বিষয় ভিত্তিক আয়াত (পর্ব - ১৯) || আল কুরআনে মানব সৃষ্টির রহস্য ||





মানব সৃষ্টির রহস্য

আল্লাহ মানুষকে কেন সৃষ্টি করেছেন? তিনি কিভাবে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন? মানব সৃষ্টির পিছনে কি তার রহস্য? পবিত্র কুরআন পাকে কমপক্ষে ৮২টি আয়াতে আল্লাহ পাক তাঁর শ্রেষ্ট সৃষ্টি মানব সৃষ্টির রহস্য উম্মোচন করেছেন। আমরা ধারাবাহিকভাবেমানব সৃষ্টির রহস্যনিয়ে এখানে প্রতিটি আয়াতের বাংলা ইংরেজি অর্থ এবং এর ব্যাখ্যা বা তাফসীর নিয়ে আলোচনা করবো। জ্ঞানীদের জন্য এসব আয়াতে রয়েছে আল্লাহ পাকের নির্দশন ইন শা আল্লাহ।

সূরা আল ক্বিয়ামাহ, আয়াতঃ ৩৬-৪০


৭৫:৩৬ اَیَحۡسَبُ الۡاِنۡسَانُ اَنۡ یُّتۡرَکَ سُدًی
৭৫:৩৭ اَلَمۡ یَکُ نُطۡفَۃً مِّنۡ مَّنِیٍّ یُّمۡنٰی
৭৫:৩৮ ثُمَّ کَانَ عَلَقَۃً فَخَلَقَ فَسَوّٰی
৭৫:৩৯ فَجَعَلَ مِنۡهُ الزَّوۡجَیۡنِ الذَّکَرَ وَ الۡاُنۡثٰی
৭৫:৪০ اَلَیۡسَ ذٰلِکَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنۡ یُّحۡیِۦَ الۡمَوۡتٰی 

৩৬. মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে? 
৩৭. সে কি বীর্যের শুক্রবিন্দু ছিল না যা স্খলিত হয়?
৩৮. অতঃপর সে ‘আলাকায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
৩৯. অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী।
৪০. তিনি কি মৃতদের জীবিত করতে সক্ষম নন?
আল-বায়ান

36. Does man think that he will be left neglected? 
37. Had he not been a sperm from semen emitted?
38. Then he was a clinging clot, and [Allah] created [his form] and proportioned [him]
39. And made of him two mates, the male and the female.
40. Is not that [Creator] Able to give life to the dead?
Sahih International

৩৬. মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে(১)?

(১) আয়াতের অর্থ হলো, মানুষ কি নিজেকে মনে করে যে তার স্রষ্টা তাকে এ পৃথিবীতে দায়িত্বহীন করে ছেড়ে দিয়েছেন? এ-কথাটিই কুরআন মজীদের অন্য একস্থানে এভাবে বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা কাফেরদের বলবেন, “তোমরা কি মনে করেছে যে, আমি তোমাদের অনৰ্থক সৃষ্টি করেছি? তোমাদেরকে কখনো আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না?” [সূরা আল মুমিনুন: ১১৫] এ দু'টি স্থানে মৃত্যুর পরের জীবনের অনিবার্যতার প্রমাণ প্রশ্নের আকারে পেশ করা হয়েছে। প্রশ্নের তাৎপর্য হলো আখেরাত যে অবশ্যই হবে তার প্রমাণ। [দেখুন, ইবন কাসীর]

৩৭. সে কি বীর্যের স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিল না?

৩৮. তারপর সে ‘আলাকা’য় পরিণত হয়। অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেন এবং সুঠাম করেন।

৩৯. অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন যুগল—নর ও নারী।

৪০. তবুও কি সে স্রষ্টা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন?(১)

(১) এক বর্ণনায় এসেছে, সাহাবীগণের একজন তার ঘরের ছাদে সালাত আদায় করত; যখনই সূরা আল-কিয়ামাহ এর এ আয়াতে পৌছত তখনই সে বলত: পবিত্র ও মহান তুমি, অবশ্যই হ্যাঁ, লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তা শুনেছি।” [আবু দাউদ: ৮৮৪]
তাফসীরে জাকারিয়া


সূরা আল-ইনসান, আয়াতঃ ১-৩


৭৬:১ هَلۡ اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ حِیۡنٌ مِّنَ الدَّهۡرِ لَمۡ یَکُنۡ شَیۡئًا مَّذۡکُوۡرًا
৭৬:২ اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ اَمۡشَاجٍ ٭ۖ نَّبۡتَلِیۡهِ فَجَعَلۡنٰهُ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا
৭৬:৩ اِنَّا هَدَیۡنٰهُ السَّبِیۡلَ اِمَّا شَاکِرًا وَّ اِمَّا کَفُوۡرًا

১. মানুষের উপর কি কালের এমন কোন ক্ষণ আসেনি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?
২. আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, আমি তাকে পরীক্ষা করব, ফলে আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
৩. অবশ্যই আমি তাকে পথ প্রদর্শন করেছি, হয় সে শোকরকারী অথবা অকৃতজ্ঞ।
আল-বায়ান

1. Has there [not] come upon man a period of time when he was not a thing [even] mentioned? 
2. Indeed, We created man from a sperm-drop mixture that We may try him; and We made him hearing and seeing.
3. Indeed, We guided him to the way, be he grateful or be he ungrateful.
Sahih International


১. কালপ্রবাহে মানুষের উপর কি এমন এক সময় আসে নি(১) যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?(২)

(১) هل অব্যয়টি আসলে প্রশ্নবোধকরূপে ব্যবহৃত হয়। মাঝে মাঝে কোন জাজ্বল্যমান ও প্রকাশ্য বিষয়কে প্রশ্নের আকারে ব্যক্ত করা যায়, যাতে তার প্রকাশ্যতা আরও জোরদার হয়ে যায়। [ফাতহুল কাদীর] উদ্দেশ্য এই যে, যাকেই জিজ্ঞাসা করবে, সে এ উত্তরই দিবে, অপর কোন সম্ভাবনাই নেই।

(২) আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, মানুষের উপর এমন দীর্ঘ এক সময় অতিবাহিত হয়েছে, যখন পৃথিবীতে তার নাম-নিশানা এমন কি, আলোচনা পর্যন্ত ছিল না। আয়াতে বৰ্ণিত “যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না” এর অর্থ বৰ্ণনায় কয়েকটি মত রয়েছে, এক. এখানে মানবসৃষ্টির পূর্বের অবস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ অন্তহীন মহাকালের মধ্যে একটি দীর্ঘ সময় তো এমন অতিবাহিত হয়েছে যখন মানব প্ৰজাতির আদৌ কোন অস্তিত্ব ছিল না। তারপর মহাকাল প্রবাহে এমন একটি সময় আসল যখন মানুষ নামের একটি প্রজাতির সূচনা করা হল। [কুরতুবী] দুই. সে একটি ধড় ছিল যার কোন নাম-নিশানা ছিল না। পরবর্তীতে রূহ এর মাধ্যমে তাকে স্মরণীয় করা হয়েছে। [বাগভী; কুরতুবী]

২. আমরা তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে(১), আমরা তাকে পরীক্ষা করব(২); তাই আমরা তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন।(৩)

(১) এখানে মানব সৃষ্টির সূচনা এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, আমি মানুষকে মিশ্র বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি। বলাবাহুল্য এখানে নর ও নারীর মিশ্র বীর্য বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের সৃষ্টি পুরুষ ও নারীর দুটি আলাদা বীর্য দ্বারা হয়নি। বরং দুটি বীর্য সংমিশ্রিত হয়ে যখন একটি হয়ে গিয়েছে তখন সে সংমিশ্রিত বীর্য থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ তফসীরবিদ তাই বলেছেন। [বাগভী; কুরতুবী; ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]

(২) এই বাক্যে মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও রহস্য বিধৃত হয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে এভাবে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য তাকে পরীক্ষা করা। [কুরতুবী] এটাই হলো দুনিয়ায় মানুষের এবং মানুষের জন্য দুনিয়ার প্রকৃত অবস্থান ও মর্যাদা।

(৩) বলা হয়েছে ‘আমরা তাকে বানিয়েছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী’। বিবেকবুদ্ধির অধিকারী করেছি বললে এর সঠিক অর্থ প্ৰকাশ পায়। আল্লাহ তা'আলা তাকে জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধির শক্তি দিয়েছেন যাতে সে পরীক্ষা দেয়ার উপযুক্ত হতে পারে। [কুরতুবী]

৩. নিশ্চয় আমরা তাকে পথ নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।(১)

(১) এ আয়াত পূর্বের আয়াতে বর্ণিত পরীক্ষার ফলে মানুষের কি অবস্থা হয়েছে তা বিধৃত হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি রাসূল ও আসমানী গ্রন্থের মাধ্যমে তাকে পথ বলে দিয়েছি যে, এই পথ জান্নাতের দিকে এবং ঐ পথ জাহান্নামের দিকে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা দিয়েছি যে কোন পথ অবলম্বন করার। সুতরাং আমি তাকে শুধু জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েই ছেড়ে দেইনি বরং এগুলো দেয়ার সাথে সাথে তাকে পথও দেখিয়েছি। যাতে সে জানতে পারে শোকরিয়ার পথ কোনটি এবং কুফরীর পথ কোনটি। এরপর যে পথই সে অবলম্বন করুক না কেন তার জন্য সে নিজেই দায়ী। এ বিষয়টিই অন্যত্র এভাবে বলা হয়েছে, “আমরা তাকে দুটি পথ (অর্থাৎ ভাল ও মন্দ পথ) স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছি।” [সূরা আল-বালাদ: ১০] অন্যত্র বলা হয়েছে এভাবে, “শপথ (মানুষের) প্রবৃত্তির আর সে সত্তার যিনি তাকে (সব রকম বাহ্যিক) ও আভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে শক্তিশালী করেছেন। আর পাপাচার ও তাকওয়া-পরহেজগারীর অনুভূতি দু’টোই তার ওপর ইলহাম করেছেন।” [সূরা আশ-শামস: ৭–৮]
তাফসীরে জাকারিয়া


সূরা আল মুরসালাত, আয়াতঃ ২০-২৪


৭৭:২০ اَلَمۡ نَخۡلُقۡکُّمۡ مِّنۡ مَّآءٍ مَّهِیۡنٍ
৭৭:২১ فَجَعَلۡنٰهُ فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ
৭৭:২২ اِلٰی قَدَرٍ مَّعۡلُوۡمٍ
৭৭:২৩ فَقَدَرۡنَا ٭ۖ فَنِعۡمَ الۡقٰدِرُوۡنَ
৭৭:২৪ وَیۡلٌ یَّوۡمَئِذٍ لِّلۡمُکَذِّبِیۡنَ 

২০. আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি দিয়ে সৃষ্টি করিনি? 
২১. অতঃপর তা আমি রেখেছি সুরক্ষিত আধারে
২২. একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
২৩. অতঃপর আমি পরিমাপ করেছি। আর আমিই উত্তম পরিমাপকারী।
২৪. মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের দুর্ভোগ!
আল-বায়ান

20. Did We not create you from a liquid disdained? 
21. And We placed it in a firm lodging.
22. For a known extent.
23. And We determined [it], and excellent [are We] to determine.
24. Woe, that Day, to the deniers.
Sahih International


১১. আর যখন রাসূলগনকে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত করা হবে(১),

(১) এখানে আল্লাহ্ তা'আলার ওয়াদা বা ভীতিপ্ৰদ বিষয়সমূহ বাস্তবায়ন মুহুর্তের কতিপয় ভয়ানক অবস্থা বর্ণনা করে বলেন যে, প্রথমে সব নক্ষত্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে এবং ঝরে যাবে। দ্বিতীয় অবস্থা এই যে, আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে। তৃতীয় অবস্থা এই যে, পর্বতসমূহ চুৰ্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলি-কণা হওয়ার পর নাই হয়ে যাবে। চতুর্থ অবস্থা হলো, নবী-রাসূলগণের জন্যে তাদের ও তাদের উম্মতের মাঝে বিচারের জন্য উপস্থিত হওয়ার যে সময় নিরূপিত হয়েছিল, তারা যখন সে সময়ে পৌছে যাবেন। এবং তাদেরকে জড়ো করা হবে। [মুয়াস্‌সার, সা'দী]

২১. তারপর আমরা তা রেখেছি নিরাপদ আধারে(১),

(১) অর্থাৎ মায়ের গর্ভস্থল। একে মহান আল্লাহ তা'আলা মুক্ত বাতাস থেকেও সংরক্ষণ করেছেন। [তাতিম্মাতু আদওয়াউল বায়ান]

২২. এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত,

২৩. অতঃপর আমরা পরিমাপ করেছি, সুতরাং আমরা কত নিপুণ পরিমাপকারী!(১)

(১) এটা মৃত্যুর পরের জীবনের সম্ভাব্যতার স্পষ্ট প্রমাণ। আল্লাহ তা'আলার এ বাণীর অর্থ হলো, যখন আমি নগণ্য এক ফোটা বীর্য থেকে সূচনা করে তোমাকে পূর্ণাঙ্গ একজন মানুষ বানাতে সক্ষম হয়েছি তখন পুনরায় তোমাদের অন্য কোনভাবে সৃষ্টি করতে সক্ষম হবো না কেন? আমার যে সৃষ্টি কর্মের ফলশ্রুতিতে তুমি আজ জীবিত ও বর্তমান তা একথা প্রমাণ করে যে, আমি অসীম ক্ষমতার অধিকারী। আমি এমন অক্ষম নই যে, একবার সৃষ্টি করার পর তোমাদেরকে পুনরায় আর সৃষ্টি করতে পারবো না। [আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর]

২৪. সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য।(১)

(১) এখানে এ আয়াতাংশ যে অর্থ প্রকাশ করছে তা হলো, মৃত্যুর পরের জীবনের সম্ভাব্যতার এ স্পষ্ট প্রমাণ সামনে থাকা সত্বেও যারা তা অস্বীকার করছে তাদের জন্য ধ্বংস অনিবাৰ্য। [দেখুন: সা'দী] সুতরাং তারা আখেরাত ও পুনরুত্থান নিয়ে যত ইচ্ছা! হাসি রঙ-তামাসা ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ করুক এবং এর ওপর বিশ্বাস স্থাপনকারী লোকদের তারা যত ইচ্ছা ‘সেকেলে’ অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলতে থাকুক। যে দিনকে এরা মিথ্যা বলছে যখন সেদিনটি আসবে তখন তারা জানতে পারবে, সেটিই তাদের জন্য ধ্বংসের দিন।
তাফসীরে জাকারিয়া




******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url