তুমি নামাজ পড়োনি কেন?




তুমি নামাজ পড়োনি কেন?


তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= অসুস্থ তাই!

তুমি কি হযরত আইয়ুব (আঃ) এর চেয়েও অসুস্থ? হযরত আইয়ুব (আঃ) এতটাই অসুস্থ্য ছিলেন যে, তার শরীরের মাংস পঁচে গলে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। তাঁর শরীরে ছোট বড় অসংখ্য পোকারা বসতী গড়েছিল। অশেষ যন্ত্রনায় কাতর ছিলেন তিনি। তবুও মহুর্তের জন্যও আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় ও নামাজ থেকে গাফেল হননি। এই কাহিনী কি আমার মাওলা তোমাকে কুরআন পাকের মাধ্যমে জানান নি?

 

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= দায়িত্ব পালনের কারণে! প্রচুর কাজ ছিল।

তোমার কি হযরত সুলাইমান (আঃ) চেয়েও বড় রাজত্ব নাকি? আল্লাহ পাকের নবী হযরত সুলাইমান (আঃ) সৃষ্টির সকল জীবের বাদশা ছিলেন। তাবৎ মানব ও জীন জাতিসহ একটা পিঁপড়াও তাঁর রাজত্বের বাইরে ছিল না। অথচ তিনি এক মহুর্তের জন্য আল্লাহ পাকের হুকুম পালন থেকে বিরত থাকেন নি। আমার আল্লাহ কি পবিত্র কুরআন পাকের মাধ্যমে তোমাকে সুলাইমান (আঃ) এর কাহিনী জানান নি? অথচ তুমি দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নামাজ পরতে পারনি!

 

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= স্বামীর অত্যাচারের কারণে!

তোমার স্বামী কি বিবি আছিয়া স্বামী ফেরআউন এর চেয়েও বেশী অত্যাচারী? আহ! বিবি আছিয়া পৃথিবীর কুখ্যাত স্বামী ফিরআউনের সংসারে থেকেও আল্লাহকে এক মহুর্তের জন্যও ভুলেননি। যখন ফিরআউন জানতে পারলো তার প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে খোদা মানে না তখন কি অত্যাচারই না করেছিল। সেই মহুর্তেও বিবি আছিয়া আমার সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ভুলে যাননি। তিনি কাতর স্বরে আল্লাহর কাছে ফিরআউনের হাত থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন। অতপর আল্লাহ তাঁকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিলেন। বিবি আছিয়ার এই কাহিনী কি আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন পবিত্র কুরআনে তোমার জন্য বর্ণনা করেননি।

 

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= সাংসারিক কাজকর্মের কারণে!

তুমি কি মা ফাতেমার চেয়েও বেশী সংসারী? যিনি কি না পর্যাপ্ত কাপড়ের অভাবে রোগ শয্যায় পড়েও প্রিয়তম বাবা প্রাণের নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে পর্যন্ত সাক্ষাৎ দিতে চাননি। দু,জাহানের বাদশার মেয়ে আল্লাহ যাকে খাতুনে জান্নাত উপাধী দিয়েছিলেন, সেই মা ফাতেমা নিজ হাতে গমের আটা করতে গিয়ে তাঁর হাতে ফুঁসকা পড়ে যেত। আহ, সেই মা ফাতেমার কাহিনী কি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিসে তুমি পড়ো নি? তিনি কি কখনও আমার রবের নামাজ থেকে এক মহুর্তের জন্যও শিথিলতা দেখিয়েছিলেন?

 

তুমি কি ভেবেছ যে, তোমাকে মরতে হবে না? তুমিতো মৃত্যুর কাতারেই দাঁড়িয়ে আছো। কাল যখন আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে চলে যাবে, তখন এসব অজুহাত কি কোন কাজে আসবে তোমার?

 

না! নামাজ না পরার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো অজুহাত চলবে না।

সমুদ্রে হাবুডুবু খেলেও তখন ওয়াক্ত হলে নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ প্রতিটা শ্বাস প্রশ্বাস এর জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ঋণী! আল্লাহর জমিনের প্রতি ইঞ্চি জমি মু’মীনের জন্য সালাতের জায়গা। যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন দয়াকরে নামাজ পড়ে নিন। 

 

বিনা কারণে এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা করলে লক্ষ লক্ষ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি শাস্তি হতে পারে? একবার ভাবো......

 

দুনিয়ার আগুনের চেয়ে ৭০গুন তেজোদৃপ্ত জাহান্নামের আগুন থেকে যদি বাঁচতে চাও, নামাজে কখনো অবহেলা করোনা।

 

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন #আমীন। ছুম্মা আমিন।।

লেখাটি পড়া হলে, আপনার ভাই আপনার বোনের জন্য শেয়ার করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।।

 

 No matter what language you are a reader of, you can choose your language from over a hundred languages at the bottom right of our web site. May Allah help us.



****************************************

>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url