গুনাহ মাফের উপায় || গুনাহ মাফের আমল ||
মানুষ মাত্রই ভুল করে। আল্লাহ জানেন মানুষ সব সময়ই গুনাহ করে। আর এই সব গুনাহ ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ রহমানুর রাহীম সব সময় অপেক্ষায় থাকেন। বান্দা কখন ক্ষমা চেয়ে দু,চোখের পানি ফেলবে। এখানে আমরা গুনাহ মাফের জন্য তিনটি আমলের বর্ণনা করবো।
গুনাহ মাফের আমল
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের এমন পথ দেখিয়ে দেবো, যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং আখেরাতে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই দেখিয়ে দিন হে আল্লাহর রাসূল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কষ্টের সময় ভালোভাবে অজু করা। বেশি বেশি মসজিদে গমন করা। এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। - জামে তিরমিযী : ৫১।
যে তিনটি আমলের কথা রাসূল বলেছেন তা হলো,
এক. কষ্টের সময় ভালোভাবে অজু করা। কষ্টটা দুই ধরনের হতে পারে। শারীরিক কষ্ট ও
দুই. বেশি বেশি মসজিদে গমন করা। মসজিদের পথে অধিক পরিমাণ যাতায়াত করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে রওনা করে, তার প্রতিটি কদমে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি করে গোনাহ মাফ করা হয়। - সহিহ বুখারী : ৬৪৭।
উল্লিখিত এ তিনটি আমল যেগুলো দ্বারা আল্লাহ তায়ালা গোনাহ মাফ করেন তার সবগুলোই নামাজের পূর্বের আমল। অজু করা, মসজিদে আসা ও নামাজের অপেক্ষা করা। নামাজের পূর্ববর্তী আমলের যদি এ ফজিলত হয়, তাহলে নামাজের কী ফজিলত হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ তিনটি আমল ও নামাজ গুরুত্বসহ আদায় করার তাওফিক দান করুন।
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আরও বেশি মানুষের কাছে ইসলামের জ্ঞান পৌঁছে দিতে শেয়ার ও কমেন্ট করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url