দ্বিধাহীন কাছে আসার পরিণতি



দ্বিধাহীন কাছে আসার গল্পের লাস্ট সিকোয়েন্স!

এই শিশুটিকে জানালা বা বারান্দা এমন কোন জায়গা থেকে রাতের আঁধারে ফেলে দেওয়া হয়।ফেলে দেয়ার আগে এক হাত মুছড়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়!! যায়গাটা ছিল উক্ত বিল্ডিং এর পেছন সাইড।দুই বিল্ডিং এর মাঝের চিপা। উপর থেকে ছুড়ে ফেলায় ফ্রাকচার হয়ে যায়! এক পা ভেঙ্গে যায়!! বগলে ও পায়ের ফাঁকে রক্ত জমাট বাঁধে, তার উপর রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সারা রাত ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে, অন্ধকার চিপায় পরে থাকে আর স্বশব্দে কাঁদতে থাকে!

গভীর রাত হওয়ায় অনেকেই নবজাতক বাচ্চার বিরতিহীন কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। কিন্তু ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এই কান্না, নিচে পড়ে থাকা কোন নিষ্পাপ মানবশিশুর বাঁচার আর্তনাদ!! বুঝতে পারেনি পৃথিবীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নির্মম পৈশাচিকতা! বুঝতে পারেনি কেউ ঘটে যাচ্ছে মানবতার কত বড় একটা পরাজয়!

ভোরের দিকে যখন অধম মায়ের নির্মমতার শিকার বাচ্চাটির কান্নার শেষ শক্তিটুকুও নিঃশেষ হয়ে যায় তখন কাগজ টোকাতে আসা এক মহিলা চিপায় ঢোকে জিনিস টোকাতে গিয়ে টিপটিপ বৃষ্টির পানিতে ভিজতে থাকা নিথর ছোট্ট দেহটি দেখতে পায়!
দূর থেকে পুতুল ভেবে তুলতে যেতেই, পুতুলটি নড়ে ওঠে!!

গোঙ্গানোর মত মৃদু আওয়াজে মানব পুতুলটি যেনো বুঝিয়ে দেয়, পৃথিবীতে এসে চোখ খুলতেই গর্ভধারিনী মায়ের থেকে এমন নিষ্ঠুরতা, হাত ভেঙ্গে দেওয়া, অতপর উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া, যখম নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা, ঠাণ্ডা-অন্ধকার মেঝেতে খালি গায়ে, নার না কেটেই সারা রাত সমস্ত শক্তিতে চিৎকার করে কাঁদার পরও, বাকরুদ্ধ হীমশীতল দেহে এখনও প্রাণ আছে!

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্হায় মেয়ে শিশুটি ভয়ার্ত চোখে চারপাশে তাকাতে থাকে! হাসপাতালে ১দিনের সংগ্রাম শেষে চরম নিষ্ঠুরতার তিক্ততা নিয়ে, মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করা শিশুটি মৃত্যুর কোলেই ঘুমিয়ে পরে!
বলার কোন ভাষা নাই!

দুঃখ একটাই, তবুও আমাদের বাবা-মাদের হুঁশ নেই। আল্লাহর দোহাই, সন্তানদেরকে কলেজ ভার্সিটিতে পড়ান, তবে সেই সাথে ইসলামের নৈতিক শিক্ষা দিন।
আল্লাহ আমাদের সন্তানদেরকে এমন নিষ্ঠুর দ্বিধাহীন ভালবাসার নির্মমতা থেকে রক্ষা করুন। আমীন।


 *** এনটিভি’র অনলাইন পোর্টাল থেকে সংগৃহীত।

****************************************

>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url