Tafsir ul Surah Al Kafirun সুরা আল কাফিরূন - এর তাফসীর: মুফতি সালমান ফার্সি

সুরা আল কাফিরূন এর তাফসীর

Surah Al-Kawsar Tafsir, Mufti Salman Farsi


----------------------------------------------------------

“ধর্ম যারা যার উৎসব সবার” 

এটা ইসলাম বিরোধী কথা। সুরা আল কাউসার  এর শিক্ষা
-----------------------------------------------------------
 

সুরার নাম : কাফিরূন
শ্রেণী : মাক্কী সূরা (মক্কায় অবতীর্ণ)
অন্য নাম :   “জাহদ” (দারমন ব কোরআন, পৃঃ নং ১৬৭)
নামের অর্থ : অস্বীকারকরীগণ
সূরার ক্রম : ১০৯
আয়াতের সংখ্যা : ৬
রুকুর সংখ্যা : 
পারার ক্রম : ৩০ পারা
শব্দ : ২৭
বর্ণ : 
পূর্ববর্তী সূরা : আল কাউসার
পরবর্তী সূরা : আল নাসর




সুরা আল কাউসারের আরবি ও বাংলা উচ্চারণ ও অর্থঃ



بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু কর)


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ  
কুল ইয়া আইউহাল কাফিরূন
বলুন, হে কাফেরকূল, 

 
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
 লা আ’বুদু মাতাবুদুন
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।  

 
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা আবুদ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি  


وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
ওয়া লা আনা আবিদুনা মা আবাদতুম
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।   


وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মাআবুদ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। 

  
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
লাকুম দীনুকুম ওয়ালীয়া দ্বীন
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। 



সূরা “আল কাফিরুন” তিলাওয়াতের ফযিলত:

🌴• রাসূল(সা.): “যে ব্যক্তি সূরা আল কাফিরুন তিলাওয়াত করবে শয়তান তার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে এবং ক্বিয়ামতের দিনের বৃহৎ কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।” (তাফসীরু মাজমাউল বায়ান, খন্ড ১০, পৃঃ নং ৫৫২)।
🌴• “জনৈক ব্যক্তি একদা মহানবী(সা.)-এর কাছে আরজ করলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা আমি ঘুমানোর পূর্বে পড়তে পারি। আল্লাহর রাসূল বললেন, যখন তুমি ঘুমুতে ইচ্ছা করো সূরা আল কাফিরুন পাঠ করে ঘুমাও, যা তোমাকে শেরক থেকে নিরাপদে রাখবে। (তাফসীরু মাজমাউল বায়ান, খন্ড ১০, পৃঃ নং ৫৫০)।
🌴• হাযরাত ইমাম জা’ফার ইবনে মুহাম্মাদ আস্ সাদিক্ব (সালামুল্লাহি আলাইহি): “যে ব্যক্তি সূরা আল কাফিরুন ফরজ ও নফল নামাজগুলোতে তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এবং তার পিতা-মাতা ও সন্তানদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। তারা যদি দূর্ভাগ্যবান হয়ে থাকে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করবেন। আর তিলাওয়াতকারী ব্যক্তিকে দুনিয়ার জীবনে সৌভাগ্যবান করবেন এবং তাকে শহীদ অবস্থায় মৃত্যু দিবেন আর শহীদ অবস্থায় উত্থিত করবেন।” (সাওয়াবুল আ’মাল, পৃঃ নং ১২৭)।
🌴• ইমাম আস সাদিক্ব (সালামুল্লাহি আলাইহি): “যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে সূরা আল কাফিরুন ও সূরা ইখলাস তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে শেরক থেকে রক্ষা করবেন।” (আল কাফি, খন্ড ২, পৃঃ নং ৬২৬)।
🌴• ইমাম জাফার আস সাদিক্ব (সালামুল্লাহি আলাইহি): “ফজর নামাজের দুই রাকাতে যে সূরা-ই পড়তে চাও পড়, তবে আমি সূরা ইখলাস ও সূরা আল কাফিরুন পড়তে পছন্দ করি।” (তাহযিবুল আহকাম, খন্ড ২, পৃঃ নং ১৩৬)।
🌴• ইমাম জাফার আস সাদিক (সালামুল্লাহি আলাইহি): “সূরা আল কাফিরুন ফরজ ও নফল নামাজে তিলাওয়াত করো।” (মুসতাদরাকুল ওয়াসায়িল, খন্ড ৪, পৃঃ নং ১৯১)।


সূরা “আল কাফিরুন” -এর মাধ্যমে তদবীর:

🍎• রাসূল(সা.): “যে ব্যক্তি সূর্য উদয়ের সময় দশ বার সূরা আল কাফিরুন পাঠ করে দোয়া করবে তার দোয়া কবুল হবে।” (আল মিসবাহ, কাফহামী আমেলী, পৃঃ নং ৪৬১)।
🍎• ইমাম জাফার সাদিক্ব (সালামুল্লাহি আলাইহি): “যে ব্যক্তি সূরা আল কাফিরুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একশত বার পাঠ করবে সে স্বপ্নে আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে দেখতে পাবে।” (মুসতাদরাকুল ওয়াসায়িল, খন্ড ৪, পৃঃ নং ৩৭১)।



★★সমাপ্ত★★

 

সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমলক্ষ্য  উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন মানবতার সেবায় অংশ নিতে দয়াকরে HomePage  ক্লিক করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Unknown
    Unknown ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ এ ১১:৫২ PM

    Excellent Waz

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url