বাংলা ওয়াজঃ মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কবরের আজাব আলোচনকঃ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার
মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কবরের আজাব
মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কবরের আজাবঃ
ড.আবুল কালাম আজাদ (বাশার)-এর জীবনী
মাতার নামঃ শাফিয়া বেগম।
ড.আবুল কালাম আজাদ এর শিক্ষা জীবনঃ
তিনি গাছবাড়িয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু
করেন। শুরুতে এ
মাদ্রাসার হিফজুল
কুরআন বিভাগে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন।
অতপর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষা
সমাপ্ত করে ছুপুয়া ছফরিয়া ফাজিল
মাদ্রাসায় ষষ্ঠ
শ্রেণীতে ভর্তি
হন। ছফয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৫ ইং
সনে দাখিল পাশ
করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লার দেবিদ্বারস্থ ধামতী আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। এ
মাদ্রাসায় তিনি
আলিম, ফাজিল ও
কামিল ( হাদীছ ) অধ্যয়ন করেন।
অতপর তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বি, এ
অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। তারপর
ঢাকা পীরজঙ্গী জামেয়া দ্বীনিয়া থেকে
দাওরাহ হাদীছ ও
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা-ঢাকা থেকে কামিল
ফিকহ সমাপ্ত করেন।
অতপর তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ২০১৩ সনে
পিএইচডি ডিগ্রী
অর্জন করেন।
শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি
কৃতিত্বের সাক্ষর
রাখেন। ক্লাস ওয়ান
থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে
প্রথম স্থান অর্জন
করেছেন। দাখিল
থেকে কামিল, দাওরাহ
হাদীছ, অনার্স ও
মাস্টার্সহ সকল
পরিক্ষায় প্রথম
শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ফাজিলে বাের্ড
মেধা তালিকায় ৩য়,
কামিল হাদীছে ৩য়,
ফিকহে ৭ম ও
অনার্সে ১৬তম
স্থান অর্জন করেন।
ড.আবুল কালাম আজাদ এর লেখা
উল্লেখযোগ্য বইঃ
তাঁর লিখিত
“মি'রাজ
ও আধুনিক বিজ্ঞান”, “প্রচলিত শিরক
ও তা থেকে
বাঁচার উপায়”
এবং “প্রচলিত বিদ'আত ও
তা থেকে বাঁচার
উপায়” বই
তিনটি পাঠক মহলে
যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।
কর্মজীবনের শুরুতে
তিনি ২০০১ সালের
অক্টোবর থেকে
২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলা
সদরের নারায়ণপুর ফাজিল
মাদরাসায় আরবী
প্রভাষক হিসেবে
কর্মরত ছিলেন।
ড.আবুল কালাম আজাদ এর বর্তমান
পেশাঃ
বর্তমানে তিনি
ঢাকাস্থ তেজগাঁও মদীনাতুল উলুম
কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত আছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দ্বীনের দাওয়াতি কাজের ময়দানেও সমান
ভাবে অবদান রেখে
চলেছেন।
ড.আবুল কালাম আজাদ এর বিদেশ ভ্রমনঃ
তিনি পবিত্র
হজ্জ, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ব্যক্তিগত সফর
উপলক্ষে সৌদি
আরব, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, কাতার, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপাল
ভ্রমণ করেন।
পারিবারিক জীবনে
তিনি চার ছেলে
ও এক কন্যা
সন্তানের জনক।
আমরা তাঁর সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করছি।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url