তাফসীরে ইবনে কাসীর - ২৯ || সূরা বাকারা - ১৯ || আদমের (আঃ) জ্ঞানের পরিচয় || আদম (আঃ) ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মর্যাদা ||





সূরা আল বাকারা ৩১-৩৩নং আয়াতের অর্থ ও তাফসীর


وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمۡ عَلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡ بِاَسۡمَآءِ هٰۤؤُلَآءِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱  قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲ قَالَ یٰۤاٰدَمُ اَنۡۢبِئۡهُمۡ بِاَسۡمَآئِهِمۡ ۚ فَلَمَّاۤ اَنۡۢبَاَهُمۡ بِاَسۡمَآئِهِمۡ ۙ قَالَ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّکُمۡ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ غَیۡبَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۙ وَ اَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۳۳

সূরা আল বাকারা ৩১-৩৩নং আয়াতের অর্থ

   
৩১। এবং তিনি আদমকে সমস্ত নাম শিক্ষা দিলেন, অনন্তর তৎসমূদয় মালাইকার সামনে উপস্থাপিত করলেন, অতঃপর বললেনঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে আমাকে এ সব বস্তুর নামসমূহ বর্ণনা কর। ৩২। তারা বলেছিলঃ আপনি পরম পবিত্র! আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তদ্ব্যতীত আমাদের কোনই জ্ঞান নেই, নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়। ৩৩। তিনি বলেছিলেনঃ হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐ সকলের নামসমূহ বর্ণনা কর; অতঃপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলির নামসমূহ বলেছিল তখন তিনি বলেছিলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় অবগত আছি এবং তোমরা যা প্রকাশ কর ও যা গোপন কর আমি তাও পরিজ্ঞাত আছি?

আদমের (আঃ) সম্মান

এখানে এ কথারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলা একটা বিশেষ জ্ঞানে আদমকে (আঃ) মালাইকার উপর মর্যাদা দান করেছেন।

এটা মালাইকার আদমকে (আঃ) সাজদাহ করার পরের ঘটনা। কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করার মধ্যে মহান আল্লাহর যে হিকমাত নিহিত ছিল এবং যা মালাইকা জানতেননা, তার সাথে সম্বন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে এ ঘটনাকেই পূর্বে বর্ণনা করেছেন এবং মালাইকার সাজদাহ করার ঘটনা, যা পূর্বে ঘটেছিল তা পরে বর্ণনা করেছেন, যেন খলীফা সৃষ্টি করার যৌক্তিকতা ও নিপুণতা প্রকাশ পায় এবং জানা যায় যে, আদমের (আঃ) মর্যাদা ও সম্মান লাভ হয়েছে এমন এক বিদ্যার কারণে যে বিদ্যা মালাইকার নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন যে, তিনি আদমকে (আঃ) সমুদয় বস্তুর নাম শিখিয়ে দেন, অর্থাৎ তাঁর সন্তানদের নাম, সমস্ত জীব জন্তুর নাম, যমীন, আসমান, পাহাড় পর্বত, নৌ-স্থল, ঘোড়া, গাধা, বরতন, পশু-পাখী, মালাক/ফেরেশতা ও তারকারাজি ইত্যাদি সমুদয় ছোট বড় জিনিসের নাম। (তাবারী ১/৪৫৮)

আল্লাহ তা'আলা আদমকে (আঃ) সমস্ত জিনিসের নামই শিখিয়েছিলেন। প্রজাতিগত নাম, গুণগত নাম এবং ক্রিয়াগত নামও শিখিয়েছিলেন। ইব্‌ন আবী হাতিম (রহঃ) এবং ইব্‌ন জারীর (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আসীম ইন্‌ন কুৱাইন (রহঃ) সা'দ ইব্‌ন মা'বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইব্‌ন আব্বাসকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করা হলঃ আল্লাহ কি তাকে (আদম আঃ) বিভিন্ন পাত্রের কথা শিখিয়েছিলেন? তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ, এমনকি কিভাবে বায়ু ত্যাগ করতে হবে। (তাবারী ১/৪৭৫)

আদম (আঃ) ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মর্যাদা

একটি সুদীর্ঘ হাদিস
এ আয়াতের তাফসীরে ইমাম বুখারী (রহঃ) এ হাদীসটি এনেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ 'কিয়ামাতের দিন ঈমানদারগণ একত্রিত হয়ে বলবে, 'আমরা যদি কোন একজনকে সুপারিশকারীরূপে আল্লাহর নিকট পাঠাতাম তাহলে কতই না ভাল হত।' সুতরাং তারা সবাই মিলে আদমের (আঃ) নিকট আসবে এবং তাঁকে বলবে, 'আপনি আমাদের সবারই পিতা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আপনাকে স্বহস্তে সৃষ্টি করেছেন, স্বীয় মালাইকার দ্বারা আপনাকে সাজদাহ করিয়েছেন, আপনাকে সব জিনিসের নাম শিখিয়েছেন। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করুন যেন আমরা আমাদের এই স্থানে শান্তি লাভ করতে পারি।' এ কথা শুনে তিনি উত্তরে বলবেনঃ 'আমার এ যোগ্যতা নেই।' তাঁর স্বীয় পাপের কথা স্মরণ হয়ে যাবে, সুতরাং তিনি লজ্জিত হবেন। তিনি বলবেনঃ 'তোমরা নূহের (আঃ) কাছে যাও। তিনি প্রথম রাসূল যাঁকে আল্লাহ পৃথিবীবাসীর নিকট পাঠিয়েছিলেন।' তারা এ উত্তর শুনে নূহের (আঃ) নিকট আসবে। তিনিও এ উত্তরই দিবেন এবং আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বীয় পুত্রের জন্য প্রার্থনার কথা স্মরণ করে তিনি লজ্জিত হবেন এবং বলবেনঃ 'তোমরা রাহমানের (আল্লাহর) বন্ধু ইবরাহীমের (আঃ) নিকট যাও।' তারা সবাই তাঁর কাছে আসবে, কিন্তু এখানেও ঐ উত্তরই পাবে। তিনি বলবেনঃ 'তোমরা মূসার (আঃ) কাছে যাও, তাঁর সাথে আল্লাহ তা'আলা কথা বলেছিলেন এবং তাঁকে তাওরাত দান করেছিলেন।' এ কথা শুনে সবাই মূসার (আঃ) নিকট আসবে এবং তাঁর নিকট এ প্রার্থনাই জানাবে। কিন্তু এখানেও একই উত্তর পাবে। প্রতিশোধ গ্রহণ ছাড়াই একটি লোককে মেরে ফেলার কথা তাঁর স্মরণ হবে এবং তিনি লজ্জাবোধ করবেন ও বলবেনঃ 'তোমরা ঈসার (আঃ) কাছে যাও। তিনি আল্লাহর বান্দা, তাঁর রাসূল, তাঁর কালেমা এবং তাঁর রূহ্।' এরা সবাই এখানে আসবে, কিন্তু এখানেও ঐ উত্তরই পাবে। তিনি বলবেনঃ "তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট যাও। তাঁর পূর্বের ও পরের সমস্ত পাপ মার্জনা করা হয়েছে।' তারা সবাই আমার নিকট আসবে। আমি অগ্রসর হব। আমার প্রভুকে দেখা মাত্রই আমি সাজদাহয় পড়ে যাব। যে পর্যন্ত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার পক্ষ থেকে মঞ্জুর না হবে ততক্ষণ আমি সাজদাহয় পড়েই থাকব। অতঃপর আল্লাহ বলবেনঃ মাথা উঠাও, যাঞ্চা কর দেয়া হবে; বল, শোনা হবে এবং সুপারিশ কর, গ্রহণ করা হবে।' তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করব এবং আল্লাহর প্রশংসা করব যা তিনি আমাকে ঐ সময়েই শিখিয়ে দিবেন। অতঃপর আমি সুপারিশ করব। আমার জন্য সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে পুনরায় তাঁর নিকট ফিরে আসব। আবার আমার রাব্বকে দেখে এ রকমই সাজদাহয় পড়ে যাব। পুনরায় সুপারিশ করব। আমার জন্য সীমা নির্ধারিত হবে। তাদেরকেও জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তৃতীয়বার আসব। আবার চতুর্থবার আসব। শেষ পর্যন্ত জাহান্নামে শুধুমাত্র ওরাই থাকবে যাদেরকে কুরআন মাজীদ বন্দী রেখেছে এবং যাদের জন্য জাহান্নামে চির অবস্থান ওয়াজিব হয়ে গেছে (অর্থাৎ মুশরিক ও কাফির)। সহীহ মুসলিম, সুনান নাসাঈ, সুনান ইব্‌ন মাজাহ ইত্যাদি গ্রন্থে শাফা'আতের এই হাদীসটি বিদ্যমান রয়েছে। (ফাতহুল বারী ৮/১০, মুসলিম ১/১৮১, নাসাঈ ৬/২৮৪, ৩৬৪; ইব্‌ন মাজাহ ২/১৪৪২)
   
এখানে এই হাদীসটি আনার উদ্দেশ্য এই যে, এই হাদীসটিতে এ কথাটিও আছেঃ লোকেরা আদমকে (আঃ) বলবে 'আল্লাহ আপনাকে সব জিনিষের নাম শিখিয়েছেন।' অতঃপর ঐ জিনিষগুলি মালাইকার সামনে পেশ করেন এবং তাদেরকে বলেন, 'তোমরা যদি তোমাদের এ কথায় সত্যবাদী হও যে, সমস্ত মাখলূক অপেক্ষা তোমরাই বেশি জ্ঞানী বা এ কথাই সঠিক যে, যমীনে আল্লাহ খলীফা বানাবেন না তাহলে এসব জিনিসের নাম বল। এটাও বর্ণিত আছে যে, যদি তোমরা এ কথায় সত্যবাদী হও যে, 'বনী আদম বিবাদ বিসম্বাদ ও রক্তারক্তি করবে' তাহলে এ গুলোর নাম বল। কিন্তু প্রথমটিই বেশি সঠিক মত। যেন এতে এ ধমক রয়েছে যে, আচ্ছা! তোমরা যে বলছ 'যমীনে খলীফা হওয়ার যোগ্য আমরাই, মানুষ নয়,' যদি তোমরা এতে সত্যবাদী হও তাহলে যেসব জিনিষ তোমাদের সামনে বিদ্যমান রয়েছে সেগুলির নাম বলতো? আর যদি তোমরা তা বলতে না পার তাহলে তোমাদের এটা বুঝে নেয়া উচিত যে, যা তোমাদের সামনে বিদ্যমান রয়েছে সেগুলির নামইতো তোমরা বলতে পারলেনা, তাহলে ভবিষ্যতে আগত জিনিষের জ্ঞান তোমাদের কিরূপে হতে পারে?

মালাইকা ইহা শোনা মাত্রই আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে এবং তাদের জ্ঞানের স্বল্পতা বর্ণনা করতে আরম্ভ করে বললেন যে, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যতটুকু শিখিয়েছেন, আমরা ততটুকুই জানি। সমস্ত জিনিসকে পরিবেষ্টনকারী জ্ঞান তো একমাত্র আপনারই আছে। আপনিই সমুদয় জিনিসের সংবাদ রাখেন। আপনার সমুদয় আদেশ-নিষেধ হিকমাতে পরিপূর্ণ। যাকে কিছু শিখিয়ে দেন তাও হিকমাত এবং যাকে শিক্ষা হতে বঞ্চিত রাখেন তাও হিকমাত । আপনি মহা প্রজ্ঞাময় ও ন্যায় বিচারক।

‘সুবহানাল্লাহ' এর অর্থ

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, 'সুবহানাল্লাহ' এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর পবিত্রতা, অর্থাৎ তিনি সমস্ত অশ্লীলতা থেকে পবিত্র। উমার (রাঃ) একদা আলী (রাঃ) এবং তাঁর পাশে উপবিষ্ট অন্য কয়েকজন সাহাবীকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ 'আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তো জানি, কিন্তু 'সুবহানাল্লাহ' কি কালেমা?' আলী (রাঃ) উত্তরে বলেন : 'এ কালেমাটি মহান আল্লাহ নিজের জন্য পছন্দ করেন এবং এতে তিনি খুব খুশি হন, আর এটা বলা তাঁর নিকট খুবই প্রিয়।' মাইমুন ইন মাহরান (রহঃ) বলেন যে, ওতে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব এবং সমস্ত অশ্লীলতা হতে পবিত্র হওয়ার বর্ণনা রয়েছে।

আদমের (আঃ) জ্ঞানের পরিচয়

আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐ সকলের নামসমূহ বর্ণনা কর; অতঃপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলির নামসমূহ বলেছিল তখন তিনি বলেছিলেন : আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় অবগত আছি এবং তোমরা যা প্রকাশ কর ও যা গোপন কর আমি তাও পরিজ্ঞাত আছি?

আদম (আঃ) এভাবে নাম বলেছেনঃ আপনার নাম জিবরাইল (আঃ), আপনার নাম মিকাঈল (আ:), আপনার নাম ইসরাফীল (আঃ) এমন কি তাঁকে চিল, কাক ইত্যাদি সব কিছুর নাম জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সবই বলে দেন। (ইব্‌ন আবী হাতিম ১/১১৮, ১১৯) মালাইকা যখন আদমের (আঃ) মর্যাদার কথা বুঝতে পারলেন তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাদেরকে বললেনঃ 'দেখ, আমি তোমাদেরকে পূর্বেই বলেছিলাম যে, আমি প্রত্যেক প্রকাশ্য ও গোপনীয় বিষয় জানি।' যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ

 وَ اِنۡ تَجۡهَرۡ بِالۡقَوۡلِ فَاِنَّهٗ یَعۡلَمُ السِّرَّ وَ اَخۡفٰی ﴿۷

তুমি যদি উচ্চ কন্ঠে বল, তিনি তো যা গুপ্ত ও অব্যক্ত সবই জানেন। (সূরা তা-হা, ২০ : ৭) আরেক জায়গায় আছেঃ

اَلَّا یَسۡجُدُوۡا لِلّٰهِ الَّذِیۡ یُخۡرِجُ الۡخَبۡءَ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُخۡفُوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ﴿۲۵  اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ ﴿ٛ۲۶

তারা নিবৃত্ত রয়েছে আল্লাহকে সাজদাহ করা হতে, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর লুকায়িত বস্তুকে প্রকাশ করেন, এবং যিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর। আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন মা'বূদ নেই। তিনি মহাআরশের অধিপতি। (সূরা নামল, ২৭ : ২৫-২৬)
   
আরও বলা হয়েছেঃ তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন রাখ আমি তা জানি। ভাবার্থ এই যে, ইবলীসের অন্তরে যে ফখর ও অহংকার লুকায়িত ছিল আল্লাহ তা জানতেন। আর মালাইকা যা বলেছিলেন তাতো ছিল প্রকাশ্য কথা। তাহলে আল্লাহ তা'আলা যে বললেনঃ 'তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন রাখ, আমি সবই জানি' এর অর্থ দাঁড়ালো এই যে, মালাইকা যা প্রকাশ করেছিলেন তা আল্লাহ জানেন এবং ইবলীস তার অন্তরে যা গোপন রেখেছিল সেটাও তিনি জানতেন। (তাবারী ১/৪৯৮) ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ), ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ) এবং আরও কয়েকজন সাহাবী (রাঃ) ও সাঈদ ইবন যুবাইর (রহঃ), মুজাহিদ (রহঃ), সুন্দী (রহঃ), যাহ্হাক (রহঃ) এবং সাওরীরও (রহঃ) এটাই অভিমত। ইব্‌ন জারীরও (রহঃ) এটাকে পছন্দ করেছেন। আবুল আলীয়া (রহঃ), রাবী ইব্‌ন আনাস (রহঃ), হাসান বাসরী (রহঃ) এবং কাতাদাহর (রহঃ) কথা এই যে, মালাইকার গোপনীয় কথা ছিল : যে মাখলূকই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সৃষ্টি করুন না কেন, আমরাই তাদের চেয়ে বেশি জ্ঞানী ও মর্যাদাবান হব।' কিন্তু পরে এটা প্রমাণিত হয়ে গেল এবং তারাও জানতে পারলেন যে, জ্ঞান ও মর্যাদা দু'টিতেই আদম (আঃ) তাদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছেন।





*************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity.
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url