ভাল কাজে সাথেই থাকুন


মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কাজে দান করে যারা আমাদের সঙ্গী হতে চান



মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ্যে বর্তমানে যেসব কর্মকান্ড নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি-


০১।  সমাজে প্রচলিত একটি কথা আছে যে, আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আলেম ওলামা ও হাফেজ সাহেবগণ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও মসজিদের ইমাম খাদেম হওয়া ছাড়া আর কোন কাজে আসে না। আমরা সমাজের এই ধারণাটিকে বদলে দেওয়ার জন্যে আলেম ওলামা ও হাফেজ সাহেবগণকে কর্মী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক ও কর্মমূখি শিক্ষার সংমিশ্রণে একটি সুবিশাল দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে চাই। এই লক্ষ্যে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান ও সুবিশাল পাঠাগার সমন্বয়ে একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যার নাম হবে মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স। যার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে OUR ACTION PLAN পেইজে। বিস্তারিত জানতে একদম উপরে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।

 

০২।  সমাজের ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল করার লক্ষ্যে অসহায় গরীব, পঙ্গু, বৃদ্ধ, বিধবা, কর্মহীন এতিমদের জন্য উপার্জনক্ষম কাজের ব্যবস্থা করা। যেমন: সেলাই মেশিন, রিকসা ভ্যান, পান দোকান, মুদি দোকান, জুতো সেলাই, সবজির দোকান, ফুটপাথের ব্যবসা ইত্যাদি যোগ্যতা অনুসারে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিয়ে মানুষকে সাহায্য করা। বিস্তারিত জানতে একদম উপরে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।

 

০৩। সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে সুদের বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এটি একটি মারাত্বক গুণাহের কাজ। কিন্তু মানুষ এই গুণাহটি ভাবলেসহীনভাবেই করে চলেছে। আমরা সমাজ থেকে সুদকে নির্মূল করতে চাই। তাই আমরা “কর্জে হাসানা প্রকল্প” চালু করে মানষের পারস্পরিক লেনদেনে আল্লাহ পাকের হুকুম বাস্তবায়ন করতে চাই। প্রাথমিকভাবে এই ফান্ড থেকে মানুষকে ৫০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত কর্জে হাসানা প্রদান করা হবে। যোগ্যতা অনুসারে কর্জে হাসানা পরিশোধের জন্য এককালীন বা কিস্তির ব্যবস্থা রাখা হবে। এজন্য একটি স্থায়ী ফান্ড গঠন জরুরী। যার মাধ্যমে আজীবন এই  এই প্রকল্প চালু রাখা সম্ভব হবে। এজন্য একটি ফান্ড গঠনের কাজ চলছে। দাতাগণ এখানে দানও করতে পারবেন আবার কর্জে হাসানা হিসাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ফান্ডে টাকা রাখতে পারবেন।

বিস্তারিত জানতে একদম উপরে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।


দাতাগণ যেসব খাতে এবং যেসব পন্থায় দান ও অনুদানের মাধ্যমে আমাদের সাথে এই মহৎ কাজে যোগ দিতে পারেন তা উল্লেখ করছি:

 

 

০১।  মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স :

৪৫০ শতাংশ জায়গার উপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য ৫টি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। সাথে একটি মসজিদ থাকবে।

 

ক.    প্রতি শতাংশ জমির দাম দেড় লক্ষ টাকা হিসাবে যে কেউ যে কোন পরিমাণ জায়গা দান করতে পারেন। যারা জায়গা দান করবেন তারা ইচ্ছা করলে নিজের নামে জমির রেজিষ্ট্রি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়াকফ করতে পারবেন। জমি দাতাদের নাম প্রতিষ্ঠানের সদর গেইটে স্থাপিত কুরআনিক ভাস্কর্যে শ্বেত পাথরে ক্ষুদাই করে রাখা হবে। এই মহুর্তে নগদে কোন টাকা দিতে হবে না। শুধুমাত্র নিচের ই-মেইলে আমাদেরকে আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com


খ.    ৫টি ৫তলা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার মত বাংলাদেশে অনেক আছেন। কেউ যদি এখানে একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন তাহলে সেই ভবনের নাম দাতার নামে বা দাতার মনোনিত নামে নামকরণ করা হবে। কেউ ইচ্ছা করলে যেকোন ভবনের একটি ফ্লোর সম্পূর্ণ নির্মানের দায়িত্ব নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেই ফ্লোরের নাম দাতার নামে বা দাতার মনোনিত নামে নামকরণ করা হবে।

ভবন ও ফ্লোর নির্মাণের ব্যয়ভার বহনকারী দাতাদের নাম প্রতিষ্ঠানের সদর গেইটে স্থাপিত কুরআনিক ভাস্কর্যে শ্বেত পাথরে ক্ষুদাই করে রাখা হবে।

যারা দানে ইচ্ছুক তাদেরকে এই মহুর্তে নগদে কোন টাকা দিতে হবে না। শুধুমাত্র নিচের ই-মেইলে আমাদেরকে আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com


গ.    এছাড়াও যারা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য দান করতে চান, তাদেরকেও আমাদের ই-মেইলে আপনাদের নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।

 


০২।  মসজিদ র্নিমানের জন্য যারা দান করবেন-

ক.    যে কেউ ইচ্ছা করলে ৫ তলা মসজিদের পুরোটা নির্মাণ করে দিতে পরেন। অথবা একটি ফ্লোর নির্মাণ করে দিতে পারেন। অথবা যেকোন পরিমাণ অর্থ দান করতে পারেন। মসজিদ ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য যারা সর্ব নিম্ন তিন লক্ষ টাকা দান করবেন তাদের নাম প্রতিষ্ঠানের সদর গেইটে স্থাপিত কুরআনিক ভাস্কর্যে শ্বেত পাথরে ক্ষুদাই করে রাখা হবে।

যারা দানে ইচ্ছুক তাদেরকে এই মহুর্তে নগদে কোন টাকা দিতে হবে না। শুধুমাত্র নিচের ই-মেইলে আমাদেরকে আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com

 

০৩। মানবতার জন্য আর্থিক সাহায্য-

ক.    এখানে অসহায় গরীব, পঙ্গু, বৃদ্ধ, বিধবা, কর্মহীন এতিমদের মধ্য থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলে এক বা একাধিক মানুষের দায়িত্ব নিতে পারেন। অথবা যে কোন পরিমাণের অর্থ দান করতে পারেন। যারা দানে ইচ্ছুক তাদেরকে এই মহুর্তে নগদে কোন টাকা দিতে হবে না। শুধুমাত্র নিচের ই-মেইলে আমাদেরকে আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com

 

০৪।  কর্জে হাসানা প্রকল্প-

ক.    কর্জে হাসানা প্রকল্পে যে কেউ যেকোন পরিমাণ অর্থ কর্জে হাসানা হিসাবে রাখতে পারেন। আবার একটি স্থায়ী ফান্ড গঠন করার লক্ষ্যে যে কোন পরিমাণ অর্থ দান করতে পারেন। ইচ্ছুক ব্যাক্তিগণকে এই মহুর্তে নগদে কোন টাকা দিতে হবে না। শুধুমাত্র নিচের ই-মেইলে আমাদেরকে আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com


০৫। একটা এতিমকে হাফেজে কুরআন বানানোর দায়িত্ব আপনি নিন-

ক.    আপনার অনেক টাকা আছে, আপনি সমাজে সম্মানের সাথেই জীবন যাপন করছেন। এই সমাজে হাজার হাজার এতিম অসহায় ছেলে মেয়ে খেতে ও পড়তে পারছে না। আপনি ইচ্ছা করলে মাসে মাত্র ৩০০০-৩৫০০ টাকা ৩/৪ বছর খরচ করে একটি এতিম ছেলে বা মেয়েকে কুরআনের হাফেজ বানিয়ে অশেষ নেকির ভাগীদার হতে পারেন।


খ.    আমাদের চার পাশে বহু বাবা মা আছেন, যাদের ইচ্ছা ছিল একটি ছেলে হলে হাফেজ বানাবেন। কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে কোন ছেলে দেননি, শুধু মেয়ে দিয়েছেন। আবার কারও কারও ছেলে মেয়ে কিছুই নেই। আপনি একটু কষ্ট করে হলেও মাত্র ৩/৪ বছরে একটি এতিম ছেলে মেয়ে হাফেজে কুরআন বানাতে পারেন।


গ.    আমরা আগামী রমজান মাসে ১০০ এতিম ছেলে মেয়েকে আমাদের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মাদ্রাসার এতিমখানায় হাফেজ শিক্ষার জন্য ভর্তি করাতে চাই। আপনিও একজন এতিমের দায়িত্ব নিন। এর জন্য মাসে খরচ হবে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এটা চালিয়ে নিতে হবে ৩/৪ বছর।


ঘ.     যারা ইচ্ছুক তাদেরকে এই মহুর্তে কোন টাকা দিতে হবে। আপনার ইচ্ছার কথা পুরো নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারসহ জানালেই আমরা সময়মত যোগাযোগ করব ইন শা আল্লাহ। আমাদের ই- মেইল আইডি mohammadiafoundationbd@gmail.com

যেই ছেলে বা মেয়েটির দায়িত্ব আপনি নিবেন, ইচ্ছা করলে আপনি প্রতি মাসে একবার সরে জমিনে এসে তার লেখাপড়ার খোঁজ খবর নিতে পারবেন।

যিনি এই মহৎ কাজে অংশ নিবেন, তাকে ভর্তির সময় এক সংগে ছয় মাসের খরচ দিতে হবে। পরের মাস থেকে নিয়মিত প্রতিমাসের খরচ দিতে হবে। এতিম ছেলেটি যাতে কোন সমস্য না হয় সেজন্য আমরা ছয় মাসের টাকা অগ্রীম নিয়ে নিব। হাফেজ হওয়ার পর পাগড়ী প্রদাণের আগে শেষ ছয়মাস তাকে কোন খরচ দিতে হবে না।

 

সম্মাণিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর দীন ও মানবতার কাজ কখনও ঠেকে থাকে না। এটা আল্লাহ পাকই চালিয়ে নেন। এবং এই কাজ প্রচুর বিত্তবানরাও অনেক সময় করতে পারেন না। কারণ, আল্লাহ হয়তো তার কপালে এমন মহৎ কাজ লিখে রাখেননি। আল্লাহর দেওয়া জান ও মালের হিসাব রোজ হাশরের ময়দানে অবশ্যই দিতে হবে। আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন, তা থেকে বেশি বেশি দান করুন। ইন শা আল্লাহ, আল্লাহ আপনার সম্পদকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিবেন এবং আল্লাহ আপনাকে সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্ত রাখবেন।

 

 

·       মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স নির্মিত হবে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার নিভৃত পল্লীতে। যেখানে থাকবে সবুজের সমারোহ, নির্মল পরিবেশ। থাকবে না কোন শহুরে কোলাহল ও রাজনৈতিক বিশৃংখলা।

·       আগামী রমজান মাসে যে ১০০ জন এতিমকে হেফজখানায় ভর্তি করা হবে, সেগুলো সুন্দর পরিবেশ দেখে ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন মাদ্রাসায় ভর্তি করা হবে।

·       আপনি দানের পাশপাশি আপনার পাশের এতিম অসহায় শিশুটিকেও আমাদের সেবার আওতায় দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ৫/৬ বছরের এতিম শিশুর বিস্তারিত জানিয়ে আমাদেরকে মেইল করুন।

·       আমাদের বিস্তারিত ঠিকানা জানতে CONTACT US বাটনে ক্লিক করুন।


 জমিদাতা, ভবন ও ফ্লোর নির্মাণ দাতা এবং সর্বনিম্ন তিন লক্ষ টাকা দাতাদের মধ্য থেকে ৩০৩ তিনজন (বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীর সংখ্যা অর্থাৎ বদরী)-কে আজীবন দাতা সদস্য হিসাবে পরিচালনা পরিষদে রাখা হবে। সম্মানিত এই দাতাদেরকে প্রতিবছর পরিচালনা পরিষদের বাৎসরিক সাধারণ সভা ও বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত প্রদান করা হবে।


আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন। ছুম্মা আমিন, ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।।


এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url