বিষয় ভিত্তিক হাদিস || যাকাত, ফিতরা ও সাদকা বিষয়ক ১০০টি হাদিস ||




সাদকা গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়


পর্ব - ৩ এর হাদিসগুলোর আলোচ্য বিষয়সমূহ-
 ২১   সম্পদ জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহ তোমা থেকে তা আটকে রাখবেন। কাজেই সাধ্যানুসারে দান করতে থাক।

সাধ্যানুসারে সাদকা করা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৩৪

باب الصَّدَقَةِ فِيمَا اسْتَطَاعَ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ لاَ تُوعِي فَيُوعِيَ اللَّهُ عَلَيْكِ، ارْضَخِي مَا اسْتَطَعْتِ ‏"‏‏.‏

১৩৫১  আবূ ‘আসিম (রহঃ) ও মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুর রাহীম (রহঃ) ... আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিত হলে তিনি তাঁকে বললেনঃ তুমি সম্পদ জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহ তোমা থেকে তা আটকে রাখবেন। কাজেই সাধ্যানুসারে দান করতে থাক।



 ২২    মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর সালাত (নামায/নামাজ), সাদকা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মিটিয়ে দেবে।

সাদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয় 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৩৫

باب الصَّدَقَةُ تُكَفِّرُ الْخَطِيئَةَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْفِتْنَةِ قَالَ قُلْتُ أَنَا أَحْفَظُهُ كَمَا قَالَ‏.‏ قَالَ إِنَّكَ عَلَيْهِ لَجَرِيءٌ فَكَيْفَ قَالَ قُلْتُ فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالْمَعْرُوفُ‏.‏ قَالَ سُلَيْمَانُ قَدْ كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ، وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ‏"‏‏.‏ قَالَ لَيْسَ هَذِهِ أُرِيدُ، وَلَكِنِّي أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لَيْسَ عَلَيْكَ بِهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَأْسٌ، بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا باب مُغْلَقٌ‏.‏ قَالَ فَيُكْسَرُ الْبَابُ أَوْ يُفْتَحُ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لاَ‏.‏ بَلْ يُكْسَرُ‏.‏ قَالَ فَإِنَّهُ إِذَا كُسِرَ لَمْ يُغْلَقْ أَبَدًا‏.‏ قَالَ قُلْتُ أَجَلْ‏.‏ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَهُ مَنِ الْبَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ‏.‏ قَالَ فَسَأَلَهُ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَعَلِمَ عُمَرُ مَنْ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ غَدٍ لَيْلَةً، وَذَلِكَ أَنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ‏.‏

১৩৫২  কুতায়বা (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ফিতনা সম্পর্কিত হাদীস স্মরণ রেখেছ? হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি আরয করলাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে বলেছেন, আমি ঠিক সে ভাবেই তা স্মরণ রেখেছি। ‘উমর (রাঃ) বললেন, তুমি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে] বড় দুঃসাহসী ছিলে, তিনি কিভাবে বলেছেন (বলত)? তিনি বলেন, আমি বললাম, (হাদীসটি হলঃ) মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর সালাত (নামায/নামাজ), সাদকা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মিটিয়ে দেবে।

সুলায়মান [অর্থাৎ ‘আমাশ (রহঃ)] বলেন, আবূ ওয়াইল কোন কোন সময় صلاة (সালাত) صدقة (সাদকা) এরপর معروف (সৎকাজ শব্দের স্থলে)الامر بالمعروف والنهى عن المنكر (সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ) বলতেন। ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমি এধরনের ফিতনার কথা জানতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের ন্যায় প্রবল বেগে ছুটে আসবে।

হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন আশংকা নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বদ্ধ দরজা রয়েছে। ‘উমর (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেওয়া হবে না কি খুলে দেওয়া হবে? হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, না, বরং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন।

আবূ ওয়াইল (রাঃ) বলেন, দরজা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? এ কথা হুযায়ফা (রাঃ) এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমরা কেউ সাহসী হলামনা। তাই প্রশ্ন করতে মাশরূককে অনুরোধ করলাম। মাশরূক (রহঃ) হুযায়ফা (রাঃ) কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেনঃ দরজা হলেন ‘উমর (রাঃ)। আমরা বললাম আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ্য করেছেন, ‘উমর (রাঃ) কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন)। এর কারণ হল, আমি তাঁকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিল না।


 ২৩   মালিকের আদেশে ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত খাদিমের সাদকা করার সওয়াব।

সাদকার সওয়াব সবাই পাবেন 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৩৭

باب أَجْرِ الْخَادِمِ إِذَا تَصَدَّقَ بِأَمْرِ صَاحِبِهِ غَيْرَ مُفْسِدٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا تَصَدَّقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ طَعَامِ زَوْجِهَا غَيْرَ مُفْسِدَةٍ كَانَ لَهَا أَجْرُهَا، وَلِزَوْجِهَا بِمَا كَسَبَ، وَلِلْخَازِنِ مِثْلُ ذَلِكَ ‏"‏‏.‏

১৩৫৪  কুতায়বা ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্ত্রী তার স্বামীর খাদ্য সামগ্রী থেকে বিপর্যয়ের উদ্দেশ্য ব্যতীত সাদকা করলে সে সাদকা করার সওয়াব পাবে, উপার্জন করার কারণে স্বামীও এর সওয়াব পাবে এবং খাজাঞ্চীও অনুরূপ সওয়াব পাবে।


 ২৪   ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত স্ত্রী তার স্বামীর ঘর থেকে কিছু সাদকা করলে বা কাউকে আহার করালে স্ত্রী এর সওয়াব পাবে।

সাদকার সওয়াব স্ত্রী এবং খাজাঞ্চীও পাবেন 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪০

باب أَجْرِ الْمَرْأَةِ إِذَا تَصَدَّقَتْ أَوْ أَطْعَمَتْ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا غَيْرَ مُفْسِدَةٍ
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَعْنِي إِذَا تَصَدَّقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا‏.‏
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا أَطْعَمَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا غَيْرَ مُفْسِدَةٍ، لَهَا أَجْرُهَا، وَلَهُ مِثْلُهُ، وَلِلْخَازِنِ مِثْلُ ذَلِكَ، لَهُ بِمَا اكْتَسَبَ، وَلَهَا بِمَا أَنْفَقَتْ ‏"‏‏.‏

১৩৫৬  আদম ও ‘উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ফাসাদের উদ্দেশ্য ব্যতীত স্ত্রী তার স্বামীর ঘর থেকে কাউকে কিছু সাদকা করলে বা আহার করালে স্ত্রী এর সওয়াব পাবে, স্বামীও সমপরিমাণ সওয়াব পাবে এবং খাজাঞ্চীও সেই পরিমাণ সওয়াব পাবে। স্বামী উপার্জন করার কারণে আর স্ত্রী দান করার কারণে সওয়াব পাবে।


 ২৫   মহান আল্লার বাণীঃ যে ব্যক্তি দান করে এবং তাকওয়া অবলম্বন (আল্লাহকে ভয়) করে এবং যা উত্তম তা গ্রহন করে আমি তার জন্য সহজ পথ সুগম করে দেব। আর যে ব্যাক্তি কার্পণ্য করে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে … (৯২: ৫-৮)। হে আল্লাহ তার দানে উত্তম প্রতিদান দিন।

দাতার দানের উত্তম প্রতিদান আর কৃপণের জন্য ধ্বংস 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪২

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى} اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقَ مَالٍ خَلَفًا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي مُزَرِّدٍ، عَنْ أَبِي الْحُبَابِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا ‏"‏‏.‏

১৩৫৮। ইসমা‘ঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিদিন সকালে দু’জন ফিরিশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধংস করে দিন।

 ২৬  
সাদকা দানকারী ও কৃপণের দৃষ্টান্ত 

বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৫৯
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪৩ - ১৪৪৪

باب مَثَلِ الْمُتَصَدِّقِ وَالْبَخِيلِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَثَلُ الْبَخِيلِ وَالْمُتَصَدِّقِ كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ، عَلَيْهِمَا جُبَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ ‏"‏‏.‏ وَحَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَثَلُ الْبَخِيلِ وَالْمُنْفِقِ كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ، عَلَيْهِمَا جُبَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ، مِنْ ثُدِيِّهِمَا إِلَى تَرَاقِيهِمَا، فَأَمَّا الْمُنْفِقُ فَلاَ يُنْفِقُ إِلاَّ سَبَغَتْ ـ أَوْ وَفَرَتْ ـ عَلَى جِلْدِهِ حَتَّى تُخْفِيَ بَنَانَهُ وَتَعْفُوَ أَثَرَهُ، وَأَمَّا الْبَخِيلُ فَلاَ يُرِيدُ أَنْ يُنْفِقَ شَيْئًا إِلاَّ لَزِقَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَكَانَهَا، فَهُوَ يُوَسِّعُهَا وَلاَ تَتَّسِعُ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ فِي الْجُبَّتَيْنِ‏.‏
وَقَالَ حَنْظَلَةُ عَنْ طَاوُسٍ، ‏"‏ جُنَّتَانِ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرٌ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزٍ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ جُنَّتَانِ ‏"‏‏.‏

১৩৫৯  মূসা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কৃপণ ও সাদকা দানকারীর দৃষ্টান্ত এমন দু’ব্যাক্তির মত যাদের পরিধানে দুটি লোহার বর্ম রয়েছে। অপর সনদে আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, কৃপণ ও সাদকা দানকারীর দৃষ্টান্ত এমন দু’ব্যাক্তির মত, যাদের পরিধানে দুটি লোহার বর্ম রয়েছে যা তাদের বুক থেকে কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত। দাতা ব্যাক্তি যখন দান করে তখন বর্মটি তার সম্পূর্ণ দেহ পর্যন্ত প্রশস্ত হয়ে যায়। এমনকি হাতের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে ও (পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুলন্ত বর্ম) পদচিহ্ন মুছে ফেলে। আর কৃপণ ব্যাক্তি যখন যৎসামান্যও দান করতে চায়, তখন যেন বর্মের প্রতিটি আংটা যথাস্থানে সেটে যায়, সে তা প্রশস্ত করতে চেষ্টা করলেও তা প্রশস্ত হয়না।

হসান ইবনু মুসলিম (রহঃ) তাউস (রহঃ) থেকে فِي الْجُبَّتَيْنِ ইবনু তাউস (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। আর হানযালা (রহঃ) তাউস (রহঃ) থেকেجُنَّتَانِ উল্লেখ করেছেন। লায়স (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেجُنَّتَانِ (ঢাল) শব্দের উল্লেখ রয়েছে।

 ২৭ প্রত্যেক মুসলিমের সাদকা করা উচিত। কারো নিকট সাদকা দেওয়ার মত কিছু না থাকলে সে যেন সৎকাজ করে।

প্রত্যেক মুসলিমের সাদকা করা উচিত 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৬০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪৫

بَابُ صَدَقَةِ الْكَسْبِ وَالتِّجَارَةِ
لِقَوْلِهِ تَعَالَى: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ) إِلَى قَوْلِهِ: (أَنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ)

উপার্জিত সম্পদ ও ব্যবসায়ের পণ্যের সাদকা। এ পর্যায়ে মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি থেকে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দেই, তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট, তা ব্যয় কর…. আল্লহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (২: ২৬৭)

باب عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيَعْمَلْ بِالْمَعْرُوفِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏ فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ قَالَ ‏"‏ يَعْمَلُ بِيَدِهِ فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ وَيَتَصَدَّقُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ قَالَ ‏"‏ يُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ ‏"‏‏.‏ قَالُوا فَإِنْ لَمْ يَجِدْ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلْيَعْمَلْ بِالْمَعْرُوفِ، وَلْيُمْسِكْ عَنِ الشَّرِّ فَإِنَّهَا لَهُ صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏

১৩৬০  মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের সাদকা করা উচিত। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া নবীয়াল্লাহ! কেউ যদি সাদকা দেওয়ার মত কিছু না পায়? (তিনি উত্তরে) বললেনঃ সে ব্যাক্তি নিজ হাতে কাজ করবে এতে নিজেও লাভবান হবে, সাদকাও করতে পারবে। তাঁরা বললেন যদি এরও সামর্থ্য না থাকে? তিনি বললেনঃ কোন বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করবে। তারা বললেনঃ যদি এতটুকুরও সামর্থ্য না থাকে? তিনি বললেনঃ এ অবস্থায় সে যেন নেক আমল করে এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকে। এটা তার জন্য সাদকা বলে গণ্য হবে।


 ২৮  

বকরী সাদকা 


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৬১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪৬

باب قَدْرُ كَمْ يُعْطَى مِنَ الزَّكَاةِ وَالصَّدَقَةِ وَمَنْ أَعْطَى شَاةً
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ بُعِثَ إِلَى نُسَيْبَةَ الأَنْصَارِيَّةِ بِشَاةٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ مِنْهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عِنْدَكُمْ شَىْءٌ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ لاَ إِلاَّ مَا أَرْسَلَتْ بِهِ نُسَيْبَةُ مِنْ تِلْكَ الشَّاةِ فَقَالَ ‏"‏ هَاتِ فَقَدْ بَلَغَتْ مَحِلَّهَا ‏"‏‏.‏

১৩৬১  আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) … ঊম্মে ‘আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নুসায়বা নাম্নী আনসারী মহিলার জন্য একটি বকরী (সাদকা স্বরূপ) পাঠানো হল। তিনি বকরীর কিছু অংশ ‘আয়িশা (রাঃ) কে (হাদিয়া স্বরূপ) পাঠিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কাছে (আহার্য) কিছু আছে কি? ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, নুসায়বা কতৃক প্রেরিত সেই বকরীর গোসত ব্যতীত আর কিছুই নেই। তখন তিনি বললেনঃ তাই নিয়ে এসো, কেননা বকরী (সা’দকা) যথাস্থানে পৌঁছে গেছে (সা’দকা গ্রহীতার নিকট)।


 ২৯  . উট, রূপা ও উৎপাদিত দ্রব্যের যাকাত।

যাকাতের পরিমাণ


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৬২
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪৭

باب زَكَاةِ الْوَرِقِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ مِنَ الإِبِلِ، وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ، وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏

১৩৬২  ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ যাওদ (পাঁচটি) উটের কম সংখ্যকের উপর যাকাত নেই, পাঁচ উকিয়া এর কম পরিমাণ রূপার উপর যাকাত নেই এবং পাঁচ ওয়াসক এর কম পরিমাণ উৎপন্ন দ্রব্যের উপর সা’দকা (উশর/ নিসফে উশর) নেই।


 ৩০    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পণ্য দ্রব্যের যাকাত সেই পণ্যের দ্বারাই আদায় করতে হবে এমন নির্দিষ্ট করে দেননি

পণ্যদ্রব্য দ্বারা যাকাত আদায় করা


বুখারী শরীফ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৩৬৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৪৪৮

وَقَالَ طَاوُسٌ قَالَ مُعَاذٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِأَهْلِ الْيَمَنِ ائْتُونِي بِعَرْضٍ ثِيَابٍ خَمِيصٍ أَوْ لَبِيسٍ فِي الصَّدَقَةِ مَكَانَ الشَّعِيرِ وَالذُّرَةِ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ وَخَيْرٌ لِأَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَّا خَالِدٌ فَقَدْ احْتَبَسَ أَدْرَاعَهُ وَأَعْتُدَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ فَلَمْ يَسْتَثْنِ صَدَقَةَ الْفَرْضِ مِنْ غَيْرِهَا فَجَعَلَتْ الْمَرْأَةُ تُلْقِي خُرْصَهَا وَسِخَابَهَا وَلَمْ يَخُصَّ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ مِنْ الْعُرُوضِ

তাউস (রহঃ) বলেন, মু‘আয (ইবনে জাবাল) (রাঃ) ইয়ামনবাসীদেরকে বললেন, তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে যাকাত স্বরূপ নিয়ে এস। ওটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদীনায় নবী (সাঃ) এর সাহাবীগণের জন্যও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এর ব্যাপার হলো এই যে, সে তার বর্ম ও যুদ্ধাস্ত্র আল্লাহর পথে ওয়াকফ করে দিয়েছে। (মহিলাদের লক্ষ্য করে) নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তোমাদের অলংকার থেকে হলেও সাদকা কর । [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন,] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পণ্য দ্রব্যের যাকাত সেই পণ্যের দ্বারাই আদায় করতে হবে এমন নির্দিষ্ট করে দেননি। তখন মহিলাগণ কানের দুল ও গলার হার খুলে দিতে আরম্ভ করলেন, [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন,] সোনা ও রূপার বিষয়টি পণাদ্রব্য থেকে পৃথক করেননি (বরং উভয় প্রকারেই যাকাত স্বরূপ গ্রহন করা হত)।

باب الْعَرْضِ فِي الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي ثُمَامَةُ، أَنَّ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ كَتَبَ لَهُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُهُ بِنْتَ مَخَاضٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ وَعِنْدَهُ بِنْتُ لَبُونٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ، وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ بِنْتُ مَخَاضٍ عَلَى وَجْهِهَا، وَعِنْدَهُ ابْنُ لَبُونٍ فَإِنَّهُ يُقْبَلُ مِنْهُ وَلَيْسَ مَعَهُ شَىْءٌ ‏"‏‏.‏

১৩৬৪  মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) আনাস (রাঃ) এর কাছে আল্লাহ তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যাকাত সম্পর্কে যে বিধান দিয়েছেন সে সম্পর্কে লিখে জানালেন, যে ব্যাক্তির উপর যাকাত হিসাবে বিনত্ মাখায (যে উটের বয়স এক বছর পূর্ণ হয়েছে) ওয়াজিব হয়েছে কিন্তু তার কাছে তা নেই বরং বিনত্ লাবূন (যে উটের বয়স দু’বছর পূর্ণ হয়েছে) রয়েছে, তা হলে তা-ই গ্রহন করা হবে। এমতাবস্থায় আদায়কারীর যাকাত দাতাকে কিছু দিতে হবে না।




***********************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url