বিষয় ভিত্তিক আয়াত || নবী এসেছেন মানুষের মুক্তির জন্য || রাসুলও একজন মানুষ ||


সূরাঃ ইউনুস | Yunus | سورة يونس 

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৭ 

৪৭ وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلٌ ۚ فَاِذَا جَآءَ رَسُوۡلُهُمۡ قُضِیَ بَیۡنَهُمۡ بِالۡقِسۡطِ وَ هُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৭ এর অর্থ 

আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে রাসূল। তারপর যখন তাদের রাসূল আসে, তাদের মধ্যে তখন ন্যায়ভিত্তিক ফয়সালা করা হয় এবং তাদের যুলম করা হয় না।
And for every nation is a messenger. So when their messenger comes, it will be judged between them in justice, and they will not be wronged 

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৭ এর তাফসীর 

৪৭. আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আছে একজন রাসূল(১) অতঃপর যখন তাদের রাসূল আসে তখন তাদের মধ্যে ন্যায়ভিত্তিক মীমাংসা করা হয় এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হয় না।(২)

প্রত্যেক উম্মতের জন্য একজন রাসূল রয়েছে

(১) বলা হয়েছে, “প্রত্যেক উম্মতের জন্য একজন রাসূল রয়েছে।” এ ধরনের আয়াত আরো দেখুন, সূরা আন-নাহলঃ ৩৬, সূরা ফাতেরঃ ২৪। এখানে আরেকটি বিষয় গুরুত্বের দাবী রাখে তা হলো, আল্লাহ্ তা'আলা যদিও রাসূলকে সার্বজনিন করেছেন তারপরও তিনি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে হেদায়াতকারীদের প্রেরণ করে থাকেন। তারা নবী বা রাসূল না হলেও নবী-রাসূলদের বাণী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে বহন করে থাকেন। এ ব্যাপারে সূরা রা'দ এর ৭ নং আয়াতে এসেছে যে, “প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়াতকারী বা পথপ্রদর্শক আছেন।”

(২) এর অর্থ হচ্ছে, রাসূলের দাওয়াত কোন মানব গোষ্ঠীর কাছে পৌছে যাওয়ার পর ধরে নিতে হবে যে, সেই গোষ্ঠীর হেদায়াতের জন্য আল্লাহর যা কিছু করণীয় ছিল, তা করা হয়ে গেছে। এরপর কেবল ফায়সালা করাই বাকি থেকে যায়। অতিরিক্ত যুক্তি বা সাক্ষ্য-প্রমাণের অবকাশ থাকে না। আর চূড়ান্ত ইনসাফ সহকারে এ ফায়সালা করা হয়ে থাকে। যারা রসূলের কথা মেনে নেয় এবং নিজেদের নীতি ও মনোভাব পরিবর্তন করে তারা আল্লাহর রহমত লাভের অধিকারী হয়। আর যারা তাঁর কথা মেনে নেয় না তারা শাস্তি লাভের যোগ্য হয়। তাদেরকে এ শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গায় দেয়া যেতে পারে বা এক জায়গায়। তাদের কাছে রাসূল এ জন্যই পাঠাতে হয়, কারণ আল্লাহ্ তা'আলা রাসূল না পাঠিয়ে, মানুষদেরকে সাবধান না করে কাউকে শাস্তি দেন না। আল্লাহ বলেন, “আর আমরা রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত শাস্তি প্রদানকারী নই।” [সূরা আল-ইসরা: ১৫] [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]

তাছাড়া এ আয়াতের আরেক প্রকার ব্যাখ্যাও বর্ণিত হয়েছে, মুজাহিদ রাহেমাহুল্লাহ বলেনঃ এখানে রাসূলদের আগমন করার অর্থঃ কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে তাদের আগমণের কথা বুঝানো হয়েছে। যেমনটি সূরা আয-যুমারের ৬৯ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছেঃ “যমীনে তার প্রতিপালকের জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হবে, 'আমলনামা পেশ করা হবে এবং নবীগণকে ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে ও তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না”। সুতরাং প্রত্যেক উম্মতের আমলনামাই তাদের নবী-রাসূলদের উপস্থিতিতে পেশ করা হবে। তাদের ভাল-মন্দ আমল তাদের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। অনুরূপভাবে আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতাগণদের মধ্য থেকেও সাক্ষী থাকবে। এভাবেই উম্মতের পর উম্মতের মধ্যে ফয়সালা করা হবে। উম্মতে মুহাম্মাদীয়ারও একই অবস্থা হবে তবে তারা সবশেষে আসা সত্বেও সর্বপ্রথম তাদের হিসাবনিকাশ করা হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমরা সবশেষে আগমণকারী তবে কিয়ামতের দিন সবার অগ্রে থাকব।” [বুখারীঃ ৮৭৬] অপর হাদীসে এসেছে, “সমস্ত সৃষ্টিজগতের পূর্বে তাদের বিচার-ফয়সালা করা হবে।” [মুসলিমঃ ৮৫৫]

তাফসীরে জাকারিয়া

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৮ এর 

৪৮ وَ یَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی هٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ 

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৮ এর অর্থ 

আর তারা বলে, ‘কখন এই প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ হবে), যদি তোমরা সত্যবাদী হও’? 
And they say, "When is [the fulfillment of] this promise, if you should be truthful?"

সূরাঃ ইউনুস, আয়াত ৪৮ এর তাফসীর 

৪৮. আর তারা বলে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও, (তবে বল) এ প্রতিশ্রুতি কবে ফলবে?(১)

আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি কখনো ভংগ করেন না

(১) আল্লাহ তা'আলা এখানে কাফেরদের কুফরির সংবাদ দিয়ে বলছেন যে, কাফেররা যে আল্লাহর আযাবকে তাড়াতাড়ি চাচ্ছে এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের কথা বলছে, এতে তাদের কোন লাভ নেই। অন্যত্রও আল্লাহ এ কথা বলেছেন, “যারা এটাতে ঈমান রাখে না তারাই তা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা ঈমান এনেছে তারা তা থেকে ভীত থাকে এবং তারা জানে যে, তা অবশ্যই সত্য [সূরা আশ-শূরা: ১৮] আরও বলেন, “আর তারা আপনাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি কখনো ভংগ করেন না। আপনার রব-এর কাছে একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান।” [সূরা আল-হজ: ৪৭] আরও বলেন, “তারা আপনাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, জাহান্নাম তো কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করবেই।” [সূরা আল-আনকাবুত: ৫৪] তাছাড়া এ সূরার ৫০ নং আয়াতে তাদেরকে রীতিমত সাবধানও করেছেন।

তাফসীরে জাকারিয়া

সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان 

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৭ 

৭ وَ قَالُوۡا مَالِ هٰذَا الرَّسُوۡلِ یَاۡکُلُ الطَّعَامَ وَ یَمۡشِیۡ فِی الۡاَسۡوَاقِ ؕ لَوۡ لَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡهِ مَلَکٌ فَیَکُوۡنَ مَعَهٗ نَذِیۡرًا ۙ

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৭ এর অর্থ 

আর তারা বলে, ‘এ রাসূলের কী হল, সে আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে; তার কাছে একজন ফেরেশতা পাঠানো হল না কেন, যে তাঁর সাথে সতর্ককারী হত’?
And they say, "What is this messenger that eats food and walks in the markets? Why was there not sent down to him an angel so he would be with him a warner?

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৭ এর অর্থ 

(৭) ওরা বলে, ‘এ কেমন রসূল, যে আহার করে এবং হাটে বাজারে চলাফেরা করে![1] তার নিকট কোন ফিরিশতা অবতীর্ণ করা হল না কেন; যে সতর্ককারীরূপে তার সঙ্গে থাকত? [2]

রাসুলও একজন মানুষ

[1] কুরআনের উপর আঘাত হানার পর রাসূলের উপর আঘাত হানা হচ্ছে এবং তা রাসূলের মানুষ হওয়ার জন্য। তাদের ধারণা ছিল মানুষ রিসালাত ও নবুঅতের যোগ্য নয়। সেই জন্য তারা বলত, এ কেমন রাসূল, যে খায়-পান করে, বাজারে আসে-যায়! আমাদেরই মত মানুষ! রসূলের তো মানুষ হওয়ার কথা নয়।

[2] উপরোক্ত আপত্তি হতে এক ধাপ নিচে নেমে বলা হচ্ছে, আর কিছু না হোক, কমসে কম একজন ফিরিশতাই তার সহায়ক ও সত্যায়নকারীরূপে থাকতে পারত।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৮ 

৮ اَوۡ یُلۡقٰۤی اِلَیۡهِ کَنۡزٌ اَوۡ تَکُوۡنُ لَهٗ جَنَّۃٌ یَّاۡکُلُ مِنۡهَا ؕ وَ قَالَ الظّٰلِمُوۡنَ اِنۡ تَتَّبِعُوۡنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسۡحُوۡرًا 

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৮ এর অর্থ 

অথবা তাকে ধনভান্ডার ঢেলে দেয়া হয় না কেন অথবা তার জন্য একটি বাগান হয় না কেন যা থেকে সে খেতে পারে?’ যালিমরা বলে, ‘তোমরা শুধু এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করছ’। 
Or [why is not] a treasure presented to him [from heaven], or does he [not] have a garden from which he eats?" And the wrongdoers say, "You follow not but a man affected by magic." 

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৮ এর তাফসীর 

(৮) তাকে ধনভান্ডার দেওয়া হয় না কেন[1] অথবা তার একটি বাগান নেই কেন, যা হতে সে আহার সংগ্রহ করতে পারে?’[2] সীমালংঘনকারীরা আরও বলে, ‘তোমরা তো এক যাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।’[3]

[1] যাতে সে জীবিকা-উপার্জনের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকত।
[2] যাতে তার অবস্থা আমাদের তুলনায় তো কিছু ভালো হত।
[3] যার জ্ঞান-বুদ্ধি যাদু-প্রভাবিত ও বিকৃত।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৯ 

৯ اُنۡظُرۡ کَیۡفَ ضَرَبُوۡا لَکَ الۡاَمۡثَالَ فَضَلُّوۡا فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ سَبِیۡلًا

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৯ এর অর্থ 

দেখ, তোমার জন্য তারা কেমন উপমা পেশ করে; ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, সুতরাং তারা কোন পথ পেতে সক্ষম হয় না।
Look how they strike for you comparisons; but they have strayed, so they cannot [find] a way. 

সূরাঃ আল-ফুরকান, আয়াত ৯ এর তাফসীর 

(৯) দেখ, ওরা তোমার কি সব উপমা পেশ করে। ফলতঃ ওরা পথভ্রষ্ট। সুতরাং ওরা পথ পাবে না।[1]

[1] অর্থাৎ, হে নবী! ওরা তোমার ব্যাপারে এ রকম কথাবার্তা ও অপবাদ আরোপ করে। কখনো বলে যাদুকর, কখনো বলে যাদুগ্রস্ত বা পাগল, কখনো মিথ্যুক বা কবি। অথচ এ সমস্ত কথাই অসত্য। যার মধ্যে সামান্যতম জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি আছে, সেও এ সব মন্তব্যে তাদের মিথ্যাবাদিতার কথা উপলব্ধি করতে পারবে। অতএব তারা এ সকল কথা বলে নিজেরাই হিদায়াতের পথ হতে দূরে সরে যাচ্ছে। তারা হিদায়াত কিভাবে পেতে পারে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ আল-আহযাব | Al-Ahzab | سورة الأحزاب 

সূরাঃ আল-আহযাব, আয়াত ২১ 

২১ لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیۡرًا

সূরাঃ আল-আহযাব, আয়াত ২১ এর অর্থ 

অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
There has certainly been for you in the Messenger of Allah an excellent pattern for anyone whose hope is in Allah and the Last Day and [who] remembers Allah often. 

সূরাঃ আল-আহযাব, আয়াত ২১ এর তাফসীর 

(২১) তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে[1] তাদের জন্য রাসূলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। [2]

রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ 

[1] অর্থাৎ হে মুসলিমগণ এবং হে মুনাফিকদল! তোমাদের জন্য রসূল (সাঃ)-এর ব্যক্তিত্বে উত্তম আদর্শ রয়েছে, অতএব তোমরা জিহাদে এবং ধৈর্যশীলতা ও পদদৃঢ়তায় তাঁরই অনুসরণ কর। মহানবী (সাঃ) ক্ষুধার্ত থেকে জিহাদ করেছেন; এমনকি তাঁকে পেটে পাথর বাঁধতে হয়েছে। তাঁর চেহারা মুবারক যখম হয়েছে, তাঁর দাঁত ভেঙ্গে গেছে, তিনি নিজ হাতে পরিখা খনন করেছেন এবং প্রায় এক মাস শত্রু বাহিনীর অবরোধের মুখে সাহসিকতার সাথে মুকাবেলা করেছেন। উক্ত আয়াত যদিও আহযাব যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে যুদ্ধের সময় বিশেষভাবে রসূল (সাঃ)-এর আদর্শকে সামনে রাখা ও তাঁর অনুসরণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি একটি ব্যাপক আদেশ। অর্থাৎ নবী (সাঃ)-এর সকল কথা, কাজ ও অবস্থাতে মুসলিমের জন্য তাঁর অনুসরণ আবশ্যিক; তা ইবাদত সম্পর্কিত হোক বা সমাজ সম্পর্কিত, জীবিকা সম্পর্কিত হোক বা রাজনীতি সম্পর্কিত, জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁরই নির্দেশ পালন করা একান্ত কর্তব্য। (ومَآاََتَكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ ) সূরা হাশরের ৭নং আয়াত এবং (اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ) সূরা আলে ইমরানের ৩১নং আয়াতের দাবীও তাই।

[2] এই আয়াতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, রসূল (সাঃ)-এর আদর্শে ঐ ব্যক্তি আদর্শবান হবে, যে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে বিশ্বাসী এবং যে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান উক্ত দুই গুণ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে তাদের অন্তরে রসূল (সাঃ)-এর আদর্শের কোন গুরুত্ব নেই। এদের মধ্যে যারা দ্বীনদার তাদের আদর্শ হল পীর ও বুযুর্গরা। আর যারা দুনিয়াদার বা রাজনৈতিক তাদের আদর্শ ও পথপ্রদর্শক হল পাশ্চাত্যের নেতারা। রসূল (সাঃ)-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার কথা এরা মুখে খুব দাবী করে, কিন্তু কার্যতঃ তাঁকে নিজেদের আদর্শ, নেতা ও পথপ্রদর্শক মানার ব্যাপারে অধিকাংশই পিছনে। সুতরাং এ বিচার আল্লাহই করবেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান



*********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url