তাফসীরে ইবনে কাসীর - ১১ || সূরা বাকারাহ-১ || সূরা বাকারাহর মাহাত্ম্য ও গুণাবলী || সূরা বাকারাহ্ ও সূরা আলে ইমরানের বৈশিষ্ট্য






সূরা বাকারাহ মদীনায় অবতীর্ণ

সূরা বাকারাহর সম্পূর্ণ অংশই মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং মদীনায় প্রথম যেসব সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, এটিও তার একটি। তবে অবশ্যই এর  وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا تُرۡجَعُوۡنَ فِیۡهِ اِلَی اللّٰهِ (সূরা বাকারাহ, ২ : ২৮১) এই আয়াতটি সবশেষে অবতীর্ণ হয়েছে এ কথা বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কুরআন মাজীদের এ আয়াতটি সবশেষে অবতীর্ণ হয়েছে এরূপ সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবতঃ তা শেষের দিকে অবতীর্ণ হয়েছে। এভাবে সুদের নিষিদ্ধতার আয়াতগুলিও শেষের দিকে নাযিল হয়েছে। খালিদ ইব্‌ন মি‘দান সূরা বাকারাহকে فُسْطَاطُ الْقُرْآنِ অর্থাৎ কুরআনের শিবির বলতেন। কিছু সংখ্যক আলেমের উক্তি আছে যে, এর মধ্যে এক হাজার সংবাদ, এক হাজার অনুজ্ঞা এবং এক হাজার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে দু’শ’ সাতাশিটি আয়াত আছে। এর শব্দ হচ্ছে ছ’হাজার দুশ' একুশটি এবং এতে অক্ষর আছে পঁচিশ হাজার পাঁচশ'টি |
ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এ সূরাটি মাদানী। আবদুল্লাহ ইব্‌ন যুবাইর (রাঃ), যায়িদ ইব্‌ন সাবিত (রাঃ) এবং বহু ইমাম, আলেম এবং মুফাস্সির হতে সর্বসম্মতভাবে এটাই বর্ণিত হয়েছে। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি ‘বানে ও‘য়াদীতে শাইতানের উপর পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন। বাইতুল্লাহ তাঁর বাম দিকে ছিল এবং মিনা ছিল ডান দিকে এবং তিনি বলছিলেন, ‘এ স্থান হতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন যাঁর উপর সূরা বাকারাহ অবতীর্ণ হয়েছিল।’
ইব্‌ন মিরদুওয়াই (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের (রাঃ) মধ্যে কিছু শিথিলতা লক্ষ্য করলেন তখন তিনি তাঁদেরকে يَا أَصْحَابَ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ বলে ডাক দিলেন। খুব সম্ভব এটা হুনায়েনের যুদ্ধের ঘটনা হবে। যখন মুসলিম সৈন্যদের পদস্খলন ঘটেছিল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশক্রমে আব্বাস (রাঃ) তাদেরকে ‘হে গাছওয়ালাগণ!’ অর্থাৎ ‘হে বাইয়া'তে রিযওয়ানকারীগণ' এবং ‘হে সূরা বাকারাহ ওয়ালাগণ' বলে ডাক দিয়েছিলেন। যেন তাঁদের মধ্যে আনন্দ ও বীরত্বের সৃষ্টি হয় । সুতরাং সেই ডাক শোনা মাত্রই সাহাবীগণ (রাঃ) চতুর্দিক থেকে বিদ্যুৎ গতিতে দৌড়ে এলেন। মুসাইলামা, যে মিথ্যা নাবুওয়াতের দাবী করেছিল, তার সাথে যুদ্ধ করার সময়েও ইয়ামামার রণ প্রান্তরে বানু হানীফার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মুসলিমদেরকে বেশ বিচলিত ও সন্ত্রস্ত করেছিল এবং তাঁদের পা টলমল করে উঠেছিল, তখন সাহাবীগণ (রাঃ) এভাবেই লোকদেরকে এ يَا أَصْحَابَ سُوْرَةِ الْبَقَرَةِ বলে ডাক দিয়েছিলেন। সেই শব্দ শুনে সবাই ফিরে এসে একত্রিত হয়েছিলেন, আর এমন শৌর্য ও বীরত্বের সাথে প্রাণপণে যুদ্ধ করেছিলেন যে, মহান আল্লাহ তা'আলা সেই ধর্মত্যাগীদের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরকেই জয়ী করেছিলেন, আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল ও সাহাবীগণের উপর সব সময় সন্তুষ্ট থাকুন। (আল মাজমা' ৬/১৮০)

সূরা বাকারাহর মাহাত্ম্য ও গুণাবলী

মুসনাদ আহমাদ, সহীহ মুসলিম, জামে' তিরমিযী এবং সুনান নাসাঈতে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘তোমরা নিজেদের ঘরকে কবরে পরিণত করনা, যে ঘরে সূরা বাকারাহ পাঠ করা হয় সেখানে শাইতান প্রবেশ করতে পারেনা।' (আহমাদ ২/২৮৪, মুসলিম ১/৫৩৯, তিরমিযী ৮/১৮০ নাসাঈ ৫/১৩) ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একে হাসান সহীহ বলেছেন । অন্য একটি হাদীসে আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারাহ পড়া হয় সেখান হতে শাইতান পলায়ন করে। হাদীসটি ইমাম নাসাঈ (রহঃ) তাঁর ‘আল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাতু' নামক পুস্তকে এবং ইমাম হাকিম স্বীয় গ্রন্থ ‘মুসতাদরাক’ এ বর্ণনা করেছেন । (হাদীস নং ৫/১৩ ও ২/২৬০)

মুসনাদ দারিমীতে ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারাহ পড়া হয় সেই ঘর থেকে শাইতান গুহ্যদ্বার দিয়ে বায়ু নিঃসরণ করতে করতে পলায়ন করে ।

আবদুল্লাহ ইব্‌ন মাসউদের (রাঃ) উক্তি আছে যে, যে ঘরে সূরা বাকারাহর প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী, তার পরবর্তী দু'টি আয়াত এবং সব শেষের তিনটি আয়াত, একুনে দশটি আয়াত পাঠ করা হয়, শাইতান সেই ঘরে ঐ রাতে যেতে পারেনা এবং সেইদিন ঐ বাড়ীর লোকদের শাইতান অথবা কোন খারাপ জিনিস কোন ক্ষতি করতে পারেনা। (দারিমী ২/৩২২) এ আয়াতগুলি পাগলের উপর পড়লে তার পাগলামীও দূর হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

‘যেমন প্রত্যেক জিনিসের উচ্চতা থাকে তেমনই কুরআনের উচ্চতা হচ্ছে সূরা বাকারাহ। যে ব্যক্তি রাত্রিকালের নীরব ক্ষণে নিজের নিভৃত কক্ষে তা পাঠ করে, তিন রাত্রি পর্যন্ত শাইতান সেই ঘরে যেতে পারেনা । আর দিনের বেলায় যদি পড়ে তাহলে তিন দিন পর্যন্ত সেই ঘরে শাইতান পা দিতে পারেনা। (তাবারানী ৬/১৬৩, ইব্‌ন হিব্বান ২/৭৮)

জামে' তিরমিযী, সুনান নাসাঈ এবং সুনান ইব্‌ন মাজাহয় রয়েছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটা ছোট্ট সেনাবাহিনী এক জায়গায় পাঠালেন এবং তিনি তার নেতৃত্বভার এমন ব্যক্তির উপর অর্পণ করলেন যিনি বলেছিলেন : ‘আমার সূরা বাকারাহ মুখস্থ আছে।' সে সময় একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি বললেন: ‘আমিও তা মুখস্ত করতাম। কিন্তু পরে আমি এই ভয় করেছিলাম যে, না জানি আমি তার উপর আমল করতে পারব কি না।' রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ
‘কুরআন শিক্ষা কর, কুরআন পাঠ কর। যে ব্যক্তি তা শিখে ও পাঠ করে, অতঃপর তার উপর আমলও করে, তার উপমা এ রকম যেমন মিশ্ক পরিপূর্ণ পাত্র, যার সুগন্ধি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আর যে ব্যক্তি তা শিক্ষা করল, অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ল তার দৃষ্টান্ত সেই পাত্রের মত যার মধ্যে মিশ্ক তো ভরা রয়েছে, কিন্তু উপর হতে মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।' ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একে হাসান বলেছেন এবং মুরসাল বর্ণনাও রয়েছে। আল্লাহই এ সম্পর্কে ভাল জানেন । (তিরমিযী ৮/১৮৬, নাসাঈ ৫/২২৭ এবং ইব্‌ন মাজাহ ১/৭৮)

সহীহ বুখারীতে রয়েছে, উসাইদ ইব্‌ন হুজাইর (রাঃ) একদা রাতে সূরা বাকারাহর পাঠ আরম্ভ করেন। তাঁর ঘোড়াটি, যা তাঁর পার্শ্বেই বাঁধা ছিল, হঠাৎ করে লাফাতে শুরু করে। তিনি পাঠ বন্ধ করলে ঘোড়া সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আবার তিনি পড়তে আরম্ভ করলে ঘোড়াও লাফাতে শুরু করে। তিনি পুনরায় পড়া বন্ধ করেন এবং ঘোড়াটিও স্তব্ধ হয়ে থেমে যায়। তৃতীয় বারও এরূপই ঘটে। তাঁর শিশু পুত্র ইয়াহ্ইয়া ঘোড়ার পাশেই শুইয়ে ছিল। কাজেই তিনি ভয় করলেন যে, না জানি ছেলের আঘাত লেগে যায়। সুতরাং তিনি পড়া বন্ধ করে ছেলেকে উঠিয়ে নেন। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করেন যে, ঘোড়ার চমকে উঠার কারণ কি? সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাযির হয়ে ঘটনাটি আনুপূর্বিক বর্ণনা করেন । তিনি শুনতে থাকেন ও বলতে থাকেনঃ ‘উসাইদ! তুমি পড়েই যেতে!' উসাইদ (রাঃ) বলেন : ‘হে আল্লাহর রাসূল! তৃতীয় বারের পরে প্রিয় পুত্র ইয়াহইয়ার কারণে আমি পড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অতঃপর আমি মাথা আকাশের দিকে উঠালে ছায়ার ন্যায় একটি জ্যোতির্ময় জিনিস দেখতে পাই এবং দেখতে দেখতেই তা উপরের দিকে উত্থিত হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ
“তুমি কি জান সেটা কি ছিল? তাঁরা ছিলেন গগন বিহারী অগণিত জ্যোতির্ময় মালাক/ফেরেশতা । তোমার (পড়ার) শব্দ শুনে তাঁরা ত্রস্তপদে নিকটে এসেছিলেন। যদি তুমি পাঠ বন্ধ না করতে তাহলে তাঁরা সকাল পর্যন্ত এরকমই থাকতেন এবং মাদীনার সকল লোক তা দেখে চক্ষু জুড়াতো। একটি মালাক/ফেরেশতাও তাদের দৃষ্টির অন্তরাল হতেননা।' (ফাতহুল বারী ৮/৬৮০) এ হাদীসটি ইমাম কাসিম ইব্‌ন সালাম স্বীয় কিতাব ‘কিতাবু ফাযাইলিল কুরআন’ এ রিওয়ায়াত করেছেন ।

সূরা বাকারাহ্ ও সূরা আলে ইমরানের বৈশিষ্ট্য

ইমাম আহমাদ (রহঃ) আবূ নাঈম থেকে বর্ণনা করেন, নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

‘তোমরা অভিনিবেশ সহকারে সূরা বাকারাহ শিক্ষা কর। কারণ এর শিক্ষা অতি কল্যাণকর এবং এ শিক্ষার বর্জন অতি বেদনাদায়ক। বাতিলপন্থী যাদুকরও এর মুখস্ত করার ক্ষমতা রাখেনা।' অতঃপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বললেন : ‘সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান শিক্ষা কর। এ দু'টি হচ্ছে জ্যোতির্ময় নূর বিশিষ্ট সূরা। কিয়ামাতের দিন এরা এদের পাঠকের উপর সামিয়ানা, মেঘমালা অথবা পাখির ঝাঁকের ন্যায় ছায়া বিস্তার করবে। কুরআনের পাঠক কাবর থেকে উঠে দেখতে পাবে যে, এক জ্যোতির্ময় মুখমণ্ডল বিশিষ্ট সুন্দর যুবক তার পাশে দাঁড়িয়ে বলছে : ‘তুমি আমাকে চিন কি?' এ বলবেঃ ‘না’। সে বলবেঃ ‘আমি সেই কুরআন যে তোমাকে দিনে ক্ষুধার্ত পিপাসার্ত রেখেছিল এবং রাতে বিছানা হতে দূরে সরিয়ে সদা জাগ্রত রেখেছিল । প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার ব্যবসার পিছনে রয়েছে; কিন্তু আজ সমুদয় ব্যবসা তোমার পিছনে আছে।' আজ তার ডান হাতে রাজ্য এবং অনন্তকালের জন্য বাম হাতে চির অবস্থান দেয়া হবে । তার মাথায় সার্বিক সম্মান ও অনন্ত মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। তার বাপ-মাকে এমন দু'টি সুন্দর মূল্যবান পরিধেয় বস্ত্র পরানো হবে যার মূল্যের সামনে সারা দুনিয়াও অতি নগণ্য মনে হবে । তারা বিচলিত হয়ে বলবেঃ ‘এ দয়া ও অনুগ্রহ, এ পুরস্কার ও অবদানের কারণ কি?' তখন তাদেরকে বলা হবেঃ ‘তোমাদের ছেলেদের কুরআন পাঠের কারণে তোমাদেরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।' অতঃপর তাদেরকে বলা হবেঃ ‘পড়ে যাও এবং ধীরে ধীরে জান্নাতের সোপানে আরোহণ কর।' সুতরাং তারা পড়তে থাকবে ও উচ্চ হতে উচ্চতর সোপানে আরোহণ করবে। সে ধীরে ধীরেই পাঠ করুক বা তাড়াতাড়ি পাঠ করুক।' (আহমাদ ৫/৩৫২) সুনান ইব্‌ন মাজাহয় এ হাদীসটি আংশিকভাবে বর্ণিত আছে। (হাদীস নং ২/১২৪২) এর ইসনাদ হাসান এবং মুসলিমের শর্ত বিদ্যমান। এর বর্ণনাকারী ইব্‌ন মুহাজির হতে ইমাম মুসলিমও (রহঃ) বর্ণনা নিয়েছেন এবং ইমাম ইব্‌ন মুঈনও তাকে নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। ইমাম নাসাঈর (রহঃ) মতে এতে কোন দোষ নেই । মুসনাদ আহমাদে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘কুরআন পাঠ করতে থাক, কারণ তা তার পাঠকের জন্য কিয়ামাতের দিন সুপারিশ করবে। দু'টি জ্যোতির্ময় সূরা, সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান পড়তে থাক। এ দু'টি সূরা কিয়ামাতের দিন এমনভাবে আসবে যেমন দু'টি সামিয়ানা, দু'টি মেঘ খণ্ড অথবা পাখির দু'টি বিরাট ঝাঁক। তাছাড়া সে তার পাঠকদের পক্ষ হতে আল্লাহ তা'আলার নিকট সুপারিশ করবে।' পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ

‘সূরা বাকারাহ পাঠ করতে থাক; কেননা এর পাঠে বারাকাত আছে এবং তা বর্জন বা পরিত্যাগ করায় খুবই আফসোস রয়েছে। এর মুখস্ত করার শক্তি বাতিলপন্থীদের নেই।' সহীহ মুসলিমেও অনুরূপ হাদীস আছে। (আহমাদ ৫/২৪৯, মুসলিম ১/৫৫৩) মুসনাদ আহমাদের আর একটি হাদীসে আছেঃ

‘কিয়ামাতের দিন কুরআন ও কুরআন পাঠকদের আহ্বান করা হবে। সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান অগ্রে অগ্রে চলবে। মেঘমালা অথবা পাখির ঝাঁকের মত (চলতে থাকবে) এবং বিশ্ব-রবের নিকট সুপারিশ করবে। সহীহ মুসলিম ও জামে' তিরমিযীতেও এ হাদীসটি আছে। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একে হাসান গারীব বলেছেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সূরা দু'টি (রাতের সালাতে) এক রাক'আতে পাঠ করতেন। (আহমাদ ৪/১৮৩, মুসলিম ১/৫৫৪, তিরমিযী ৮/১৯১)




******************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url