বিষয় ভিত্তিক হাদিস || নামাজ বিষয়ক ১০০টি হাদিস || জুমু’আর নামাজ, জুমু’আর দিনের আমল ও ফজিলত ||





জুমু’আর নামাজ, জুমু’আর দিনের আমল ও ফজিলত 


৩১   জুমু’আর নামাজে উত্তম পোষাক পরিধান করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৪২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৮৮৬

باب يَلْبَسُ أَحْسَنَ مَا يَجِدُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَأَى حُلَّةَ سِيَرَاءَ عِنْدَ باب الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ اشْتَرَيْتَ هَذِهِ فَلَبِسْتَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلِلْوَفْدِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا حُلَلٌ، فَأَعْطَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مِنْهَا حُلَّةً فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَسَوْتَنِيهَا وَقَدْ قُلْتَ فِي حُلَّةِ عُطَارِدٍ مَا قُلْتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنِّي لَمْ أَكْسُكَهَا لِتَلْبَسَهَا ‏"‏‏.‏ فَكَسَاهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ أَخًا لَهُ بِمَكَّةَ مُشْرِكًا‏.‏

৮৪২  আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) মসজিদে নববীর দরজার নিকটে এক জোড়া রেশমী পোষাক (বিক্রি হতে) দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি এটি আপনি খরীদ করতেন আর জুম্মার দিন এবং যখন আপনার কাছে প্রতিনিধি দল আসে তখন আপনি তা পরিধান করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটি তো সে ব্যাক্তিই পরিধান করে, আখিরাতে যার (মঙ্গলের) কোন অংশ নেই।

এর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ধরণের কয়েক জোড়া পোশাক আসে, তখন তার এক জোড়া তিনি উমর (রাঃ)-কে প্রদান করেন। উমর (রাঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে এটি পরিধান করতে দিলেন অথচ আপনি উতারিদের (রেশম) পোশাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাকে এটি নিজের পরিধানের জন্য প্রদান করিনি। উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তখন এটি মক্কায় তাঁর এক ভাইকে দিয়ে দেন, যে তখন মুশরিক ছিল।

৩২    জুমু’আর দিন মিসওয়াক করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৪৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৮৮৭

باب السِّوَاكِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ـ أَوْ عَلَى النَّاسِ ـ لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ ‏"‏‏.‏

৮৪৩  আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য বা তিনি বলেছেন, লোকদের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তা হলে প্রত্যেক সালাত (নামায/নামাজ)-এর সাথে তাদের মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।

وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَنُّ

আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মিসওয়াক করতেন।

প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মিসওয়াক উম্মতের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ফরয হওয়া থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে কিন্তু সুন্নাত হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।

হাদীসের শিক্ষা
১. উম্মতের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ মায়া মহব্বত ও দয়া। যা তাদের কষ্ট দিবে তা থেকে তিনি প্রবর্তন করা থেকে সর্বদা দূরে থাকতেন।

২. মিসওয়াকের ফযীলত ও মুস্তাহাব হওয়া প্রমাণিত হলো।

৩. সালাতের সময় মিসওয়াক করার বিষয়টি অত্যধিক তাগিদপূর্ণ হওয়া। আর তা প্রতিটি সালাতের জন্যই, চাই তা ফরয সালাত হোক কিংবা নফল সালাত অথবা জানাযার সালাত হোক।

৪. ইসলামী শরীআত সহজ ও আমলযোগ্য হওয়ার প্রমাণ। এতে এমন কিছু নেই যা করা অসম্ভব বা প্রাণান্তকর।

৫. কল্যাণ আহরণের চেয়ে ক্ষতি নিরোধ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৬. হাদীসের দাবির ব্যাপকতা থেকে বুঝা যায় যে, সাওম পালনকারীগণের জন্যও তা ফযীলতপূর্ণ জিনিস, যদিও সূর্য পশ্চিম দিগন্তে চলে যাওয়ার পর হয়। যেমন, যোহর কিংবা আসরের সময়।

৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ থাকলে তার সাধারণ দাবি হচ্ছে বাধ্যতামূলক হওয়া।

৮. সালাতের বিষয়টি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত হওয়া। কারণ, সালাতের জন্য বিশেষ করে মিসওয়াক করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত মানুষ তখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন করে। সুতরাং তার মুখ দুর্গন্ধমুক্ত হোক এটা একজন ঈমানদার সর্বদা কামনা করে।

৯. এ হাদীসের কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, “প্রত্যেক সালাতের ওযূর সময়" যা ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও মালিক রাহিমাহুমুল্লাহ বর্ণনা করেছেন। এর দ্বারা কেউ কেউ বলেছেন, আলোচ্য হাদীসের প্রয়োগক্ষেত্র হচ্ছে সালাতের ওযূর সময়ে।


৩৩    মুসলিমের উপর আল্লাহর হক জুমু’আর দিনের গোসল 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৫২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৮৯৬ - ৮৯৭

باب هَلْ عَلَى مَنْ لَمْ يَشْهَدِ الْجُمُعَةَ غُسْلٌ مِنَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ وَغَيْرِهِمْ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنَّمَا الْغُسْلُ عَلَى مَنْ تَجِبُ عَلَيْهِ الْجُمُعَةُ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَحْنُ الآخِرُونَ السَّابِقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِنَا، وَأُوتِينَاهُ مِنْ بَعْدِهِمْ، فَهَذَا الْيَوْمُ الَّذِي اخْتَلَفُوا فِيهِ فَهَدَانَا اللَّهُ، فَغَدًا
لِلْيَهُودِ وَبَعْدَ غَدٍ لِلنَّصَارَى ‏"‏‏.‏ فَسَكَتَ‏.‏
ثُمَّ قَالَ ‏"‏ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ أَنْ يَغْتَسِلَ فِي كُلِّ سَبْعَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا يَغْسِلُ فِيهِ رَأْسَهُ وَجَسَدَهُ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ أَنْ يَغْتَسِلَ فِي كُلِّ سَبْعَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا يَغْسِلُ فِيهِ رَأْسَهُ وَجَسَدَهُ ‏"‏‏
رَوَاهُ أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لِلَّهِ تَعَالَى عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ حَقٌّ أَنْ يَغْتَسِلَ فِي كُلِّ سَبْعَةِ أَيَّامٍ يَوْمًا ‏"‏‏.‏

৮৫২  মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষে। কিন্তু কিয়ামতের দিন মর্যাদার দিক দিয়ে সবার আগে। তবে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে আমাদের আগে এবং আমাদের তা দেয়া হয়েছে তাদের পরে। তারপর এই দিন (শুক্রবার নির্ধারণ) সম্বন্ধে তাদের মধ্যে মতানৈক্য হয়েছে। আল্লাহ আমাদের এ শুক্রবার সম্পর্কে হিদায়াত দান করেছেন। পরের দিন (শনিবার) ইয়াহুদীদের এবং তারপরের দিন (রোববার) নাসারাদের।

এরপর কিছুক্ষন নীরব থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে গোসল করবে, তার মাথা ও শরীর ধৌত করবে। আবান ইবনু সালিহ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর আল্লাহর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে যেন গোসল করে।

৩৪    বৃষ্টির কারণে জুমু’আর নামাজে হাযির না হওয়া


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৫৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯০১

باب الرُّخْصَةِ إِنْ لَمْ يَحْضُرِ الْجُمُعَةَ فِي الْمَطَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، صَاحِبُ الزِّيَادِيِّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ ابْنُ عَمِّ، مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِمُؤَذِّنِهِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ إِذَا قُلْتَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ‏.‏ فَلاَ تَقُلْ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ‏.‏ قُلْ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ‏.‏ فَكَأَنَّ النَّاسَ اسْتَنْكَرُوا، قَالَ فَعَلَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي، إِنَّ الْجُمُعَةَ عَزْمَةٌ، وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُخْرِجَكُمْ، فَتَمْشُونَ فِي الطِّينِ وَالدَّحْضِ‏.‏

৮৫৫  মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর মুয়ায্‌যিনকে এক বর্ষণ মুখর দিনে বললেন, যখন তুমি (আযানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলবে, তখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না, বলবে, ‘সাল্‌লু ফী বুয়ুতিকুম’- তোমরা নিজ নিজ বাসগৃহে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় কর। তা লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেনঃ আমার চাইতে উত্তম ব্যাক্তই (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা করেছেন। জুমু'আহ নিঃসন্দেহে জরুরী। আমি অপছন্দ করি যে, তোমাদেরকে মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলি।


৩৫    জুমু’আর জন্য পায়ে হেঁটে চলা


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৬১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯০৭

باب الْمَشْىِ إِلَى الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبَايَةُ بْنُ رِفَاعَةَ، قَالَ أَدْرَكَنِي أَبُو عَبْسٍ وَأَنَا أَذْهَبُ، إِلَى الْجُمُعَةِ فَقَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَنِ اغْبَرَّتْ قَدَمَاهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ ‏"‏‏.‏

৮৬১  আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবায়া ইবনু রিফা’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জুমু'আর সালাতে যাওয়ার সময় আবূ আব্‌স (রাঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যার দু’পা আল্লাহর পথে ধূলি ধূসরিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।

وَقَوْلِ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ قَالَ السَّعْيُ الْعَمَلُ وَالذَّهَابُ لِقَوْلِهِ تَعَالَى وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَحْرُمُ الْبَيْعُ حِينَئِذٍ وَقَالَ عَطَاءٌ تَحْرُمُ الصِّنَاعَاتُ كُلُّهَا وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَهُوَ مُسَافِرٌ فَعَلَيْهِ أَنْ يَشْهَدَ

এবং আল্লাহ্‌র বাণীঃ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ “তোমরা আল্লাহ্‌র যিকরের জন্য দৌড়িয়ে আস”। যিনি বলেন, সাঈ (سعى)-এর অর্থ কাজ করা, গমন করা। কেননা, আল্লাহ্‌র বাণীঃ سَعَى لَهَا سَعْيَهَا এর অন্তর্গত سعى এর অর্থ হচ্ছে কাজ করা । ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন (জুমু’আর আযানের পর) যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় হারাম হয়ে যায় । আতা (রহঃ) বলেন, শিল্প-কারিগরীর যাবতীয় কাজই তখন নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ইবরাহীম ইবন সা’দ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, জুমু’আর দিন যখন মুয়াযযিন আযান দেয় তখন মুসাফিরের জন্য জুমু’আর সালাতে হাযির হওয়া উচিত।

৩৬    খুতবায় আল্লাহ্‌র প্রশংসার পর ‘আম্‌মা বা’দু’ বলা 

বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৭৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯২২ - ৯২৩

بَاب مَنْ قَالَ فِي الْخُطْبَةِ بَعْدَ الثَّنَاءِ أَمَّا بَعْدُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ، يَقُولُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِمَالٍ أَوْ سَبْىٍ فَقَسَمَهُ، فَأَعْطَى رِجَالاً وَتَرَكَ رِجَالاً فَبَلَغَهُ أَنَّ الَّذِينَ تَرَكَ عَتَبُوا، فَحَمِدَ اللَّهَ ثُمَّ أَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ أَمَّا بَعْدُ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ، وَأَدَعُ الرَّجُلَ، وَالَّذِي أَدَعُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الَّذِي أُعْطِي وَلَكِنْ أُعْطِي أَقْوَامًا لِمَا أَرَى فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْجَزَعِ وَالْهَلَعِ، وَأَكِلُ أَقْوَامًا إِلَى مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْغِنَى وَالْخَيْرِ، فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ ‏"‏‏.‏ فَوَاللَّهِ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُمْرَ النَّعَمِ‏.‏ تَابَعَهُ يُونُسُ‏.‏

৮৭৬  মুহাম্মদ ইবনু মা’মার (রহঃ) ... আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু মাল বা কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী উপস্থিত করা হলো তিনি তা বন্টন করে দিলেন। বন্টনের সময় কিছু লোককে দিলেন এবং কিছু লোককে বাদ দিলেন। তারপর তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছলো যে, যাদের তিনি দেননি, তারা অসন্তুষ্ট হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা করলেন ও তাঁর মহিমা বর্ণনা করলেন, তারপর বললেনঃ আম্‌মা বা’দ। আল্লাহর শপথ! আমি কোন লোককে দেই আর কোন লোককে দেই না। যাকে আমি দেই না, সে যাকে আমি দেই, তার চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয়। তবে আমি এমন লোকদের দেই যাদের অন্তরে অধৈর্য ও মালের প্রতি লিপ্সা দেখতে পাই; আর কিছু লোককে আল্লাহ যাদের অন্তরে অমুখাপেক্ষিতা ও কল্যান রেখেছেন, তাদের সে অবস্থার উপর ন্যাস্ত করি। তাদের মধ্যে আমর ইবনু তাগলিব একজন। বর্ণনাকারী আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ বাণীর পরিবর্তে আমি লাল উটও[১] পছন্দ করি না।

ইকরিমা (রহঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। মাহমূদ (র) ... আসমা বিনতে আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একদিন) আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গমন করি। লোকজন তখন সালাত আদায় করছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকদের কি হয়েছে? তখন তিনি মাথা দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি কোন নিদর্শন? তিনি মাথা দিয়ে ইশারা করলেন, হ্যাঁ বললেন। (এরপর আমিও তাঁদের সঙ্গে সালাতে যোগ দিলাম) তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, আমি প্রায় অজ্ঞান হতে যাচ্ছিলাম। আমার পার্শ্বেই একটি চামড়ার মশকে পানি রাখা ছিল। আমি সেটা খুললাম এবং আমার মাথায় পানি দিতে লাগলাম।

এরপর যখন সূর্য উজ্জ্বল হয়ে উঠলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত সমাপ্ত করলেন এবং লোকজনদের উদ্দেশ্যে খুতবা পেশ করলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহ্‌র যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। এরপর বললেন, আম্‌মা বা’দু। আসমা (রাঃ) বলেন, তখন কয়েকজন আনসারী মহিলা শোরগোল করছিলেন। তাই আমি চুপ করাবার উদ্দেশ্যে তাঁদের প্রতি ঝুঁকে পড়লাম। এরপর আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি [নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কি বললেন? আয়িশা (রাঃ) বললেন, তিনি বলেছেন, এমন কোন জিনিস নেই যা আমাকে দেখানো হয়নি আমি এ জায়গা থেকে সব কিছুই দেখেছি। এমন কি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলাম। আমার নিকট ওহী পাঠান হয়েছে যে, তোমাদেরকে কবরে মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় অথবা তিনি বলেছেন, সে ফিতনার কাছাকাছি ফিতনায় ফেলা হবে। (অর্থাৎ তোমাদেরকে পরীক্ষার সম্মুখীন করা হবে) তোমাদের প্রত্যেককে (কবরে) উঠানো হবে এবং প্রশ্ন করা হবে, এ ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে তুমি কি জান?

তখন মু’মিন অথবা মুকিন (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’টোর মধ্যে কোন শব্দটি বলেছিলেন এ ব্যপারে বর্ণনাকারী হিশামের মনে সন্দেহ রয়েছে) বলবে, তিনি হলেন আল্লাহ্‌র রাসূল, তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তিনি আমাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল ও হিদায়াত নিয়ে এসেছিলেন। এরপর আমরা ঈমান এনেছি, তাঁর আহবানে সাড়া দিয়েছি, তাঁর আনুগত্য করেছি এবং তাঁকে সত্য বলে গ্রহণ করেছি। তখন তাঁকে বলা হবে, তুমি ঘুমিয়ে থাক, যেহেতু তুমি নেককার। তুমি যে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছ তা আমরা অবশ্যই জানতাম। আর মুনাফিক বা মুরতাব (সন্দেহ পোষণকারী) (এ দু’টোর মধ্যে কোন শব্দটি বলেছিলেন এ সম্পর্কে বর্ণনাকারী হিশামের মনে সন্দেহ রয়েছে) তাকেও প্রশ্ন করা হবে যে, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কি জান? উত্তরে সে বলবে, আমি কিছুই জানি না। অবশ্য মানুষকে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছি, আমিও তাই বলতাম। হিশাম (র) বলেন, ফাতিমা (রাঃ) আমার নিকট যা বলেছেন, তা সবটুকু আমি উত্তমরূপে স্মরণ রেখেছি। তবে তিনি ওদের প্রতি যে কঠোরতা করা হবে তাও উল্লেখ করেছেন।


৩৭    জুমু’আর নামাজে আগে আসা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৮২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯২৯

باب الاِسْتِمَاعِ إِلَى الْخُطْبَةِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَقَفَتِ الْمَلاَئِكَةُ عَلَى باب الْمَسْجِدِ يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ، وَمَثَلُ الْمُهَجِّرِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي بَدَنَةً، ثُمَّ كَالَّذِي يُهْدِي بَقَرَةً، ثُمَّ كَبْشًا، ثُمَّ دَجَاجَةً، ثُمَّ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ طَوَوْا صُحُفَهُمْ، وَيَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ ‏"‏‏.‏

৮৮২  আদম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুম্মার দিন মসজিদের দরজায় ফিরিশতাগণ অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমণকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যাক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যাক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। তারপর আগমণকারী মেষ কুরবানী করার ন্যায়। তারপর আগমণকারী ব্যাক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমণকারী ব্যাক্তি একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফিরিশতাগণ তাঁদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহ খুতবা শুনতে থাকেন।

৩৮    মসজিদে ঢুকেই দুই রাকাত নামাজ আদায় করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৪২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৮৮৬

باب إِذَا رَأَى الإِمَامُ رَجُلاً جَاءَ وَهْوَ يَخْطُبُ أَمَرَهُ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ ‏"‏ أَصَلَّيْتَ يَا فُلاَنُ ‏"‏‏.‏ قَالَ لاَ‏.‏ قَالَ ‏"‏ قُمْ فَارْكَعْ ‏"‏‏.

৮৮৩  আবূ নু’মান (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (কোন এক) জুমু'আর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন। এমনি সময় এক ব্যাক্তি আগমণ করল। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে অমুক! তুমি কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছ? সে বলল, না; তিনি বললেন, উঠ, সালাত আদায় করে নাও।

৩৯    মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা

বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৮৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৩৪

باب الإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ وَإِذَا قَالَ لِصَاحِبِهِ أَنْصِتْ. فَقَدْ لَغَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ‏.‏ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَقَدْ لَغَوْتَ ‏"‏‏.‏

৮৮৭  ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু'আর দিন যখন তোমার পাশের মুসুল্লীকে বলবে চুপ থাক, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।

وَقَالَ سَلْمَانُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ

সালমান ফারেসী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যখন ইমাম কথা বলবেন, তখন চুপ থাকবে।

৪০    জুমুআর দিনের দোয়া কবুলের মুহূর্তটি 

বুখারী শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৮৮৮, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৩৫
باب السَّاعَةِ الَّتِي فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ ‏ "‏ فِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ، وَهْوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ ‏"‏‏.‏ وَأَشَارَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا‏.‏

৮৮৮  আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর দিন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় সালাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্‌র নিকট কিছু চায়, তা হলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।



*********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url