মা’আরেফুল কোরআন - ৪৩ || সূরা আল-বাকারাহ, ১৩৩-১৩৪ || মৃত্যুর পূর্বে সন্তানগণের মধ্য থেকে ঈমানের বিষয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া







بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
سورة البقرة
মৃত্যুর পূর্বে সন্তানগণের মধ্য থেকে ঈমানের বিষয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া
 
 اَمۡ کُنۡتُمۡ شُهَدَآءَ اِذۡ حَضَرَ یَعۡقُوۡبَ الۡمَوۡتُ ۙ اِذۡ قَالَ لِبَنِیۡهِ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِیۡ ؕ قَالُوۡا نَعۡبُدُ اِلٰهَکَ وَ اِلٰـهَ اٰبَآئِکَ اِبۡرٰهٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ اِلٰـهًا وَّاحِدًا ۚۖ وَّ نَحۡنُ لَهٗ مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۳۳   تِلۡکَ اُمَّۃٌ قَدۡ خَلَتۡ ۚ لَهَا مَا کَسَبَتۡ وَ لَکُمۡ مَّا کَسَبۡتُمۡ ۚ وَ لَا تُسۡـَٔلُوۡنَ عَمَّا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۳۴

সূরা আল-বাকারাহ ১৩৩-১৩৪ নং আয়াতের অর্থ

       
(১৩৩) তোমরা কি উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয় ? যখন সে সন্তানদের বলল: আমার পর তোমরা কার ইবাদত করবে ? তারা বলল, আমরা তোমার, তোমার পিতৃ-পুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের প্রভুর ইবাদত করব। তিনি একক উপাস্য। (১৩৪) আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ। তারা ছিল এক সম্প্রদায় যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্য। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবেনা।

সূরা আল-বাকারাহ ১৩৩-১৩৪ নং আয়াতের তাফসীর

তফসীরের সার-সংক্ষেপ
(তোমরা কোন নির্ভরযোগ্য বিশুদ্ধ উদ্ধৃতির মাধ্যমে উপরোক্ত দাবি করছ, না) তোমরা (স্বয়ং তখন সেখানে) উপস্থিত ছিলে, যখন ইয়াকুবের অন্তিম সময় নিকটবর্তী হয় (এবং) যখন তিনি সন্তানদের (অঙ্গীকার নবায়নের জন্য) বলেন, তোমরা আমার (মৃত্যুর পরে কিসের ইবাদত করবে? (তখন) তারা সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর দেয়ঃ আমরা (সেই পবিত্র সত্তারই) ইবাদত করব, যার ইবাদত তুমি, তোমার পিতৃপুরুষ (হযরত) ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাক করে এসেছেন। (অর্থাৎ) সেই প্রভুর, যিনি এক ও অদ্বিতীয়। আমরা (বিধি-বিধানে) তাঁর আনুগত্যের উপর (কায়েম) থাকব। তারা ছিল (সে সব পূর্ব-পুরুষদের) এক সম্প্রদায়, যারা (নিজ নিজ যমানায়) গত হয়েছেন। তাদের কর্ম তাদের কাজে আসবে এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের কাজে আসবে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসাও করা হবে না। (শুধু শুধু আলোচনাও হবে না- তা দ্বারা তোমাদের উপকার তো দূরের কথা।)

সূরা আল-বাকারাহ ১৩৩-১৩৪ নং আয়াতের জ্ঞাতব্য বিষয়

       
পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে ইবরাহীম (আ) এবং তাঁর ধর্ম ইসলামের স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে। এখন আলোচ্য আয়াতসমূহে আরও একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, ইবরাহীমের ধর্ম বলুন, আর ইসলামই বলুন, তা সমগ্র জাতি বরং সমগ্র বিশ্বের জন্যই এক অনন্য নির্দেশনামা । এমতাবস্থায় আয়াতে যে বিশেষভাবে ইবরাহীম ও ইয়াকুব (আ) কর্তৃক সন্তানদের সম্বোধন করার কথা বলা হয়েছে এবং উভয় মহাপুরুষ ওসীয়তের মাধ্যমে স্বীয় সন্তানদেরকে যে ইসলামে সুদৃঢ় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, এর কারণ কি?

উত্তর এই যে, এতে বোঝা যায় যে, সন্তানের ভালবাসা ও মঙ্গলচিন্তা রিসালত এমনকি বন্ধুত্বের স্তরেরও পরিপন্থী নয়। আল্লাহর বন্ধু, যিনি এক সময় পালনকর্তার ইঙ্গিতে স্বীয় আদরের দুলালকে কোরবানী করতে কোমর বেঁধেছিলেন, তিনিই অন্য সময় সন্তানের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের জন্য তাঁর পালনকর্তার দরবারে দোয়াও করেন এবং দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সময় সন্তানকে এমন বিষয় দিয়ে যেতে চান, যা তাঁর দৃষ্টিতে সর্ববৃহৎ নেয়ামত অর্থাৎ ইসলাম । উল্লেখিত আয়াত এর সারমর্মও তাই। পার্থক্য এতটুকু যে, সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে নেয়ামত ও ধন-সম্পদ হচ্ছে দুনিয়ার ধ্বংসশীল ও নিকৃষ্ট বন্ধু নিয়ে। অথচ পরণস্বরগণের দৃষ্টি অনেক উর্ধ্বে। তাঁদের কাছে প্রকৃত ঐশ্বর্য হচ্ছে ঈমান ও সৎকর্ম তথা ইসলাম।
       
সাধারণ মানুষ মৃত্যুর সময় সন্তানকে বৃহত্তম ধন-সম্পদ দিয়ে যেতে চায়। আজকাল একজন বিত্তশালী ব্যবসায়ী কামনা করে- তার সন্তান মিল-ফ্যাক্টরীর মালিক হোক, আমদানি ও রফতানির বড় বড় লাইসেন্স লাভ করুক, লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি টাকার ব্যাংক-ব্যালেন্স গড়ে তুলুক। একজন চাকরিজীবী চায় তার সন্তান উচ্চপদ ও মোটা বেতনে চাকরি করুক। অপরদিকে একজন শিল্পপতি মনেপ্রাণে কামনা করে—তার সন্তান শিল্পক্ষেত্রে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করুক। সে সন্তানকে সারা জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ কলাকৌশল বলে দিতে চায় ।

এমনিভাবে পয়গম্বর এবং তাঁদের অনুসারী ওলীগণের সর্ববৃহৎ বাসনা থাকে, যে বন্ধুকে তাঁরা সত্যিকার চিরস্থায়ী এবং অক্ষয় সম্পদ মনে করেন, তা সন্তানরাও পুরোপুরিভাবে লাভ করুক। এজন্যই তারা দোয়া করেন এবং চেষ্টাও করেন। অন্তিম সময়ে এরই জন্য ওসীয়ত করেন।

ধর্ম ও নৈতিকতার শিক্ষাদানই সন্তানের জন্য বড় সম্পদ

পয়গম্বরগণের এই বিশেষ আচরণের মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্যও একটি নির্দেশ রয়েছে। তা এই যে, তারা যেভাবে সন্তানদের লালন-পালন ও পার্থিব আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করে, সেভাবে, বরং তার চাইতেও বেশি তাদের কার্যকলাপ ও চরিত্র সংশোধনের ব্যবস্থা করা দরকার। মন্দ পথ ও মন্দ কার্যকলাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা আবশ্যক। এরই মধ্যে সন্তানদের সত্যিকার ভালবাসা ও প্রকৃত শুভেচ্ছা নিহিত। এটা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয় যে, সন্তানকে রৌদ্রের তাপ থেকে বাঁচাবার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে, কিন্তু চিরস্থায়ী অগ্নি ও আযাবের কবল থেকে রক্ষা করার প্রতি ভ্রূক্ষেপও করবে না। সন্তানের দেহ থেকে কাঁটা বের করার জন্য সর্ব প্রযত্নে চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে বন্দুকের গুলী থেকে রক্ষা করবে না।
       
পয়গম্বরদের এ কর্মপদ্ধতি থেকে আরও একটি মৌলিক বিষয় জানা যায় যে, সর্বপ্রথম সন্তানদের মঙ্গলচিন্তা করা এবং এরপর অন্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া পিতা-মাতার কর্তব্য। পিতামাতার নিকট থেকে এটাই সন্তানদের প্রাপ্য। এতে দু'টি রহস্য নিহিত রয়েছে— প্ৰথমত, প্রাকৃতিক ও দৈহিক সম্পর্কের কারণে তারা পিতামাতার উপদেশ সহজে ও দ্রুত গ্রহণ করবে। অতঃপর সংস্কার প্রচেষ্টায় ও সত্য প্রচারে তারা পিতামাতার সাহায্যকারী হতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, এটাই সত্য প্রচারের সবচাইতে সহজ ও উপযোগী পথ যে, প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আপন পরিবার-পরিজনের সংশোধনের কাজে মনেপ্রাণে আত্মনিয়োগ করবে। এভাবে সত্য প্রচার ও সত্য শিক্ষার কর্মক্ষেত্র সঙ্কুচিত হয়ে পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিবারের লোকজনের শিক্ষার মাধ্যমে সমগ্র জাতিরও শিক্ষা হয়ে যায়। এ সংগঠন-পদ্ধতির প্রতি লক্ষ্য করেই কোরআন বলেঃ

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا

-“হে মু’মিনগণ, নিজেকে এবং পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর।”

মহানবী (সা) ছিলেন সারা বিশ্বের রসূল। তাঁর হেদায়েত কিয়ামত পর্যন্ত সবার জন্য ব্যাপক। তাঁকেও সর্বপ্রথম নির্দেশ দেওয়া হয়েছেঃ

وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ

(নিকট-আত্মীয়দেরকে আল্লাহর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করুন)। আরও বলা হয়েছেঃ

وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا

অর্থাৎ পরিবার-পরিজনকে নামায পড়ার নির্দেশ দিন এবং নিজেও নামায অব্যাহত রাখুন।মহানবী (সা) সর্বদাই এ নির্দেশ পালন করেছেন।
       
তৃতীয়ত, আরও একটি রহস্য এই যে, কোন মতবাদ ও কর্মসূচীতে পরিবারের লোকজন ও নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজন সহযোগী ও সমমনা না হলে সে মতবাদ অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। এ কারণেই প্রাথমিক যুগে মহানবী (সা)-এর প্রচারকার্যের জওয়াবে সাধারণ লোকদের উত্তর ছিল যে, প্রথমে আপনি নিজ গোত্র কোরায়েশকে ঠিক করে নিন; এরপর আমাদের কাছে আসুন। হুযূর (সা)-এর পরিবারে যখন ইসলাম বিস্তার লাভ করল এবং মক্কা বিজয়ের সময় তা পরিপূর্ণ রূপ পরিগ্রহ করল, তখন এর প্রতিক্রিয়া কোরআনের ভাষায় এরূপ পেল يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا অর্থাৎ—মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকবে।

আজকাল ধর্মহীনতার যে সয়লাব শুরু হয়েছে, তার বড় কারণ এই যে, পিতামাতা নিজ ধর্মজ্ঞানে জ্ঞানী ও ধার্মিক হলেও সন্তানদের ধার্মিক হওয়ার বিষয়ে চিন্তা করে না। সাধারণভাবে আমাদের দৃষ্টি সন্তানের পার্থিব ও স্বল্পকালীন আরাম-আয়েশের প্রতিই নিবদ্ধ থাকে এবং আমরা এর ব্যবস্থাপনায়ই ব্যতিব্যস্ত থাকি। অক্ষয় ধন-সম্পদের দিকে মনোযোগ দিই না। আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের সবাইকে তওফীক দিন, যাতে আমরা আখেরাতের চিন্তায় ব্যাপৃত হই এবং নিজের ও সন্তানদের জন্য ঈমান ও নেক আমলাকে সর্ববৃহৎ পুঁজি মনে করে তা অর্জনে চেষ্টিত হই।

দাদার উত্তরাধিকার সম্পর্কিত একটি মাসআলা

আয়াতে ইয়াকুব (আ)-এর সন্তানদের পক্ষ থেকে উত্তরে وَإِلَهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ (আপনার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহ্) বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, দাদাকেও পিতা বলা হয় এবং দাদা ও পিতার একই হুকুম। এ কারণেই হযরত ইবনে আব্বাস (রা) এই আয়াতদৃষ্টে বলেছেন যে, উত্তরাধিকার স্বত্বে দাদাও পিতার মত সম-অংশীদার ।

বাপ-দাদার কৃতকর্মের ফলাফল সন্তানরা ভোগ করবে না

       
لَهَا مَا كَسَبَتْ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, বাপ-দাদার সৎকর্ম সন্তানদের উপকারে আসবে না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা সৎকর্ম সম্পাদন করবে। এমনিভাবে বাপ-দাদার কুকর্মের শাস্তিও সন্তানরা ভোগ করবে না, যদি তারা সৎকর্মশীল হয়। এতে বোঝা যায় যে, মুশরিকদের সন্তান-সন্ততি সাবালক হওয়ার পূর্বে মারা গেলে পিতামাতার কুফর ও শিরকের কারণে তারা শাস্তি ভোগ করবে না। এতে ইহুদীদের সে দাবিও ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হলো যে, আমরা যা ইচ্ছা তা-ই করব, আমাদের বাপ-দাদার সৎকর্মের দ্বারাই আমাদের মাগফেরাত হয়ে যাবে। আজকাল সৈয়দ পরিবারের কিছু লোকও এমনি বিভ্রান্তিতে লিপ্ত যে, আমরা রসূলের আওলাদ। আমরা যা-ই করি না কেন, আমাদের মাগফেরাত হয়েই যাবে।

কোরআন এ বিষয়টি বারবার বিভিন্ন ভঙ্গিতে বর্ণনা করেছে। এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلَّا عَلَيْهَا (প্রত্যেকের আমলের দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে)। অন্য এক আয়াতে আছেঃ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى (কিয়ামতের দিন একজনের বোঝা অন্যজন বহন করবে না।) রসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ
হে বনী হাশেম। এমন যেন না হয় যে, কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোক নিজ নিজ সৎকর্ম নিয়ে আসবে আর তোমরা আসবে সৎকর্ম থেকে উদাসীন হয়ে শুধু বংশ গৌরব নিয়ে এবং আমি বলব যে, আল্লাহর আযাব থেকে আমি তোমাদের বাঁচাতে পারব না। অন্য এক হাদীসে আছেঃ وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ (আমল যাকে পেছনে ফেলে দেয়, বংশ তাকে এগিয়ে নিতে পারে না)।





***************************************
Thank you for visiting the site. If you like the article, share it on social media to invite other Vines to the path of truth and justice. Click on OUR ACTION PLAN button to know about activities, goals and objectives of Mohammadia Foundation and to participate in the service of religion and humanity. 
Almost all articles on this website are written in Bengali. But you can also read it in your language if you want. Click the “ভাষা বেছে নিন” button at the bottom of the website to read in your own language.



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url