ঈদের দিনের আমল || ঈদের দিনের ১৩টি সুন্নত || ঈদ বিষয়ক ২৪টি সহীহ হাদিস ||







ঈদের দিনের ১৩টি সুন্নত এবং ঈদ বিষয়ক ২৪টি সহীহ হাদিস



ঈদ মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব ও আনন্দের দিন। শুধু আনন্দের বললে ভুল হবে মুসলিমদের ঈদের দিন একটি পবিত্র ও ইবাদতের দিন। এদিন শুধু উৎসবের নয়। আনন্দের পাশাপাশি ইবাদতটাই মূখ্য এ দিনে। ঈদের দিন মুসলিমদের জন্য রয়েছে ১৩ টি সুন্নত। জেনে নিন বিষয়গুলো।

ঈদের দিনের ১৩টি সুন্নত 

১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। [বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬]
২. মিসওয়াক করা। [তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮]
৩. গোসল করা। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫]
৪. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮]
৫. সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং -৭৫৬০]
৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০]
৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩]
১০. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮]
১১. যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬]
১২. পায়ে হেটে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩]
১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবেন। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫]

আসুন এবার বিষয়ক ২৪টি সহীহ হাদিস জেনে নেই।

ঈদ বিষয়ক ২৪টি সহীহ হাদিস 

 ০১ 

 দুই ঈদ ও এতে সুন্দর পোশাক পরা 


সহীহ বুখারী
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯০১
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৪৮

باب فِي الْعِيدَيْنِ وَالتَّجَمُّلِ فِيهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ عُمَرُ جُبَّةً مِنْ إِسْتَبْرَقٍ تُبَاعُ فِي السُّوقِ، فَأَخَذَهَا فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْتَعْ هَذِهِ تَجَمَّلْ بِهَا لِلْعِيدِ وَالْوُفُودِ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ‏"‏‏.‏ فَلَبِثَ عُمَرُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَلْبَثَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجُبَّةِ دِيبَاجٍ، فَأَقْبَلَ بِهَا عُمَرُ، فَأَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قُلْتَ ‏"‏ إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ‏"‏‏.‏ وَأَرْسَلْتَ إِلَىَّ بِهَذِهِ الْجُبَّةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَبِيعُهَا أَوْ تُصِيبُ بِهَا حَاجَتَكَ ‏"‏‏.‏

 ৯০১  আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বাজারে বিক্রি হচ্ছিল এমন একটি রেশমী জুব্বা নিয়ে উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এটি কিনে নিন। ঈদের সময় এবং প্রতিনিধি দলের সংগে সাক্ষাতকালে এটি দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করবেন। তথন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটি তো তার পোষাক, যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নেই। এ ঘটনার পর উমর (রাঃ) আল্লাহর যত দিন ইচ্ছা ততদিন অতিবহিত করলেন।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট একটি রেশমী জুব্বা পাঠালেন, উমর (রাঃ) তা গ্রহন করেন এবং সেটি নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো বলেছিলেন, এটা তার পোষাক যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নাই। অথচ আপনি এ জু্ব্বা আমার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি এটি বিক্রি করে দাও এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থে তোমার প্রয়োজন মিটাও।

 ০২ 

মুসলিমগণের প্রতি উভয় ঈদের রীতিনীতি 


সহীহ বুখারী
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯০৩,
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৫১


باب سُنَّةِ الْعِيدَيْنِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ

حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي زُبَيْدٌ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ مِنْ يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ، ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا ‏"‏‏.‏
 ৯০৩  হাজ্জাজ (ইবনু মিনহাল) (রহঃ) ... বারাআ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবা ‍দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমাদের আজকের এ দিনে আমরা যে কাজ প্রথম শুরু করব, তা হল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। এরপর ফিরে আসব এবং কুরবানী করব। তাই যে এরূপ করে সে আমাদের রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করল।

 ০৩ 

ঈদুল ফিতরের দিন বের হওয়ার আগে আহার করা


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯০৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৫৩

باب الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْخُرُوجِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ‏.‏ وَقَالَ مُرَجَّى بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا‏.‏

 ৯০৫  মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) খেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক রিওয়াতে আনাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তা বেজোড় সংখ্যক খেতেন।

 ০৪ 

মিম্বর না নিয়ে ঈদগহে গমন 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯০৮
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৫৬

باب الْخُرُوجِ إِلَى الْمُصَلَّى بِغَيْرِ مِنْبَرٍ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدٌ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَىْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ، وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ، فَيَعِظُهُمْ وَيُوصِيهِمْ وَيَأْمُرُهُمْ، فَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَىْءٍ أَمَرَ بِهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ وَهْوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فِي أَضْحًى أَوْ فِطْرٍ، فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمُصَلَّى إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوَانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَجَبَذْتُ بِثَوْبِهِ فَجَبَذَنِي فَارْتَفَعَ، فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلاَةِ، فَقُلْتُ لَهُ غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ‏.‏ فَقَالَ أَبَا سَعِيدٍ، قَدْ ذَهَبَ مَا تَعْلَمُ‏.‏ فَقُلْتُ مَا أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لاَ أَعْلَمُ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلاَةِ فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلاَةِ‏.‏

 ৯০৮  সায়ীদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে গমন করে সেখানে তিনি প্রথম যে কাজ শুরু করতেন তা হল সালাত (নামায/নামাজ)। আর সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তারা তাঁদের কাতারে বসে থাকতেন। তিনি তাদের নসীহত করতেন, উপদেশ দিতেন এবং নির্দেশ দান করতেন। যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করতেন, তবে তাদের আলাদা করে নিতেন। অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করার ইচ্ছা করতেন তবে তা জারি করতেন। তারপর তিনি ফিরে যেতেন।

আবূ সায়ীদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা বরাবর এই নিয়ম অনুসরন করে আসছিল। অবশেষে যখন মারওয়ান মদিনার আমীর হলেন, তখন ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের উদ্দেশ্যে আমি তার সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন ঈদগাহে পৌছলাম তখন সেখানে একটি মিম্বর দেখতে পেলাম, সেটি কাসীর ইবনু সালত (রাঃ) তৈরী করেছিলেন। মারওয়ান সালাত আদায়ের আগেই এর উপর আরোহণ করতে উদ্যত হলেন। আমি তার কাপড় টেনে ধরলাম। কিন্তু কাপড় ছাড়িয়ে খুতবা দিলেন।

আমি তাকে বললাম, আল্লাহর কসম! তোমরা (রাসুলের সুন্নাত) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বলল, হে আবূ সায়ীদ! তোমরা যা জানতে, তা গত হয়ে গিয়েছে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যা জানি, তা তার চেয়ে ভাল, যা আমি জানিনা। সে তখন বলল, লোকজন সালাতের পর আমাদের জন্য বসে থাকে না, তাই আমি খুতবা সালাতের আগেই দিয়েছি।

 ০৫ 

পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের নামাজ আদায় করা 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯১০
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৫৮ - ৯৬১

باب الْمَشْىِ وَالرُّكُوبِ إِلَى الْعِيدِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ الْفِطْرِ، فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ‏.‏ قَالَ وَأَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي أَوَّلِ مَا بُويِعَ لَهُ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ بِالصَّلاَةِ يَوْمَ الْفِطْرِ، إِنَّمَا الْخُطْبَةُ بَعْدَ الصَّلاَةِ‏.‏ وَأَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ لَمْ يَكُنْ يُؤَذَّنُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَلاَ يَوْمَ الأَضْحَى‏.‏ وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ بَعْدُ، فَلَّمَا فَرَغَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ فَأَتَى النِّسَاءَ، فَذَكَّرَهُنَّ وَهْوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى يَدِ بِلاَلٍ، وَبِلاَلٌ بَاسِطٌ ثَوْبَهُ، يُلْقِي فِيهِ النِّسَاءُ صَدَقَةً‏.‏ قُلْتُ لِعَطَاءٍ أَتَرَى حَقًّا عَلَى الإِمَامِ الآنَ أَنْ يَأْتِيَ النِّسَاءَ فَيُذَكِّرَهُنَّ حِينَ يَفْرُغُ قَالَ إِنَّ ذَلِكَ لَحَقٌّ عَلَيْهِمْ، وَمَا لَهُمْ أَنْ لاَ يَفْعَلُوا

 ৯১০  ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন বের হতেন। এরপর খুতবার আগে সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করেন। রাবী বলেন, আমাকে আতা (রহঃ) বলেছেন যে, ইবনু যুবায়র (রাঃ) এর বায়’আত গ্রহনের প্রথম দিকে আব্বাস (রাঃ) এ বলে লোক পাঠালেন যে, ঈদুল ফিতরের সালাতে আযান দেওয়া হত না এবং খুতবা দেওয়া হতো সালাতের পরে। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে প্রথমে সালাত আদায় করলেন এবং পরে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন।

যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা শেষ করলেন, তিনি (মিম্বর থেকে) নেমে মহিলাগণের (কাতারে) আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাঃ) এর হাতে ভর করেছিলেন এবং বিলাল (রাঃ) তার কাপড় জড়িয়ে ধরলে, মহিলাগণ এতে সাদাকার বস্তু দিতে লাগলেন। আমি আতা (রহঃ) কে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি এখনো যরুরী মনে করেন যে, ইমাম খুতবা শেষ করে মহিলাগনের নিকট এসে তাদের নসীহত করবেন? তিনি বললেন, নিশ্চয় তা তাদের জন্য অবশ্যই যরুরী। তাদের কি হয়েছে যে, তারা তা করবে না?
হাদিস নংঃ ৯৫৮, ৯৫৯, ৯৬০ ও ৯৬১

 ০৬ 

ঈদের সালাতের পর খুতবা


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯১৩
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৬৪

باب الْخُطْبَةِ بَعْدَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى يَوْمَ الْفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ، لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا، ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ، فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ، فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ، تُلْقِي الْمَرْأَةُ خُرْصَهَا وَسِخَابَهَا‏.‏

 ৯১৩  সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরে দু' রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এর আগে ও পরে কোন সালাত আদায় করেননি। তারপর বিলাল (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে মহিলাগনের কাছে এলেন এবং সাদাকা প্রদানের জন্য তাদের নির্দেশ দিলেন। তখন তারা দিতে লাগলেন। কেউ দিলেন আংটি, আবার কেউ দিলেন গলার হার।

 ০৭ 

ঈদের সালাতের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯১৭
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৬৮

باب التَّبْكِيرِ إِلَى الْعِيدِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ قَالَ ‏"‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا، وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ عَجَّلَهُ لأَهْلِهِ، لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَىْءٍ ‏"‏‏.‏ فَقَامَ خَالِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أُصَلِّيَ وَعِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اجْعَلْهَا مَكَانَهَا ـ أَوْ قَالَ اذْبَحْهَا ـ وَلَنْ تَجْزِيَ جَذَعَةٌ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ ‏"‏‏.‏

 ৯১৭  সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) … বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতেন। তিনি বলেন, আজাকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। তারপর ফিরে এসে কুরবানী করা। যে ব্যাক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নিয়ম পালন করল। যে ব্যাক্তি সালাতের আগেই যবেহ করবে, তা শুধু গোশতের জন্যই হবে, যা সে পরিবারের জন্য তাড়াতাড়ি করে ফেলেছে। কুরবানীর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তখন আমার মামা আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সালাতের আগেই যবেহ করে ফেলেছি। তবে এখন আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা ‘মুসিন্না’[1] মেষের চাইতেও উত্তম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার স্থলে এটিই কুরবানী করে নাও। অথবা তিনি বললেনঃ এটিই যবেহ কর। তবে তুমি ব্যতীত আর কারো জন্যই মেষশাবক যথেষ্ঠ হবে না।
১. মুসিন্না অর্থ যার বয়স এক বছর পুরে দ্বিতীয় বছরে পড়েছে।

وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ إِنْ كُنَّا فَرَغْنَا فِي هَذِهِ السَّاعَةِ، وَذَلِكَ حِينَ التَّسْبِيحِ

আবদুল্লাহ ইবন বুসর (রাঃ) বলেছেন, আমরা চাশতের সালাতের সময় ঈদের সালাত সমাপ্ত করতাম।

 ০৮ 

বালকদের ঈদগাহে গমন


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯২৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৭৫

باب خُرُوجِ الصِّبْيَانِ إِلَى الْمُصَلَّى
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فِطْرٍ أَوْ أَضْحَى، فَصَلَّى ثُمَّ خَطَبَ، ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ، وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ‏.‏

 ৯২৪  আমর ইবনু আব্বাস (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ঈদুল ফিতর বা আযহার দিন বের হলাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর খুতবা দিলেন। তারপর মহিলাগণের কাছে গিয়ে তাদের উপদেশ দিলেন, তাদের নসীহত করলেন এবং তাদেরকে সাদকা দানের নির্দেশ দিলেন।

 ০৯ 

ঈদের দিন বাড়ি ফিরার সময় ভিন্ন পথে আসা 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯৩৪
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৮৬

باب مَنْ خَالَفَ الطَّرِيقَ إِذَا رَجَعَ يَوْمَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ‏.‏ تَابَعَهُ يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ فُلَيْحٍ‏.‏ وَحَدِيثُ جَابِرٍ أَصَحُّ‏.‏

 ৯৩৪  মুহাম্মদ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার সময়) ভিন্ন পথে আসতেন।

ইউনুস ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আবূ তুমাইলা ইয়াহইয়া (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। তবে জাবির (রাঃ) থেকে হাদীসটি অধিকতর সহীহ।

 ১০ 

ঈদের সালাত না পেলে একা দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯৩৫
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৮৭ - ৯৮৮

باب إِذَا فَاتَهُ الْعِيدُ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ فِي أَيَّامِ مِنًى تُدَفِّفَانِ وَتَضْرِبَانِ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَغَشٍّ بِثَوْبِهِ، فَانْتَهَرَهُمَا أَبُو بَكْرٍ فَكَشَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ وَجْهِهِ فَقَالَ ‏"‏ دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ فَإِنَّهَا أَيَّامُ عِيدٍ ‏"‏‏.‏ وَتِلْكَ الأَيَّامُ أَيَّامُ مِنًى‏.‏ وَقَالَتْ عَائِشَةُ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي، وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ وَهُمْ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ، فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دَعْهُمْ، أَمْنًا بَنِي أَرْفِدَةَ ‏"‏‏.‏ يَعْنِي مِنَ الأَمْنِ‏.‏

 ৯৩৫  ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আবূ বকর (রাঃ) তার নিকট এলেন। এ সময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তার নিকট দু’টি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) মেয়ে দুটিকে ধমক দিলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখমন্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! ওদের বাধা দিও না। কেননা, এসব ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিল মিন‍ার দিন।

আয়িশা (রাঃ) আরো বলেছেন, হাবশীরাা যখন মসজিদে (এর প্রাঙ্গনে) খেলাধুলা করছিল, তখন আমি তাদের দেখছিলাম এবং আমি দেখছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আড়াল করে রেখেছেন। উমর (রাঃ) হাবশীদের ধমক দিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওদের ধমক দিও না। হে বণু আরফিদা! তোমরা যা করছিলে তা নিশ্চিন্তে কর।

وَكَذَلِكَ النِّسَاءُ، وَمَنْ كَانَ فِي الْبُيُوتِ وَالْقُرَى لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذَا عِيدُنَا أَهْلَ الإِسْلاَمِ». وَأَمَرَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ مَوْلاَهُمُ ابْنَ أَبِي عُتْبَةَ بِالزَّاوِيَةِ، فَجَمَعَ أَهْلَهُ وَبَنِيهِ، وَصَلَّى كَصَلاَةِ أَهْلِ الْمِصْرِ وَتَكْبِيرِهِمْ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ أَهْلُ السَّوَادِ يَجْتَمِعُونَ فِي الْعِيدِ يُصَلُّونَ رَكْعَتَيْنِ كَمَا يَصْنَعُ الإِمَامُ. وَقَالَ عَطَاءٌ إِذَا فَاتَهُ الْعِيدُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ

মহিলা এবং যারা বাড়ী ও পল্লীতে অবস্থান করে তারাও এরূপ করবে। কেননা, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ হলো আমাদের ঈদ। আর আনাস ইবন মালিক (রাঃ) যাবিয়া নামক স্থানে তার আযাদকৃত গোলাম ইবন আবু উতবাকে এ আদেশ করেছিলেন। তাই তিনি তার পরিবারবর্গ ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে শহরের অধিবাসীদের ন্যায় তাকবীরসহ সালাত আদায় করেন এবং ইকরিমা (রহঃ) বলেছেন, গ্রামের অধিবাসীরা ঈদের দিন সমবেত হয়ে ইমামের ন্যায় দু’রাকা’য়াত সালাত আদায় করবে। আতা (রহঃ) বলেন, যখন কারো ঈদের সালাত ছুটে যায় তখন সে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে।

 ১১ 

ঈদের সালাতের পুর্বে ও পরে কোন সালাত নাই 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৯৩৬
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৯৮৯

باب الصَّلاَةِ قَبْلَ الْعِيدِ وَبَعْدَهَا
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ الْفِطْرِ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا وَمَعَهُ بِلاَلٌ‏.‏

 ৯৩৬  আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ) কে সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দু’রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তিনি এর আগে ও পরে কোন সালাত আদায় করেননি।

وَقَالَ أَبُو الْمُعَلَّى سَمِعْتُ سَعِيدًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَرِهَ الصَّلاَةَ قَبْلَ الْعِيدِ

আবু মু’আল্লা (রহঃ) বলেন, আমি সায়ীদ (রাঃ)-কে ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বলতে শুনেছি যে, তিনি ঈদের পূর্বে সালাত আদায় করা মাকরূহ মনে করতেন।

 ১২ 

প্রভাতে ঈদের পূর্বে আহার গ্রহণের নির্দেশ

মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং  ৪২০ 

بَاب الْأَمْرِ بِالْأَكْلِ قَبْلَ الْغُدُوِّ فِي الْعِيدِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يُؤْمَرُونَ بِالْأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْغُدُوِّ قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ فِي الْأَضْحَى

 ৪২০  ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) তাহাকে অবগত করিয়াছেন যে, (তাহাদের যুগে) ঈদুল ফিতরের দিন লোকজন সকালে ঈদে যাওয়ার পূর্বে কিছু আহার করার জন্য নির্দেশিত হইত।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ঈদুল আযহাতে (কুরবানীর ঈদে) লোকের জন্য আমি ইহা প্রয়োজন মনে করি না।

 ১৩ 

উভয় ঈদের সালাতে রাসুলুল্লাহ (সা:) কোন সূরাহ পাঠ করতেন 

সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৫৭১

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَيَوْمِ الْجُمُعَةِ بِـ ‏(‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏)‏ وَ(‏ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ‏)‏ وَرُبَّمَا اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَيَقْرَأُ بِهِمَا ‏.‏

 ১৫৭১   কুতায়বা (রহঃ) ... নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় ঈদ এবং জুমুয়ার সালাতে “সাব্বি হিসমা রাব্বিকাল আলা” এবং “হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়া” পাঠ করতেন। কখনো কখনো ঈদ এবং জুমুআ একই দিনে হয়ে যেত। তখনও তিনি উপরোক্ত সূরা দু'টি তিলাওয়াত করতেন।

 ১৪ 

ইমামের খুৎবায় সদাকার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা 

সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৫৮২

باب حَثِّ الإِمَامِ عَلَى الصَّدَقَةِ فِي الْخُطْبَةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عِيَاضٌ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْعِيدِ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَخْطُبُ فَيَأْمُرُ بِالصَّدَقَةِ فَيَكُونُ أَكْثَرَ مَنْ يَتَصَدَّقُ النِّسَاءُ فَإِنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ أَوْ أَرَادَ أَنْ يَبْعَثَ بَعْثًا تَكَلَّمَ وَإِلاَّ رَجَعَ ‏.‏

 ১৫৮২   আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে বের হতেন এবং দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর খুৎবা দিতেন আর সাদকার আদেশ করতেন, অধিকাংশ সাদকারিণী হত মহিলা। যদি তার কোন প্রয়োজন হত অথবা কোথাও কোন সৈন্য বাহিনী প্রেরণের প্রয়োজন দেখা দিত, তাহলে তিনি কথা বলতেন, অন্যথায় ফিরে যেতেন।
[সহীহ। বুখারী ও মুসলিম]

 ১৫ 

ঈদের দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ ফূর্তি করা


সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৫৯৬

باب ضَرْبِ الدُّفِّ يَوْمَ الْعِيدِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ تَضْرِبَانِ بِدُفَّيْنِ فَانْتَهَرَهُمَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ دَعْهُنَّ فَإِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا ‏"‏ ‏.‏

 ১৫৯৬   কুতায়বা ইবনু সাইদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দিন তার কাছে গেলেন। তখন তাঁর সামনে দুইটি বালিকা দফ বাজাচ্ছিল। আবূ বকর (রাঃ) তাদের নিষেধ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদের নিষেধ করো না। কেননা প্রত্যেক জাতির জন্যই একটি আনন্দ স্ফূর্তির দিন থাকে।
[সহীহ। বুখারী ৯৮৭, ৩৯৩১, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৯৪০]

 ১৬ 

ঈদের দিনে ইমামের সম্মুখে খেলাধূলা করা


সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৫৯৭

باب اللَّعِبِ بَيْنَ يَدَىِ الإِمَامِ يَوْمَ الْعِيدِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَ السُّودَانُ يَلْعَبُونَ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ عِيدٍ فَدَعَانِي فَكُنْتُ أَطَّلِعُ إِلَيْهِمْ مِنْ فَوْقِ عَاتِقِهِ فَمَا زِلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِمْ حَتَّى كُنْتُ أَنَا الَّتِي انْصَرَفْتُ ‏.‏

 ১৫৯৭   মুহাম্মাদ ইবনু আদম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কয়েকজন হাবশী এসে ঈদের দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে খেলাধুলা করতে লাগল। তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাঁধের দিয়ে তাদের দিকে দেখতে লাগলাম। আমি তাদের দিকে নিজে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত দেখতেই ছিলাম।
[সহীহ। আদাবুয যিফাফ ১৬৩-১৬৯, বুখারী ৯৫০, ৫১৯০, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৯৪১, ১৯৪২]

 ১৭ 

ঈদের দিনে মসজিদে খেলাধূলা করা এবং মহিলাদের সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া 


সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৫৯৮

باب اللَّعِبِ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمَ الْعِيدِ وَنَظَرِ النِّسَاءِ إِلَى ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ يَلْعَبُونَ فِي الْمَسْجِدِ حَتَّى أَكُونَ أَنَا أَسْأَمُ فَاقْدُرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْحَدِيثَةِ السِّنِّ الْحَرِيصَةِ عَلَى اللَّهْوِ ‏.‏

 ১৫৯৮   আলী ইবনু খাশরাম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি তিনি আমাকে তার চাঁদর দ্বারা ঢেকে রাখতেন যখন আমি হাবশীদের (নিগ্রো) দিকে নিজে ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত দেখতে থাকতাম। তারা মসজিদে খেলাধূলা করত। এখন তোমরা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে খেলাধূলায় আগ্রহী অল্প বয়স্কা বালিকাদের কতটুকু মর্যাদা ছিল তা আন্দাজ করতে পারো।

 ১৮ 

ঈদের দিন কবিতা শ্রবণ এবং দফ্‌ বাজানোর অনুমতি


সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ১৬০০

باب الرُّخْصَةِ فِي الاِسْتِمَاعِ إِلَى الْغِنَاءِ وَضَرْبِ الدُّفِّ يَوْمَ الْعِيدِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ تَضْرِبَانِ بِالدُّفِّ وَتُغَنِّيَانِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسَجًّى بِثَوْبِهِ - وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى مُتَسَجٍّ ثَوْبَهُ - فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ فَقَالَ ‏ "‏ دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّهَا أَيَّامُ عِيدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَهُنَّ أَيَّامُ مِنًى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ بِالْمَدِينَةِ ‏.‏

 ১৬০০   আহমাদ ইবনু হাফস (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) তাকে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) একবার তাঁর কাছে গেলেন, তখন তার কাছে বালিকা দফ বাজাচ্ছিল এবং উচ্চস্বরে কবিতা আবৃত্তি করছিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাপড় মুড়ি দিয়ে ছিলেন। আর একবার বর্ণনা করেছেন, কাপড়ে আবৃত ছিলেন। তিনি আপন চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! তাদের ছেড়ে দাও আর তা ছিল ঈদুল আযহার দিন। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সে দিন মদীনায়।
[সহীহ। বুখারী ও মুসলিম]

 ১৯ 

ঈদের দিন ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া 

সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ৫৩০

باب مَا جَاءَ فِي الْمَشْىِ يَوْمَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَخْرُجَ، إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَأَنْ تَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَأَنْ يَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ لِصَلاَةِ الْفِطْرِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُسْتَحَبُّ أَنْ لاَ يَرْكَبَ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ ‏.‏

 ৫৩০   ইসমাঈল ইবনু মূসা আল-ফাযারী (রহঃ) ..... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সুন্নাত হ’ল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং ঈদুল ফিতরে বের হওয়ার আগে কিছু খেয়ে নেওয়া। - ইবনু মাজাহ ১২৯৪-১২৯৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন : এই হাদীসটি হাসান। অধিকাংশ আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া এবং উযর ছাড়া কোন বাহনে আরোহণ না করা পছন্দনীয় বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।

 ২০ 

সালাতুল ঈদের কিরআত 


সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ৫৩৩

باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَفِي الْجُمُعَةِ بِـ ‏(‏ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ‏)‏ وَ ‏(‏هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ‏)‏ وَرُبَّمَا اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَيَقْرَأُ بِهِمَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمِسْعَرٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏ وَأَمَّا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ فَيُخْتَلَفُ عَلَيْهِ فِي الرِّوَايَةِ يُرْوَى عَنْهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لِحَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ رِوَايَةً عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَحَبِيبُ بْنُ سَالِمٍ هُوَ مَوْلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَرَوَى عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَحَادِيثَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ نَحْوُ رِوَايَةِ هَؤُلاَءِ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ بِـ ‏(‏اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ ‏)‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ ‏.‏

 ৫৩৩   কুতায়বা (রহঃ) ...... নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদ ও জুম্মার সালাতে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى এবং هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ তিলাওয়াত করতেন। অনেক সময় ঈদ ও জুমুআহ একই দিনে ঘটত, তখনও তিনি ঐ দুই সূরাই তিলাওয়াত করতেন। - ইবনু মাজাহ ১১১৯, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ ওয়াকিদ, সামুরা ইবনু জুন্দুব ও ইবনু আববা্স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফইয়ান সাওরী এবং মিসআর (রহঃ) ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল মুনতাশির (রহঃ) থেকেও আবূ আওয়ানা (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতের (৫৩ নং) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু উআয়না (রহঃ) থেকে রিওয়ায়াতের ব্যাপারে বিভিন্নতা রয়েছে। তার এই রিওয়ায়াত ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির তৎপিতা মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির হাবীব ইবনু সালিম তৎপিতা সালিম নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে। কিন্তু হাবীব ইবনু সালিম এর কোন রিওয়ায়াত তৎপিতা সালিম থেকে পরিচিত নয়। এই হাবীব ইবনু সালিম হলেন নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস এবং তিনি নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। এমনিভাবে ইবনু উআয়না রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াত ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) থেকে তাদের (অথাৎ আবূ আওয়ানা, সুফইয়ান সাওরী ও মিসআর-এর) অনুরূপ বর্ণিত আছে। [এই সনদে হাবীব ইবনু সালিম-এরপর তৎপিতা (সালিম) থেকে এই কথার উল্লেখ নেই।] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সালাতুল ঈদে সূরা ق এবং واقتربت الساعة তিলাওয়াত করতেন। ইমাম শাফিঈও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

 ২১ 

রাসূল (সা:) ঈদের সালাতে এক পথে যেতেন অন্য পথে আসতেন


সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ৫৪১

باب مَا جَاءَ فِي خُرُوجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ وَرُجُوعِهِ مِنْ طَرِيقٍ آخَرَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، وَأَبُو زُرْعَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ رَجَعَ فِي غَيْرِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي رَافِعٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو تُمَيْلَةَ وَيُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ وَقَدِ اسْتَحَبَّ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لِلإِمَامِ إِذَا خَرَجَ فِي طَرِيقٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي غَيْرِهِ اتِّبَاعًا لِهَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَحَدِيثُ جَابِرٍ كَأَنَّهُ أَصَحُّ ‏.‏

 ৫৪১  আবদুল আ'লা ইবন ওয়াসিল ইবন ইবন আবদিল আ'লা আল কুফী ও আবু যুর'আ (রহঃ) ...... আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ঈদের দিন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক পথে যেতেন অন্য পথে আসতেন। - ইবনু মাজাহ ১৩০১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন উমর এবং আবু রাফিঈ (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান-গরীব। আবু তুমাইলা ও ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ)ও এই হাদিসটি ফুলায়হ ইবন সুলাইমান ... সাইদ ইবন আল হারিস ...... জাবীর ইবন আব্দিল্লাহ (রাঃ) সুত্রে বর্ণনা করেছেন। এই হাদিসের অনুসরনে ইমামের জন্য এক পথে যাওয়া এবং অন্য পথে আসা কতক আলিম মত প্রকাশ করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এর অভিমত। এই বিষয়ে জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি সহিহ।

 ২২ 

ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে আহার করা 


সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং- ৫৪২

باب مَا جَاءَ فِي الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْخُرُوجِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ ثَوَابِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ وَلاَ يَطْعَمُ يَوْمَ الأَضْحَى حَتَّى يُصَلِّيَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَالَ مُحَمَّدٌ لاَ أَعْرِفُ لِثَوَابِ بْنِ عُتْبَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَدِ اسْتَحَبَّ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يَخْرُجَ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ شَيْئًا وَيُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يُفْطِرَ عَلَى تَمْرٍ وَلاَ يَطْعَمَ يَوْمَ الأَضْحَى حَتَّى يَرْجِعَ ‏.‏
 ৫৪২  হাসান ইবনু সাব্বাহ আল-বাযযার আল-বাগদাদী (রহঃ) ..... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে ঘর থেকে বের হতেন না আব ঈদুল আযহার দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় না করা পর্যন্ত কিছু আহার করতেন না। - ইবনু মাজাহ ১৭৫৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ বুরায়দা ইবনু খুসায়ব আল-আসলামী বর্ণিত এই হাদীসটি গারীব। ইমাম মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি ছাড়া সাওয়াব ইবনু উতবার অন্য কোন হাদীস সম্পর্কে আমরা জানি না। আলিমগণের একদল ঈদুল ফিতরের দিনে কিছু আহার না করা পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হওয়া মুস্তাহাব বলে মনে করেন। তার জন্য খেজুর খাওয়া মুস্তাহাব। এমনিভাবে সালাত শেষে ফিরে না আসা পর্যন্ত ঈদুল আযহার দিনে কিছু আহার করবে না।

 ২৩ 

ঈদের দিনসমুহে নিষ্পাপ খেলাধুলা 


সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং ১৯৩৪

باب الرُّخْصَةِ فِي اللَّعِبِ الَّذِي لاَ مَعْصِيَةَ فِيهِ فِي أَيَّامِ الْعِيدِ ‏
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ أَبُو بَكْرٍ وَعِنْدِي جَارِيَتَانِ مِنْ جَوَارِي الأَنْصَارِ تُغَنِّيَانِ بِمَا تَقَاوَلَتْ بِهِ الأَنْصَارُ يَوْمَ بُعَاثٍ قَالَتْ وَلَيْسَتَا بِمُغَنِّيَتَيْنِ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَبِمُزْمُورِ الشَّيْطَانِ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَلِكَ فِي يَوْمِ عِيدٍ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَا أَبَا بَكْرٍ إِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا وَهَذَا عِيدُنَا ‏"‏ ‏.‏

 ১৯৩৪  আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার গৃহে আবূ বকর (রাঃ) প্রবেশ করলেন। আমার নিকট দু’টি আনসারী বালিকা ছিল। তারা বিরত্বগাঁথা গাইছিল, যা আনসারগণ বুয়াস দিবসে আবৃত্তি করেছিল। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আসলে বালিকা দুটি গায়িকা ছিল না। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, শয়তানের বাদ্যযন্ত্র দ্বারা কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে গান গাওয়া হচ্ছে। সে দিনটি ছিল ঈদের দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ বাকর, প্রত্যেক জাতিরই ঈদ আর এটা হল আমাদের ঈদ।

 ২৪ 

ঈদের দিনসমুহে নিষ্পাপ খেলাধুলার বৈধতা 


সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদিস নং ১৯৩৬

باب الرُّخْصَةِ فِي اللَّعِبِ الَّذِي لاَ مَعْصِيَةَ فِيهِ فِي أَيَّامِ الْعِيدِ ‏
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا جَارِيَتَانِ فِي أَيَّامِ مِنًى تُغَنِّيَانِ وَتَضْرِبَانِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسَجًّى بِثَوْبِهِ فَانْتَهَرَهُمَا أَبُو بَكْرٍ فَكَشَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْهُ وَقَالَ ‏ "‏ دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ فَإِنَّهَا أَيَّامُ عِيدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَى الْحَبَشَةِ وَهُمْ يَلْعَبُونَ وَأَنَا جَارِيَةٌ فَاقْدِرُوا قَدْرَ الْجَارِيَةِ الْعَرِبَةِ الْحَدِيثَةِ السِّنِّ ‏.‏

 ১৯৩৬  হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। তখন তাঁর কাছে দুটি বালিকা দফ বাজাচ্ছিল আর গান গাইছিল। আর সেটা ছিল মিনা দিবসের মধ্যে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বস্ত্রাবৃত ছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) বালিকাদের ধমকালেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখের আবরণ সরিয়ে বললেন, হে আবূ বকর! এদেরকে ছেড়ে দাও, যেহেতু এটা ঈদের দিন।

আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখছি যে, তিনি আমাকে তাঁর চাঁদর দ্বারা মাথা ঢেকে রেখেছেন আর তখন আমি হাবশীদের খেলা দেখছিলাম। আমি তখন বালিকা। অনুমান করে দেখ, অল্প আমোদিনী বালিকা কতক্ষণ তা দেখতে আগ্রহী হবে (তিনি ততক্ষণই দাঁড়িয়েছিলেন)।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url