আব্দুল্লাহর প্রেমে পাগল রুকিইয়া, আব্দুল্লাহর বিয়ে ও মৃত্যু এবং তৎকালীন আরবের পৌত্বলিকতা
মরুর বুকে ফুটলো যে ফুল
আব্দুল্লাহর বিয়ে
আব্দুল্লাহর বয়স যখন ২৪ বছর, তখন সুরা ফিলের (আব্রাহার) ঘটনা ঘটে। সে বছরের শুরুতেই আব্দুল মুত্তালিব ছেলের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। তিনি সম্ভ্রান্ত জুহরাহ গোত্রের ওয়াহব এর মেয়ে আমিনাকে পছন্দ করলেন পুত্রবধূ হিসেবে।
আব্দুল মুত্তালিব ছেলেকে নিয়ে কাফেলা সহ রওনা হলেন জুহরাহ গোত্রের এলাকায় যাবার জন্য।
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে আব্দুল্লাহর প্রেমে পড়ে রুকিইয়া:
বলা হয়, যাওয়ার পথে কাফেলা এক জায়গায় থামে। সেখানে আব্দুল্লাহকে দেখে আসাদ গোত্রের ওয়ারাকা ইবনে নাওফেলের বোন। আব্দুল্লাহকে দেখে তাঁর মধ্যে কামনা জেগে উঠে। অসংখ্যবার অনুরোধ করে তাঁকে, যেন আব্দুল্লাহ তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু রাজি হন না আব্দুল্লাহ, পিতার কথা বলে এড়িয়ে যান। তখন সেই মেয়ে তাঁকে ১০০ উট উপহার দেয়ার কথা বলে, তারপরও যেন তাকে বিয়ে করে। কিন্তু আব্দুল্লাহ প্রত্যাখ্যান করেন। নিরুপায় হয়ে, সে অনুরোধ করে, অন্তত একবারের জন্য হলেও যেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন আব্দুল্লাহ। এবং এক্ষেত্রেও প্রত্যাখ্যাত হয় সে।
কাফেলা আবার রওনা হল আর তারা যথাসময়ে জুহরাহ-দের এলাকায় পৌঁছালেন।
বিয়ে হয়ে গেল আমিনা আর আব্দুল্লাহর। আমিনার বয়স তখন ১৪।
বর্ণিত আছে, একইসাথে আব্দুল মুত্তালিব নিজেও আমিনার এক চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন, যার নাম ছিল হালাহ। অবশ্য, তখনকার আরব সমাজে এটাতে অবাক হবার মতো কিছুই ছিল না। হালাহ এর গর্ভে জন্ম নেন হামজা (রা)। এজন্যই চাচা হামজার বয়স মুহাম্মাদ (স)
এর এত কাছাকাছি। কোনো কোনো জায়গায় বলা আছে যে, হামজা (রা) মুহাম্মাদ (সা) এর চেয়ে চার বছরের বড়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কারণ ইবনে সায়িদ বলেছেন, নির্ভরযোগ্য হাদিস মতে, হামজা (রা) আর মুহাম্মাদ (সা) দুজনকে একইসাথে সুয়ায়বা ধাত্রী লালন করেন।
আরব রীতি অনুযায়ী, তিন দিন শ্বশুরবারিতে থাকলেন আব্দুল্লাহ। এরপর কাফেলা ফিরতি যাত্রা শুরু করল। পথে আবার সেই মেয়ের সাথে দেখা হল আব্দুল্লাহর। কিন্তু, অবাক ব্যাপার, এবার আর মেয়ের মধ্যে সেই ব্যাকুলতা দেখা গেল না। আব্দুল্লাহ এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, “কী ব্যাপার?”
সেই মেয়ে উত্তর দিল, “এখন আর তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই।”
এখানে বলে রাখা ভাল, এ মেয়ের ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফেল ছিলেন খুবই বিদ্বান। ওয়ারাকাই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি নিশ্চিত করেন যে, হযরত মুহাম্মাদ (স)
একজন নবী। খ্রিস্টান ওয়ারাকা তাওরাত আর ইঞ্জিল এর উপর ছিলেন বিশেষ দক্ষ। তাই মুহাম্মাদ (স)
এর আগমন বিষয়ে জানাটা তাঁর জন্য কঠিন কিছু ছিল না। ওয়ারাকাই নিশ্চিত করেন, যিনি ওহী নিয়ে এসেছেন ইনি আসলে শয়তান না, বরং জিবরাঈল (আ)। ওয়ারাকাই ভবিষ্যৎবাণী করেন, মক্কাবাসীরা মুহাম্মাদ (সা)-কে বের করে দেবে।
সেই মেয়েটার নাম ছিল রুকিইয়া বিনতে নাওফেল,
অন্য এক বর্ণনায় কুতাইলা। তাঁর অতিরিক্ত আগ্রহের কারণ রহস্যের আড়ালেই আছে। কোনো কোনো জায়গায় আব্দুল্লাহর ললাটে আলোর কথা লেখা আছে, যদিও ইবনে হিশামের গ্রন্থে এটা নেই।
ভাই ওয়ারাকা ছিলেন খ্রিস্টান। কিন্তু বোন রুকিইয়া ছিলেন জিন-উপাসিকা বা জিন-ভক্ত।
সমগ্র আরবে তখন পৌত্বলিকতার ছড়াছড়ি:
লাত দেবীর মূর্তি |
গোত্রভিত্তিক প্রধান দেবতার ব্যাপার নিয়ে কিছুটা জানা দরকার। একেক অঞ্চল একেক দেবতাকে প্রাধান্য দিত। কারোরই এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না যে, আল্লাহ্ হলেন স্রষ্টা। তিনি সবার উপরে। সর্বময় ক্ষমতার মালিক। কিন্তু, তাঁরা একই সাথে অন্য দেবদেবীতেও বিশ্বাস রাখত। তাদের মতে, ছোটোখাটো কাজগুলো দেখভাল করতেন এই দেবদেবীরাই। যেমন মক্কার দেব দেবী অমুক হলে তায়েফের দেবদেবী তমুক। সকল গোত্রই বিশ্বাস করত, আল-লাত, উজ্জাহ ও মানাত নামের তিন দেবী নাকি আল্লাহ্র কন্যা (নাউজুবিল্লাহ)! লাত দেবীকে কোনো কোনো অঞ্চলে আবার তাঁর স্ত্রীও ভাবা হতো (নাউজুবিল্লাহ)!! এ দেবীরা কিন্তু পুরোপুরি আরবীয় আবিষ্কার নয়। বিদেশি দেবীদের প্রভাবে তাদের চরিত্র তাঁরা বানিয়ে নিয়েছিল। যেমন, সুমেরীয় দেবী আশেরাহ আর আসিরাত থেকে আল-লাত দেবী, মেসোপটেমিয়ান দেবী ইশ্তার থেকে দেবী উজ্জাহ, আর গ্রিক দেবী নেমেসিস থেকে কোনোভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে আসে দেবী মানাত।
লাত ওজ্জার তিন কন্যা |
তবে কাবার ৩৬০ দেবদেবীর মাঝে প্রধান ছিল দেবতা হুবাল (هبل)। ইবনে ইসহাক বলেন, হুবালের মূর্তি যখন কুরাইশরা পেয়েছিল তখন তার এক হাত ভাঙা ছিল। তখন তাঁরা সেই হাত সোনা দিয়ে তৈরি করে দেয়।
আরেকজন জনপ্রিয় দেবতা ছিল সূর্যদেবতা ‘মানাফ’ (مناف)। ঋতুবতী নারীদের জন্য এই দেবতার কাছে ঘেঁষা ছিল নিষেধ। ‘আব্দে মানাফ’ বা ‘মানাফের দাস’ নামটা মক্কায় বেশ জনপ্রিয় ছিল। হযরত মুহাম্মাদ (সা)
এর নিজের কোনো প্রপিতামহের নামই ছিল আব্দে মানাফ।
আব্দুল মুত্তালিবের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে মতভেদ:
এমন ধারণা প্রচলিত আছে যে, আব্দুল মুত্তালিব দেবদেবীর পূজা করতেন না। একেশ্বর ছিলেন। আল্লাহ্ ভালো জানেন। তবে, নবীজীর (সা) প্রথম বিশ্বস্ত এবং প্রামাণ্য মূল জীবনীগুলো (যেমন ইবনে হিশাম) এ ধারণার বিরোধিতা করে। ছেলে আব্দুল্লাহকে কুরবানি দেয়ার যে মানত করেছিলেন সেটা তিনি আল্লাহ্র কাছে করেন নি, করেছিলেন দেবতা হুবালের কাছে। আরো জানা যায়, ইসাফ আর নায়িলাহ ছিল দুজন জিনপূজারী। মক্কার তৎকালীন এক জনপ্রিয় লোককাহিনী মতে, ওরা দুজন কাবার ভিতরেই যৌনমিলনে আবদ্ধ হয়। শাস্তি হিসেবে দেবতারা তাদেরকে পাথর বানিয়ে দেয়। ঐ পাথরদুটো রাখা হয় জমজম কূপের উপর। জমজম কূপের খননকারী ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব। বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন এ দুই পাথরের মূর্তির উপাসক, কিন্তু কোনো অভিশপ্ত যুগল কেন উপাস্য হবে সেটা বোধগম্য নয়। দেবতাদের পাশাপাশি জিন উপাসনাতে যে তাঁর ভক্তি ছিল সেটা সবার জানা ছিল, এজন্য প্রায়ই তিনি জ্বিন-উপাসিকার পরামর্শ নিতে যেতেন। অবশ্য এটা প্রায় আরবের সকলের মাঝেই দেখা যেত। জ্বিন উপাসনা বলতে আসলে বোঝানো হয় মূল দেবতাদের পাশাপাশি অতিপ্রাকৃত জ্বিনকে খুশি করে তাদের থেকে তথ্য উদ্ঘাটন করা।
রুকিইয়া মেয়েটির কথা লেখা হলো একটু আগে। সে কিন্তু অজানা অচেনা কেউ নয়। রুকিকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন আব্দুল মুত্তালিব। মেয়েটি একজন জিন উপাসিকা বা জিন ভক্ত ছিলেন। এজন্য আগে থেকেই পরিচয় ছিল।
আমিনা ছিলেন মক্কার জিন উপাসিকা বা জিন ভক্ত সোদা বিনতে জেহরার ভাতিজি। এমনটা হতে পারে যে, বিশ্বাসের দিক থেকে পরিচিত থাকার কারণে এ পরিবারে বিয়ে দেন আব্দুল মুত্তালিব।
অবশ্য নিচের দুটো বিশুদ্ধ হাদিস তৎকালীন আরবের সর্বজনীন পৌত্তলিকতা প্রমাণ করে দেয়।
হাদিস অনুসারে মা আমিনা ও বাবা আব্দুল্লাহ দু,জনই জাহান্নামে:
সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা) এর বর্ণনায়- একবার, মুলায়কার দুই ছেলে মুহাম্মাদ (স) এর কাছে আসলো। এসে বলল, “আমাদের মা স্বামীকে শ্রদ্ধা করতেন আর সন্তানদের আদর করতেন [অতিথি নিয়েও কিছু বলল]… কিন্তু, তিনি জাহিলিয়ার সময় এক অনাথ কন্যাকে জীবিত দাফন করেন।” মুহাম্মাদ (স) বললেন, “তোমার মা দোযখে।” তারা ঘুরে চলে গেল। তাদের চেহারায় বেদনার স্পষ্ট ছাপ। মুহাম্মাদ (স) তাদেরকে আবার ডাকলেন। ওরা ফিরে আসল। তাদের চেহারায় খুশির ছাপ। ওরা আশা করছে, এবার হয়ত নবীজী (স) ভাল কোন সংবাদ দেবেন তাদের মা সম্পর্কে। [কিন্তু] মুহাম্মাদ (স) বললেন, “আমার মা তোমাদের মায়ের সাথেই [দোযখে]।”
{মুসনাদ আহমাদ, ৩৫৯৮ নং হাদিস}
কথাটা বলতে তাঁর খুব খারাপ লাগছিল না?
# আরেকটি ঘটনা, হযরত আনাস (রা) এর বর্ণনায়- এক লোক রাসুল (স) এর কাছে এল আর জিজ্ঞেস করল, “আমার বাবা কোথায়?” রাসুল (স) বললেন, “দোযখে।” লোকটি (কষ্ট পেয়ে) ফিরে যেতে লাগল। তখন মুহাম্মাদ (স) তাঁকে ডাকলেন আর বললেন, “আমি সত্যি কথা বলছি, আমার বাবা আর তোমার বাবা দুজনই দোযখে।” {সহিহ মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-০৩৯৮}
ইব্রাহীম (আ) এর পিতার জাহান্নামবাসী হওয়া নিয়েও ইসলামে কথা আছে। নবী হয়েও পৌত্তলিক মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা নিষেধ ছিল। হয়ত মৃত বাবা মা-র কথা তাঁকে কষ্ট দিত বলেই তিনি খুব একটা নিজের পিতামাতার কথা বলতেন না। আসলেই হাদিস শরীফে নবী (সা) বাবা-মাকে নিয়ে হাদিস বিরল। মুসলিম শরিফের হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা) বলেন, “আমি আল্লাহ্র কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম আমার মাকে মাফ করে দেবার দোয়া করবার জন্য, কিন্তু তিনি দেননি। এরপর আমি তাঁর কবর জিয়ারতের অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন।”
নবী (সা:) এর পিতা মাতা সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য শেখানো হয়:
উপমহাদেশীয় বইগুলোতে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই এই ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়া হয়, যেন পাঠকগণ গ্রহণ করতেই পারবেন না। পরবর্তীতে আমরা মূল বইয়ের সাথে বাংলা বইয়ের পার্থক্য সচিত্রভাবে দেখাবো, যেখানে কিছু লাইন স্বেচ্ছায় বাদ দেয়া হয়েছে! নবীর পিতামাতার পৌত্তলিক পরিচয় ঢাকবার জন্য পরবর্তীতে এরকম কাহিনীও প্রচলন করা হয় যে, মুহাম্মাদ (সা) ক্ষমতাবলে নাকি তাঁর বাবা-মাকে জীবিত করে ফেলেন, এবং এরপর তাঁর উপর ঈমান আনেন (অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণ করেন) তাঁর পিতামাতা। তারপর তিনি আবার তাদের মৃত করে কবরে পাঠিয়ে দেন। এ কাহিনী এক সময় এতই জনপ্রিয় হয় যে এমনকি সুয়ুতি পর্যন্ত এটাতে বিশ্বাস করে ফেলেন, অবশ্য পরে আলেমগণ তাঁর এ বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত করেছেন। তবে, এখনো এই ধারণায় বিশ্বাস রাখা মানুষের অভাব নেই।
আব্দুল্লাহর মৃত্যু:
আচ্ছা যা-ই হোক, নবদম্পতি আমিনা আর আব্দুল্লাহ মক্কায় ফিরে এলেন। কিন্তু, শীঘ্রই সিরিয়া আর ফিলিস্তিনে ব্যবসার ডাক পড়ল আব্দুল্লাহর। আব্দুল্লাহ যখন চলে গেলেন, তখন আমিনা গর্ভবতী।
আব্দুল্লাহ বেশ কয়েক মাস ফিলিস্তিনের গাজায় থাকলেন। এরপর আবার নিজ দেশে ফেরা শুরু করলেন। কাছাকাছি আসার পর তাঁর ইচ্ছে হল মামার বাড়ি মদিনাতে কিছুদিন থেকে যাবার। সেটাই করলেন তিনি।
এরপর যখন যাবার সময় হয়ে এলো, তখন তিনি একটা মক্কাগামী কাফেলা ঠিক করলেন, তাদের সাথে তিনি মক্কায় ফিরে যাবেন। প্রস্তুতি যখন সব সম্পন্ন তখনই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাই মদিনায় রয়ে গেলেন। কাফেলা তাঁকে ছেড়েই চলে গেল মক্কায়।
পরে যখন মক্কায় খবর পৌঁছালো, তখন আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল মুত্তালিব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। তিনি সাথে সাথে তাঁর বড় ছেলে হারেসকে মদিনায় রওনা করিয়ে দিলেন যেন আব্দুল্লাহ যখন মক্কায় ফিরবেন সুস্থ হয়ে, তখন হারিস তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেন, দেখে রাখতে পারেন।
কিন্তু মদিনায় পৌঁছেই হারেস শুনলেন, তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ আগেই মারা গেছেন। যে কাফেলাতে করে মক্কায় যাবার কথা ছিল আব্দুল্লাহর, সেটা মদিনা ত্যাগ করার এক মাস পরেই মারা যান আব্দুল্লাহ। সেখানেই কবর হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ২৫ বছর।
নিচে যে কবরস্থানের ছবি দেখা যাচ্ছে, এখানেই আছে হযরত মুহাম্মাদ (স) এর বাবা আব্দুল্লাহর কবর। এটাই জান্নাতুল বাকী।
এই কবর স্থানেই শায়িত আছেন নবী (সা:) এর পিতা আব্দুল্লাহ |
এ বিখ্যাত কবরস্থানে আরও অনেক সাহাবী বা সাহাবার কবর আছে। আছে খাদিজা (রা)
বাদে হযরত মুহাম্মাদ (সা)
এর অন্যান্য স্ত্রীর কবর, তাঁর ছেলে ইব্রাহিমের কবর এবং সম্ভবত মেয়ে ফাতিমা তুজ জোহরা (রা) ও দুধমাতা হালিমার কবরও।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url