দ্বীনি জিজ্ঞাসা ও জবাব | ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব - ১৫)



রোযার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন


প্রশ্ন-১৩১: আমি আপনাদের আলোচনায় শুনেছি, পত্রিকায় পড়েছি, রোযার ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেছেন, রোযার পুরস্কার আমি নিজ হাতে দেব। তাহলে অন্যান্য নেক আমলের পুরস্কার কে দেবেন? ব্যাখ্যাসহ জানালে উপকৃত হব ।

উত্তর: আসলে হাদীসটা আপনি আরবিতে পুরাটা পড়লে বুঝতে পারতেন। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসিতে এই কথার শুরুতে বলেছেন, প্রত্যেক কর্মের ছওয়াব আমি দশগুণ থেকে সাতশত গুণ দেব। কিন্তু রোযা আমার জন্য, আমি এর পুরস্কার দেব। এটার সংখ্যাটা বলেন নি। আপনি সহজে বুঝতে পারবেন, প্রত্যেকটা ইবাদত আমরা না বললেও কেউ না কেউ টের পায়। কিন্তু আপনি সাহরি খেয়েছেন, ইফতার খেয়েছেন, মাঝখানে দিনের বেলা কোনো এক সময় কিছু খেয়ে নিয়েছেন অথবা পান করেছেন; এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তার মানে আপনি শুধু আল্লাহর ভয়েই পানাহার থেকে বিরত থেকেছেন। আমি খুব সংক্ষেপে একটা দুঃখের ঘটনা বলি। আমি যখন সৌদি আরবে পড়তাম তখন আমার সাথে সিরিয়ান এক ভাই পড়তেন । অনার্স করে ওই ভাই সিরিয়ায় গিয়ে একটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। সিরিয়াতে রাশিয়া এবং সেভিয়েত ইউনিয়নের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে ইসলাম শিখতে আসে। আমার বন্ধু বললেন, কমিউনিস্ট শাসনের যুগে ওখানকার মুসলিমরা সালাত আদায় করতেন না । তিন-চার প্রজন্ম নামায পড়তেন না। কারণ, নামায পড়লে কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বর হওয়া যায় না। কিন্তু তারা রোযা রাখতেন। কারণ রোযা তো কেউ দেখে না । নামায পড়লে কেউ না কেউ দেখে ফেলার ভয় আছে। কিন্তু রোযা তো কেউ দেখে না। এ জন্য রোযা এমন একটা ইবাদত, যেটা আপনি নষ্ট করলে আল্লাহ ছাড়া কেউ টের পাবে না । তাই এর পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন ।

মসজিদে মোমবাতি দেয়া


প্রশ্ন-১৩২: মসজিদে মোমবাতি দেয়া জায়েয আছে কি না?

উত্তর: আমার প্রশ্ন হল, কী প্রয়োজনে মোমবাতিটা দেব? যদি মসজিদ অন্ধকার হয়, বিদ্যুৎ না থাকে, এমন জায়গায় হয় যেখানে বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা নেই- অবশ্যই মোমবাতি দেব । আল্লাহ তাআলা অকারণ ব্যয় ঘৃণা করেন। বিশেষ করে মসজিদ বা কোথাও মোমবাতি দিলে এর দ্বারা বিশেষ কোনো উপকার পাবেন এই চিন্তা কুসংস্কার অথবা শিরক। কল্যাণ হল মানুষের উপকার করায়, মানুষকে ভালো পথে নিয়ে যাওয়ায় । কাজেই যে মসজিদে আলো আছে সেখানে মোমবাতি দেয়াটাই তো অপচয় । মসজিদে তো আল্লাহর ইবাদত হয় সেখানে মোমবাতি লাগতে পারে। কিন্তু মাযারে বা কবরে মোমবাতি দেয়াকে রাসূলুল্লাহ (*) অভিশাপের কাজ বলেছেন ।

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (و) في رواية: لَعَنَ اللهِ) زَائِرَاتِ الْقُبُورِ وَالْمُتَّخِذِينَ عَلَيْهَا الْمَسَاجِدَ وَالسُّرُجَ

যে সমস্ত মহিলারা বারবার কবর যিয়ারত করে এবং নারী পুরুষ যারাই কবরে মোমবাতি দেয়, আলো জ্বালায় অথবা কবরের উপরে মসজিদ বানায় আল্লাহ তাআলা (আল্লাহর রাসূল) তাদেরকে লানত করেছেন। অভিশাপ করেছেন”।

মসজিদে ঢুকে দুই রাকাত নামাজ


প্রশ্ন-১৩৩: বুখারি শরীফের বাংলা একটা হাদীসে আমি দেখেছি, রাসূল (সাঃ) একদিন জুমআর নামাযে খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবি মসজিদে প্রবেশ করলেন। রাসূল (সাঃ) খুতবা থামিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি কি দুই রাকআত নামায পড়েছ? যদি না পড়ে থাকো তাহলে দুই রাকআত নামায পড়ে নাও। আবার খুতবা শোনা তো ওয়াজিব । তো এই নামায আসলে কিসের নামায ? আমরা এটা পড়ব কি না?

উত্তর: আপনি যে সালাতের কথা বলেছেন, এটা হল দুখুলুল মাসজিদ বা তাহিয়্যাতুল মাসজিদের সালাত । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:

إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ المَسْجِدَ، فَلَا يَجْلِسَ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ

তোমরা কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে অন্তত দুই রাকআত সালাত না পড়ে বসবে নাক । এটা মসজিদের হক। আপনি যদি ঢুকে কোনো ফরয নামাযেও দাঁড়িয়ে যান তাহলেও মসজিদের হক আদায় হয়ে যাবে । কোনো সালাত না পড়ে বসলে মসজিদের হক নষ্ট করা হয় । যখন আরবিতে খুতবা চলে এই অবস্থায় সালাতের কী হবে- এই যে হাদীসটার কথা আপনি বলেছেন, এটা সহীহ হাদীস। এই হাদীস অনুযায়ী আরবি খুতবা বা যে কোনো সময় ঢুকলেই আমাদের দুই রাকআত সালাত পড়ে বসা উচিত। কিন্তু অন্য আরেকটা হাদীস আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দেখলেন, এক ব্যক্তি মসজিদে ঢুকেছেন, তিনি মানুষদের মাথার উপর দিয়ে ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে সামনে আসছেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তুমি বসে পড়ো। তুমি দেরি করে এসেছ আবার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছ । এখানে সালাত পড়ে বসতে বলেন নি । এমনি বসে যেতে বলেছেন । তো সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে ফুকাহাদের মতভেদ আছে। আমরা যে কোনো হাদীসের উপর আমল করতে পারি । আল্লাহ তাওফীক দিন ।

*  সহীহ ইবন হিব্বান-৩১৭৯; নাসায়ি ৪/৯৪-৯৫; তিরমিযি-৩২০: ইবন মাযাহ - ১৫৭৫
*  সহীহ বুখারি-৪৪৪; মুসলিম-৭১৪

জুমআর নামায কত রাকআত


প্রশ্ন-১৩৪: জুমআর নামায কত রাকআত ?

উত্তর: জুমআর নামায দুই রাকআত আমরা জানি । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আগে কিছু সালাত পড়তেন । কয় রাকআত পড়তেন ক্লিয়ার নেই। সাহাবিরা কেউ চার রাকআত পড়তেন; বেশি পড়তেন কম পড়তেন। জুমআর পরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুই রাকআত অথবা চার রাকআত- দুই রকমই পড়তেন। দুটোই সহীহ। তবে রাসূলুল্লাহ সা. নফলগুলো, সুন্নাতগুলো ঘরে গিয়ে পড়তেন। এটাও সহীহ। আমরা ঘরে পড়তে পারি। কোনো কোনো সাহাবি মসজিদে পড়েছেন। ঘরে পড়া উত্তম, মসজিদে পড়া বৈধ ।

নন-মাহরাম বা গাইরে মাহরাম এর সাথে আচরণের সীমা


প্রশ্ন-১৩৫: আমি জানতে চাচ্ছি, নন-মাহরামের সাথে (গাইরে মাহরাম) আচরণের সীমা কেমন হওয়া উচিত? বাসায় যদি নন-মাহরাম আসে বা রাস্তায় যদি পরিচিত নন- মাহরামের সাথে দেখা হয়, তাহলে সালাম দিয়ে কুশল জিজ্ঞেস করা যাবে কি না? নন- মাহরাম বাসায় আসলে সামনে গিয়ে তাকে খাবার খাওয়ানো বা একই টেবিলে খাওয়া যাবে কি না?

উত্তর: জি বোন, অনেক ধন্যবাদ আপনার এই সচেতনতার জন্য। মেয়েদের জন্য গাইরে মাহরামের সাথে কথা বলার অনুমতি আছে অতি সাধারণভাবে । কণ্ঠের ভেতর যেন কোনো রকম আকর্ষণীয়তা সৃষ্টি না হয়। আপনি কথা বলতে পারেন, কুশল বিনিময় উচিত নয় । দেখা হলে একান্ত প্রয়োজনে সালাম দেয়া যেতে পারে । সেটাও কথা বলার প্রয়োজনে। শুধু সালাম নয় । আর বাড়িতে কেউ গেলে আপনি পর্দার সাথে খাবার সার্ভ করতে পারেন । তবে এই দায়িত্ব পুরুষদের উপর দিয়ে দেয়া উচিত। আর এক টেবিলে খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। আসলে বাড়াবাড়ির সংজ্ঞাটা কী- এটা হল কথা । আমরা যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে আমাদের সীমা ধরি, তাহলে বেগানাদের সাথে একই টেবিল খাওয়া বর্জন করা, এটা বাড়াবাড়ি নয়, উচিত। আর যদি আমাদের মতামতকে সীমা ধরি, তাহলে তো একেক জনের কাছে একেক রকম বাড়াবাড়ি । কারো কাছে নামায পড়াটাই বাড়াবাড়ি ।

নামাযে হাত কোথায় বাঁধব


প্রশ্ন-১৩৬: নামাযে হাত কোথায় বাঁধব? নাভির নিচে, নাভির মাঝখানে নাকি নাভির উপরে?

উত্তর: আমার উত্তর হল, হাতটা ঝুলিয়ে রেখেন। ঝগড়া করার চেয়ে হাত ঝুলিয়ে রেখে সালাত আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে, কোনো সমস্যা নেই। দুর্ভাগ্য যে আমরা ছোটছোট বিষয়কে অনেক বড় বানিয়ে ফেলেছি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে ১২/১৩ টা সহীহ হাদীস এসেছে, তিনি বলেছেন, সালাতের ভেতরে ডান হাতটাকে বাম হাতের উপরে রাখবে । কোথাও কব্জির উপরে কব্জি, কোথাও বাহুর উপরে হাত। এরপরে আসে হাতটা আমি কোথায় রাখব? বিশ্বাস করেন, আমি যতটুকু পড়াশেনা করেছি, এ বিষয়ে একটা হাদীসও সহীহ নয়। কোনো হাদীস নাভির নিচে আছে, এটা দুর্বল। কোনো হাদীসে বুকের উপর এসেছে এটাও দুর্বল, মুরসাল হাদীস। তো সব মিলিয়ে আপনি যেখানে হাত রাখলে সুবিধা পাবেন, স্বস্তি পাবেন, রাখবেন । ইনশাআল্লাহ সুন্নাত ষোলো আনা আদায় হবে ।

পারফিউম ব্যবহার করে নামায পড়া


প্রশ্ন-১৩৭: পারফিউম ব্যবহার করে নামায পড়া যাবে কি না?

উত্তর: পারফিউমে অ্যালকোহল থাকে তাই আমরা অনেক সময় মনে করি, অ্যালকোহল মানেই তো মদ । কাজেই এটা বোধহয় নাপাক। আসলে অ্যালকোহল একটা কেমিকেল টার্ম। অ্যালকোহল অর্থই মদ নয়। যে অ্যালকোহল পান করলে মানুষ মাতাল হয়, এটা শুধু মদ । অধিকাংশ অ্যালকোহলই মাদক নয় । বরং বিষাক্ত । খেলে মাতাল হবে না বরং মানুষ মারা যাবে । যেমন ডেটল ইত্যাদি দিয়ে আমরা হাত ধুই- এটাও অ্যালকোহল । অ্যালকোহল নাপাক নয়। শুধুমাত্র মদ, যেটা আঙুর বা খেজুর দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে মাদকতা আছে- এই রকম হলে সেটা হারাম বা নাপাক হতে পারে। এ জন্য সাধারণ পারফিউম ব্যবহার করে সালাত আদায় করাতে কোনো সমস্যা নেই। (অবশ্য মহিলারা পারফিউম ব্যবহার করে মসজিদে জামাআতে যাবে না। )

সুস্থ ব্যক্তি বসে নামায পড়া


প্রশ্ন-১৩৮: সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি বসে নামায পড়লে সমস্যা আছে কি না?

উত্তর: ফরয সালাত দাঁড়িয়ে পড়া ফরয। যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, অন্তত সালাত আদায় করার এই ২/৩ মিনিট সময় তিনি বসে ফরয সালাত আদায় করলে সালাত হবেই না । আর নফল সালাত বসে পড়লে হবে । তবে ছওয়াব কম হবে । 

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কি হাজির-নাজির


প্রশ্ন-১৩৯: অনেক আলেম বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হাজির-নাজির । আবার কেউ কেউ বলেন, না, হাজির-নাজির নয় । কোনটা সঠিক?

উত্তর: আসলে আমরা কোন ইসলাম চাই? মুহাম্মাদ (সাঃ) যেটা দিয়ে গেছেন ওটাতে আমরা পরিতৃপ্ত নাকি আমাদের আরো কিছু বাড়িয়ে নেয়ার দরকার আছে- এটার উপর নির্ভর করবে আমাদের উত্তর । হাজির এবং নাজির দুটোই আরবি শব্দ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ক্ষেত্রে এই দুটো বিশেষণ কুরআন বা হাদীসে কোথাও প্রয়োগ করা হয় নি। আমরা চার ইমামের অনুসরণের কথা বলি, বুযুর্গদের কথা বলি, আব্দুল কাদের জিলানির কথা বলি; তারা কেউ কখনো এই দুটো শব্দ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর প্রয়োগ করেন নি। তাহলে আমরা কেন করব! আমরা কি তাদের চেয়েও আল্লাহর বেশি প্রিয় হতে চাই? দ্বিতীয়ত হাজির-নাজির মানে হল যিনি সর্বত্র বিরাজমান এবং যিনি সবকিছু দেখেন। এই ধরনের বিশেষণ শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য প্রযোজ্য।

وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ لاد

কাজেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে আল্লাহর বিশেষণ দিয়ে তাঁকে রব বানিয়ে আমাদের কী লাভ! আল্লাহ তাআলা কি তাঁর রুবুবিয়্যাত নষ্ট করে ফেলেছেন! তৃতীয়ত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে এই গুণ দিলে তাঁর মর্যাদা কি বাড়ে? তিনি সারা জীবন কষ্ট করেছেন। দাওয়াত দিয়েছেন। ওফাতের পরে তিনি আল্লাহর দীদারে আছেন। উম্মত সালাম ও দুরুদ পড়লে ফেরেশতারা পৌঁছে দেন। তিনি কেন উম্মতের সবকিছু দেখার এই বাজে ঝামেলা নিতে যাবেন! এটা কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী । এবং এতে শিরকের একটা দরজা খুলে যায় ।

মনে মনে কুফরি ভাব আসলে


প্রশ্ন-১৪০: মনে যদি কুফরি ভাব আসে তাহলে কি ঈমান চলে যায়?

উত্তর: মনের ভেতর কুফরি, ওয়াসওসা আসলে যে আপনার খারাপ লাগছে এটা প্রমাণ করে যে আপনি ভালো ঈমানদার। এই কথাটাই সাহাবাগণ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করতেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাদের এমন কথা মনে আসে যেটা মুখে উচ্চারণ করার আগে কতল হয়ে যেতে আমরা রাজি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, এটাই তো ঈমান । যে পকেটে মোটে টাকা নেই সেখানে পকেটমার ঘোরে না তো! যে পকেটে টাকা আছে, পকেটমার তার আশেপাশে ঘোরার চেষ্টা করে। যে কালবে ঈমান আছে শয়তান তার আশেপাশে ঘোরে। এটাই প্রমাণ করে যে আপনার ঈমান আছে । কাজেই এই ধরনের ওয়াসওসায় দুশ্চিন্তা করবেন না। 'লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পড়বেন ।


💖💝Thanks for being with Mohammadia Foundation. Pls Stay with us always💝💖

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url