রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিতরের নামাজ || বিতরের রাকআত ও কিরাত || বিতরের নামাজ সম্পর্কে ৪৫টি সহী হাদিস (৩য় পর্ব) ||





রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিতরের নামাজ সম্পর্কে জানুন

(তৃতীয় পর্ব)

এই পর্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

রাতের প্রারম্ভে ও শেষভাগে বিতর আদায় করা

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৫৭. আহমদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ..... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিতর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছিলেনঃ রাতের শুরু, মাঝে, শেষে সব ভাগেই তিনি বিতর আদায় করেছেন। শেষে মৃত্যুর আগে আগে তিনি সেহরীর সময় বিতর আদায় করতেন। - ইবনু মাজাহ ১১৫৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ রাবী আবূ হাসীনের নাম হ’ল উসমান ইবনু আসিম আল-আসদী। এই বিষয়ে আলী, জাবির, আবূ মাসঊদ আল-আনসারী ও আবী কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তারা বলেনঃ বিতর হ’ল শেষ রাতে।

باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ وَآخِرِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَآخِرِهِ فَانْتَهَى وِتْرُهُ حِينَ مَاتَ إِلَى السَّحَرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى أَبُو حَصِينٍ اسْمُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ الأَسَدِيُّ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَجَابِرٍ وَأَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ وَأَبِي قَتَادَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْوِتْرُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ‏.‏


বিতরের রাকআত ও কিরাত

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬০. হান্নাদ (রহঃ) .... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকআত বিতর করতেন। এতে তিনি ’মুফসসাল’ এর নয়টি সূরা তিলাওয়াত করতেন। প্রতি রাকআতে পড়তেন তিনটি করে। শেষ সূরাটি হতো (সূরা ইখলাস)। - মিশকাত ১২৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইমরান ইবনু হুসায়ন, আয়িশা, ইবনু আব্বাস, আবূ আইয়্যূব, উবাই ইবনু কা’ব, আবদুর রহমান ইবনু আবযা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবদুর রহমান ইবনু আব্যা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। কোন কোন রাবী এই ধরনের রিওয়ায়াত করেছেন। তারা মাঝে উবাই ইবনু কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উল্লেখ করেননি। আর কোন কোন রাবী উবাই রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর নাম মাঝে উল্লেখ করেছেন।

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ সাহাবী ও পরবর্তী যুগের বহু আলিম এই হাদীস অনুসারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেনঃ বিতর হ’ল তিন রাকআত। সুফইয়ান (রহঃ) বলেনঃ ইচ্ছা করলে পাঁচ রাকআত, ইচ্ছা করলে তিন রাকআত বা এক রাকআতও বিতর হিসাবে পড়া যায়। তবে আমরা নিকট পছন্দনীয় হ’ল তিন রাকআত বা এক রাকআতও বিতর হিসাবে পড়া যায়। তবে আমার নিকট


কেউ যদি বিতর আদায় না করে শুয়ে যায় বা তা আদায় করতে ভূলে যায়

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬৬. কুতায়বা (রহঃ) .... যায়দ ইবনু আসলাম রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কেউ যদি বিতর আদায় না করে শুয়ে পড়ে, তবে সে যেন সকালে তা পড়ে নেয়। - ইরওয়া ৪২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই হাদীসটি প্রথমটির (৪৬৫) তুলনায় অধিক সহীহ। আবূ দাঊদ আস-সাজযী অর্থাৎ সুলায়মান ইবনুল আশ’আসকে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে আবদুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছিলেনঃ তার ভাই আবদুল্লাহ-এর ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই। মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আলী ইবনু আবদিল্লাহ্ (রহঃ) আবদুর রহমান ইবনু যায়দ ইবনু আসলামকে যঈফ বলেছেন। তবে বুখারী নিজে বলেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু আসলাম সিকাহ বা বিশ্বস্ত। কতক কূফাবাসী আলিম এই হাদীস অনুসারে মত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেনঃ যখন মনে পড়বে সূর্যোদয়ের পর হলেও সে বিতর আদায় করে নিবে। এ হ’ল সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) এরও অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَنَامُ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ يَنْسَاهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ نَامَ عَنْ وِتْرِهِ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا دَاوُدَ السِّجْزِيَّ يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ الأَشْعَثِ يَقُولُ سَأَلْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ فَقَالَ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ لاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَذْكُرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ ضَعَّفَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ثِقَةٌ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْكُوفَةِ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالُوا يُوتِرُ الرَّجُلُ إِذَا ذَكَرَ وَإِنْ كَانَ بَعْدَ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ ‏.‏


সুবহে সাদিক হওয়ার পূর্বেই বিতর আদায় করা

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬৯. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ...... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ সুবহে সা’দিকের সাথে সাথে রাতের সালাত (নামায/নামাজ) ও বিতরের ওয়াক্ত চলে যায়। সুতরাং তোমরা সুবহে সা’দিকের পুর্বেই বিতর আদায় করে নিবে। - ইরওয়া ২/১৫৪, সহিহ আবু দাউদ ১২৯০,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসটিকে এই শব্দে কেবল সুলায়মান ইবনু মূসা (রহঃ)-ই রিওয়ায়াত করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইরশাদ করেনঃ ফজরের পর আর বিতর নেই। এ হ’ল একাধিক আলিমের অভিমত। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এই মত ব্যক্ত করেছেন। ফজরের পর বিতর আছে বলে তারা মনে করেন না।

باب مَا جَاءَ فِي مُبَادَرَةِ الصُّبْحِ بِالْوِتْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ فَقَدْ ذَهَبَ كُلُّ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالْوِتْرُ فَأَوْتِرُوا قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَسُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى قَدْ تَفَرَّدَ بِهِ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ لاَ وِتْرَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ ‏"‏ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ الْوِتْرَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ ‏.‏


এক রাতে দুইবার বিতর নেই

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৭০. হান্নাদ (রহঃ) ..... তালক ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, এক রাতে দুইবার বিতর নেই। - সহিহ আবু দাউদ ১২৯৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-গারীব। প্রথম রাতে বিতর আদায়ের পর শেষরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করলে পুনরায় বিতর আদায় করতে হবে কিনা এই বিষয়ে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। কতক সাহাবী ও পরবর্তী যুগের আলিম মনে করেন এতে প্রথম রাতের বিতর বিনষ্ট হয়ে যাবে। তারা বলেনঃ প্রথম রাতের আদায়কৃত বিতরের সঙ্গে আরো এক রাকআত সংযোগ করবে, পরে যত পরিমাণ ইচ্ছা সালাতুত্ তাহাজ্জুদ পড়বে। শেষে বিতর আদায় করে নিবে। কারণ এক রাতে দুইবার বিতর নেই। এ হ’ল ইমাম ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত।

কতক ফকীহ সাহাবী ও অন্যান্য আলিম বলেনঃ কেউ যদি প্রথম রাতে বিতর আদায় করে নেয় এবং ঘুমিয়ে যায়, এর পর শেষরাতে উঠে, তবে তার যত পরিমাণ ইচ্ছা তাহাজ্জুদ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে পারে। এতে তার প্রথম রাতে আদায়কৃত বিতর বিনষ্ট হবে না। সে তার বিতরকে পূর্বাবস্থায় রেখে দেবে। এ হ’ল সুফইয়ান সাওরী, মালিক ইবনু আনাস, আহমদ ও ইবনু মুবারক (রহঃ)-এর অভিমত। এই অভিমতটই অধিকতর সহীহ। কেননা বিভিন্ন সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বিতর আদায়ের পরও অনেক সময় সালাত আদায় করেছেন।

باب مَا جَاءَ لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الَّذِي يُوتِرُ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ ثُمَّ يَقُومُ مِنْ آخِرِهِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ نَقْضَ الْوِتْرِ وَقَالُوا يُضِيفُ إِلَيْهَا رَكْعَةً وَيُصَلِّي مَا بَدَا لَهُ ثُمَّ يُوتِرُ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ لأَنَّهُ ‏"‏ لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ وَهُوَ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ إِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِذَا أَوْتَرَ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي مَا بَدَا لَهُ وَلاَ يَنْقُضُ وِتْرَهُ وَيَدَعُ وِتْرَهُ عَلَى مَا كَانَ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَحْمَدَ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ صَلَّى بَعْدَ الْوِتْرِ ‏.‏


যানবাহনের উপর বিতর আদায় করা

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৭২. কুতায়বা (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ আমি একবার ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। একবার আমি তাঁর পিছনে পড়ে গেলাম। পরে তিনি আমাকে বললেন, কোথায় ছিলে? আমি বললামঃ সালাতুল বিতর আদায় করে নিলাম। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাঝে কি তোমার জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত নেই? আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বাহনের উপর সালাতুল বিতর আদায় করতে দেখেছি। - বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক ফকীহ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীস অনুসারে মত প্রকাশ করেছেন। তারা বাহনের উপর বিতর আদায় করা যায় বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এরও এই অভিমত। কোন কোন আলিম বলেনঃ বাহনের উপর কেউ বিতর আদায় করবে না। বিতর আদায় করতে চাইলে বাহন থেকে নেমে আসবে এবং ভূমিতে তা আদায় করবে। এ হ’ল কতক কূফাবাসী ফকীহ এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ عَلَى الرَّاحِلَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي سَفَرٍ فَتَخَلَّفْتُ عَنْهُ فَقَالَ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْتُ أَوْتَرْتُ ‏.‏ فَقَالَ أَلَيْسَ لَكَ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُوتِرَ الرَّجُلُ عَلَى رَاحِلَتِهِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُوتِرُ الرَّجُلُ عَلَى الرَّاحِلَةِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ نَزَلَ فَأَوْتَرَ عَلَى الأَرْضِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ آخِرُ أَبْوَابِ الْوِتْرِ


বিতরের সালাত লাল উটের চেয়েও অনেক উত্তম

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৬৭-[১৪] খারিজাহ্ ইবনু হুযাফাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা এমন এক সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দিয়ে তোমাদের সহযোগিতা করেছেন (পাঞ্জেগানা সালাত ছাড়া) যা তোমাদের জন্যে লাল উটের চেয়েও অনেক উত্তম। তা হলো বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। আল্লাহ তা’আলা এ সালাত তোমাদের জন্য ’ইশার সালাতের পর থেকে ফজরের (ফজরের) সালাতের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মাঝে আদায়ের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

[1] সহীহ : তবে هِيَ خَيْرٌ لَّكُمْ مِنْ حُمْرِ النِّعَمِ অংশটুকু ব্যতীত। আবূ দাঊদ ১৪১৮, আত্ তিরমিযী ৪৫২, ইবনু মাজাহ্ ১১৬৮, দারাকুত্বনী ১৬৫৬।

وَعَن خَارِجَة بن حذافة قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَمَدَّكُمْ بِصَلَاةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النِّعَمِ: الْوَتْرُ جَعَلَهُ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد


ভোর হয়ে গেলেও বিতরের সালাত আদায় করতে হবে

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৬৮-[১৫] যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে শুয়ে পড়েছে (আর উঠতে পারেনি), সে যেন (ফজরের সালাতের পূর্বে) ভোর হয়ে গেলেও তা পড়ে নেয়। (তিরমিযী মুরসাল হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন)[1]

[1] সহীহ : আত্ তিরমিযী ৪৬৬, সহীহ আল জামি‘ ৬৫৬৩।
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَامَ عَنْ وَتْرِهِ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مُرْسلا


বিতরের সালাতে রাসুল (সাঃ) কোন কোন সূরাহ পড়তেন

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৬৯-[১৬] ’আবদুল ’আযীয ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেছিলাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের সালাতে কোন কোন সূরাহ পড়তেন? ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, তিনি প্রথম রাক্’আতে ’সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা-’, দ্বিতীয় রাক্’আতে ’কুল ইয়া- আইয়্যুহাল কা-ফিরূন’ এবং তৃতীয় রাক্’আতে ’কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’, ’কুল আ’ঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব’ ও ’কুল আ’ঊযু বিরব্বিন্ না-স’ পড়তেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

[1] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪২৪, আত্ তিরমিযী ৪৬৩, ইবনু মাজাহ্ ১১৭৩, আহমাদ ২৫৯০৬।
وَعَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: سَأَلْنَا عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يُوتِرُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: كَانَ يَقْرَأُ فِي الْأُولَى بِ (سَبِّحِ اسْم رَبك الْأَعْلَى)
وَفِي الثَّانِيَةِ بِ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ)
وَفَى الثَّالِثَةِ بِ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أحد)
والمعوذتين وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد


বিতরের সালাত শেষে রাসুল (সাঃ) যে দোয়া পড়তেন

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৭৬-[২৩] ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে এ দু’আ পড়তেনঃ

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু’আ-ফা-তিকা মিন ’উকূবাতিকা ওয়া আ’ঊযু বিকা মিনকা, লা- উহসী সানা-য়ান ’আলায়কা, আন্‌তা কামা- আসনায়তা ’আলা- নাফসিকা’’

(অর্থাৎ ’হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে তোমার গজব থেকে, তোমার নিরাপত্তার মাধ্যমে তোমার ’আযাব থেকে। আমি পানাহ চাই তোমার নিকট তোমার [অসন্তোষ] থেকে। তোমার প্রশংসা বর্ণনা করে আমি শেষ করতে পারবো না। তুমি তেমন, যেমন তুমি তোমার বিবরণ দিয়েছ।)। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

[1] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪২৭, আত্ তিরমিযী ৩৫৬৬, নাসায়ী ১৭৪৭, ইবনু মাজাহ্ ১১৭৯, আহমাদ ৭৫১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১১৫০, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৪৩৭, সুনান আল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৮৭১।

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وَتْرِهِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ من سخطك وبمعافاتك من عُقُوبَتك وَأَعُوذ بك مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ


যে লোক বিতরের সালাত আদায় করল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৭৮-[২৫] বুরায়দাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ’বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আবশ্যক (অর্থাৎ ওয়াজিব)। তাই যে লোক বিতরের সালাত আদায় করল না, সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য নয়। ’বিতরের সালাত সত্য’, যে বিতরের সালাত আদায় করল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না। ’বিতরের সালাত সত্য’, যে লোক বিতরের সালাত আদায় করল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য হবে না। বিতরের সালাত সত্য, যে ব্যক্তি বিতরের সালাত আদায় করল না সে আমার উম্মাতের মাঝে গণ্য না। (আবূ দাঊদ)[1]

[1] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৪১৯, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৩৪০, য‘ঈফ আল জামি‘ ৬১৫০। কারণ এর সানাদে ‘আতাকী একজন দুর্বল রাবী।

وَعَن بُرَيْدَة قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْوَتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا الْوَتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا الْوَتْرُ حَقٌّ فَمَنْ لَمْ يُوتِرْ فَلَيْسَ مِنَّا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ


রসূলুল্লাহ (সাঃ) বিতরের সালাত তিন রাক্’আত আদায় করতেন

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৮১-[২৮] ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) তিন রাক্’আত আদায় করতেন এবং তাতে মুফাসসালের নয়টি সূরাহ্ পাঠ করতেন। প্রতি রাক্’আতে তিনটি সূরাহ্ এবং এগুলোর শেষ সূরাহ্ ছিল ’’কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ’’ (সূরাহ্ আল ইখলা-স)। (তিরমিযী)[1]

[1] খুবই দুর্বল : আত্ তিরমিযী ৪৬০।
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ يَقْرَأُ فِيهِنَّ بِتِسْعِ سُوَرٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِثَلَاثِ سُوَرٍ آخِرُهُنَّ: (قل هوا لله أحد)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ


বিতরের পরে বসে বসে দু’ রাক্’আত সালাত

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
১২৮৭-[৩৪] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের পরে দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বসে বসে আদায় করতেন। আর এ দু’ রাক্’আতে ’ইযা- যুলযিলাতি’ এবং ’কুল ইয়া- আইয়্যুহাল কা-ফিরূন’ পড়তেন। (আহমাদ)[1]

[1] হাসান : আহমাদ ২২২৪৭, আওসাতুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮০৬৫।
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّيهِمَا بَعْدَ الْوِتْرِ وَهُوَ جَالس يقْرَأ فيهمَا (إِذا زلزلت)
و (قل يَا أَيهَا الْكَافِرُونَ)
رَوَاهُ أَحْمد





***************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url