হাদিসে কুদসী সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদিস, পর্ব- ১১
আল কুরআনের পরে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হাদিসে কুদসী
হাদিসে কুদসী নং ৭১
মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে
৭১.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন: “তারা বলল: হে
আল্লাহর রাসূল কিয়ামতের দিন আমরা কি
আমাদের রবকে দেখব? তিনি
বললেন: “তোমরা কি ভর দুপুরে
মেঘ মুক্ত আকাশে সূর্য দেখায় সন্দেহ কর? তারা বলল:
না। তিনি বললেন: তোমরা
কি চৌদ্দ তারিখের রাতে মেঘহীন আকাশে
চাঁদ দেখায় সন্দেহ কর? তারা বলল:
না। তিনি বললেন: তার
সত্ত্বার কসম যার হাতে
আমার নফস, তোমরা তোমাদের
রবকে দেখায় সন্দেহ করবে না, যেমন
তোমরা সন্দেহ কর না সূর্য-চাঁদ কোনো একটি
দেখার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন: আল্লাহ
বান্দার সাথে সাক্ষাত করবেন
অতঃপর বলবেন: হে অমুক আমি
কি তোমাকে সম্মানিত করি নি, তোমাকে
নেতৃত্ব দেই নি, তোমাকে
বিয়ে করাই নি এবং
তোমার জন্য ঘোড়া ও
উট অনুগত করে দেইনি, আমি
কি তোমাকে সুযোগ দেই নি তুমি
নেতৃত্ব দিয়েছ ও ভোগ করেছ?
সে বলবে: অবশ্যই। তিনি বলেন: অতঃপর
তিনি বলবেন: তুমি কি ভেবেছ
আমার সাথে তুমি সাক্ষাতকারী?
সে বলবে: না। অতঃপর তিনি
বলবেন: নিশ্চয় আমি তোমাকে ছেড়ে
দেব যেমন তুমি আমাকে
ছেড়ে গিয়েছিলে। অতঃপর দ্বিতীয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করবেন
এবং বলবেন: হে অমুক আমি
কি তোমাকে সম্মানিত করি নি, তোমাকে
নেতৃত্ব দেই নি, তোমাকে
বিয়ে করাই নি এবং
তোমার জন্য ঘোড়া ও
উট অনুগত করে দেইনি, আমি
কি তোমাকে সুযোগ দেই নি তুমি
নেতৃত্ব দিয়েছ ও ভোগ করেছ?
সে বলবে: অবশ্যই হে আমার রব।
তিনি বলেন: অতঃপর তিনি বলবেন: তুমি
কি ভেবেছ আমার সাথে তুমি
সাক্ষাতকারী? সে বলবে: না।
অতঃপর তিনি বলবেন: নিশ্চয়
আমি তোমাকে ছেড়ে দেব যেমন
তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে। অতঃপর
তৃতীয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করবেন,
তাকেও অনুরূপ বলবেন, সে বলবে: হে
আমার রব আমি তোমার
ওপর, তোমার কিতাব ও রাসূলদের ওপর
ঈমান এনেছি, সালাত আদায় করেছি, সিয়াম
পালন করেছি, সদকা করেছি, সে
ইচ্ছামত গুণাগুণ বর্ণনা করবে। তিনি বলবেন: তাহলে
অপেক্ষা কর, তিনি বলেন:
অতঃপর তাকে বলা হবে:
এখন আমি তোমার বিপক্ষে
আমার সাক্ষী উপস্থিত করছি। সে অন্তরে চিন্তা
করবে আমার বিপক্ষে কে
সাক্ষী দিবে, তখন তার মুখে
কুলুপ এঁটে দেয়া হবে,
এবং তার রান, গোশত
ও হাড্ডিকে বলা হবে: কথা
বল, ফলে তার রান,
গোশত ও হাড্ডি তার
আমলের বর্ণনা দিবে। আর এটা এ
জন্যে যে, যেন সে
লোক আল্লাহর কাছে ওজর পেশ
করতে না পারে, সে
হচ্ছে মুনাফিক, তার ওপরই আল্লাহর
অসন্তুষ্টি আরোপ হবে”।
[মুসলিম ও আবূ দাউদ]
হাদিসটি সহিহ।
71- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَالَ: قَالُوا:
يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «هَلْ تُضَارُّونَ
فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ:
فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ؟
قَالُوا: لَا. قَالَ: « فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ
رَبِّكُمْ إِلَّا كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا، قَالَ: فَيَلْقَى الْعَبْدَ،
فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ
الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ، فَيَقُولُ: بَلَى. قَالَ: فَيَقُولُ:
أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ: لَا. فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا
نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّانِيَ، فَيَقُولُ: أَيْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ
وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ،
فَيَقُولُ: بَلَى أَيْ رَبِّ، فَيَقُولُ: أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلَاقِيَّ؟ فَيَقُولُ:
لَا. فَيَقُولُ: فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي، ثُمَّ يَلْقَى الثَّالِثَ، فَيَقُولُ:
لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ آمَنْتُ بِكَ وَبِكِتَابِكَ وَبِرُسُلِكَ
وَصَلَّيْتُ وَصُمْتُ وَتَصَدَّقْتُ وَيُثْنِي بِخَيْرٍ مَا اسْتَطَاعَ، فَيَقُولُ:
هَاهُنَا إِذًا، قَالَ: ثُمَّ يُقَالُ لَهُ: الْآنَ نَبْعَثُ شَاهِدَنَا عَلَيْكَ،
وَيَتَفَكَّرُ فِي نَفْسِهِ: مَنْ ذَا الَّذِي يَشْهَدُ عَلَيَّ، فَيُخْتَمُ عَلَى
فِيهِ، وَيُقَالُ لِفَخِذِهِ وَلَحْمِهِ وَعِظَامِهِ: انْطِقِي فَتَنْطِقُ فَخِذُهُ
وَلَحْمُهُ وَعِظَامُهُ بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ لِيُعْذِرَ مِنْ نَفْسِهِ وَذَلِكَ الْمُنَافِقُ
وَذَلِكَ الَّذِي يَسْخَطُ اللَّهُ عَلَيْهِ » . (م،د) صحيح
মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে
৭২.
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন: “আমরা একদা নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম, তিনি
হঠাৎ হাসলেন। তিনি বললেন: “তোমরা
জান কেন হেসেছি?”, তিনি
বলেন: আমরা বললাম: আল্লাহ
এবং তার রাসূলই ভাল
জানেন। তিনি বললেন: “(আমি
হেসেছি) বান্দার তার রবকে পাল্টা
প্রশ্ন করা থেকে।
সে বলবে: হে আমার রব,
আপনি কি আমাকে যুলম
থেকে নাজাত দেননি?” তিনি বলেন: “আল্লাহ
বলবেন: অবশ্যই”। তিনি বলেন:
“অতঃপর সে বলবে: আমার
বিপক্ষে আমার অংশ ব্যতীত
অন্য কোন সাক্ষী মানি
না”। তিনি বলেন:
“আল্লাহ্ বলবেন: সাক্ষী হিসেবে আজ তোমার জন্য
তুমিই যথেষ্ট, আর দর্শক হিসেবে
কিরামুন কাতেবিন যথেষ্ট”। তিনি বলেন:
“অতঃপর তার মুখে মোহর
এঁটে দেয়া হবে, তার
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বলা হবে, বল”। তিনি বলেন:
“ফলে অঙ্গসমূহ তার আমলের বর্ণনা
দিবে”। তিনি বলেন:
“অতঃপর সে বলবে: তোমরা
দূর হও, নিপাত যাও
তোমরা, তোমাদের পক্ষেই তো আমি সংগ্রাম
করতাম”।
[মুসলিম
ও নাসায়ি] হাদিসটি সহিহ।
72- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَال:َ كُنَّا
عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَحِكَ فَقَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مِمَّ
أَضْحَكُ؟» قَالَ: قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: «مِنْ مُخَاطَبَةِ
الْعَبْدِ رَبَّهُ يَقُولُ: يَا رَبِّ أَلَمْ تُجِرْنِي مِنْ الظُّلْمِ؟» قَالَ: «يَقُولُ:
بَلَى» قَالَ: «فَيَقُولُ: فَإِنِّي لَا أُجِيزُ عَلَى نَفْسِي إِلَّا شَاهِدًا مِنِّي»
قَالَ: «فَيَقُولُ: كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ شَهِيدًا وَبِالْكِرَامِ الْكَاتِبِينَ
شُهُودًا» قَالَ: «فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ فَيُقَالُ لِأَرْكَانِهِ انْطِقِي» قَالَ:
«فَتَنْطِقُ بِأَعْمَالِهِ» قَالَ: «ثُمَّ يُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْكَلَام» قَالَ:
«فَيَقُولُ: بُعْدًا لَكُنَّ وَسُحْقًا فَعَنْكُنَّ كُنْتُ أُنَاضِلُ» . ( م, ن ) صحيح
জমিন ও আসমানের বাদশা আল্লাহ
৭৩.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: আল্লাহ
তা‘আলা জমিন তাঁর
হাতের মুঠোয় গ্রহণ করবেন, আর আসমান তার
ডান হাতে মুড়িয়ে নিবেন,
অতঃপর বলবেন: আমিই বাদশাহ, দুনিয়ার
বাদশাহরা কোথায়?”। [বুখারি, মুসলিম
ও ইবনু মাজাহ] হাদিসটি
সহিহ।
73- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم يَقُولُ: «يَقْبِضُ اللَّهُ الْأَرْضَ وَيَطْوِي السَّمَوَاتِ بِيَمِينِهِ
ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الْأَرْضِ» . ( خ, م, جه ) صحيح
বাদশার বাদশা আল্লাহ
৭৪.
ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামতের দিন আল্লাহ জমিন
হাতের মুঠোয় গ্রহণ করবেন, আর আসমান তার
ডান হাতে থাকবে, অতঃপর
তিনি বলবেন: আমিই বাদশাহ”।
[বুখারি] হাদিসটি সহিহ।
74- عَنْ ابْنِ عُمَرَ -رضي الله عنهما- عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ يَقْبِضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْأَرْضَ،
وَتَكُونُ السَّمَوَاتُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا الْمَلِكُ». ( خ ) صحيح
আল্লাহই বাদশাহ
৭৫.
উবাইদুল্লাহ ইবনু মিকসাম থেকে
বর্ণিত, সে আব্দুল্লাহ ইবনু
ওমরকে লক্ষ্য করেছে কিভাবে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বর্ণনা দেন, তিনি (নবী-সা.) বলেন: “আল্লাহ
তা‘আলা আসমান ও
জমিন তার দু’হাতে
পাকড়াও করবেন, অতঃপর বলবেন: আমি আল্লাহ, (তিনি
হাতের আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ও প্রসারিত করছিলেন),
আমিই বাদশাহ”। আমি মিম্বারের
দিকে দেখলাম একেবারে নিচ থেকে নড়ছে,
এমনকি মনে হচ্ছিল মিম্বার
কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে পড়ে যাবে”। মুসলিম, ইবনু
মাজাহ ও নাসায়ি] হাদিসটি
সহিহ।
75- عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ أَنَّهُ نَظَرَ إِلَى
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَر -رضي الله عنهما- كَيْفَ يَحْكِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله
عليه وسلم قَالَ: «يَأْخُذُ اللَّهُ -عَزَّ وَجَلَّ- سَمَاوَاتِهِ وَأَرَضِيهِ بِيَدَيْهِ
فَيَقُولُ: أَنَا اللَّهُ (وَيَقْبِضُ أَصَابِعَهُ وَيَبْسُطُهَا) أَنَا الْمَلِكُ»
حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى الْمِنْبَرِ يَتَحَرَّكُ مِنْ أَسْفَلِ شَيْءٍ مِنْهُ حَتَّى
إِنِّي لَأَقُولُ أَسَاقِطٌ هُوَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ( م, جه,
ن ) صحيح
কিছু জাহান্নামীর জাহান্নাম থেকে বের হওয়া
৭৬.
আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জাহান্নাম থেকে চারজন বের
হবে, তাদেরকে আল্লাহর সামনে হাজির করা হবে, অতঃপর
তিনি তাদেরকে জাহান্নামের নির্দেশ দিবেন, ফলে তাদের একজন
পিছন ফিরে তাকাবে এবং
বলবে: হে আমার রব,
আমি আশা করেছিলাম যদি
সেখান থেকে আমাকে বের
করেন, সেখানে আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না, ফলে তিনি
বলবেন: আমি তোমাকে সেখানে
ফিরিয়ে দিব না”।
[আহমদ] হাদিসটি সহিহ।
76- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: « يَخْرُجُ مِنْ النَّارِ أَرْبَعَةٌ يُعْرَضُونَ
عَلَى اللَّهِ -عَزَّ وَجَلَّ- فَيَأْمُرُ بِهِمْ إِلَى النَّارِ، فَيَلْتَفِتُ أَحَدُهُمْ،
فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ قَدْ كُنْتُ أَرْجُو إِنْ أَخْرَجْتَنِي مِنْهَا أَنْ لَا تُعِيدَنِي
فِيهَا فَيَقُولُ: فَلَا نُعِيدُكَ فِيهَا ». ( حم ) صحيح
কিয়ামতের দিন নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে
৭৭.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যা
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, -অর্থাৎ
বান্দাকে- তা হচ্ছে নিয়ামত,
তাকে বলা হবে যে:
আমি কি তোমার শরীর
সুস্থ করিনি, আমি কি তোমাকে
ঠাণ্ডা পানি পান করাই
নি”। [তিরমিযি] হাদিসটি
সহিহ।
77- عَنْ أَبَي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَالَ: قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « إِنَّ أَوَّلَ مَا يُسْأَلُ عَنْهُ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ -يَعْنِي الْعَبْدَ- مِنْ النَّعِيمِ أَنْ يُقَالَ لَهُ: أَلَمْ نُصِحَّ
لَكَ جِسْمَكَ، وَنُرْوِيَكَ مِنْ الْمَاءِ الْبَارِدِ » . ( ت ) صحيح
*************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url