বালা-মুসিবত কেন আসে
মানুষের জীবনে বালা-মুসিবত কেন আসে
হযরত হুসাইন (রহ.) বলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে
বান্দার কাছে যে বালা-মুসিবত আসে তা বান্দার জন্য ক্ষমার ওসীলা ও আখেরাতের আজাব
থেকে বাচার কারণ ।
হযরত সুহাইল তাসতুরী (রহ.) বলেন, আল্লাহর পক্ষ
থেকে যদি বালা-মুসিবত না থাকত। তাহলে বান্দার জন্য আল্লাহ মুখী হওয়ার কোন রাস্তাই
থাকত না।
আবু সাইদ খাররায (রহ.) বলেন, বালা-মুসিবত হল
আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রিয় বান্দার জন্য হাদিয়া এবং এটা আল্ল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার
অন্যতম মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার গোপন সিকল। যা দ্বারা তিনি তাঁর নিকটে
পৌঁছার জন্য নাড়া দিয়ে ইশারা করেন।
হযরত যুন্নুন (রহ.) বলেন, সর্বোত্তম ধৈর্যশীল ঐ
ব্যক্তি যে তাঁর বালা মুসিবতের কষ্ট গোপন রাখতে পারে এবং কারো কাছে তা প্রকাশ
করেনা।
হযরত রুওয়াইম (রহ.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর
বান্দাকে বালা-মুসিবত দ্বারা একটা ধাক্কা দেন। আর সে ধাক্কা খেয়ে হিম-সিম খেয়ে
যায়। কিন্তু যদি সে ধৈর্য ধারণ করতে পারে আর আল্লাহর দরবারে টিকে থাকতে পারে।
তাহলে আল্লাহর সাথে তাঁর মিলনের মহান নিয়ামত হাসিল হয়।
হযরত আবু ইয়াকুব নহরপুরী (রহ.) বলেন, মানুষ
বালা-মুসিবত দূর করার জন্য দু'য়া করে এবং বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার আশা করে। আর
আল্ল্লাহর প্রিয় বান্দারা বালা-মুসিবতে এক ধরণের স্বাদ পেতে থাকেন, তা দূর হওয়ার
আশাও কখনো করেন না।
হযরত জুনায়েদ (রহ.) বলেন, আরেফীন অর্থাৎ পীর-মুরীদী
লাইনে মেহনত করে আল্লাহর প্রেমের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত ব্যক্তিদের জন্য
বালা-মুসিবত আলো স্বরূপ এবং প্রাথমিক পর্যায়ের মুরীদদের জন্য তা সর্তকবাণী, আর
গাফেলদের জন্য তা ধ্বংসের বস্তু।
হযরত ইবনে আতা (রহ.) বলেন, কে নেক্কার ও কে
বদ্কার তা বালা মুসিবত এবং সুখ শান্তির সময় বুঝা যায়। সুখ শান্তির সময় যে অহংকার ও
মাতলামী করে, নিয়ামতের শুক্রিয়া আদায় করা থেকে দুরে থাকে এবং বালা মুসিবতের সময়
অধৈর্য হয়ে হায় হুতাশ শুরু করে সেই হলো মিথ্যুক ও বদ্কার।
হযরত আলি ইবনে বুন্দার (রহ.) বলেন, এই দুনিয়া হল
বালা মুসিবত ও কষ্ট-ক্লেশের একটি ঘর স্বরূপ। সুতরাং বালা-মুসিবত ও কষ্ট ছাড়া এ
দুনিয়ায় থাকা সম্ভব নয়।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url