আব্দুল মুত্তালিবের স্বপ্নে জমজম কূপ আবিস্কার এবং পুত্র আব্দুল্লাহকে কুরবানী মানত (প্রথম পর্ব)


মরুর বুকে ফুটলো যে ফুল
হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর জীবনীর উপর তথ্যবহুল ধারাবাহিক আলোচনা 
আজ থাকছে ১ম পর্ব



(“মরুর বুকে ফুটলো যে ফুল মোহাম্মদ রাসুল (সা:)”। আমরা এখানে নির্ভরযোগ্য কিতাবের আলোকে হযরত মোহাম্মদ সা: এর জীবন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করবো। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে নানান পুস্তকে ওয়াজে নানান কাহিনী প্রচলিত আছে। আসুন মিলিয়ে নেই আমরা আমাদের প্রাণের নবী প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)কে কতটুকু সহীহভাবে জানি! আজ শুরু হল এর প্রথম পর্ব। ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনকে শেয়ার করবেন, এই আশা রাখছি। সবাই সাথেই থাকুন।)

উপরে আগুনের মতো জ্বলছে সূর্য, আর নিচে উত্তপ্ত মরুভূমি। মরুর বুকে এক অদ্ভুত কিন্তু নির্মম দৃশ্য। এক ফোঁটা পানি নেই। জনাকয়েক লোক কবর খুঁড়ছে, কবরগুলো নিজেদের জন্যই! কবর খোড়া শেষ করে সবাই শুয়ে পড়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো হেজাজ আর সিরিয়ার মাঝের জনবিরল মরুতে। অবিশ্বাস্য ঘটনার পরিকল্পনাকারী ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব, তখনো তাঁর সন্তান আব্দুল্লাহ পৃথিবীতে আসেনি। কিন্তু কী করে এই ঘটনার পর কালের স্রোতে জন্ম নেন আব্দুল্লাহর ঔরসে নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)? সেটাই জানতে চলুন ঘুরে আসা যাক ,৫০০ বছর আগের আরব থেকে!

 

কুরাইশ বংশের ইতিবৃত্ত:

তবে আব্দুল মুত্তালিবের কথাতে আসবার আগে কুরাইশদের নিয়ে কিছু বলা দরকার। কুরাইশ বংশের শুরু ফিহর ইবনে মালিককে দিয়ে। তবে তখনকার কুরাইশ এত শক্তিশালী ছিল না। ফিহরের বংশধরদের একত্রিত করেন কুসাই নামের এক লোক। মক্কা দখলে এনে কুরাইশকে সেরা শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। কাবা ছিল মক্কা গ্রামের কেন্দ্রে। যাদের বসবাস ছিল কাবার কাছে তাঁরা অপেক্ষাকৃত বেশি প্রভাবশালী। তাদের নাম ছিলকুরাইশ আল বিতাহ আর কাবা থেকে দূরে কুরাইশ বংশের গোত্রগুলো থাকত। মোটামুটি ১৪টি গোত্রের কথা জানা যায়।

উপমহাদেশীয় একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, মক্কা সবসময়ই খুব জনপ্রিয় একটা শহর ছিল। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। মূলত ইসলামের বিজয়ের পর মক্কা বহির্বিশ্বে যত বিখ্যাত হয়ে যায় ততটা আগে ছিলই না একদম। এমনকি কুরাইশরা পরবর্তীতে বণিক হিসেবে পরিচিতি পেলেও, কুসাইয়ের সময় কিন্তু তারা ব্যবসা তখনও শুরু করেনি। তাদের অর্থ উপার্জিত হত একটা ব্যাপার থেকেই, আর সেটা হলো ধর্ম ব্যবসা।

ইবনে ইসহাকের বই থেকে আমরা জানতে পারি, কুসাইয়ের সময় কাবাতে তীর্থভ্রমণ করতে আসা লোকদের কাছ থেকে পাওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়েই তাদের বছর চলত। এটা পঞ্চম শতকের শেষার্ধের কথা। কুসাই তখন মারা গেলেন। একটা নেতাশূন্যতা শুরু হলো। কুরাইশের নেতা অনেকেই হতে চায়! আর এরকম একটা সময়েই কুরাইশ বংশ শুরু করল বাণিজ্য। ভিনদেশে গিয়ে ব্যবসা করা যাকে বলে।

হারবুল ফিজার বা ফিজার যুদ্ধ:

 

নিষিদ্ধ মাস বলতে একটা কথা ছিল, যে চার মাসে কোনো যুদ্ধ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেবার একটি কারণে সময়েই যুদ্ধ বেধে গেল, কুরাইশ কিনানা বংশ এক পক্ষে, মক্কার অদূরের তায়েফ আর অন্য কিছু বংশ আরেক পক্ষে। দুই পক্ষেই অনেকগুলো করে গোত্র। এটাই কুখ্যাত হারবুল ফিজার বা ফিজার যুদ্ধ নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক Montgomery Watt এর মতে, যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্য কাফেলার পথের অধিকার দখল করা।

 

 

কুরাইশ বংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা:

ওয়াটের মতে, মক্কা নামের সেই গ্রাম ধীরে ধীরে নগরী হয়ে উঠতে লাগলো, নব্য বণিক কুরাইশ বংশ ফুলে ফেঁপে উঠতে লাগলো। ৬০০ সালের দিকে তাদের ব্যবসা একদম রমরমা। শীতকালে যায় ইয়েমেনে, আর গ্রীষ্মে যায় গাজা, বসরা, দামেস্কে। সিরিয়ার এসব শহরে কুরাইশদের ঘাটি হয়ে গেল। আর এই মক্কার বাহিরের উত্তর আর মধ্য আরবের নানা যাযাবর বেদুইন গোত্রের সাথে মিত্রতা স্থাপন করল তারা। বিনিময়ে তাদের কাফেলার নিরাপত্তা বেদুইনরা দেবে স্থানগুলো দিয়ে যাবার সময়। একটা ছোট লভ্যাংশ তাদেরকে দিয়েও যেত কুরাইশ বণিকেরা, ফলে পুরো হেজাজ এলাকার নিয়ন্ত্রণ বলতে গেলে কুরাইশদের হাতেই ছিল। একসময়ের প্রায় গরিব কুরাইশ তখন কাঁচা পয়সা পেয়ে প্রচণ্ড ধনী। বিশেষ করে উমাইয়া গোত্র ছিল মারাত্মক ধনী। গোত্রেই ছিলেন হযরত উসমান (রা)

 

ধনী হওয়াতে উমাইয়া গোত্র সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ছিল বটে, কিন্তু হজের দায়িত্ব দেখভাল করত বনু হাশিম বা হাশিম গোত্র এজন্য তাদের জন্য ছিল আলাদা শ্রদ্ধা। গোত্রেই ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব। এই তো, আমরা আবার ফিরে এলাম আব্দুল মুত্তালিবের কাছে।

 

আব্দুল মুত্তালিবের স্বপ্নে জমজম কূপ আবিস্কার:

কাবা চত্বরে শুয়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নে জমজম কূপের অবস্থানের সন্ধান পান তিনি একদিন। তিনি ছেলে হারিসকে নিয়ে সেখানে খনন করতে গেলেন। কূপের মুখে পাথর দেখে তিনিআল্লাহু আকবারবলে চিৎকার করে উঠলেন। কুরাইশরা তখন জড়ো হলো। তারা বলতে শুরু করল, তো আমাদের পূর্বপুরুষ ইসমাইলের কুয়া। আমাদেরও এতে অধিকার আছে খনন করবার। কিন্তু আব্দুল মুত্তালিব বললেন যে, তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, তাই দায়িত্বটা তার একারই।


বাকি নেতারা বলল, তারা সকলে আব্দুল মুত্তালিবের উপর নাখোশ হবেন।

তাদের চিন্তাটা এরকম ছিল যে, যদি আব্দুল মুত্তালিব একা এই পবিত্র কুয়ার আবিষ্কারক হন তবে বনু হাশিম অনেক সম্মান পেয়ে যাবে, এটা অন্য গোত্রদের জন্য অপমানজনক।

তখন আব্দুল মুত্তালিব বললেন, “ঠিক আছে। আমরা তবে একজন সালিশকারীর সাহায্য নেই।

 

সালিসের জন্য জ্বিন উপসিকার কাছে গমন ও নিজের কবর নিজেই খুঁড়ার কাহিনী:

নেতারা জানালো, সিরিয়ার কাছে সাদ হুযাইম গোত্রের একজন জ্বিন উপাসিকা আছেন, উনি নাকি জ্বিনদের সাহায্যে ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। আরবে তখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এরকম জ্বিন উপাসিকা। কোনো এক অদ্ভুত কারণে জ্বিন-‘উপাসককম ছিল। বেশিরভাগই ছিল মহিলা।

আব্দুল মুত্তালিব তখন নিজের গোত্রের কয়েকজন আর বাকি প্রত্যেক গোত্র থেকে কিছু মানুষ নিয়ে রওনা দিলেন সেই মহিলার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারা যখন হেজাজ আর সিরিয়ার মাঝের এক জনশূন্য এলাকায় পৌঁছালেন তখন তাদের পানি শেষ হয়ে গেল।তাদেরবলতে আব্দুল মুত্তালিবের গোত্রের মানুষের। তারা অন্য গোত্রের কাছে পানি চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করল। বলল, এটা আব্দুল মুত্তালিবেরই দোষ যে, তারা এই মরুর বুকে ধুঁকে মরছে।

এক ফোঁটা পানি না পেয়ে আব্দুল মুত্তালিব মৃত্যুকেই বেছে নিলেন। তিনি সবাইকে বললেন নিজেদের কবর খুঁড়তে। এতে করে শেষ বেঁচে থাকা লোকটিকে কষ্ট করে বাকিদের কবর দিতে হবে না। নিজেদের কবরে নিজেরাই মরতে পারবে। কিন্তু কবরে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই আব্দুল মুত্তালিবের ধারণা পালটে গেল।

তিনি হঠাৎ উঠে সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা সকলে আবার উট নিয়ে রওনা দেবেন। আল্লাহ্ নিশ্চয়ই কিছু ব্যবস্থা করবেন। দূর থেকে বাকি গোত্র-সদস্যরা দেখতে থাকলেন তিনি কী করেন।

অবিশ্বাস্য ব্যাপার, আব্দুল মুত্তালিবের উট হঠাৎ এক জায়গায় পা দিতেই খুড়ের আঘাতে সেখান থেকে পানি বেরুতে লাগলো! সকলেআল্লাহ্ মহানচিৎকার করে উঠলেন। তখন বাকি গোত্রের সকলে মেনে নিলেন যে আব্দুল মুত্তালিবই একমাত্র জমজম কূপের আবিস্কারক হবার যোগ্য। সেই তখন থেকেই আর কখনো তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেনি কেউ। তিনি উমাইয়া না হয়েও ছিলেন মক্কার নেতা, হাশিম গোত্রের সদস্য।

 

আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্দুল্লাহকে কুরবানী করার মানত:

তো আমরা কথা বলছিলাম তাঁর সন্তানদের নিয়ে, মূলত ছেলেদের নিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে কর্মঠ, সুদর্শন আর সবার প্রিয় ছিল তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ অনেক মেয়েই তাই বিয়ে করতে চাইত আব্দুল্লাহকে। কিন্তু তিনি বাবার অমতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাতেন।

আব্দুল মুত্তালিবের অনেকদিন ধরে কেবল একটাই ছেলে ছিল, হারেস। ইবনে হিশামের বই থেকে আমরা জানতে পারি যে, সেই কূপের ঘটনার পর তিনি মানত করেন যে, তাঁর যদি ১০ জন পুত্র সন্তান হয়, আর তাঁরা সকলে প্রাপ্তবয়স্ক হন তবে তাদের একজনকে তিনি কুরবানি দেবেন। উল্লেখ্য, তাঁর প্রিয়তম পুত্র ছিলেন আব্দুল্লাহ।

একদিন সবাইকে কাবার কাছে আব্দুল মুত্তালিব ডেকে পাঠালেন। তাঁর সন্তানেরা যখন বাবার ওয়াদার কথা শুনল তখন, তাঁরা রাজি হয়ে গেল তাদের মাঝে একজন কুরবান হবার জন্য। তখন আব্দুল মুত্তালিব বললেন, “প্রত্যেকে একটি করে কাঠের তীর নাও। ওটার উপর নিজের নাম লিখে আমার কাছে আসো।


সেটা করবার পর তাদের নিয়ে আব্দুল মুত্তালিব গেলেন হুবাল দেবতা কাছে। কাবার এক কুয়ার উপর সেটার মূর্তি ছিল। হুবাল দেবতার কাছেই লটারির ব্যাপারগুলো মীমাংসা করা হতো। লটারি আর ভবিষ্যৎকথনের দেবতা ছিলেন হুবাল।

যে লোকটি লটারি পরিচালনা করত তার হাতে সবগুলো তীর দেয়া হলো। এরপর লোকটি সেগুলো শাফল করল। ওদিকে কাবা প্রাঙ্গণে হুবালের মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব, যেন ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ বেঁচে যায়। তাঁর নাম না ওঠে। কিন্তু লটারিতে নাম এলো আব্দুল্লাহর। তখন তিনি ছুরি নিয়ে দেবতা ইসাফ আর নাইলাহ এর কাছে উৎসর্গ করতে নিলেন আবদুল্লাহকে।

ছুরি উঠাতেই বড় ছেলে হারেস এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে সরিয়ে দিলেন। সবাই যখন শুনল, তখন এসে আব্দুল মুত্তালিবকে বাধা দিতে লাগল। কেউই চাইত না, আব্দুল্লাহ কুরবান হন। কারণ সবাই ছিল আব্দুল্লাহর প্রতি মুগ্ধ। বোনেরা ভাইয়ের কুরবানির কথা শুনে কেঁদে উঠল। আর কোন কোন ভাই তো বলেই বসলেন, “আব্দুল্লাহর জায়গায় আমাকে কুরবানি করুন। তবু তাঁকে করবেন না!” অনেক বড় বড় সর্দার বললেন, “এভাবে সন্তান কুরবান করা শুরু করলে দেখা যাবে সবার ঘরেই এরকম মানব বলি প্রথা শুরু হয়ে গেছে। বাদ দিন এসব। আমরা টাকা দেব দরকার হলে মানতের ক্ষতিপূরণ হিসেবে।

 

আব্দুল্লাহকে কুরবানী করা থেকে বাঁচাতে আবার জ্বি উপসিকার কাছে গমণঃ

সকলে তাঁকে উপদেশ দিল এক জ্বিন-উপাসিকার কাছে যেতে, যদি উনি বলেন কুরবান করতেই হবে তবে সকলে মেনে নিবে। সেই বিখ্যাত জিন উপাসিকার বাড়ি ছিল ইয়াসরিব বা মদিনাতে। কিন্তু ওখানে তাঁকে পাওয়া গেল না। তিনি নাকি গিয়েছেন খায়বারে। তখন তাঁরা খায়বারেই গেলেন। সেখানে গিয়ে আব্দুল মুত্তালিব তাঁকে খুঁজে পেলেন।

ঘটনা খুলে বলবার পর মহিলা বললেন পরদিন আসতে, তাঁর কাছে জ্বিন এসে জানাবে উত্তর। পরদিন, মহিলা উত্তর দিলেন, “তোমাদের মাঝে ক্ষতিপূরণ কত রক্তের বিনিময়ে?”

তাঁরা বললেন, “দশটি উট।

তখন তিনি বললেন, “ফিরে গিয়ে আবার লটারি কর। যতবার আব্দুল্লাহর নাম উঠতে থাকবে ততবার ১০টি করে উট কুরবান করতে থাকবে।

আব্দুল মুত্তালিব মক্কায় ফিরলেন।

এরপর লটারির ব্যবস্থা করলেন। লটারি করা হয় আজলান তীরের দ্বারা। অনুষ্ঠিত হয় কাবার ভিতরে।

প্রথম বারেই উঠল আব্দুল্লাহর নাম।

২য় বারেও উঠল আব্দুল্লাহর নাম।

৩য় বারেও।

এভাবে একাদশ বারে গিয়ে দেখা গেল উঠেছে রক্তের ক্ষতিপূরণ।

তাই আব্দুল মুত্তালিব ১০x১০=১০০টি উট কুরবানি দিলেন আর মানতমুক্ত হলেন।

 

নিশ্চিত হবার জন্য আরো তিনবার তিনি তীর ছোঁড়েন এবং তিনবারই ক্ষতিপূরণ ওঠে। তিনি আরো ত্রিশটি উট কুরবানি দিলেন। কুরবানি করা উটগুলো ওখানেই ফেলে আসলেন সবাই, যে কেউ সেই মাংস খেতে পারত। আব্দুল্লাহর বংশে আরও এক পূর্বপুরুষ কুরবানি থেকে রক্ষা পান। তিনি ছিলেন হযরত ইসমাইল () তাঁর পরিবর্তে কুরবানি হয় একটা দুম্বা। কুরবানির ঘটনাটির একটু ভিন্ন বিবরণও আছে। তবে সেটাতে আমরা না গেলাম, অন্য বিবরণে একজন ইহুদি আলেমের উল্লেখ আছে।



★★সমাপ্ত★★

 

সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url