রাহে আমল-২৬ || এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের অধিকার ||






بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 

এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের অধিকার

قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، أَلَا أَنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَ كُمْ وَأَمْوَالَكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هُذَا فِي بَلَدِكُمْ هُذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، أَلَا هَلْ بَلَّغْتُ؟ قَالُوْا نَعَمْ - قَالَ اللَّهُمُ اشْهَدْ ثَلَاثًا ، وَيْلَكُمْ أووَيْحَهُمْ أَنْظُرُوا لَاتَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رَقَابٍ بَعْض - بخاری ابن عمر رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণে উম্মতকে উদ্দেশ করে বললেন : মনে রেখো, তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ এবং তোমাদের ইয্যাতকে আল্লাহ এমন পবিত্র ঘোষণা করেছেন যেমন পবিত্র আজকের দিন, এ শহর এবং এ মাস। শোন! আমি কি আল্লাহর বাণী তোমাদের নিকট পৌঁছে দিয়েছি ? তারা বললো : হাঁ, আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী, আমি তোমার দ্বীনকে উম্মতের নিকট পৌঁছে দিয়েছি। একথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করার পর বললেন, দেখো! তোমরা আমার পর কাফের হয়ে যেয়ো না মুসলিম হয়েও তোমরা একে অপরের মাথা কেটো না। -বুখারী

মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা

عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضِ قَالَ : بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى إِقَامِ الصَّلوةَ وَإِيتَاءِ الزَّكَواةِ وَالنُّصْحِ لِكُلِّمسلم - بخاری، مسلم
২১০। জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে সালাত কায়েম করার, যাকাত দেবার ও প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে কল্যাণ কামনা করার শর্তে বায়'আত গ্রহণ করেছি। -বুখারী, মুসলিম

ব্যাখ্যা: 'বায়'আত' শব্দের অর্থ হলো বিক্রি করে দেয়া। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যখন কারো হাতে বায়আত গ্রহণ করে তখন প্রকৃতপক্ষে সে এ ওয়াদাই করে যে, সারা জীবন আমি আমার ওয়াদা পালন করে চলবো। জারীর ইবনে আবদুল্লা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তিনটি জিনিসের ওয়াদা করেছিলেন। প্রথম যাবতীয় শর্তসহকারে নামায কায়েম করবে। দ্বিতীয় মালের যাকাত দেবে। তৃতীয় কোন মুসলমান ভাইয়ের জন্যে ক্ষতিকর হবে এমন কিছু করবে না। বরং তাদের সাথে প্রেম, প্রীতি ও হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করবে। উম্মতে মুহাম্মদীর প্রত্যেকটি সদস্য একে অপরের সহিত কিরূপ ব্যবহার করবে তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ এ হাদীসে রয়েছে।

মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ فِي تَرَاحُمِهِمْ وَتَوَدِهِمْ وَتَعَاطفهِمْ كَمَثَلِ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى عَضْوٌّ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمى -بخاری، مسلم نعمان بن بشیر
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা মু'মিনদেরকে পারস্পরিক দয়া, ভালবাসা এবং হৃদ্যতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখতে পাবে। দেহের কোন অঙ্গ যদি পীড়িত হয়ে পড়ে তাহলে অপর অঙ্গগুলোও জ্বর এবং নিদ্রাহীনতা সহ তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকে। -বুখারী, মুসলিম

ব্যাখ্যা : দেহের দৃষ্টান্ত দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝাতে চেয়েছেন, মুসলিম জাতির এটি একটি স্বতন্ত্র ও স্থায়ী গুণ। দুনিয়ার যে কোন স্থানের ও যে কোন বর্ণের মুসলমানদের মধ্যেই এ গুণটি স্বাভাবিকভাবেই বিরাজমান। সর্বত্রই মুসলমানেরা একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও একাত্মতাবোধ প্রকাশ করে থাকে ।

ভ্রাতৃত্ব একটি মজবুত প্রাসাদ

قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبَنْيَانِ يَشَدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا - ثُمَّ شَبَكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ -بخاری، مسلم ابو موسى

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের জন্যে অট্টালিকা স্বরূপ। ঘাড় এক অংশ অপর অংশকে শক্তি যুগিয়ে থাকে। অতপর তিনি এক হাতের আঙ্গুল অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেখালেন। -বুখারী, মুসলিম
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মুসলিম সমাজকে অট্টালিকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। অট্টালিকার ইটগুলো যেমন পরস্পরের সাথে ঘনিষ্টভাবে মিলেমিশে থাকে। ঠিক তেমনি মুসলমানদেরকেও পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকা উচিত। দেয়ালের প্রত্যেকটি ইট যেমন অপর ইটকে শক্তিশালী করে এবং আশ্রয় প্রদান করে থাকে। ঠিক সেভাবে এক মু'মিন অন্য মু'মিন ভাইকে আশ্রয় প্রদান এবং সাহায্য সহযোগিতা করা উচিত। বিচ্ছিন্ন কতগুলি ইট যেমন একত্রিত হয়ে এক মজবুত ইমরাতে পরিণত হয় । তেমনি মুসলমানদের শক্তি নিহিত রয়েছে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক ও একাত্মবোধের মধ্যে। যদি মুসলমানগণ বিচ্ছিন্ন ইটের ন্যায় বিক্ষিপ্ত থাকে তাহলে বাতাসের যে কোন ঝাপটা তাকে উড়িয়ে নিতে এবং পানির সামান্য স্রোত তাকে কচুরি পানার ন্যায় ভাসিয়ে নিতে সক্ষম হবে। অবশেষে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এক হাতের আঙ্গুলগুলো অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে মুসলমানদের পারস্পরিক মিলন ও ঐক্যের এক বাস্তব চিত্র দেখিয়ে দিলেন ।

মু’মিন মু'মিনের আয়না

قَالَ رَسُولُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُؤْمِنُ مِرْأَةُ الْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنُ أَخَوَ الْمُؤْمِنِ يَكْفُ عَنْهُ ضَيْعَتَهُ وَيَحُوطُهُ مِنْ وَرَائِهِ -مشكوة أبو هريرة رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মু'মিন অন্য মু'মিনের আয়না এবং এক মুমিন অন্য মু'মিনের ভাই। সে তার ভাইকে ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করে এবং পেছন থেকে থাকে হিফাযত করে।-মিশকাত
ব্যাখ্যা: এক মু'মিন অপর মু'মিনের জন্য আয়না। অর্থাৎ এক মু'মিন অপর মু'মিনের বিপদ আপদকে নিজের বিপদ আপদ বলে মনে করে। যেভাবে সে নিজের কষ্টে ছটফট করে তেমনি সে অপর মু'মিনের কষ্টেও ছটফট করবে এবং তা দূর করার জন্যে অস্থির হয়ে উঠবে। অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের এক ভাই অন্য ভাইয়ের আয়না। অতএব এক ভাই অন্য ভাইয়ের কষ্ট দেখলে তা দূরীভূত করবে। এভাবে তার মধ্যে কোন দুর্বলতা দেখলে তাকে নিজের দুর্বলতা মনে করে দূর করার চেষ্টা করবে।

অত্যাচারী বা অত্যাচারিত উভয় অবস্থায় মুসলমান ভাইয়ের সাহায্য করা

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْصُرْ أَخَاكَ ظَالِما أَوْ مَظْلُومًا، فَقَالَ رَجُلُ يَا رَسُولَ اللهِ انْصُرُهُ مَظْلُومًا فَكَيْفَ أَنْصُرُهُ ظَالِما؟ قَالَ تَمْنَعُهُ مِنَ الظُّلْمِ فَذَالِكَ نَصْرُكَ إِيَّاهُ -بخاری، مسلم : انس رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি তোমার ভাইয়ের সাহায্য করো। চাই সে যালিম হোক বা মযলুম এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! মযলুম হলে আমি তাকে সাহায্য করবো। কিন্তু যালিম হলে আমি তাকে কিভাবে সাহায্য করবে৷ ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, তাকে অত্যাচার করা হতে বিরত রাখবে। আর এটাই হলো তাকে সাহায্য করা। -বুখারী, মুসলিম

মুসলমানের কষ্ট দূর করা এবং দোষ গোপন রাখা

إِنَّ رَسُولَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لا يظلمه وَلَا يُسْلِمُه ومَنْ كَانَ فِي حَاجَة أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِي حَاجَتِهِ - وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِرٍ كَرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةٌ مِّنْ كَرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ - ومن ستر مسلما سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ -بخاری، مسلم ابن عمر رض
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি যুলুম করবে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। যে ব্যক্তি নিজের ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে। আল্লাহ তার প্রয়োজন মেটাবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে বিপদমুক্ত করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে বিপদমুক্ত করবেন যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন। -বুখারী, মুসলিম

ব্যাখ্যা: হাদীসের শেষাংশের মর্মকথা হলো, যদি কোন নেক্কার মুসলমান ভুলবশত কোন ত্রুটি করে বসে তাহলে তাকে অন্যের চোখে হেয় করার উদ্দেশ্যে তা প্রকাশ করে বেড়াবে না। বরং তা গোপন রাখবে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রকাশ্যভাবে আল্লাহর আইনসমূহ লংঘন এবং তাঁর নাফরমানী করতে থাকে সে ক্ষেত্রে তার দোষ গোপন রাখার স্থলে তা প্রকাশ করে দেয়ার নির্দেশই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন।

মুসলমান ভাইয়ের জন্য পছন্দ অপছন্দের মাপকাঠি 

 قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِلا يُؤْمِنُ عَبْدُ حَتَّى يُحِبُّ لأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ -بخاری، مسلم انس رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মহান সত্তার হাতে আমার জীবন তার শপথ করে বলছি : কোন ব্যক্তি মু'মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করবে নিজের ভাইয়ের জন্যেও তা পছন্দ করবে।- বুখারী, মুসলিম
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رض قَالَ سَمِعْتُ النَّبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمِ بَاعَ مِنْ أَخِيْهِ بَيْعًابَيْنَهُ لَه - ابن ماجة وفيه عيب

উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। অতএব কোন মুসলিম তার ভাইয়ের নিকট কিছু বিক্রি করার সময় তাতে যদি কোন দোষ-ত্রুটি থাকে তা যেনো স্পষ্টভাবে বলে দেয়। কেনোনা দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা কোন মুসলিম ব্যবসায়ীর জন্য হালাল নয়। ইবনে মাজা

আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসা পোষণকারীদের মর্যাদা

قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللهِ لَانَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ قَالُوا يَارَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ؟ قَالَ هُمْ قَوْمُ تَحَابُّوا بِرَوْحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامِ بَيْنَهُمْ وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَامَلُوْنَهَا فَوَ اللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورُ - وَإِنَّهُمْ لَعَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ ولا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ وَقَرَا هَذِهِ الْآيَةَ أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌهم ولاهم يحزنون - سورة يونس ٦٢ ابوداؤد شرح السنة عليهم و

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা নবীও নন এবং শহীদও নন । অথচ আম্বিয়া ও শহীদগণ কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট তাদের মর্যাদা দেখে ঈর্ষা বোধ করবেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি কারা ? জবাবে তিনি বললেন, এরা সেই সব ব্যক্তি যারা পরস্পরকে কেবল আল্লাহর দ্বীনের ভিত্তিতেই ভালোবাসতো। তাদের মধ্যে আত্মীয়তার কোন বন্ধন কিংবা ধন-সম্পদ আদান-প্রদানের কোন সম্পর্ক ছিলো না। আল্লাহর কসম! এদের চেহারা হবে জ্যোতির্ময়। নিঃসন্দেহে তাঁরা নূর দ্বারাই পরিবেষ্টিত থাকবে। মানুষ যখন থাকবে ভীত বিহ্বল তখন এরা থাকবে শংকাহীন। মানুষ যখন থাকবে চিন্তায় নিমগ্ন তখন এরা থাকবে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত। অতঃপর তিনি এ আয়াতটি পাঠ করলেন:
ألَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَاهُمْ يَحْزَنُونَ

"মনে রেখো, আল্লাহর বন্ধুগণ নিশ্চয়ই ভীত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।- সূরা ইউনুস : ৬২। – আবু দাউদ, শরহে সুন্নাহ

ব্যাখ্যা: মূল হাদীসে শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এর অর্থ অধিক পরিমাণে খুশী হওয়া। এ শব্দটি হিংসা দ্বেষ অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে প্রথমোক্ত অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। হাদীসটির অর্থ হলো, কোন উস্তাদ যেমন নিজের ছাত্রের পদোন্নতি ও উচ্চমর্যাদা লাভের দরুন আনন্দিত হন। গর্ববোধ করে থাকেন। ঠিক একইভাবে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী নবী ও শহীদগণ এদের মর্যাদা দেখে খুশি হবেন। যাদের মর্যাদার কথা বর্ণিত হলো, এদের পারস্পরিক ভালোবাসার ভিত্তি ছিল একমাত্র আল্লাহর দ্বীন। রক্তের সম্পর্ক এবং ধন-সম্পদের লেনদেন তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত বন্ধনে আবদ্ধ করেনি। বরং ইসলাম এবং ইসলামী জীবন গঠনের উদগ্র বাসনাই তাঁদের পরস্পরকে নিঃস্বার্থ বন্ধুতে পরিণত করেছে। এসব লোকদেরকে ইহকালের সফলতা ও সাহায্যের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। পরকালের জন্য দেয়া হয়েছে স্থায়ী সুখ ও নেয়ামতের পূর্ণ আশ্বাস ।

সূরা ইউনুসের উল্লেখিত আয়াতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান আনয়নকারী, দ্বীনের পথে উৎপীড়িত ব্যক্তি, ঈমানী জীবন যাপনের প্রচেষ্টাকারী এবং জাহেলী জীবনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংঘাত সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন :

لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ

“তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ, যেমন ইহকালে তেমন পরকালেও।”

সম্পর্ক ছিন্নের মেয়াদ

قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُهْجُرُأَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثَ لَيَالِ يَلْتَقِيَانِ فَيَعْرِضُ هُذَا وَيَعْرِضُ هُذَا وَخَيْرُ هُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسلام - بخاری، مسلم ابو ایب انصار رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশী এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা জায়েয নয় যে, রাস্তায় দেখা হয়ে গেলেও একজন অপরজন হতে মুখ ফিরিয়ে রাখবে। আর দুজনের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম যে আগে সালাম দেবে। -বুখারী, মুসলিম

ব্যাখ্যা: কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'জন মুসলমানের মধ্যে মনোমালিন্যের সূত্রপাত হওয়া এমন কি কথাবার্তা পর্যন্ত বন্ধ হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু তিন দিনের অধিককাল এ অবস্থায় থাকা কোন মুসলমানের জন্য উচিত নয়। সাধারণত দু'ব্যক্তির মধ্যে এরূপ তিক্ততার সৃষ্টি হলে, উভয়ের মধ্যেই যদি কিছু আল্লাহভীতি থেকে থাকে তাহলে তিনদিন অতিবাহিত হবার পূর্বেই তাদের মধ্যে মিলনের আগ্রহ সৃষ্টি হতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত দু'জনের একজন সালাম জানালেই এ শয়তানী তিক্ততার অবসান ঘটবে। এ জন্যে সর্বপ্রথম সালাম দানকারী, যার মাধ্যমে তিক্ততার অবসান সূচিত হবে তার মর্যাদা বেশী বলে এ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য হাদীসেও একথার উল্লেখ আছে।

মুসলিমের সামষ্টিক চরিত্র

قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّالظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثَ وَلَا تَحْسَسُوا وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا تَنَاجِشُوا وَلَا تَبَاغَضُوا وَلَا تَدَابَرُوا - وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ اخْوَانًا -بخاری، مسلم ابو هريرة رض
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা খারাপ ধারণা পোষণ করা হতে বিরত থেকো। কেনোনা খারাপ ধারণাপ্রসূত কথা নিকৃষ্টতম মিথ্যা। তোমরা অপরের দোষ খুঁজে বেড়িও না। কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে গোপন খবর বের করার চেষ্টা করো না। কারো একান্ত গোপন কথা শুনার চেষ্টা করো না এবং পরস্পরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না। একজন অপরজনের অনিষ্ট সাধনের জন্য পিছে লেগে থেকো না। তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দাহ হয়ে পরস্পর ভাই ভাই হয়ে বসবাস করো। -বুখারী, মুসলিম

মুসলমানদের দোষ ফাঁস করা থেকে বিরত থাকা

صعد رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَنَادَى بِصَوْتٍ رفيع فَقَالَ يَا مَعْشَرَ مَنْ أَسْلَمَ بِلِسَانِ، وَلَمْ يُفْضِ الْإِيْمَانُ إِلَى قَلْبِ لا تُؤْذُوا الْمُسْلِمِينَ وَلَا تُعِيْرُهُ هُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ يَتَّبِعْ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَورَتَهُ يَفْضَحْهُ وَلَوْفي جوف رحله - ترمذی ابن عمر رض

একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরের উপর বসে উচ্চস্বরে বললেন, হে লোক সকল! যারা মুখে মুখে ইসলাম গ্রহণ করছো । কিন্তু ঈমান এখনো অন্তরে পৌঁছেনি। তোমরা মুসলমানদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে লজ্জা দিয়ো না এবং তাদের দোষ-ত্রুটির পিছে লেগে থেকো না। কেনোনা যে ব্যক্তি মুসলমান ভাইয়ের দোষ উদঘাটনের পশ্চাতে লেগে থাকে, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেন। আল্লাহ সে ব্যক্তির দোষ প্রকাশ করে দেন, তাকে লজ্জিত ও অপমানিত করে ছাড়েন। যদি সে নিজের ঘরের মধ্যেও বসে থাকে।- তিরমিযি
ব্যাখ্যা: মুনাফিকরা সত্যবাদী এবং নিষ্ঠাবান মুসলমানদেরকে নানাভাবে দুঃখ-কষ্ট দিতো। তারা মুসলমানদের জাহেলী যুগের লজ্জাজনক বংশীয় দোষ-ত্রুটির কথা লোক সম্মুখে বলে বেড়াতো। এ ধরনের লোকদেরকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীস দ্বারা ধমক দিয়েছেন। অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, এ বক্তব্য প্রদানের সময় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কণ্ঠস্বর এতই উচ্চ হয়েছিল যে, পার্শ্ববর্তী ঘরগুলোতে পর্যন্ত আওয়ায পৌঁছে যায় এবং মেয়েরাও একথাগুলো শুনেছিলো।

পরনিন্দার পরিণাম

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمَّا عَرَجَ بِي رَبِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَّهُمْ أَظْفَارُ مِنْ نُحَاسٍ يَحْمِشُونَ وُجُوهُهُمْ وَصُدُورَهُمْ فقلتُ مَنْ هَؤُلَاءِ يَا جِبْرِيلُ؟ قَالَ هُؤُلَاءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِويَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ - ابو داؤد انس رض

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন আমার প্রতিপালক প্রভু আমাকে মে'রাজে নিয়ে যান তখন আমি এক সময় এমন এক শ্রেণীর লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম যাদের নখগুলো ছিলো পিতলের নখের মতো। এ নখ দ্বারা তারা নিজেদের চেহারা ও বুক খামচাচ্ছিলো। আমি তাদের সম্পর্কে জিবরীল আমীনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এরা সেই সব ব্যক্তি যারা দুনিয়াতে লোকের গোশত খেতো এবং তাদের ইয্যাত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতো। -আবু দাউদ

ব্যাখ্যা ও মানুষের গোশত খাওয়ার অর্থ, লোক সমাজে তাদের গীবত ও নিন্দা করে বেড়াতো। তাদের সুনাম ও খ্যাতি বিনষ্ট করার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকতো।

মুসলমানদের পারস্পরিক অধিকার

قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتْ قِيْلَ مَا هُنَّ يَارَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِذَا لَقِيْتَهُ فَسَلَّمْ عَلَيْهِ وَإِذَا دعالَ فَأَجِبْهُ وَإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَهُ وَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ فَشَمِتْهُ وإِذا مرض فَعدَهُ وَإِذَا مَات فَاتَّبِعه - مسلم ابو هريرة رض
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের উপর অপর একজন মুসলমানের ছয়টি অধিকার আছে। অধিকারগুলো সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন ঃ (১) কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা হলে তাকে সালাম জানাবে। (২) যখন তোমাকে সে দাওয়াত দিবে, তা গ্রহণ করবে। (৩) যখন সে তোমার কাছে শুভেচ্ছা ও কল্যাণ কামনা করবে, তাকে তা প্রদান করবে। (৪) যখন সে হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলবে, তখন তার জবাব দেবে। (৫) যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়বে, তখন তাকে দেখতে যাবে এবং (৬) যখন সে মৃত্যুবরণ করবে, তখন তার জানাযায় শরীক হবে। - মুসলিম

ব্যাখ্যা: (ক) সালাম করার অর্থ কেবল 'আসসালামু আলাইকুম' শব্দের উচ্চারণ করা নয়। বরং এটা এমন একটি ঘোষণা ও স্বীকারোক্তি যে, আমার পক্ষ হতে তোমার জান এবং ইয়্যত নিরাপদ। কোনভাবে আমি তোমাকে কষ্ট দেবো না। আর শুভেচ্ছা ও কল্যাণ কামনার অর্থ হলো, আল্লাহ তোমার দ্বীন ও ঈমানকে হেফাযত করুন এবং তোমার উপর তাঁর করুণা বর্ষণ করুন।
(খ) 'তাশমীত' শব্দের অর্থ হাঁচি। হাঁচি প্রদানকারীর জন্য মঙ্গল সূচক কথা বলা উচিত। যেমন “ইয়ার হামুকাল্লাহ' অর্থাৎ আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন। তুমি আল্লাহর আনুগত্যের পথে প্রতিষ্ঠিত থাকো। তোমার পক্ষ থেকে এমন কোন ত্রুটি বিচ্যুতি না ঘটুক যা অপরের হাসির খোরাকে পরিণত হবে ।

ক্ষমা

إِنَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَقْبِلُوا نَوِي الْهَيْئَاتِ عَثَرَاتِهِمْ إِلا الْحُدُود - ابو داؤد عائشة رض

আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ ও ভালো কোনো লোকের দোষ-ত্রুটি হলে তা ক্ষমা করে দিবে। কিন্তু হুদুদ সংক্রান্ত ব্যাপারে নয় । -আবু দাউদ

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ কোন নেক্কার লোক যিনি কখনো আল্লাহর নাফরমানী করেন না। যদি কখনো হঠাৎ পদস্খলিত হয়ে কোন অন্যায় কাজ করে বসেন তাহলে তাকে হেয় দৃষ্টিতে দেখো না। কোনরূপ অসম্মান করো না। বরং তাকে মাফ করে দিও। অবশ্য যদি তার থেকে এমন কোন পাপ কাজ সংঘটিত হয় যার সাজা শরীয়তে নির্দিষ্ট আছে। যেমন ব্যাভিচার, চুরি ইত্যাদি তাহলে এরূপ অপরাধ ক্ষমা করা যাবে না ।

শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শান্তিসমূহকে হুদুদ বলা হয়।

অমুসলিম নাগরিকের অধিকার

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا مَنْ ظَلَمَ مُعَاهِدًا أو انْتَقَصَهُ اَوْ كَلَّفَهُ فَوْقَ طَاقَتِهِ أَوْأَخَذَ مِنْهُ شَيْئًا بِغَيْرِ طِيْبِ نَفْسٍ قَانًا حجيجة يَوْمَ الْقِيَامَةِ - ابو داؤد
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মনে রেখো- যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায়। তার অধিকার খর্ব করে। তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। তাহলে কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরুদ্ধে অমুসলিম নাগরিকের পক্ষ অবলম্বন করবো। -আবু দাউদ

ব্যাখ্যা: প্রসংগত উল্লেখ্য যে, এ হাদীসটির পূর্বে উল্লেখিত অধ্যায়গুলোতে প্রতিবেশী, মেহমান, পীড়িত ব্যক্তি এবং সফরসঙ্গীদের যেসব অধিকারের কথা বর্ণিত হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ই সমান ।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url