মা’আরেফুল কোরআন - ২২ || সূরা আল-বাকারাহ ৪৭-৫২নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর ||




بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

سورة البقرة

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৪৭-৫২


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

يُبَنِي إِسْرَاءِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَإِنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَلَمِينَ وَاتَّقُوا يَوْمًا لَّا تَجْزِى نَفْسٌ عَنْ نَّفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةً وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ )

সূরা আল-বাকারাহ ৪৭-৪৮নং আয়াতের অর্থ

(৪৭) হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের ওপর করেছি এবং (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি তোমাদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি সমগ্র বিশ্বের ওপর। (৪৮) আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না, কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেওয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না।

সূরা আল-বাকারাহ ৪৭-৪৮নং আয়াতের তফসীরের সার সংক্ষেপ

হে ইয়াকুব (আ)-এর বংশধর ! তোমরা আমার প্রদত্ত সে সব নেয়ামতের কথা স্মরণ কর (যাতে কৃতজ্ঞতা ও উপাসনা-আরাধনার প্রেরণা সৃষ্টি হয়) এবং এ কথাও স্মরণ কর যে, আমি তোমাদেরকে (বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে) বিশ্ববাসীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি (এর অর্থ এও হতে পারে ‘এবং আমি তোমাদেরকে সৃষ্ট জগতে এক বিরাট অংশের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছি।)

জ্ঞাতব্যঃ এ আয়াতে যেহেতু হুযূর (সা)-এর সমসাময়িক ইহুদীদের সম্বোধন করা হয়েছে এবং সাধারণ যে অনুকম্পা ও সম্মান পিতৃপুরুষের ওপর প্রদর্শন করা হয়, তদ্দ্বারা তার পরবর্তী বংশধরগণও উপকৃত হয়। এটাই সাধারণভাবে দেখা যায়। এজন্য ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, তারাও এ আয়াতের সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত। আর এমন একদিন সম্পর্কে ভয় কর, যেদিন কোন ব্যক্তি কারো পক্ষে কোন দাবী আদায় করতে পারবে না এবং কারো কোন সুপারিশও গৃহীত হবে না। (যার সম্পর্কে সুপারিশ করা হচ্ছে তার মধ্যে যদি ঈমান না থাকে)। আর কারো পক্ষ থেকে কোন বিনিময় ও গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের কারো পক্ষপাতিত্বও করা যাবে না।
জ্ঞাতব্যঃ আলোচ্য আয়াতে যে দিনের কথা বলা হয়েছে, সেটি হল কিয়ামতের দিন। দাবী আদায় করে দেওয়ার অর্থ যেমন, কেউ নামায-রোযা সংক্রান্ত হিসাবের সম্মুখীন হলে, তখন অপর কেউ যদি বলে যে, আমার নামায-রোযার বিনিময়ে তাকে হিসাবমুক্ত করে দেওয়া হোক, তবে তা গৃহীত হবে না। বিনিময় অর্থ, টাকা-পয়সা বা ধন-সম্পদের বিনিময়ে দায়মুক্ত করে দেওয়া। এ দু’টির কোনটিই গ্রহণ করা হবে না। ঈমান ব্যতীত সুপারিশ গৃহীত না হওয়ার কথা কোরআনের অন্যান্য আয়াত দ্বারাও বোঝা যায়। প্রকৃত প্রস্তাবে এদের পক্ষে কোন সুপারিশই গৃহীত হবে না। ফলে তা গ্রহণ করার কোন প্রশ্নই উঠবে না। আর পক্ষপাতিত্বের রূপ এই যে, কোন ক্ষমতাশীল ব্যক্তি সাহায্য করে কাউকে জোরপূর্বক উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারবে না।

মোটকথা, দুনিয়াতে সাহায্য করার যত পদ্ধতি আছে, ঈমান ব্যতীত সেগুলোর কোনটাই আখিরাতে কার্যকর হবে না।


সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৪৯

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذۡ نَجَّیۡنٰکُمۡ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَسُوۡمُوۡنَکُمۡ سُوۡٓءَ الۡعَذَابِ یُذَبِّحُوۡنَ اَبۡنَآءَکُمۡ وَ یَسۡتَحۡیُوۡنَ نِسَآءَکُمۡ ؕ وَ فِیۡ ذٰلِکُمۡ بَلَآ ءٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ عَظِیۡمٌ ﴿۴۹

সূরা আল-বাকারাহ ৪৯নং আয়াতের অর্থ

৪৯. আর (স্মরণ কর) সে সময়ের কথা, যখন আমি তোমাদিগকে মুক্তিদান করেছি ফেরআউনের লোকদের কবল থেকে যারা তোমাদিগকে কঠিন শাস্তি দান করত; তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে জবাই করত এবং তোমাদের স্ত্রীদিগকে অব্যাহতি দিত। বস্তুতঃ তাতে পরীক্ষা ছিল তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে, মহা পরীক্ষা।

সূরা আল-বাকারাহ ৪৯নং আয়াতের তফসীরের সার সংক্ষেপ

ওপরে যে বিশেষ আচরণের বিষয় উদ্ধৃত করা হয়েছে, এখান থেকে তার বিস্তারিত বর্ণনা আরম্ভ হয়েছে। প্রথম আচরণ ও ঘটনা এই ) আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের (পিতৃপুরুষদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলাম) যারা (সর্বক্ষণ) তোমাদেরকে (মানসিক কষ্ট) ও কঠোর যন্ত্রণা দেওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকত, আর তোমাদের পুত্র-সন্তানদের গলা কেটে মেরে ফেলত এবং তোমাদের স্ত্রীলোকদেরকে (অর্থাৎ কন্যা সন্তানদেরকে) জীবিত রাখত, (যেতে তারা পূর্ণ বয়স্কা মহিলার পর্যায়ে পৌঁছে)। বস্তুত এই (ঘটনার) মধ্যে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা ছিল।
জ্ঞাতব্যঃ কোন ব্যক্তি ফেরাউনের নিকট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে, ইসরাঈল বংশে এমন এক ছেলের জন্ম হবে, যার হাতে তোমার রাজ্যের পতন ঘটবে। এজন্য ফেরাউন নবজাত পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করতে আরম্ভ করল। আর যেহেতু মেয়েদের দিক থেকে কোন রকম আশংকা ছিল না, সুতরাং তাদের সম্পর্কে নিশ্চুপ রইলো। দ্বিতীয়ত, এতে তার নিজস্ব একটি মতলবও ছিল যে, সেই স্ত্রীলোকদেরকে দিয়ে ধাত্রী পরিচারিকার কাজও করানো যাবে। সুতরাং এ অনুকম্পাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এই ঘটনার দ্বারা হয় উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডকে বোঝানো হয়েছে অথবা বিপদে ধৈর্যের পরীক্ষা অথবা অব্যাহতি দানের কথা বোঝানো হয়েছে, যা এক অনুগ্রহ ও নিয়ামত। আর নিয়ামতের ক্ষেত্রেই শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতার পরীক্ষা হয়। পরবর্তী আয়াতে অব্যাহতি দানের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।


সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫০-৫১

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 وَ اِذۡ فَرَقۡنَا بِکُمُ الۡبَحۡرَ فَاَنۡجَیۡنٰکُمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤ اٰلَ فِرۡعَوۡنَ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۰
وَ اِذۡ وٰعَدۡنَا مُوۡسٰۤی اَرۡبَعِیۡنَ لَیۡلَۃً ثُمَّ اتَّخَذۡتُمُ الۡعِجۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ وَ اَنۡتُمۡ ظٰلِمُوۡنَ ﴿۵۱

সূরা আল-বাকারাহ ৫০-৫১নং আয়াতের অর্থ

(৫০) আর যখন আমি তোমাদের জন্য সাগরকে দ্বিখণ্ডিত করেছি, অতঃপর তোমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছি এবং ডুবিয়ে দিয়েছি ফেরাউনের লোকদিগকে অথচ তোমরা দেখছিলে। (৫১) আর তখন আমি মূসার সাথে ওয়াদা করেছি চল্লিশ রাত্রির, অতঃপর তোমরা গো-বৎস বানিয়ে নিয়েছ মূসার অনুপস্থিতিতে। বস্তুত তোমরা ছিলে জালিম।

সূরা আল-বাকারাহ ৫০-৫১নং আয়াতের তফসীরের সার সংক্ষেপ

৫০. আর (ঐ সময়ের কথা স্মরণ কর) যখন আমি তোমাদের (পথ বের করার) উদ্দেশ্যে সমুদ্রকে বিভক্ত করে দিলাম। অতঃপর আমি তোমাদেরকে (ডুবে মরার হাত থেকে) উদ্ধার করলাম এবং ফেরাউনসহ তার সহচরদেরকে ডুবিয়ে মারলাম । অথচ তোমরা স্বচক্ষে দেখছিলে।
জ্ঞাতব্যঃ এ ঘটনা ঐ সময় ঘটে যখন মূসা (আ) জন্মগ্রহণের পর নবুয়ত লাভ করেন এবং বহুকাল পর্যন্ত ফেরাউনকে বোঝাতে থাকেন, কিন্তু সে কোনক্রমেই যখন সঠিক পথে আসল না, তখন হুকুম হল যে, বনী ইসরাঈলসহ গোপনে তুমি এখান থেকে চলে যাও। কিন্তু পথে সমুদ্র প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াল। এমন সময় ফেরাউন পেছন দিকে থেকে সসৈন্যে সেখানে এসে পৌঁছল। আল্লাহ পাকের হুকুমে সমুদ্র দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ায় বনী-ইসরাঈলরা পথ পেয়ে পার হয়ে গেল। ফেরাউনের আগমন পর্যন্ত সমুদ্র দ্বিধাবিভক্ত হয়েই রইলো। সেও পশ্চাদ্ধাবনের উদ্দেশ্যে সে পথেই ঢুকে পড়লো। এমন সময় দু'দিক থেকে পানি চেপে এল এবং সমুদ্র পূর্ববর্তী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এল। ফলে সপারিষদ ও সসৈন্যে ফেরাউনের সলিল সমাধি ঘটল।

আর (ঐ সময়টির কথাও স্মরণ কর,) যখন আমি মূসা (আ)-এর সাথে (তওরাত অবতীর্ণ করার নির্দিষ্ট সময়ান্তে সে নির্ধারিত সময়ের সাথে আরো দশ দিন বর্ধিত করে সর্বমোট) চল্লিশ রাতের অঙ্গীকার করেছিলাম। মূসা (আ)-এর (প্রস্থানের) পর তোমরা গো-বৎস বানিয়ে (পূজার ব্যবস্থা করে) নিলে এবং তোমরা (এ ব্যবস্থা অবলম্বন করে প্রকাশ্য) জুলুমে (সীমালঙ্ঘনে দৃঢ়ভাবে হয়েছিলে, অর্থাৎ এক অবাস্তব ও অপ্রাসঙ্গিক কথার সমর্থক ও বিশ্বাসী হয়েছিলে)।
জ্ঞাতব্যঃ এ ঘটনা ঐ সময়ের, যখন ফেরাউন সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়ার পর বনী-ইসরাঈলরা কারো কারো মতে মিসরে ফিরে এসেছিল আবার কারো কারো মতে অন্য কোথাও বসবাস করছিল—তখন মূসা (আ)-এর খেদমতে বনী-ইসরাঈলরা আরয করলঃ আমরা এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ ও নিশ্চিত। যদি আমাদের জন্য কোন শরীয়ত নির্ধারিত হয়, তবে আমাদের জীবন বিধান হিসাবে আমরা তা গ্রহণ ও বরণ করে নেব। মূসা (আ)-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ পাক অঙ্গীকার প্রদান করলেনঃ তুমি তূর-পর্বতে অবস্থান করে এক মাস পর্যন্ত আমার আরাধনা ও অতন্দ্র সাধনায় নিমগ্ন থাকার পর তোমাকে এক কিতাব দান করব। মূসা (আ) তা-ই করলেন। ফলে তওরাত লাভ করলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দশদিন উপাসনা-আরাধনায় মগ্ন থাকার নির্দেশ দেওয়ার কারণ ছিল এই যে, হযরত মূসা (আ) এক মাস রোযা রাখার পর ইফতার করে ফেলেছিলেন। আল্লাহ্ তা'আলার কাছে রোযাদারের মুখের গন্ধ অত্যন্ত পছন্দনীয় বলে মূসা (আ)-কে আরো দশদিন রোযা রাখতে নির্দেশ দিলেন, যাতে পুনরায় সে গন্ধের উৎপত্তি হয়। এভাবে চল্লিশ দিন পূর্ণ হলো। মূসা (আ) তো ওদিকে তূর পর্বতে রইলেন। এদিকে সামেরী নামক এক ব্যাক্তি সোনা-রূপা দিয়ে গো-বৎসের একটি প্রতিমূর্তি তৈরী করল এবং তার কাছে পূর্ব থেকে সংরক্ষিত জিবরাঈল (আ)-এর ঘোড়ার খুরের তলার কিছু মাটি প্রতিমূর্তির ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ায় সেটি জীবন্ত হয়ে উঠলো এবং অশিক্ষিত বনী ইসরাঈলরা তারই পূজা করতে আরম্ভ করে দিল।

সূরা আল-বাকারাহ আয়াতঃ ৫২

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

 ثُمَّ عَفَوۡنَا عَنۡکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۵۲

সূরা আল-বাকারাহ ৫২নং আয়াতের অর্থ

(৫২) অতঃপর আমি তাতেও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও।

সূরা আল-বাকারাহ ৫২নং আয়াতের তফসীরের সার সংক্ষেপ

তবুও আমি (তোমাদের তওবার পরিপ্রেক্ষিতে) এত বড় অপরাধ করা সত্ত্বেও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম-এ আশায় যে, তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে।
জ্ঞাতব্য ৪ এ তওবার বর্ণনা পরবর্তী তৃতীয় আয়াতে রয়েছে। আর আশার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ্ পাকের এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ ছিল, বরং এর অর্থ এই যে, মাফ করে দেওয়া এমনই জিনিস, যার প্রতি লক্ষ্য করে বনী ইসরাঈল আল্লাহ্ পাকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে বলে দর্শকদের মনে আশার সঞ্চার হতে পারে।




*******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url