পুরুষ ও মহিলাদের নামাযের পার্থক্য
পুরুষ ও মহিলাদের নামাযের রীতি
১. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয়
হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো। (তাবারানী কাবীর ২২ : ১৯)
২. হাত কাপড়ের ভিতর হতে বের না করা।
(তিরমিযী, হাদীস নং- ১১৭৩)
৩. হাত বুকের উপর রাখা। (শামী, ১
: ৪৮৭)
৪. আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে ডান হাতের তালু
বাম হাতের পিঠের উপর স্বাভাবিক রাখা। পুরুষদের মত বাম হাতের কব্জি না ধরা। (ফাতাওয়া
রাহীমিয়া, ৭ : ২২২)
৫. রুকুতে পুরুষদের তুলনায় কম ঝুঁকা।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৫০৬৯)
৬. রুকুতে উভয় বাহু পাঁজরের সঙ্গে
পরিপূর্ণ মিলিয়ে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৫০৬৯)
৭. রুকুতে উভয় হাত হাঁটুর উপর স্বাভাবিকভাবে
রাখা এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে রাখা। পুরুষদের ন্যায় আঙ্গুল ছড়িয়ে হাঁটু না ধরা।
(ত্বাহত্বাবী, ২১৫)
৮. রুকুতে উভয় পায়ের গোড়ালী পরিপূর্ণ
মিলিয়ে রাখা। (শামী, ১ : ৫০৪)
৯. অত্যন্ত জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সিজদা
করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৫০৬৯)
১০. সিজদায় পুরুষদের ন্যায় কনুইদ্বয়
খোলা ও ছড়িয়ে না রাখা। (মারাসীলে আবী দাউদ, হাদীস নং- ৮৭)
১১.উভয় রানের সঙ্গে পেট মিলিয়ে রাখা।
(মারাসীলে আবী দাউদ, হাদীস নং- ৮৭)
১২. বাহুদ্বয় সাধ্যানুযায়ী পাঁজরের
সঙ্গে মিলিয়ে রাখা। (মারাসীলে আবী দাউদ, হাদীস নং- ৮৭)
১৩. উভয় কনুই সাধ্যমত মাটিতে মিলিয়ে
রাখা। (মারাসীলে আবী দাউদ, হাদীস নং- ৮৭)
১৪. সিজদায় উভয় পা খাড়া না রাখা,
বরং ডান দিক দিয়ে উভয় পা বের করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা এবং উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ যথাসম্ভব
কিবলামুখী করে রাখা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং- ২৭৮১, ২৭৯২)
১৫. বৈঠকের সময় বাম নিতম্বের উপর
বসা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ৩ : ১৩৯)
১৬. এবং উভয় পা ডান দিকে দিয়ে বের
করে কিবলামুখী করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা।(আল ইস্তিযকার, ১ : ৪৮০)
১৭. বৈঠকের সময় হাতের আঙ্গুলসমূহ
মিলিয়ে হাঁটু বরাবর রাখা।(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং- ২৭৮৫)
বি.দ্র. দাঁড়ানো অবস্থায় মহিলাদের
উভয় পা মিলিয়ে রাখার স্পষ্ট কোন প্রমাণ না থাকায় হযরত থানবী রহ. দু’পায়ের মাঝে পুরুষদের ন্যায় চার আঙ্গুল ফাঁক রাখার ফাতাওয়া দিয়েছেন।(ইমদাদুল
ফাতাওয়া, ১ : ২২২)
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url