বিষয় ভিত্তিক আয়াত || আল্লাহ সবকিছু জানেন || (৪র্থ পর্ব)




আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং দেখেন


সূরাঃ কাফ | Qaf | سورة ق 

সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৬ 

১৬ وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ وَ نَعۡلَمُ مَا تُوَسۡوِسُ بِهٖ نَفۡسُهٗ ۚۖ وَ نَحۡنُ اَقۡرَبُ اِلَیۡهِ مِنۡ حَبۡلِ الۡوَرِیۡدِ 


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৬ এর অর্থ 

আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আর আমি* তার গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে।


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৬ এর তাফসীর 

১৬. আর অবশ্যই আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমরা জানি। আর আমরা তার গ্ৰীবাস্থিত ধমনীর চেয়েও নিকটতর।(১)

(১) এখানে نحن বা ‘আমরা’ বলে ফেরেশতাদেরকে বোঝানো হয়েছে। যাতে পরবর্তী আয়াতের সাথে অর্থের মিল হয়। তখন ঐ সমস্ত ফেরেশতাই উদ্দেশ্য হবে যারা মানুষের প্রাণ হরনের জন্য বান্দার কাছে এসে থাকে। আমার ফেরেশতাগণ তাদের ঘাড়ের শিরার কাছেই অবস্থান করছে। তারা আমার নির্দেশ মোতাবেক যে কোন সময় তাদেরকে পাকড়াও করবে। ফেরেশতাগণ সদাসর্বদা মানুষের সাথে সাথে থাকে। তারা মানুষের প্রাণ সম্বন্ধে এতটুকু ওয়াকিবহাল, যতটুকু খোদ মানুষ তার প্ৰাণ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয়। [ইবন কাসীর]


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৭ 

১৭ اِذۡ یَتَلَقَّی الۡمُتَلَقِّیٰنِ عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ قَعِیۡدٌ 


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৭ এর অর্থ 

যখন ডানে ও বামে বসা দু’জন লিপিবদ্ধকারী পরস্পর গ্রহণ করবে।


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৭ এর তাফসীর 

১৭. যখন তার ডানে ও বামে বসা দু’জন ফেরেশতা পরস্পর (তার আমল লিখার জন্য) গ্ৰহণ করে(১);
(১) يَتَلَقَّى শব্দের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা, নেয়া এবং অর্জন করে নেয়া। الْمُتَلَقِّيَانِ বলে দুইজন ফেরেশতা বোঝানো হয়েছে, যারা প্রত্যেক মানুষের সাথে সদাসর্বদা থাকে এবং তার ক্রিয়াকর্ম লিপিবদ্ধ করে। (عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَا) অর্থাৎ তাদের একজন ডান দিকে থাকে এবং সৎকর্ম লিপিবদ্ধ করে। অপরজন বাম দিকে থাকে এবং অসৎকর্ম লিপিবদ্ধ করে। قعيد শব্দটির অর্থ উপবিষ্ট। [বাগভী, কুরতুবী]


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৮ 

১৮ مَا یَلۡفِظُ مِنۡ قَوۡلٍ اِلَّا لَدَیۡهِ رَقِیۡبٌ عَتِیۡدٌ


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৮ এর অর্থ

সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে। 


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৮ এর তাফসীর 

১৮. সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৯ 

১৯ وَ جَآءَتۡ سَکۡرَۃُ الۡمَوۡتِ بِالۡحَقِّ ؕ ذٰلِکَ مَا کُنۡتَ مِنۡهُ تَحِیۡدُ


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৯ এর অর্থ 

আর মৃত্যুর যন্ত্রণা যথাযথই আসবে। যা থেকে তুমি পলায়ন করতে চাইতে। 


সূরাঃ কাফ, আয়াত ১৯ এর তাফসীর 

১৯. আর মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে এসেছে (সে) সত্যই(১); এটা (তা-ই) যা থেকে তুমি পালাতে চাচ্ছিলে।
(১) ওফাতের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মধ্যে এই অবস্থা দেখা দিলে তিনি হাত ভিজিয়ে মুখমণ্ডলে মালিশ করেছিলেন এবং বলেছিলেনঃ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, মৃত্যু যন্ত্রণা বড় সাংঘাতিক। [বুখারী: ৪০৯৪, ৭১৭৫] এখানে সে সত্য বলে আখেরাতের কথা বুঝানো হয়েছে। যে সত্যকে তারা অস্বীকার করত। [জালালাইন|


সূরাঃ কাফ, আয়াত ২০ 

২০ وَ نُفِخَ فِی الصُّوۡرِ ؕ ذٰلِکَ یَوۡمُ الۡوَعِیۡدِ


সূরাঃ কাফ, আয়াত ২০ এর অর্থ

আর শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে। এটাই হল প্রতিশ্রুত দিন। 


সূরাঃ কাফ, আয়াত ২০ এর তাফসীর 

২০. আর শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, ওটাই প্ৰতিশ্রুত দিন।


সূরাঃ আল-হাদীদ | Al-Hadid | سورة الحديد 

সূরাঃ আল-হাদীদ, আয়াত ২২ 

২২ مَاۤ اَصَابَ مِنۡ مُّصِیۡبَۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فِیۡۤ اَنۡفُسِکُمۡ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّبۡرَاَهَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰهِ یَسِیۡرٌ 


সূরাঃ আল-হাদীদ, আয়াত ২২ এর অর্থ 

যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। 


সূরাঃ আল-হাদীদ, আয়াত ২২ এর তাফসীর 

২২. যমীনে বা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপৰ্যয়ই আসে তা সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই আমরা তা কিতাবে লিপিবদ্ধ রেখেছি(১) নিশ্চয় আল্লাহর পক্ষে এটা খুব সহজ।

(১) আলোচ্য আয়াতসমূহে এ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, যমীনের বুকে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপদাপদ আসে, তা সবই আমি কিতাবে অর্থাৎ লওহে-মাহফুযে জগত সৃষ্টির পূর্বেই লিখে দিয়েছিলাম। যমীনের বুকে সংঘটিত বিপদাপদ বলে দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প, ফসলহানি, বাণিজ্যে ঘাটতি, ধন-সম্পদ বিনষ্ট হওয়া, বন্ধু-বান্ধবের মৃত্যু ইত্যাদি এবং ব্যক্তিগত বিপদাপদ বলে সর্বপ্রকার রোগব্যাধি, ক্ষত, আঘাত ইত্যাদি বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]


সূরাঃ আল-মুজাদালা | Al-Mujadila | سورة المجادلة 

সূরাঃ আল-মুজাদালা, আয়াত ৭ 

৭ اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَا یَکُوۡنُ مِنۡ نَّجۡوٰی ثَلٰثَۃٍ اِلَّا هُوَ رَابِعُهُمۡ وَ لَا خَمۡسَۃٍ اِلَّا هُوَ سَادِسُهُمۡ وَ لَاۤ اَدۡنٰی مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡثَرَ اِلَّا هُوَ مَعَهُمۡ اَیۡنَ مَا کَانُوۡا ۚ ثُمَّ یُنَبِّئُهُمۡ بِمَا عَمِلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ


সূরাঃ আল-মুজাদালা, আয়াত ৭ এর অর্থ 

তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে নিশ্চয় আল্লাহ তা জানেন? তিন জনের কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থজন হিসেবে আল্লাহ থাকেন না, আর পাঁচ জনেরও হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি থাকেন না। এর চেয়ে কম হোক কিংবা বেশি হোক, তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। তারপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে সম্যক অবগত। 


সূরাঃ আল-মুজাদালা, আয়াত ৭ এর তাফসীর 

৭. আপনি কি লক্ষ্য করেন না যে, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি থাকেন। না এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যেও হয় না যাতে ষষ্ট জন হিসেবে তিনি থাকেন না। তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশী হোক তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন তারা যেখানেই থাকুক না কেন।(১) তারপর তারা যা করে, তিনি তাদেরকে কিয়ামতের দিন তা জানিয়ে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।

(১) তবে মনে রাখতে হবে যে, সাথে থাকার অর্থ এ নয় যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কোন সৃষ্টির ভিতরে বা সৃষ্টির সাথে লেগে আছেন। বরং এখানে সাথে থাকার অর্থ জ্ঞানের মাধ্যমে তাদের সাথে থাকা। কারণ, আয়াতের শেষে “নিশ্চয় আল্লাহ্ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।” এ কথাটি বলে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ্ তাঁর আরশের উপর, তাঁর সৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা অবস্থানে রয়েছেন। স্রষ্টাকে সৃষ্টির সাথে লেগে আছে বা প্রবিষ্ট হয়ে আছে মনে করা শির্ক ও কুফরী। এ তাফসীরের অন্যান্য স্থানেও এ বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন সূরা ত্বা-হা: ৪৬; সূরা আশ-শু'আরা: ১৫; সূরা আল-হাদীদ: ৪। এ সব আয়াতের সব স্থানেই এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তা'আলার জ্ঞান তাঁর বান্দাকে পরিবেষ্টন করে আছে।

তার জ্ঞান ও ক্ষমতার বাইরে কেউ নেই। এরই নাম হচ্ছে, সাধারণভাবে আল্লাহ তাঁর বান্দার সাথে থাকা। তবে এর পাশাপাশি আল্লাহ তা'আলা তার মুমিন বান্দাদের সাথে বিশেষভাবেও সাথে থাকেন। আর সে সাথে থাকা বলতে বুঝায় সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রতিষ্ঠা করা। যেমন সূরা আল-বাকারাহ: ১৯৪; সূরা আল আনফাল: ১৯; সূরা আত-তাওবাহঃ ৩৬; ১২৩; সূরা আন-নাহল: ১২৮; সূরা আল আনকাবূত: ৬৯ ও সূরা মুহাম্মাদ: ৩৫ নং আয়াত। এ সব আয়াতে ‘সাথে থাকা’ সাহায্য-সহযোগিতার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি সৎ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক জানেন ও তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেন।

সূরাঃ আত-তাগাবুন | At-Taghabun | سورة التغابن

সূরাঃ আত-তাগাবুন, আয়াত ৪ 

৪ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُسِرُّوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ


সূরাঃ আত-তাগাবুন, আয়াত ৪ এর অর্থ 

আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তিনি তা জানেন এবং তিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর। আল্লাহ অন্তরসমূহে যা কিছু আছে সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।


সূরাঃ আত-তাগাবুন, আয়াত ৪ এর তাফসীর 

৪. আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি জানেন এবং তিনি জানেন তোমরা যা গোপন কর ও তোমরা যা প্রকাশ কর। আর আল্লাহ অন্তরসমূহে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানী।


সূরাঃ আল-মুলক | Al-Mulk | سورة الملك 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১২ 

১২ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّهُمۡ بِالۡغَیۡبِ لَهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১২ এর অর্থ 

নিশ্চয় যারা তাদের রবকে না দেখেই ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান। 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১২ এর তাফসীর 

(১২) যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।[1]

[1] অবিশ্বাসী ও মিথ্যাজ্ঞানকারী কাফেরদের মোকাবেলায় এখন এখানে ঈমানদারদের এবং তাদের সেই নিয়ামতের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা তাঁরা কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর নিকট লাভ করবেন। بِالْغَيْبِ (না দেখে, অদৃশ্যভাবে) এর একটি অর্থ এই যে, তারা আল্লাহকে তো দেখেনি, কিন্তু নবীদের কথায় বিশ্বাস করে তারা আল্লাহর আযাবকে ভয় করে। দ্বিতীয় অর্থ এও হতে পারে যে, লোকদের দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য থেকে। অর্থাৎ, নির্জনেও তারা প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করে।

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৩ 

১৩ وَ اَسِرُّوۡا قَوۡلَکُمۡ اَوِ اجۡهَرُوۡا بِهٖ ؕ اِنَّهٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৩ এর অর্থ 

আর তোমরা তোমাদের কথা গোপন কর অথবা তা প্রকাশ কর, নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে সে বিষয়ে সম্যক অবগত। 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৩ এর তাফসীর 

(১৩) তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে,[1] নিশ্চয় তিনি অন্তর্যামী।[2]

[1] এখানে আবারও কাফেরদেরকে সম্বোধন করা হচ্ছে। অর্থাৎ, তোমরা রসূল (সাঃ)-এর ব্যাপারে গোপনে কথা বল অথবা প্রকাশ্যে, সব কিছুই আল্লাহ অবগত আছেন। কোন কথাই তাঁর কাছে গোপন থাকে না।

[2] এখানে তাঁর গোপনীয় ও প্রকাশ্য বিষয় জানার কারণ বর্ণনা করে বলা হচ্ছে যে, তিনি তো মনের ও অন্তরের গুপ্ত রহস্যসমূহের ব্যাপারেও অবহিত। অতএব তোমাদের কথাসমূহ কিভাবে তাঁর কাছে গোপন থাকতে পারে?

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৪ 

১৪ اَلَا یَعۡلَمُ مَنۡ خَلَقَ ؕ وَ هُوَ اللَّطِیۡفُ الۡخَبِیۡرُ 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৪ এর অর্থ 

যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, পূর্ণ অবহিত। 

সূরাঃ আল-মুলক, আয়াত ১৪ এর তাফসীর 

(১৪) যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না?[1] তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত। [2]

[1] অর্থাৎ, মন ও অন্তর এবং তাতে উদিত যাবতীয় খেয়ালের সৃষ্টিকর্তা তো মহান আল্লাহই। তিনি কি নিজ সৃষ্টি সম্বন্ধে অনবহিত থাকতে পারেন? এখানে প্রশ্নবাচক শব্দ অস্বীকৃতি সূচক। অর্থাৎ, তিনি অনবহিত নন; তিনি সব জানেন।
[2] لَطِيْفٌ এর অর্থ হল সূক্ষ্মদর্শী। الَّذِيْ لَطُفَ عِلْمُهُ بِمَا فِي الْقُلُوْبِ অর্থাৎ, যিনি হৃদয়ের যাবতীয় খবর ও অবস্থা সূক্ষ্মভাবে জানেন ও দেখেন। (ফাতহুল ক্বাদীর)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান



*******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url