বিশ্ববিখ্যাত কারী আব্দুল বাসিতের সাথে কুরআন পড়ুন || সূরা আত-তাকভীর || কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ ||


সূরা আত-তাকভীর

কারী শেখ আব্দুল বাসিত আব্দুস সামাদ

বিস্ময়কর সুন্দর তেলাওয়াত
আল কুরআন শুনুন এবং কণ্ঠ মিলিয়ে পড়ুন
সহী ভাবে কুরআন তেলাওয়াতের চমৎকার সুযোগ

সূরা আত-তাকভীর‌ এর পরিচয়, শানে নুযুল, নামকরণ, নাযিলের সময়কাল এবং সূরা সূরা আত-তাকভীর‌ এর আলোচ্য বিষয়

সূরা আত-তাকভীর‌ এর পরিচয়

সূরা আত-তাকভীর‌ (التكوير) আল কুরআনের ৮১ তম সূরা। এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ২৯টি, এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ ১ টি। সূরা আত-তাকভীর‌ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

সূরা আত-তাকভীর‌ এর নামকরণ

এই সূরাটির প্রথম আয়াতের كُوِرَتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে। 'তাকভীর' (تَكْوِيْر) হচ্ছে মূল শব্দ; এর অতীতকাল হিসাবে ব্যবহৃত্ হয় 'কুওভিরাত' (كُوِرَتْ) শব্দটি, যার অর্থ গুটিয়ে ফেলা। এই নামকরণের অর্থ হচ্ছে , এটি সেই সূরা যার মধ্যে গুটিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে।

সূরা আত-তাকভীর‌ নাযিলের সময়কাল

বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে পরিস্কারভাবে জানা যায় , এটি মক্কা মু’আযযমার প্রথম যুগের নাযিল হওয়া সূরাগুলোর অন্তর্ভুক্ত।

সূরা আত-তাকভীর‌ এর আলোচ্য বিষয়

এই সূরার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে দু’টি : আখেরাত ও রিসালাত।

প্রথম ছ’টি আয়াতে কিয়ামতের প্রথম পর্বের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে : যখন সূর্য আলোহীন হয়ে পড়বে। তারকারা স্থানচ্যুত হয়ে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হবে । পাহাড়গুলো পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে উৎপাদিত হয়ে শূন্যে উড়তে থাকবে। মানুষ তাদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসের কথা ভুলে যাবে। বনের পশুরা আতংকিত ও দিশেহারা হয়ে সব এক জায়গায় জড়ো হয়ে যাবে। সমুদ্র স্ফীত হবে ও জ্বলে উঠবে। পরবর্তী সাতটি আয়াতে কিয়ামতের দ্বিতীয় পর্বের উল্লেখ করে বলা হয়েছে : যখন রূহগুলোকে আবার নতুন করে শরীরের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হবে। আমলনামা খুলে দেয়া হবে। অপরাধের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আকাশের সমস্ত পরদা সরে যাবে। এবং জান্নাত – জাহান্নাম ইত্যাদি সব জিনিসই চোখের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে । আখেরাতের এই ধরনের একটি পুরোপুরি ছবি আঁকার পর একথা বলে মানুষকে চিন্তা করার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে যে , সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি কি পাথেয় সংগ্রহ করে এনেছে তা সে নিজেই জানতে পারবে।
এরপর রিসালাত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে মক্কাবাসীদেরকে বলা হয়েছে , মুহাম্ম্‌দ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের সামনে যা কিছু পেশ করছেন সেগুলো কোন পাগলের প্রলাপ নয়। কোন শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও বিভ্রান্তিও নয় । বরং সেগুলো আল্লাহর প্রেরিত একজন উন্নত মর্যাদা সম্পন্ন বুযর্গ ও বিশ্বস্ত বাণীবাহকের বিবৃতি , যাঁকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উন্মুক্ত আকাশের দিগন্তে দিনের উজ্জ্বল আলোয় নিজের চোখে দেখেছেন । এই শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তোমরা কোন দিকে চলে যাচ্ছো?


*******************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে ফেইসবুকে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url