পর্যন্ত সাথে থাকে। সুতরাং উপস্থিত ঈমান, আমল, জ্ঞান-বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার ওপর আনন্দিত ও গর্বিত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।





******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 

Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url