যে ঘটনার পর থেকে হযরত আবু বকর (রাঃ) “সিদ্দিক” উপাধী পেলেন






যদি তিনি তা বলে থাকেন তাহলে সত্যই বলেছেন

হযরত  আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) -এর নামের শেষে “সিদ্দিক” শব্দটি কি  করে এলো তা আমরা অনেকেই জানি না। “সিদ্দিক” উপাধী পাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আসুন জেনে নেই সেই ঘটনাটি কি ছিল-


হযরত আবু বকর (রাঃ) কিভাবে সিদ্দিক হলেন

দুপুর বেলা, রাসূল (সাঃ) হারাম শরীফে বসেছিলেন। তাসবীহ ও জিকিরে তাঁর মুখে সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছিল। এমন সময় আল্লাহর শত্রু আবু জাহেল অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে কা'বার পাশে ঘুরছিল। সে রাসূল -এর কাছে গিয়ে অহংকার ও দম্ভের সাথে উচ্চ আওয়াজে জিজ্ঞেস করল- মুহাম্মদ! নতুন কোনো খবর আছে? রাসূল বললেন, আমাকে এ রাতে ভ্রমণ করানো হয়েছে।
আবু জাহেল হেসে উঠে বললঃ কোথায়?
রাসূল বললেন, বায়তুল মুকাদ্দাস ।
       

এ কথা শুনে আবু জাহেল হাসি থামিয়ে রাসূল (সাঃ) -এর আরো কাছে গিয়ে ঠাট্টার সাথে বলল, তোমাকে এ রাতে বায়তুল মুকাদ্দাস ভ্রমণ করানো হয়েছে, আর আমাদের মাঝেই তুমি সকাল কাটাচ্ছ! (অর্থাৎ মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস দূরত্ব, যা এক রাতে অতিক্রম করা সম্ভব নয়)।


তারপর আবু জাহেল মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করল- মুহাম্মদ! আমি যদি মানুষকে একত্রিত করি তাহলে কি তুমি আমার কাছে যা বলেছ তা তাদের কাছে বলবে তো? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ......... আমি তাদেরকেও বলব।

আবু জাহেল মনের সুখে মানুষ জমা করতে লাগল আর রাসূল (সাঃ) যা বলেছেন তা শুনাতে লাগল। এমন কথা শুনে মানুষ অবাক হয়ে একত্রিত হতে লাগল। এটি তুচ্ছ, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এদের মধ্য থেকে এক লোক আবু বকর (রাঃ)-কে এ কথাটি জানাল। তার ইচ্ছা ছিল এ কথা শুনে আবু বকর (রাঃ) রাসূল (সাঃ) কে অস্বীকার করবেন এবং তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করবেন, কিন্তু হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেন তিনি যদি তা বলে থাকেন তাহলে সত্য বলেছেন।


এরপর বললেন, তোমার জন্যে ধ্বংস! এর থেকে দূরবর্তী বিষয়ে আমি তাঁকে বিশ্বাস করি। সকাল সন্ধ্যা আসমান থেকে আগত অহীর ব্যাপারে আমি তাঁকে বিশ্বাস করি, আর আমি কি বায়তুল মুকাদ্দাসে তাঁর ভ্রমণের ব্যাপারে বিশ্বাস করব না?

এরপর তিনি তাদেরকে রেখে রাসূল (সাঃ) ও মানুষের অবস্থানের দিকে ছুটে গেলেন। রাসূল (সাঃ) কিছু বলার পর পরই হযরত আবু বকর বলতেনঃ আপনি সত্য বলেছেন..... আপনি সত্য বলেছেন। আর তাই সেদিন থেকে রাসূল (সাঃ) তাঁর নাম রেখেছেন 'সিদ্দিক' (সত্যায়নকারী/বিশ্বাসী)  (৩)। "


সূত্রঃ 
৩। আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৩য় খণ্ড, ১১৩।





**************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url