বিষয় ভিত্তিক আয়াত || আল্লাহ রিজিকের মালিক || আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা রিযক বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেন || আল্লাহই সর্বোত্তম রিযকদাতা




আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন

সূরাঃ সাবা | Saba | سورة سبإ 

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৬ 

৩৬ قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یَقۡدِرُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৬ এর অর্থ 

বল, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’ 

Say, "Indeed, my Lord extends provision for whom He wills and restricts [it], but most of the people do not know."

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৬ এর তাফসীর 

(৩৬) তুমি বল, ‘আমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছা তার রুযী বর্ধিত করেন অথবা তা সীমিত করেন;[1] কিন্তু অধিকাংশ লোক এ বোঝে না।’

[1] এই আয়াতে কাফেরদের উক্ত ভুল ধারণা ও সন্দেহ দূর করা হচ্ছে যে, রুযীর প্রশস্ততা ও সংকীর্ণতা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ নয়; বরং তার সম্পর্ক আল্লাহর ইচ্ছা ও হিকমতের সাথে। এই জন্য তিনি সম্পদ যাকে পছন্দ করেন তাকেও দেন এবং যাকে অপছন্দ করেন তাকেও দেন। তিনি যাকে চান ধনী করেন এবং যাকে চান গরীব করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৯ 

৩৯ قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ ؕ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৯ এর অর্থ 

বল, ‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিয্কদাতা।’

Say, "Indeed, my Lord extends provision for whom He wills of His servants and restricts [it] for him. But whatever thing you spend [in His cause] - He will compensate it; and He is the best of providers." 

সূরাঃ সাবা, আয়াত ৩৯ এর তাফসীর 

(৩৯) বল, ‘আমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা তার জীবিকা বর্ধিত করেন অথবা সীমিত করেন।[1] তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন। [2] আর তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।’ [3]
[1] অতএব তিনি কখনো কাফেরকেও অনেক ধন দেন, কিন্তু কি জন্য? তাকে ঢিল দেওয়ার জন্য এবং কখনো মু’মিনকে অভাবগ্রস্ত রাখেন কি জন্য? তার নেকী বৃদ্ধি করার জন্য। সুতরাং ধন-সম্পদের কম ও বেশি হওয়া তাঁর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির কারণ বা প্রমাণ নয়। তাকীদের জন্য এ কথার পুনরুক্তি করা হয়েছে।

[2] إِخْلاَفٌ  -এর অর্থ হল ‘বিনিময় বা প্রতিদান দেওয়া। এই বিনিময় ইহকালেও সম্ভব। আর পরকালে তো সুনিশ্চিত। হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘‘তুমি খরচ কর, আমি তোমার উপর খরচ করব।’’ (অর্থাৎ তোমার খরচের বিনিময় দেব।) (বুখারীঃ তাফসীর সূরা হূদ) দুইজন ফিরিশতা প্রত্যহ ঘোষণা করেন, তাঁদের একজন বলেন, ‘‘হে আল্লাহ! (তোমার রাস্তায়) যারা খরচ করে না তাদের সম্পদ নষ্ট করে দাও।’’ আর দ্বিতীয় ফিরিশতা বলেন, ‘‘হে আল্লাহ! (তোমার রাস্তায়) খরচকারীদেরকে বিনিময় দাও।’’ (বুখারীঃ যাকাত অধ্যায়)

[3] কারণ, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কিছু দেয়, তবে তার এই দেওয়াটা হয় আল্লাহ তাআলার তাওফীক, প্রয়াস ও সুমতিদান এবং তার লিখিত ভাগ্যের ফল। প্রকৃতপক্ষে দানকারী কারো রুযীদাতা নয়। যেমন পিতাকে সন্তানদের বা বাদশাহকে তাঁর সৈন্যদের দায়িত্বশীল বা মালিক বলা হয়। আসলে রাজা-প্রজা ছোট-বড় সকলের রুযীদাতা প্রকৃতপক্ষে সেই আল্লাহ তাআলাই, যিনি সকলের সৃষ্টিকর্তা। অতএব যে ব্যক্তি তার ধন থেকে কাউকে কিছু দান করে, সে আসলে ঐ ধন খরচ করে, যা তাকে আল্লাহ তাআলাই প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে রুযীদাতা আল্লাহই হলেন। তারপরেও তাঁর অতিরিক্ত অনুগ্রহ এই যে, তাঁর দেওয়া ধন তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী খরচ করলে তিনি তার বিনিময় ও নেকীও প্রদান করেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ ফাতির | Fatir | سورة فاطر 

সূরাঃ ফাতির, আয়াত ৩ 

৩ یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰهِ عَلَیۡکُمۡ ؕ هَلۡ مِنۡ خَالِقٍ غَیۡرُ اللّٰهِ یَرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۖ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ 

সূরাঃ ফাতির, আয়াত ৩ এর অর্থ 

হে মানুষ, তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমতকে তোমরা স্মরণ কর। আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা আছে কি, যে, তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিয্ক দিবে? তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। অতএব তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?

O mankind, remember the favor of Allah upon you. Is there any creator other than Allah who provides for you from the heaven and earth? There is no deity except Him, so how are you deluded? 

সূরাঃ ফাতির, আয়াত ৩ এর তাফসীর 

৩. হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ছাড়া কি কোন স্রষ্টা আছে, যে তোমাদেরকে আসমানসমূহ ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। কাজেই তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?(১)

আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই

(১) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “বলুন, কে আসমানসমূহ ও যমীনের রব? বলুন, আল্লাহ। বলুন, তবে কি তোমরা অভিভাবকরূপে গ্ৰহণ করেছ আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে যারা নিজেদের লাভ বা ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়? বলুন, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? নাকি অন্ধকার ও আলো সমান হতে পারে?” তবে কি তারা আল্লাহর এমন শরীক করেছে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সদৃশ মনে হয়েছে? বলুন, আল্লাহ সকল বস্তুর স্রষ্টা; আর তিনি এক, মহা প্রতাপশালী।” [সূরা আর-রা'দ: ১৬] [আদওয়াউল বায়ান]

তাফসীরে জাকারিয়া




সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url