সফর সঙ্গী, হে আল্লাহর রাসূল





হিজরতের সফর সঙ্গী


এক তীব্র গরমের দিনে সূর্য তার তীব্র তাপ দিয়ে মক্কা নগরীকে উত্তপ্ত করছিল । মানুষ তাপের তীব্রতা নিয়ে বলাবলি করছিল। এ তীব্র গরমের দিনে ঠিক দুপুরে যখন উত্তপ্ত বালি পায়ের চামড়া ঝলসে দিচ্ছিল তখন রাসূল (সাঃ) খুব দ্রুততার সাথে হযরত আবু বকর (রাঃ) -এর কাছে রওনা দিলেন। রাসূল (সাঃ) স্বাভাবিকভাবে সকাল বা সন্ধ্যা ব্যতীত অন্য সময়ে আবু বকর (রাঃ) -এর কাছে যেতেন না । আল্লাহ হিজরতের অনুমতি দেওয়া পর্যন্ত এমনি চলছিল। হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর দৃষ্টি যখন তাঁর প্রিয় বন্ধু রাসূল (সাঃ) -এর ওপর গিয়ে পড়ল, তিনি বুঝতে পারলেন যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজেই রাসূল (সাঃ) এ তীব্র গরমের ভেতরে তাঁর কাছে এসেছেন।

রাসূল (সাঃ) ঘরে প্রবেশ করলে হযরত আবু বকর (রাঃ) তাঁকে বসতে দিলেন। রাসূল (সাঃ) বসলেন, তখন হযরত আয়েশা ও হযরত আসমা ব্যতীত হযরত আবু বকর (রাঃ) -এর কাছে কেউ ছিল না ।

রাসূল (সাঃ) তাঁকে বললেনঃ তোমার কাছে যারা আছে তাদেরকে আমার থেকে দূরে নিয়ে যাও ।

হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এরা আমার কন্যা। আমার পিতামাতা আপনার জন্যে উৎসর্গিত, কি হয়েছে?

রাসূল (সাঃ) বললেনঃ আল্লাহ তাআ'লা আমাকে মক্কা থেকে বের হওয়ার ও হিজরত করার অনুমতি দিয়েছেন ।

তিনি তখন অশ্রু ঝরা চোখে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল! হিজরতে আপনার সফর সঙ্গী হতে চাই।”

রাসূল (সাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, সফর সঙ্গী, আবু বকর!

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, সেদিন আবু বকর (রাঃ) -এর কান্না দেখার আগে আমরা জানতাম না যে, কেউ অধিক খুশি হলেও কাঁদে।

হযরত আবু বকর (রাঃ) তাঁর পূর্ণ সম্পদ পাঁচ হাজার দেরহাম নিয়ে রাসূল (সাঃ) -এর সাথে হিজরতে রওনা দেন। তখন তাঁর বৃদ্ধ দৃষ্টিহীন পিতা আবু কুহাফা এসে উচ্চৈঃস্বরে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তাকে সব মাল নিয়ে যেতে দেখছি। তাঁকে চুপ রাখতে আসমা (রাঃ) বললেনঃ না; বরং তিনি আমাদের জন্যে অনেক কল্যাণ রেখে গেছেন।

হযরত আবু বকর (রাঃ) যে ঘরে অর্থ সম্পদ রাখতেন সে ঘরে তিনি একটি ব্যাগে কিছু পাথর রেখে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন। তারপর তাঁর দাদাকে নিয়ে গিয়ে বললেন, দাদা! এ সম্পদের ওপর হাত রেখে দেখুন।

তখন তাঁর দাদা তাতে হাত রেখে খুশি হয়ে বললেনঃ কোনো সমস্যা নেই, সে তোমাদের জন্য এগুলো রেখে ভালো করেছে। এতে তোমাদের চলবে।

হযরত আসমা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ। তিনি কিছুই রেখে যাননি, কিন্তু বৃদ্ধ লোকটিকে চুপ রাখতে আমি এ কাজ করছি।”




****************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url