হজ্জ সফরের সহজ গাইড (পর্ব-১০)
হজের পর যা করবেন
- হজের সফর শেষ করে নিজ মহল্লায় প্রবেশ করে বাড়িতে প্রবেশের পূর্বে নিকটস্থ এলাকার মসজিদে দুই রাকাত সালাত আদায় করুন।[1]
- হজের পর আল্লাহ ও আল্লাহর দীনের প্রতি বিশ্বাসে অটল থাকুন।
- ঈমানকে দৃঢ় ও আকীদাকে পরিশুদ্ধ করুন।
- অন্তরে আল্লাহভীতি রাখুন এবং মনে রাখুন এ জীবন একটি পরীক্ষা স্বরুপ।
- সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়মিত ও সঠিকভাবে আদায় নিশ্চিত করুন।
- কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং সে অনুসারে আমল করুন।
- আপনার জীবনে কুরআন ও হাদীসের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটান।
- আপনার পরিবারকেও সঠিকভাবে ইসলাম মেনে চলার জন্য বলুন।
- আল্লাহ তা‘আলার বার্তাবাহকের বার্তাবাহক হওয়ার চেষ্টা করুন।
- দীনের দাওয়াহ ও ইসলা করুন।
- পরিচিতদের হজ করতে উৎসাহিত করুন।
- উত্তম ও হালাল উপার্জন করুন।
- সকল পাপ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন।
- হাজী উপাধির অপব্যবহার না করা।
- হজের সময়ে আল্লাহর কাছে আপনি যা প্রতিশ্রুতি করেছেন এবং যা ক্ষমা চেয়েছেন সেগুলো মনে রাখুন।
- অন্যদের কাছে হজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সঠিক নয় বা অজানা এমন কিছু অতিরিক্ত না বলা।
- আমি হজ করে এসেছি এটা কোনো ভাবে প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের কাছে থেকে সম্মান, ভালবাসা ও সহানুভূতি অর্জন করার চেষ্টা না করা।
- আপনার সামর্থ্য থাকলে আরেকবার হজের জন্য অথবা অন্য কারো বদলি হজের পরিকল্পনা করুন।
[১] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৯
ভালো আলামত
- হজ কবুল হওয়া বা না হওয়া মহান আল্লাহ তা‘আলার এখতিয়ারভুক্ত। কিন্তু বান্দা যখন হজ করবে তখন সে দৃঢ়তা ও পূর্ণ বিশ্বাস এর সাথে হজ পালন করবে এবং আশা রাখবে ইন-শাআল্লাহ আল্লাহ তা‘আলা তার হজ কবুল করবেন। কখনই হতাশা বা শংকাযুক্ত হয়ে হজ পালন করা যাবে না।
- অবশ্য হজ যদি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কবুল হয় তবে বাহ্যিকভাবে বান্দার মধ্যে কিছু লক্ষণ বা আলামত মোট কথা কিছু ভালো পরিবর্তন প্রতীয়মান হয়। যে বান্দা ইবাদত ও আন্তরিক আমল দ্বারা আল্লাহকে খুশি করার জন্য সচেষ্ট হবে আল্লাহ তা‘আলা সেই বান্দাকে হিদায়াত দান করবেন; এবং আল্লাহই তার অন্তরে পরিবর্তন এনে দিবেন। নিজ থেকে মানুষ দেখানো পরিবর্তন আনা অবশ্য মোটেই বেশিদিন টেকসই হয় না। আর যে হজের আগে যেমন ছিল হজেরপরেও তেমনি থাকলো, কোনো ভালো পরিবর্তন এলো না, তাহলে সেটি একটি চিন্তার বিষয়। অবশ্য কারো সম্পর্কে কোনো ধারনা পোষণ করাও ঠিক নয়। সব কিছু আল্লাহর হাতে এবং তিনিই ভালো জানেন।
- হজের পর ঈমান ও আমলে দৃঢ়তা সৃষ্টি হওয়া ভালো লক্ষণ। পার্থিবতা ও দুনিয়াবী বিষয়ে অনীহা ও পরকালের প্রতি প্রবল আগ্রহ-লোভ সৃষ্টি হওয়া।
- হজ পূর্ব জীবনে যেসব পাপ ও অন্যায় অভ্যস্ততা ছিল সেগুলো থেকে সম্পূর্ণভাবে বিমুক্ত জীবনযাপন করা। অন্তরে কোমলতা আসা।
- হজ সম্পাদনের পর কৃত আমলকে অল্প মনে করা। আমল করার বিষয়ে প্রতিযোগিতা করা। লোক দেখানো ভাব, অহংকার ও বড়ত্বোবোধ থেকে বেঁচে থাকা। ইবাদত পালনে উৎসাহ ও চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাওয়া। বেশি বেশি দান সাদকা করা।
- কথায় ও কাজে আল্লাহর ওপর বেশি ভরসা রাখা। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বেশি বেশি দো‘আ ও যিকির করা।
- দ্বীনের বিষয়ে জ্ঞান আহরোনের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া। খোলা মন নিয়ে ও যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সত্যকে গ্রহণ করার মনমানসিকতা সৃষ্টি হওয়া ও নিজেকে শুদ্ধ করা।
- আল্লাহর দ্বীনকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সচেষ্ট হওয়া।
‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের হজকে কবুল ও মঞ্জুর করে নাও”।-আমিন।
কুরআনে বর্ণিত দো‘আ
১- ﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ﴾ [البقرة: ٢٠١]
১। হে আমাদের প্রভু! দুনিয়াতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও। আর আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।[১]
২- ﴿رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوبَنَا بَعۡدَ إِذۡ هَدَيۡتَنَا وَهَبۡ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحۡمَةًۚ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡوَهَّابُ ٨﴾ [ال عمران: ٨]
২। হে আমাদের রব! যেহেতু তুমি আমাদেরকে হেদায়াত করেছ, কাজেই এরপর থেকে তুমি আমাদের অন্তরকে আর বক্র করো না। তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দাও। তুমিতো মহা দাতা।[২]
৩- ﴿رَبِّ هَبۡ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةٗ طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ﴾ [ال عمران: ٣٨]
৩। হে আমার পরওয়ারদেগার! তোমার কাছ থেকে আমাকে তুমি উত্তম সন্তান-সন্ততি দান কর। নিশ্চয় তুমিতো মানুষের ডাক শোনো।[৩]
৪- ﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسۡرَافَنَا فِيٓ أَمۡرِنَا وَثَبِّتۡ أَقۡدَامَنَا وَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾ [ال عمران:
৪। হে আমাদের রব! আমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দাও। যেসব কাজে আমাদের সীমালঙ্ঘন হয়ে গেছে সেগুলোও তুমি ক্ষমা কর। আর (সৎপথে) তুমি আমাদের কদমকে অটল রেখো এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য কর।[৪]
৫- ﴿رَبَّنَا وَءَاتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخۡزِنَا يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۖ إِنَّكَ لَا تُخۡلِفُ ٱلۡمِيعَادَ ١٩٤﴾ [ال عمران: ١٩٤]
৫। হে রব! নবী-রাসূলদের মাধ্যমে তুমি যে পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছো তা তুমি আমাদেরকে দিয়ে দিও। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে তুমি অপমানিত করিও না। তুমি তো ওয়াদার বরখেলাফ কর না।[৫]
৬- ﴿رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱكۡتُبۡنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ﴾ [المائدة: ٨٣]
৬। হে আমাদের রব! তুমি যা কিছু নাযিল করেছো, তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি। আমরা রাসূলের কথাও মেনে নিয়েছি। কাজেই সত্য স্বীকারকারীদের দলে আমাদের নাম লিখিয়ে দাও।[৬]
৭- ﴿رَبَّنَا ظَلَمۡنَآ أَنفُسَنَا وَإِن لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ﴾ [الاعراف: ٢٣]
৭। হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের ওপর যুলম করেছি। এখন তুমি যদি আমাদের ক্ষমা না কর, আর আমাদের প্রতি রহম না কর তাহলে নিশ্চিতই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব।[৭]
৮- ﴿رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا مَعَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّٰلِمِينَ﴾ [الاعراف: ٤٧]
৮। হে রব! আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায়ের সাথী করো না।[৮]
৯- ﴿رَبِّ ٱجۡعَلۡنِي مُقِيمَ ٱلصَّلَوٰةِ وَمِن ذُرِّيَّتِيۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلۡ دُعَآءِ ٤٠﴾ [ابراهيم: ٤٠]
৯। হে আমার মালিক! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও এবং আমার ছেলে-মেয়েদেরকেও নামাযী বানিয়ে দাও। হে আমার মালিক! আমার দো‘আ তুমি কবুল কর।[৯]
১০- ﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
১০। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যেদিন চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ হবে সেদিন আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং সকল ঈমানদারদেরকে তুমি ক্ষমা করে দিও।[১০]
১১- ﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحۡمَةٗ وَهَيِّئۡ لَنَا مِنۡ أَمۡرِنَا رَشَدٗا ﴾ [الكهف: ١٠]
১১। হে আমাদের রব! তোমার অপার অসীম করুণা থেকে আমাদেরকে রহমত দাও। আমাদের কাজগুলোকে সঠিক ও সহজ করে দাও।[১১]
১২- ﴿رَبِّ ٱشۡرَحۡ لِي صَدۡرِي ٢٥ وَيَسِّرۡ لِيٓ أَمۡرِي ٢٦ وَٱحۡلُلۡ عُقۡدَةٗ مِّن لِّسَانِي ٢٧ يَفۡقَهُواْ قَوۡلِي ٢٨ ﴾ [طه: ٢٥، ٢٨]
১২। হে আমার রব! আমার বক্ষকে তুমি প্রশস্ত করে দাও। আমার কাজগুলো সহজ করে দাও। জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা সহজেই বুঝতে পারে।[১২]
১৩- ﴿رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا﴾ [طه: ١١٤]
১৩। হে রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।[১৩]
১৪- ﴿رَبِّ لَا تَذَرۡنِي فَرۡدٗا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلۡوَٰرِثِينَ﴾ [الانبياء: ٨٩]
১৪। হে রব! আমাকে তুমি নিঃসন্তান অবস্থায় রেখো না। তুমিতো সর্বোত্তম ওয়ারিশ করার অধিকারী।[১৪]
১৫- ﴿رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنۡ هَمَزَٰتِ ٱلشَّيَٰطِينِ ٩٧ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحۡضُرُونِ ٩٨﴾ [المؤمنون: ٩٧، ٩٨]
১৫। হে রব! শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আমি এ থেকেও তোমার নিকট পানাহ চাই যে, শয়তান যেন আমার ধারে কাছেও ঘেষতে না পারে।[১৫]
১৬- ﴿رَبَّنَا ٱصۡرِفۡ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا ٦٥ إِنَّهَا سَآءَتۡ مُسۡتَقَرّٗا وَمُقَامٗا ٦٦﴾ [الفرقان: ٦٤، ٦٥]
১৬। হে আমাদের রব! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিও। এর আযাব তো বড়ই সর্বনাশা। আশ্রয় ও বাসস্থান হিসেবে এটি কতই না নিকৃষ্ট স্থান।[১৬]
১৭- ﴿رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَامًا﴾ [الفرقان: ٧٣]
১৭। হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান কর যাদের দর্শনে আমাদের চক্ষুশীতল হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের ইমাম (অভিভাবক) বানিয়ে দাও।[১৭]
১৮- ﴿رَبِّ أَوۡزِعۡنِيٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَيَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَٰلِحٗا تَرۡضَىٰهُ وَأَدۡخِلۡنِي بِرَحۡمَتِكَ فِي عِبَادِكَ ٱلصَّٰلِحِينَ﴾ [النمل: ١٩]
১৮। হে আমার রব! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছো এর শোকরগোজারী করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার দয়ায় আমাকে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে দাও।[১৮]
১৯- ﴿رَبِّ ٱنصُرۡنِي عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡمُفۡسِدِينَ﴾ [العنكبوت: ٣٠]
১৯। হে রব! ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তুমি আমাকে সাহায্য কর।[১৯]
২০- ﴿رَبِّ هَبۡ لِي مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ ١٠٠﴾ [الصافات: ١٠٠]
২০। হে রব! আমাকে তুমি নেককার সন্তান দান কর।[২০]
২১- ﴿رَبِّ أَوۡزِعۡنِيٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَيَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَٰلِحٗا تَرۡضَىٰهُ وَأَصۡلِحۡ لِي فِي ذُرِّيَّتِيٓۖ﴾ [الاحقاف: ١٥]
২১। হে রব! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নি‘আমত দিয়েছ এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার ছেলে-মেয়ে ও পরবর্তী বংশধরকেও নেককার বানিয়ে দাও।[২১]
২২- ﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ﴾ [الحشر: ١٠]
২২। হে আমাদের মালিক! তুমি আমাদের মাফ করে দাও। আমাদের আগে যেসব ভাইয়েরা ঈমান এনেছে, তুমি তাদেরও মাফ করে দাও। আর ঈমানদার লোকদের প্রতি আমাদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিও না। হে রব! তুমিতো বড়ই দয়ালু ও মমতাময়ী।[২২]
২৩- ﴿رَبَّنَآ أَتۡمِمۡ لَنَا نُورَنَا وَٱغۡفِرۡ لَنَآۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ﴾ [التحريم: ٨]
২৩। হে আমাদের রব! আমাদের জন্য তুমি আমাদের নূরকে পরিপূর্ণ করে দাও। তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর। তুমি তো সবকিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।[২৩]
২৪- ﴿رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ﴾ [نوح: ٢٨]
২৪। হে আমার রব! আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে, যারা মুমিন অবস্থায় আমার পরিবারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদেরকে এবং সকল মুমিন পুরুষ-নারীকে তুমি ক্ষমা করে দাও।[২৪]
২৫- ﴿رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعۡنَا مُنَادِيٗا يُنَادِي لِلۡإِيمَٰنِ أَنۡ ءَامِنُواْ بِرَبِّكُمۡ فََٔامَنَّاۚ رَبَّنَا فَٱغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرۡ عَنَّا سَئَِّاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ ٱلۡأَبۡرَارِ ١٩٣﴾ [ال عمران: ١٩٣]
২৫। হে আমার রব! নিশ্চয় আমরা এক আহ্বানকারীকে আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তাতেই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা কর ও আমাদের পাপরাশি মোচন কর এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান কর।[২৫]
২৬- ﴿رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾ [البقرة: ٢٨٦]
২৬। হে আমাদের রব! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের রব! পূর্ববর্তীদের ওপর যে গুরুদায়িত্ব তুমি অর্পণ করেছিলে সে রকম কোনো কঠিন কাজ আমাদেরকে দিও না। হে আমাদের রব! যে কাজ বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই এমন কাজের ভারও তুমি আমাদের দিও না। তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি আমাদের মাওলা। অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য কর।[২৬]
২৭- ﴿رَبِّ هَبۡ لِي حُكۡمٗا وَأَلۡحِقۡنِي بِٱلصَّٰلِحِينَ ٨٣ وَٱجۡعَل لِّي لِسَانَ صِدۡقٖ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ ٨٤ وَٱجۡعَلۡنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ ٨٥ وَٱغۡفِرۡ لِأَبِيٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٨٦ وَلَا تُخۡزِنِي يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ ٨٧﴾ [الشعراء: ٨٣، ٨٧]
২৭। হে রব! আমাকে জ্ঞান-বুদ্ধি দান কর এবং আমাকে নেককার লোকদের সান্নিধ্যে রেখো। এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমার সুখ্যাতি চলমান রেখো। আমাকে তুমি নিয়ামতে ভরা জান্নাতের বাসিন্দা বানিয়ে দিও। যেদিন সব মানুষ আবার জীবিত হয়ে উঠবে সেদিন আমাকে তুমি অপমানিত করো না।[২৭]
২৮- ﴿رَبِّ أَوۡزِعۡنِيٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَيَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَٰلِحٗا تَرۡضَىٰهُ وَأَدۡخِلۡنِي بِرَحۡمَتِكَ فِي عِبَادِكَ ٱلصَّٰلِحِينَ﴾ [النمل: ١٩]
২৮। হে আমার রব! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নি‘আমত দিয়েছো এর শোকরগোজারী করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার দয়ায় আমাকে তোমার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করে দাও।[২৮]
২৯- ﴿رَبِّ أَوۡزِعۡنِيٓ أَنۡ أَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ ٱلَّتِيٓ أَنۡعَمۡتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَٰلِدَيَّ وَأَنۡ أَعۡمَلَ صَٰلِحٗا تَرۡضَىٰهُ وَأَصۡلِحۡ لِي فِي ذُرِّيَّتِيٓۖ﴾ [الاحقاف: ١٥]
২৯। হে রব! তুমি আমার ও আমার মাতা-পিতার প্রতি যে নি‘আমত দিয়েছ এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার তাওফীক দাও এবং আমাকে এমন সব নেক আমল করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার ছেলে-মেয়ে ও পরবর্তী বংশধরকেও নেককার বানিয়ে দাও।[২৯]
৩০- ﴿رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لَنَا وَلِإِخۡوَٰنِنَا ٱلَّذِينَ سَبَقُونَا بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَا تَجۡعَلۡ فِي قُلُوبِنَا غِلّٗا لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ رَبَّنَآ إِنَّكَ رَءُوفٞ رَّحِيمٌ﴾ [الحشر: ١٠]
৩০। হে আমাদের রব! তুমি আমাদের মাফ করে দাও। আমাদের আগে যেসব ভাইয়েরা ঈমান এনেছে, তুমি তাদেরও মাফ করে দাও। আর ঈমানদার লোকদের প্রতি আমাদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিও না। হে রব! তুমিতো বড়ই দয়ালু ও মমতাময়ী।[৩০]
[১] সূরা আল-বাকারা: ২:২০১
[২] সূরা আলে-ইমরান: ৩:৮
[৩] সূরা আলে-ইমরান: ৩:৩৮
[৪] সূরা আলে-ইমরান: ৩:১৪৭
[৫] সূরা আলে-ইমরান: ৩:১৯৪
[৬] সূরা আল-মায়িদা: ৫:১৮৩
[৭] সূরা আল-আ‘রাফ: ৭:২৩
[৮] সূরা আল-আ‘রাফ: ৭:৪৭
[৯] সূরা ইবরাহীম: ১৪:৪০
[১০] সূরা ইবরাহীম: ১৪:৪১
[১১] সূরা কাহ্ফ: ১৮:১০
[১২] সূরা হূদ: ২০:২৫
[১৩] সূরা হূদ: ২০:১১৪
[১৪] সূরা আল-আম্বিয়া, ২১: ৮৯
[১৫] সূরা আল-মুমিনুন, ২৩:৯৭-৯৮
[১৬] সূরা আল-ফুরক্বান: ২৫:৬৫-৬৬
[১৭] সূরা আল-ফুরক্বান, ২৫:৭৪
[১৮] সূরা আন-নামল: ২৭:১৯
[১৯] সূরা আল-‘আনকাবূত: ২৯:৩০
[২০] সূরা আস-সাফ্ফাত: ৩৭:১০০
[২১] সূরা আল-আহকাফ: ৪৬:১৫
[২২] সূরা আল-হাশর: ৫৯:১০
[২৩] সূরা আত-তাহরীম: ৬৬:৮
[২৪] সূরা নূহ: ৭১:২৮
[২৫] সূরা আলে ইমরান: ৩:১৯৩
[২৬] সূরা আল-বাকারা: ২:২৮৬
[২৭] সূরা আশ-শু‘আরা ২৬: ৮৩-৮৫
[২৮] সূরা আন-নামল: ২৭:১৯
[২৯] সূরা আল-আহকাফ: ৪৬:১৫
[৩০] সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৫৯:১০
হাদীসে বর্ণিত দো‘আ
৩১- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْهَرَمِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ».
৩১। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য ও কৃপণতা থেকে। আশ্রয় চাই তোমার নিকট কবরের আযাব ও জীবন মরণের ফিতনা থেকে।[১]
৩২- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ».
৩২। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই, কঠিন বালা-মুসিবত, দুর্ভাগ্য, ভাগ্যের পরিহাস ও শত্রুদের বিদ্বেষ থেকে।[২]
৩৩- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالتُّقٰى وَالْعَفَافَ وَالْغِنٰى».
৩৩। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হেদায়াত তাকওয়া, পবিত্র জীবন ও অমুখাপেক্ষিতা চাই।[৩]
৩৪- «اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ وَسَدِّدْنِيْ - اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالسَّدَادَ».
৩৪। হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত দান কর, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত কর। হে আল্লাহ! তোমার নিকট হেদায়াত ও সঠিক পথ কামনা করছি।[৪]
৩৫- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ».
৩৫। হে আল্লাহ! তোমার দেওয়া নেয়ামাত চলে যাওয়া ও সুস্থতার পরিবর্তন হওয়া থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই তোমার পক্ষ থেকে আকষ্মিক গজব আসা ও তোমার সকল অসন্তোষ থেকে।[৫]
৩৬- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ».
৩৬। হে আল্লাহ! আমি আমার অতীতের কৃতকর্মের অনিষ্টতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যে কাজ আমি করিনি তার অনিষ্টতা থেকেও আশ্রয় চাই।[৬]
৩৭- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أِعُوْذُ بِكَ أنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أِعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ».
৩৭। হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শির্ক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর যদি অজান্তে শির্ক হয়ে থাকে তবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[৭]
৩৮- «اَللّٰهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُوْ فَلَا تَكِلْنِيْ إِلٰى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّه لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ».
৩৮। হে আল্লাহ! তোমার রহমত প্রত্যাশা করছি। সুতরাং তুমি আমার নিজের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দায়িত্ব অর্পণ করে দিও না। আর আমার সব কিছু তুমি সহীহ শুদ্ধ করে দাও। তুমি ছাড়া আর কোনো মা‘বুদ নেই।[৮]
৩৯- «اَللّٰهُمَّ اجْعَلِ الْقُرْاٰنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ وَنُوْرَ صَدْرِيْ وَجِلَاءَ حُزْنِيْ وَذَهَابَ هَمِّيْ».
৩৯। হে আল্লাহ! কুরআনকে তুমি আমার হৃদয়ের বসন্তকাল বানিয়ে দাও, বানিয়ে দাও আমার বুকের নূর এবং কুরআনকে আমার দুঃখ ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার মাধ্যম বানিয়ে দাও।[৯]
৪০- «اَللّٰهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلٰى طَاعَتِكَ».
৪০। হে অন্তরের পরিবর্তন সাধনকারী রব! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে ধাবিত করে দাও।[১০]
৪১- «يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ».
৪১। হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তুমি তোমার দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখ।[১১]
৪২- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ».
৪২। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি।
৪৩- «اَللّٰهُمَّ أَحْسِنْ عَاقِبَتَنَا فِي الْأُمُوْرِ كُلِّهَا وَأَجِرْنَا مِنْ خِزْيِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْاٰخِرَةِ».
৪৩। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সকল কাজের পরিণতি সুন্দর ও উত্তম করে দাও এবং আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা, অপমান এবং আখেরাতের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দিও।[১২]
৪৪- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِيْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِيْ وَمِنْ شَرِّ لِسَانِيْ وَمِنْ شَرِّ قَلْبِيْ وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّيْ».
৪৪। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি, আমার জিহবা ও অন্তর এবং আমার ভাগ্য এসব অঙ্গের অনিষ্টতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই।[১৩]
৪৫- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئْ الْأَسْقَامِ».
৪৫। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট শ্বেতরোগ পাগলামি ও কুষ্ঠ রোগসহ সকল জটিল রোগ থেকে আশ্রয় চাই।[১৪]
৪৬- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَاءِ».
৪৬। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি অসৎ চরিত্র, অপকর্ম এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে আশ্রয় চাই।[১৫]
৪৭- «اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ».
৪৭। হে আল্লাহ! তুমিতো ক্ষমার ভাণ্ডার, ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ কর। কাজেই আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।[১৬]
৪৮- «اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ».
৪৮। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে হেদায়াত কর, নিরাপদে রাখ এবং আমাকে রিযিক দান কর।[১৭]
৪৯- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ».
৪৯। হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করে ফেলেছি। আর তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব, তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয় তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু রব।[১৮]
৫০- «اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ ذَنْبِيْ وَوَسِّعْ لِيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيمَا رَزَقْتَنِيْ».
৫০। হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহকে ক্ষমা করে দাও, আমার ঘরে প্রশস্ততা দান কর এবং আমার রিযিকে বরকত দাও।[১৯]
৫১- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ وَرَحْمَتِكَ فَإِنَّهُ لَا يَمْلِكُهَا إِلَّا أَنْتَ».
৫১। হে আল্লাহ! তোমার নিকট অনুগ্রহ ও দয়া চাই। কারণ অনুগ্রহ ও দয়ার মালিক তুমি ছাড়া কেউ না।[২০]
৫২- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّيْ وَالْهَدْمِ وَالْغَرَقِ وَالْحَرِيْقِ وَأَعُوْذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِيَ الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَمُوْتَ فِيْ سَبِيْلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَمُوْتَ لَدِيْغًا».
৫২। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জমিন ধসে পড়া, ধ্বংস হওয়া, পানিতে ডুবা ও আগুনে পোড়া থেকে আশ্রয় চাই। মৃত্যুর সময় শয়তানের ছোবল থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তোমার নিকট তোমার পথে পৃষ্ঠপ্রদর্শন হয়ে মৃত্যু থেকে। তোমার নিকট আশ্রয় চাই দংশনজনিত মৃত্যু থেকে।[২১]
৫৩- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْجُوْعِ فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيْعُ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْخِيَانَةِ فَإِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ».
৫৩। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে আশ্রয় চাই। করণ এটি নিকৃষ্ট শয্যাসঙ্গী। খেয়ানত থেকেও তোমার কাছে আশ্রয় চাই। কারণ এটি নিকৃষ্ট বন্ধু।[২২]
৫৪- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْفَقْرِ وَالْقِلَّةِ وَالذِّلَّةِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ».
৫৪। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দারিদ্র্য, স্বল্পতা, হীনতা থেকে আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই যালিম ও মাযলুম হওয়া থেকে।[২৩]
৫৫- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ يَوْمِ السُّوْءِ وَمِنْ لَيْلَةِ السُّوْءِ وَمِنْ سَاعَةِ السُّوْءِ وَمِنْ صَاحِبِ السُّوْءِ وَمِنْ جَارِ السُّوْءِ فِيْ دَارِ الْمَقَامَةِ».
৫৫। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই খারাপ দিন, খারাপ রাত, বিপদ মুহূর্ত, অসৎসঙ্গী এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী খারাপ প্রতিবেশী থেকে।[২৪]
৫৬- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَسْتَجِيْرُ بِكَ مِنَ النَّارِ».
৫৬। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাতের প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাচ্ছি। (তিনবার)[২৫]
৫৭- «اَللّٰهُمَّ فَقِّهْنِيْ فِي الدِّيْنِ».
৫৭। হে আল্লাহ! আমাকে দীনের পান্ডিত্য দান কর।[২৬]
৫৮- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا طَيِّبًا وَّعَمَلًا مُّتَقَبَّلًا».
৫৮। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী ‘ইলম, পবিত্র রিযিক এবং কবূল আমলের প্রার্থনা করছি।[২৭]
৫৯- «رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ».
৫৯। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার তাওবা কবূল কর। নিশ্চয় তুমি তাওবা গ্রহণকারী ও অতিশয় ক্ষমাশীল।[২৮]
৬০- «اَللّٰهُمَّ طَهِّرْنِيْ مِنَ الذُّنُوْبِ وَالْخَطَايَا - اَللّٰهُمَّ نَقِّنِيْ مِنْهَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ اَللّٰهُمَّ طَهِّرْنِيْ بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِد»ِ.
৬০। হে আল্লাহ! আমাকে যাবতীয় গোনাহ ও ভুলভ্রান্তি থেকে পবিত্র কর। হে আল্লাহ! আমাকে গোনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন কর যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। হে আল্লাহ! আমাকে বরফ, শীতল ও ঠান্ডা পানি দিয়ে পবিত্র কর।[২৯]
৬১- «اَللّٰهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيْلَ وَمِيْكَائِيْلَ وَرَبَّ إِسْرَافِيْلَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ حَرِّ النَّارِ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ».
৬১। হে আল্লাহ! হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের উত্তাপ ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই।[৩০]
৬২- «اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ وَأَعِذْنِيْ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ».
৬২। হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে হেদায়েতের অনুপ্রেরণা দান কর। আমার অন্তরের অনিষ্টতা থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখো।[৩১]
৬৩- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَّا يَنْفَعُ».
৬৩। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি উপকার দানকারী ইলম চাই, এমন ইলম থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই যা কোনো উপকারে আসে না।[৩২]
৬৪- «اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنِيْ مُنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَهْوَاءِ وَالْأَعَمَالِ وَالْأَدْوَاءِ».
৬৪। হে আল্লাহ! আমাকে অসৎ চরিত্র, কুপ্রবৃত্তি, অপকর্ম ও অপ্রতিষেধক (ঔষধ) থেকে দূরে রাখ।[৩৩]
৬৫- «اَللّٰهُمَّ قَنِّعْنِيْ بِمَا رَزَقْتَنِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْهِ وَاخْلُفْ عَلَيَّ كُلَّ غَائِبَةٍ لِيْ بِخَيْر»ٍ.
৬৫। হে আল্লাহ! আমাকে যে রিযিক দান করেছ এতে তুমি আমাকে তুষ্টি দান কর এবং বরকত দাও। আর আমার প্রতিটি অজানা বিষয়ের পরে আমাকে তুমি কল্যাণ এনে দাও।[৩৪]
৬৬- «اَللّٰهُمَّ حَاسِبْنِيْ حِسَابًا يَّسِيْرًا».
৬৬। হে আল্লাহ! আমার হিসাবকে তুমি সহজ করে দাও।[৩৫]
৬৭- «اَللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ»
৬৭। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার যিকির, কৃতজ্ঞতা এবং তোমার উত্তম ইবাদাত করার তাওফীক দাও।[৩৬]
৬৮- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ إِيْمَانًا لَا يَرْتَدُّ وَنَعِيْمًا لَا يَنْفَدُ وَمُرَافَقَةَ النَّبِيِّ فِيْ أَعْلٰى جَنَّةِ الْخُلْدِ».
৬৮। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এমন ঈমানের প্রার্থনা করছি, যে ঈমান হবে দৃঢ় ও মজবুত, যা নড়বড়ে হবে না, চাই এমন নি‘আমত যা ফুরিয়ে যাবে না। এবং চিরস্থায়ী সুউচ্চ জান্নাতে প্রিয় নবী মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে থাকার তাওফীক আমাকে দিও।[৩৭]
৬৯- «اَللّٰهُمَّ قِنِيْ شَرَّ نَفْسِيْ وَاعْزِمْ لِيْ عَلٰى أَرْشَدِ أَمْرِيْ - اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَخْطَأْتُ وَمَا عَمَدْتُ وَمَا عَلِمْتُ وَمَا جَهِلْتُ».
৬৯। হে আল্লাহ! আমাকে আমার আত্মার অনিষ্টতা থেকে রক্ষা কর। পথনির্দেশপূর্ণ কাজে আমাকে তুমি দৃঢ় রাখ। হে আল্লাহ! আমি যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি, ভুল করি, ইচ্ছা বশতঃ করি, যা জেনে করি এবং না জেনে করি- এসব কিছুতে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও।[৩৮]
৭০- «اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الْعَدُوِّ وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ».
৭০। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঋণের প্রভাব ও আধিক্য, শত্রুর বিজয় এবং শত্রুদের আনন্দ উল্লাস থেকে আশ্রয় চাই।[৩৯]
৭১- «اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَاهْدِنِيْ وَارْزُقْنِيْ وَعَافِنِيْ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ ضِيْقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».
৭১। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমাকে রিযিক দান কর, আমাকে নিরাপদে রাখ, কিয়ামাতের দিনের সংকীর্ণ স্থান থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।[৪০]
৭২- «اَللّٰهُمَّ أَحْسَنْتَ خَلْقِيْ فَأَحْسِنْ خُلُقِيْ».
৭২। হে আল্লাহ! তুমি আমার আকৃতি ও অবয়বকে সুন্দর করেছ। অতএব, আমার চরিত্রকেও সুন্দর করে দাও।[৪১]
৭৩- «اَللّٰهُمَّ ثَبِّتْنِيْ وَاجْعَلْنِيْ هَادِيًا مَهْدِيًّا».
৭৩। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে অটল-অবিচল রাখ এবং আমাকে পথপ্রদর্শক ও হিদায়াতপ্রাপ্ত হিসেবে গ্রহণ করে নাও।[৪২]
৭৪- «اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي وَالْهَدْمِ وَالْغَرَقِ وَالْحَرِيقِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا»
৭৪। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট যমীন ধসে পড়া, ধ্বংস হওয়া, পানিতে ডুবা ও আগুনে পোড়া থেকে আশ্রয় চাই। মৃত্যুর সময় শয়তানের ছোবল থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তোমার নিকট তোমার পথে পৃষ্ঠপ্রদর্শন হয়ে মৃত্যু থেকে। তোমার নিকট আশ্রয় চাই দংশনজনিত মৃত্যু থেকে।[৪৩]
৭৫- «اَللّٰهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ»
৭৫। হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলুম করে ফেলেছি। আর তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব, তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয় তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু রব।[৪৪]
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِه وَأَصْحَابِه أَجْمَعِيْنَ.
“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার পরিজন ও সকল সাহাবীগণের প্রতি দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন”।
[১] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৬৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭০৬
[২] বুখারী, হাদীস নং ৬৩৪৭
[৩] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭২১
[৪] মুসলিম, হাদীস নং ২৭২১
[৫] মুসলিম, হাদীস নং ২৭৩৯
[৬] মুসলিম, হাদীস নং ২৭১৬
[৭] সহীহ আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং ৭১৬
[৮] আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০৯০
[৯] মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ৩৭০৪
[১০] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৫৪
[১১] মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ২১৪০
[১২] মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৭১৭৬
[১৩] আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৫১
[১৪] আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫৫৪
[১৫] তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৯১
[১৬] তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫১৩
[১৭] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৯৬
[১৮] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩৪
[১৯] মুসনাদে আহমদ
[২০] ত্ববরানী
[২১] নাসাঈ, হাদীস নং ৫৫৩১
[২২] আবু দাঊদ, হাদীস নং ৫৪৬
[২৩] নাসাঈ, আবু দাঊদ
[২৪] সহীহ জামেউস সগীর, হাদীস নং ১২৯৯
[২৫] তিরমিযী, ইবন মাজাহ
[২৬] সহীহ সহীহ বুখারী; ফাতহুলবারী; সহীহ মুসলিম
[২৭] ইবন মাজাহ
[২৮] আবু দাঊদ, তিরমিযী, হাদীস নং ৩৪৩৪
[২৯] নাসাঈ, হাদীস নং ৪০২
[৩০] নাসাঈ, হাদীস নং ৫৫১৯
[৩১] ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৪৮৩
[৩২] ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৮৪৩
[৩৩] মুসতাদরাকে হাকেম
[৩৪] মুসতাদরাকে হাকেম
[৩৫] মিশকাত, হাদীস নং ৫৫৬২
[৩৬] আবু দাউদ, হাদীস নং ১৫২২
[৩৭] ইবন হিব্বান
[৩৮] মুসতাদরাকে হাকেম
[৩৯] নাসাঈ, হাদীস নং ৫৪৭৫
[৪০] নাসাঈ, হাদীস নং ১৬১৭
[৪১] জামেউস সগীর, হাদীস নং ১৩০৭
[৪২] সহীহ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ফাতহুল বারী
[৪৩] নাসাঈ, হাদীস নং ৫৫৩১
[৪৪] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩৪
ব্যবহৃত তথ্যসম্ভার ও বইসমূহ
ভিডিও: হজ - ধাপে ধাপে, হুদা টিভি : শাইখ মুহাম্মাদ সালাহ।
ভিডিও: সৌদি আরবের মিনিস্ট্রি অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স কর্তৃক নির্মিত হজ ও উমরাহ প্রামাণ্যচিত্র।
বই: হজ, উমরাহ ও মসজিদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিয়ারত নির্দেশিকা : মিনিস্ট্রি অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, ইসলামি দাওয়া, ইরশাদ, আওকাফ, রিয়াদ। ১৪২৮ হিজরী।
বই: তাফসিরুল উশরিল আখির মিনাল কুরআনিল কারিম। (পৃষ্ঠা-১৩৮..)
বই: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে হজ করেছেন (জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যেমন বর্ণনা করেছেন): শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহ.)। (বিসিআরএফ)
বই: ছহীহ হজ উমরাহ ও যিয়ারত নির্দেশিকা: আকরামুজ্জামান ইবন আব্দুস সালাম।
বই: কুরআন ও হাদীসের আলোকে হজ, উমরাহ ও যিয়ারাহ: শাইখ আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায।
বই: পবিত্র মক্কার ইতিহাস: শাইখ ছফীউর রহমান মোবারকপুরী। (পৃষ্ঠা: ১৩৭-১৮৩)
বই: আহায্যুকা সাহিহুন (আপনার হজ শুদ্ধ হচ্ছে কি?): শাইখ মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আলবানী।
বই: যুল হজের তের দিন: আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী।
বই: Innovations of Hajj, Umrah & Visiting Madinah. By: Shaikh Muhammad Nasiruddin Albani.
বই: হজ, উমরাহ ও যিয়ারত গাইড: ড. মনজুরে এলাহী, আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান, নু‘মান আবুল বাশার, কাউসার ইবন খালেদ, ইকবাল হোসেইন মাসুম, আবুল কালাম আজাদ, জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের, মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান।
বই: হজ ও উমরাহ: মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
বই: প্রশ্নোত্তরে হজ ও উমরা: অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম।
বই: প্রাকটিক্যাল হজ ও উমরা: মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম।
বই: হিসনুল মুসলিম: দৈনন্দিন যিকির ও দু’আর সমাহার। অনুবাদে: মুহাম্মাদ এনামুল হক। সম্পাদনায়: মুহাম্মাদ রকীবুদ্দীন হোসাইন।
বই: আইনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ অধ্যায় : আব্দুর রযযাক ইবন ইউসুফ।
বই: শুধু আল্লাহর কাছে চাই: অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম
*******************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url