//]]>

Win a Prize

Mohammadia Foundation https://www.mohammadiafoundationbd.com/2022/08/Surah-Fatihar-Tottho.html

সূরা ফাতিহার বিস্ময়কর তথ্য || সূরা ফাতিহার সাহিত্য মান || সূরা ফাতিহার চমৎকার বৈশিষ্ট ||





সূরা ফাতিহার বিস্ময়কর ভাষা শৈলী এবং অসাধারণ সাহিত্য মান


সূরা ফাতিহার অর্থ ও তাফসীর সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবগত। সূরা ফাতিহার শান শওকত, মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কেও আমরা অনেক কিছু জানি। কিন্তু সূরা ফাতিহার সাহিত্যগুণ ও ভাষা শৈলী সম্পর্কে যে বিস্ময়কর তথ্য আজ আমরা এখানে পেশ করব সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। এই প্রবন্ধটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন, সূরা ফাতিহা সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।

সূরা ফাতিহায় রয়েছে ৭টি আয়াত, তাই না? এই ৭টি আয়াতকে দুই ভাগ করুন। কিন্তু মাঝের আয়াতকে কোন ভাগেই রাখবেন না। একদম মাঝের আয়াতটিকে আলাদা রেখে দুই ভাগ করলে কী রকম দাঁড়ায় দেখুন-

১,২,৩

৫,৬,৭

মাঝে থাকবে আয়াত নাম্বার ৪, তাই না?

এবার প্রথম তিনটি আয়াতে কি বলা হচ্ছে দেখে নিই।

১ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি।'

২য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।'

৩য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যিনি বিচার দিনের মালিক।'

৪র্থ আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।' এটি কিন্তু মাঝের আয়াত।এটি কোন ভাগেই পড়বে না। এটিকে কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। এই আয়াত দিয়েই আমরা প্রথম ভাগ আর পরের ভাগকে যাচাই করবো।

পরের ভাগের আয়াত গুলোতে কি বলা হচ্ছে দেখুন ..

৫ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমাদের সরলপথে পরিচালিত করুন।'

৬ষ্ঠ আয়াতে বলা হচ্ছে- 'ওই সব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন।'

৭ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তাদের পথে নয়, যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'

আসুন, এবার আমরা সিকুয়েন্সটি মিলাতে চেষ্টা করি।

প্রথম ভাগের আয়াতগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসা যাক।প্রথম অংশের আয়াতগুলো হলো-

"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি। তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক"

মাঝখানে আছে "আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।" আর পরের অংশে আছে,

'আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন। ওইসব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়,যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'

মাঝখানের, অর্থাৎ ৪ নাম্বার আয়াতে দুটো অংশ আছে। "আমরা তোমারই ইবাদত করি" এতটুকু একটি অংশ এবং "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি" এতটুকু একটি অংশ।

আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই আয়াতের প্রথম অংশ সূরার প্রথম তিন আয়াতের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পরের অংশ প্রতিনিধিত্ব করছে সূরার পরের তিন আয়াতের। এই আয়াতের প্রথম অংশ দিয়ে ওপরের তিন আয়াতকে যাচাই করা যাক-

"আমরা তোমারই ইবাদত করি"

আমরা কার ইবাদত করি?

সকল প্রশংসা যার এবং যিনি সৃষ্টি জগতের অধিপতি।[ সূরা ফাতিহার ১ম আয়াত]

আমরা কার ইবাদত করি?

যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। [২য় আয়াত]

আমরা কার ইবাদত করি?

যিনি বিচার দিনের মালিক। [৩য় আয়াত]

দারুণ না?

এবার আসা যাক ওই আয়াতের পরের অংশে। যেখানে বলা হচ্ছে - "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি "

আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?

"যাতে আমরা সরল পথে চলতে পারি"। [সূরা ফাতিহার ৫ম আয়াত]

আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?

"যাতে আমরা নিয়ামত প্রাপ্তদের দলে ভিড়তে পারি"। [৬ষ্ঠ আয়াত]

আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?

"যাতে আমরা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের দলের অন্তর্ভুক্ত না হই"। [৭ম আয়াত]

চিন্তা করে দেখুন- আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা এই ছোট্ট সূরাটার মধ্যেও কী রকম ভাষার মান, সাহিত্য মান দিয়ে দিয়েছেন।

প্রথমে কিছু কথা, মাঝখানে একটি বাক্য, শেষে আরো কিছু কথা। কিন্তু মাঝখানের সেই বাক্যটিকে এমন ভাবে সাজিয়েছেন এবং এমন ভাবে বলেছেন, যেটি প্রথম এবং শেষ -দুটো অংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ!

সূরা ফাতিহার এই চমৎকার বৈশিষ্ট, ভাষার গাঁথুনী, সাহিত্যের মান, ছন্দের চমৎকারিত্ব, অর্থের মাধুর্য ও বিশালতা ইত্যাদি বিচার করলে আল কুরআন যে আসমানী গ্রন্থ তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।




****************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

CLICK n WIN

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া